নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Fahim Ahasan Al Rashid, MBBS

আমি সাজিদ

Dr Fahim Ahasan Al Rashid blog

আমি সাজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সস্তা বিনোদন এবং ইন্টারনেট ট্রল (সাথে ট্রলশিকারীদের জব্দ করার গোপন কৌশল ফ্রি)

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০১

রেহান ( ছদ্মনাম) নামের একজন যুবকের অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু করি। একদিন রেহান ঘুম থেকে উঠে ফেসবুক মেসেঞ্জারে দেখতে পেল, তার সদ্য প্রয়াত বন্ধুর ফেসবুক আইডি থেকে তার কাছে অস্লীল ভাষায় টেক্সট এসেছে। কিংবা পিউয়ের ( ছদ্মনাম) অভিজ্ঞতাই ধরা যাক , পিউ এক দুপুরে দেখতে পেলো তার একটি ব্যাক্তিগত ছবি বিকৃত হয়ে সোশাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সেখানে অপরিচিত শখানেক লোক নানা ভাষায় তাকে কটূক্তি করছে। উপরের দুইটি ঘটনা সোশাল মিডিয়ার যুগে খুব স্বাভাবিকই বলা যেতে পারে। কিন্তু এই দুইটি ঘটনা বিশ্লেষনের দাবী রাখে। এখানে রেহান আর পিউয়ের সাথে যা হয়েছে, তাকে ইন্টারনেটের ভাষায় ‘ট্রল’ বলা হয়। । কিন্তু এইতো এই বিশ বছর আগেও ট্রলের (Troll) বাংলা অর্থ ছিলো ক্রিয়াবাচনে ‘নৌকার পিছনে পানির ভিতরে টোপ নাড়াচাড়া করে বড়শি দিয়ে মাছ ধরা’, এবং ব্যাক্তিবাচনে ‘ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পুরানের এক দানব’ । অথচ হাতের মুঠোয় মুঠোফোন আর বিদ্যুৎগতির ইন্টারনেট মানুষের রোজকার জীবনে একটি অনবদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়ে, ট্রল (Troll) শব্দটির অর্থ বদলিয়ে নতুন করে বানিয়েছে ‘ইন্টারনেটে কটুক্তি ও বিদ্বেষমূলক কথা ছড়ানো’ । কিছু কিছু বিদেশী শব্দ যেমন আমাদের বাংলাভাষায় নিজেকে পরিবর্তন না করেই অনূদিত হয়েছে, ট্রল আসলে সেরকমই একটি শব্দ, যার ভাবানুবাদ ‘ ইন্টারনেটে কটুক্তি ও বিদ্বেষমূলক কথা ছড়ানো’। তবে একটি ট্রল তখনই ট্রল যখন সেটা তিনটি শর্ত পূরণ করবে। প্রথমত, যে ট্রল করবে তার পরিচয় হতে হবে অজ্ঞাত। দ্বিতীয়ত, ট্রল সামাজক নীতি ও শৃঙ্খলাকে তোয়াক্কা করবে না। তৃতীয়ত, যারা ট্রল করবে অর্থাৎ ‘ অন্যের প্রতি বিদ্বেষমূলক কটূক্তি করবে’ তারা সেটি করে একধরনের বিনোদন লাভ করবে।

এটা নতুন করে প্রমানের কিছু নেই যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো আমাদের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করা শুরু করেছে এবং একই সাথে আমাদের আচরণকেও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। কাজেই যে ব্যাক্তি ট্রলের স্বীকার হয়েছেন, তা তার মনোদৈহিক অবস্থা ও আচরণেও অস্বাভাবিকতা আসতে পারে। মনোবিদরা এমন ব্যাক্তির ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন এমনকি সুইসাইডেরও কেস হিস্ট্রি পেয়েছেন। কিন্তু কেন এমন আচরণ কিংবা কোন ধরনের মনস্তত্ত্ব কাজ করে ওপেন প্ল্যাটফর্মে অপরকে আক্রমনের মধ্যে ? এটা নিয়েও কিন্তু বিস্তর গবেষণা হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্বনামধন্য মেডিকেল জার্নালে এটা নিয়ে লেখাও প্রকাশিত হয়েছে। যারা ট্রল করেন, তাদের মনস্তত্ত্বকে মনোবিজ্ঞানীরা একটি নির্দিষ্ট ধারাতে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, ট্রল করা মানুষরা যে ব্যাক্তিত্বের বৈশিষ্ট দেখায় তাকে ‘ Dark tetrad’ বলে।

‘Dark tetrad’ গঠিত আত্মমগ্নতা, মানসিক অস্থিরতা, প্রতারনা, অন্যকে পীড়ন করে আনন্দিত হওয়ার মানসিক বিকার এই চারটি স্তর নিয়ে। বিজ্ঞানীরা এটাও দেখিয়েছেন, তুলনামূলক পুরুষদের মধ্যেই এই মানসিকব্যাধির হার বেশী। ট্রল বা অন্যকে আঘাত করে পাওয়া অসুস্থ এই মানসিক বিনোদনকে অনেকসময় এডিকশনের পর্যায়েও তুলনা করা হয়। কারন এখানে ‘ addictive nature of reward’ থাকে, যার মোহ ‘dark tetrad’ personality এর লোকেরা কাটাতে পারে না।

মানুষের অপরের প্রতি সহানুভূতি বা এমপ্যাথির দুটি ভাগ আছে। একটি হচ্ছে কগনিটিভ আরেকটি হচ্ছে এফেক্টিভ। কগনিটিভ এমপ্যাথি হচ্ছে- অন্য মানুষের অনুভূতি সনাক্ত করা এবং তা বুঝতে পারা। এফেক্টিভ হচ্ছে- অন্য মানুষের ব্যাক্তিগত অনুভূতি অনুভব করার ক্ষমতা। ‘dark tetrad’ personality’ বা যারা ট্রল করেন তাদের এফেক্টিভ এমপ্যাথি কম থাকে কিন্তু কগনিটিভ এমপ্যাথি বেশী থাকে। অর্থাৎ এই ধরনের মানুষেরা বুঝেন অপরের অনুভূতি কেমন কিংবা অপর মানুষেরা কেমন আচরনে আঘাত পান। কিন্তু যারা ট্রল করেন, সেই ‘dark tetrad’ personality এর লোকেরা সেটাকে মোটেও পাত্তা দেন না। এ ক্ষেত্রে তাদের মোটিভেশন হচ্ছে ‘atypical social rewards’ । সোজা বাংলায় ‘ অপরের এই বিষয়টি নিয়ে তাকে আঘাত করতে আমার ভালো লাগে’ এই ধরনের মানসিকতা। আরেকটি গবেষণায় দেখা যায় যে, সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও একাকীত্ব ধারন করা মানুষের মধ্যে এমন আক্রমনাত্নক আচরনের হারটাও বেশী।

তাহলে এই ট্রল নামের মানসিক ব্যাধির সস্তা বিনোদন থেকে তথ্য প্রযুক্তির অবাধ যুগে নিজেকে নিরাপদ রাখার উপায় কি? ট্রল শিকারীদের হাত থেকেই বা নিস্তারের রাস্তা কোনটা ?
উত্তর - ‘উপেক্ষা করা’।
আপনার প্রতি একজন আক্রমনাত্নক কারন সে আপনার প্রতিক্রিয়া দেখে নিজে অস্বাস্থ্যকর প্রশান্তি লাভ করতে চায়, যা একটা চেইন রিএকশনের মতোন। তাই তাকে উপেক্ষা করুন এবং তার কর্মকাণ্ডের প্রতি অপ্রতিক্রিয়াশীল হোন, এটাই নিজের মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার উপায় নিঃসন্দেহে।

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সাজ্জাদ ভাই।

এই করোনার খারাপ সময়ে সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

২| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাংলাদেশে আমজনতার হাতে ফেইসবুক আসার পর ট্রল করা মানসিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তবে সব ট্রল যে খারাপ অর্থে ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয়। অনেক ট্রলের গভীর অর্থ থাকে।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: নূর আলম ভাই, কিন্তু ট্রল আর বিদ্বেষ তো এখন একই কথা! এইটাও সত্য কথা যে, অনেকসময় গঠনমূলক সমালোচনাকে ট্রল হিসেবে লেভেলিং করা হয়। যা করা উচিত নয়।

৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: কগনিটিভ এমপ্যাথি সাইকোপ্যাথদেরও একটি ট্রেইট।আমি এমন কিছু মানুষদের চিনি যারা সোস্যাল মিডিয়াতে যতটা এক্টিভলি ট্রল করেন বা শেয়ার করেন বাস্তব জীবনে ততটাই ভদ্র এবং গোবেচারা।আমার ধারণা Dark tetrad এর বৈশিষ্ট্যগুলো সহ আর একটি ব্যাপার হলো এসব হীনমন্যতায় ভোগে।সোস্যাল মিডিয়ায় অন্যকে কিংবা দেশের গুণী কাউকে অপমান করে সহজে পার পাওয়া যায়।এটাও একটা কারণ।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি কল্পদ্রুম ভাই, ঠিক বলেছেন। কগনিটিভ এমপ্যাথি সাইকোপ্যাথদের একটা ট্রেইট।
বলেছেন - আমি এমন কিছু মানুষদের চিনি যারা সোস্যাল মিডিয়াতে যতটা এক্টিভলি ট্রল করেন বা শেয়ার করেন বাস্তব জীবনে ততটাই ভদ্র এবং গোবেচারা
এনারাও কি বাস্তব জীবনে হীনমন্যতায় ভোগেন ?

উপরে নুরু আলম ভাইয়ের কমেন্টে একটা কথা আলোচনায় এসেছে, নেগেটিভ ক্রিটিসিজম আর ট্রলকে অনেক সময় এক করে ফেলা হয়। এইটা আবার অন্যদিকে নিয়ে যায় পুরো বিষয়টাকে। তাই না ?

৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: লেখক সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি সমাধানের রাস্তাও দেখিয়েছেন। সেটি বেশ কার্যকর হবে বলে মনে হয় তখনই যখন ধৈর্য ধরার প্যাকটিস ব্যক্তিগত জীবনে বুঝ হবার বয়স থেকে করা হবে তা না হলে ব্যাপারটি সহজ হবে না।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি। আপনি যথার্থই বলেছেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুব সুন্দর একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন। লাস্ট প্যারায় যেটা বলেছেন, সেটাই ভালো সমাধান।

সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষ করে ফেইসবুক ও ইউটিউবে এখন ট্রলের ছড়াছড়ি। এরকম, ব্লগেও কিছু ট্রলার আছেন, যাদের আচরণ টিপিক্যাল ট্রলারের মতো না হলেও এটাকেও ট্রল বলা যায়- যেমন, দিনের পর দিন একই ভাষায় কাউকে আক্রমণ করা, পোস্টে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কমেন্ট/প্রশ্ন করা, ইত্যাদি। এটারও সহজ ও উত্তম সমাধান হলো- স্রেফ ইগনোর করা।

শুভেচ্ছা রইল।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি সোনাবীজ ভাই। এখন চারপাশে ট্রলের ছড়াছড়ি। ব্লগেও কিছুটা হয় বটে৷ আবার অনেকসময় সমালোচনা ও ট্রল ওভারল্যাপ হয়ে যায়। ব্লগে এ টিপিক্যাল ট্রল আগে থেকেই ছিলো। কিন্তু সেটা বোধহয় একটা লিমিটের মধ্যে ছিলো।

৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমাদের ব্লগেও মনে হয় কয়েকজন Dark Tetrad এ আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০০

আমি সাজিদ বলেছেন: হাহা। মানে সাইকোপ্যাথ? সবাইকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায়?

৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: শিক্ষা-মূলক পোষ্ট! ভাল লাগল

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০১

ঘুটুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। খুব সুন্দর করে প্রথমে বিষয়টি বুঝিয়ে দেবার জন্য এবং এর সমাধানের কথা আলোচনা করবার জন্য

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০১

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আরও কোন সমাধান থাকলে সেটাও আলোচনা করা যায়।

৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৬

ওমেরা বলেছেন: ট্রলকে শুধু মানসিক ব্যাধি বল্লে কম বলা হয় দুরারোগ্য মানসিক ব্যাধি বলা উচিত। এটা প্রথমে মজা করার জন্য করা হলে একসময় এটা স্বভাবে পরিনত হয় সহজে এটা থেকে বের হয়ে ট্রলকারী সহজে এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারে না ।
আপনি সমস্যার সাথে সমাধানও দিয়েছেন বেশ সুন্দর হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: এবং ফেসবুক বা এই ক্যাটাগরির সোশাল মিডিয়া এইসব মানসিক ব্যাধিকে ছড়ানোর জন্য দায়ী। গতকাল খুলনায় এক চিকিৎসককে পিটিয়ে মেরে ফেললো রোগীর লোক। ওই চিকিৎসকের বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। করোনার মধ্যেও নিজের হাসপাতাল চালু রেখেছিল। গোটা খুলনায় গরীবের চিকিৎসক নামে পরিচিত ছিলো।অভিযোগ হচ্ছে- রোগীটিকে অন্য হাসপাতালে রেফার করার পর রোগীটি মারা যায়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলাম। সিসিটিভি ফুটেজে মানুষের কমেন্ট দেখলাম সোশাল মিডিয়ায়। সবাই চিকিৎসককে গালি দিচ্ছে। ভাবেন , আমরা জাতি হিসেবে কোন জায়গায় চলে গেছি। আর মাত্র এক দশক। আমাদের পতন আসবেই।

১০| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯

রাকু হাসান বলেছেন:


ট্রলটা অনেক হচ্ছে। সামনে আরও বাড়বে বলে মনে হয়। হ্যাঁ উপেক্ষা করতে হবে । সচেনতাও বাড়ানো প্রয়োজন । এটি যেন একটি সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলোর ব্যর্থতা সোশাল মিডিয়াসহ এই ধরনের বাকি মিডিয়াগুলোকে সহজলভ্য ও বহুল ব্যবহৃত করাতে এই সংস্কৃতি বেড়ে যাচ্ছে। উপরে ওমেরা আপাকে কমেন্ট করলাম - গতকাল খুলনায় এক চিকিৎসককে পিটিয়ে মেরে ফেললো রোগীর লোক। ওই চিকিৎসকের বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। করোনার মধ্যেও নিজের হাসপাতাল চালু রেখেছিল। গোটা খুলনায় গরীবের চিকিৎসক নামে পরিচিত ছিলো।অভিযোগ হচ্ছে- রোগীটিকে অন্য হাসপাতালে রেফার করার পর রোগীটি মারা যায়।
ডাক্তারকে মারতে মারতে মেরে ফেলার সিসিটিভি ফুটেজ দেখলাম। সিসিটিভি ফুটেজের নিচে মানুষের কমেন্ট দেখলাম সোশাল মিডিয়ায়। সবাই চিকিৎসককে গালি দিচ্ছে। অথচ এইভাবে জাজমেন্টাল হওয়ার কথা না আমাদের

১১| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: ১ম জন: আপনার অপরাধ কী?
২য় জন: আর বইলেন না। মাথা গরম করে যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছিলাম, দেশে বাক স্বাধীনতা নাই। তারপর কিছুক্ষণ পরে ভয়ে মুছেও ফেলছিলাম। তবু আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
আপনার অপরাধ কী?
১ম জন: আমার অপরাধ তো আপনার লেখাটিই। আমি কমেন্টে প্রতিবাদ করে লিখেছিলাম, আপনে সরকার বিরোধী লোক। মিথ্যা কথা বলতেছেন। দেশে বাক স্বাধীনতা কেন সব স্বাধীনতাই আছে।
মস্করা করেছি ভেবে আমারেও ধরে নিয়ে যাচ্ছে!

১৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: দারুন ও অনেক গভীর নিঃসন্দেহে।

১২| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২৩

মাইক পেন্স বলেছেন: হ কইসে আপনারে। ট্রল করবেই লোক। ন্যাংটা ছবি সবাইরে দিয়া বেড়াইলে এগুলা দেখা লাগবেই। অবাক হবার কিছু নাই।

২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: নীলছবি ছাড়াও কি ট্রল হয় না?

১৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: শিক্ষামূলক পোষ্ট l ভাল l

১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

আমি সাজিদ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। সুস্থ থাকেন , ভালো থাকেন।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষের বড় বড় অবদ গুলোর ফাঁক-ফোকর ইত্যাদি কাজে লাগিয়ে কিছু অদৃশ্য বিষাক্ত মানুষ অনেকের জীবনকে বিষাক্ত করছে; এদের থামানোর সহজ কোন উপায়ও নেই; অগ্রাহ্য করলে এরা হতাশ হবে কিছুটা, সঠিক।

১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন: অগ্রাহ্য করলে এরা হতাশ হবে কিছুটা, সঠিক।

জ্বি, একদম সঠিক।

১৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ট্রল যারা করেন তারা মানসিক রোগী সমাজে ছত্রাকের মত। ছত্রাক নিধনে সামাজিক আন্দোলন এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে সাজার ব্যবস্থা করা উচিৎ ।

২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:০১

আমি সাজিদ বলেছেন: সাজার ব্যবস্থা কি সমাধান? কেমন আছেন? ফরিদী সাহেবের ছবিটা কি আর চেঞ্জ করবেন না ?

১৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ট্রলকে নেগেটিভ ভাবে নেয়ার কিছু নাই। ট্রল এর শিকার সাধারনত বিতর্কিত ব্যক্তিরাই হয়ে থাকে।

২৭ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: এই যে রবীন্দ্রসংগীত করেন দেখে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে নিয়ে কতো বাজে কথা বলেছে কিছু মানুষ! উনি কি তাহলে বিতর্কিত?

১৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২১

মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: ভালো পোষ্ট। এনালাইটিকাল।
সাজেশনটা নেবার মত মানসিক জায়গায় সবাই যেতে পেরে না।
নিতে পারলে অনেক ভাল কিছু ঘটত।
শুভেচ্ছা

২৮ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১০

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনাকেও শুভেচ্ছা মাহমুদ ভাই।

১৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইগ্নোর করাই উত্তর!

২৮ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১১

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি, এইটাই সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি বোধহয়।

১৯| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ট্রল ফুটবল নামে একটি পেজ ফেসবুকে অনুসরণ করি। ট্রল ব্যাপারটি নিয়ে বেশকিছু দ্বিধা কাটিয়ে উঠতে পারিনি এখনও। সাথে আরেকটা জিনিষও ভাবি ট্রলকে অনেকে ইগ্নোর করতে পারেনা, উলটো আরো দেখা যায় যে ট্রলের শিকার সে সেসব দেখতেই বেশি ছোটাছুটি করছে।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আজব সাইকোলজি মানুষের, আপনার অবসারভেশন পাওয়ার বেশ শার্প কুনোব্যাঙ ভাই !

২০| ১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে দেখলাম।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: আচ্ছা

২১| ১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ব্যাক্তিক সীমা পর্যণ্ত উপেক্ষা নীতি কার্যকর হলেও ট্রল যখন
পারিবারিক বা সামাজিক জীবনকে অশান্ত করে তোলে, তখন আর উপেক্ষা নীতি ঠিক কার্যকর থাকে না।

অন্তর্জালে এসব সিক মানসিকতার মানুষদের চিকিৎসার আয়োজনের পাশাপাশি
আইনের দৃঢ় প্রয়োগও দরকার।
কখনো যা কারো কাছে স্রেফ মজা, অন্যের কাছে তা জীবননাশীও হতে পারে।

পোষ্টে +++

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

আমি সাজিদ বলেছেন: অন্তর্জালে এসব সিক মানসিকতার মানুষদের চিকিৎসার আয়োজনের পাশাপাশি
আইনের দৃঢ় প্রয়োগও দরকার।


এই আইনের প্রয়োগে ভয় হয় , এক কিশোরকে সেদিন ধরে নিয়ে গেল শুধু টেলিকম কোম্পানি আর পিএমের বিরুদ্ধে একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার কারনে।

২২| ১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৩১

কল্পদ্রুম বলেছেন: এনারাও কি বাস্তব জীবনে হীনমন্যতায় ভোগেন ?–

আমার পর্যবেক্ষণে সেটাই মনে হয়।প্রচ্ছন্ন হলেও টের পাওয়া যায়।সবাই কমবেশি ট্রল শেয়ার করেন।ওটা নিরীহ।তবে আমার ধারণা এডিক্টেটদের ক্ষেত্রে বাস্তব জীবনে হীনমন্যতা এবং আপনার লেখা অনুযায়ী সোস্যাল মিডিয়ায় রিওয়ার্ডিং এর ব্যাপারটা কাজ করে।

নেগেটিভ ক্রিটিসিজম আর ট্রলকে অনেক সময় এক করে ফেলা হয়। এইটা আবার অন্যদিকে নিয়ে যায় পুরো বিষয়টাকে। তাই না ?–

না সাজিদ ভাই।ক্রিটিসিজম ঠিক আছে।কিন্তু নেগেটিভ ক্রিটিসিজম নিজেই তো খারাপ জিনিস।ওটাও আমার মতে একরকম বিদ্বেষ থেকে করা হয়।ট্রলও তাই।নূর আলম ভাই এবং ওনার প্রতিউত্তরে আপনি যেটা লিখেছেন সেটা নেগেটিভ ক্রিটিসিজম না।নূর আলম ভাই ট্রলের পিছনে যে গভীর অর্থের কথা লিখেছেন।ঐ ধরণের ট্রল যারা করেন তাদের ডার্ক টেট্রাড নেই।তারা কেউ এডিক্টেড নন।স্রেফ বিনোদনই তাদের উদ্দেশ্য না।কোন একটা মেসেজ দেওয়ার জন্যই তারা কাজটা করেন।

আপনার প্রতি উত্তরে — গঠণমূলক সমালোচনাও মজা করে লিখলে সেটা ট্রল হতে পারে।সেক্ষেত্রে আমি দেখবো লেখাতে সমালোচনাটা কি করলো,এপার্ট ফ্রম জোক।ফেসবুকে সবাই ঘোরাঘুরি করি।আপনিই বলেন?ক জন ফান এবং সমালোচনা একই সাথে করতে পারে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফানের আড়ালে অন্যকে আঘাত করাটাই আসল উদ্দেশ্য থাকে।

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আমি যতদূর জানতাম, ট্রল মানেই ডার্ক টেট্রাড থাকবে। ট্রলের মাধ্যমে মেসেজ দেওয়াটা হয়তোবা অন্যভাবে ডিফাইন করা যায়, ট্রলের ক্যাটাগরিতে নয়।

আরেকটু ঘাঁটাঘাঁটি করে বাকিটা বলবো।

২৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ,




ট্রল করে যারা অন্যকে আঘাত করে হর্ষে মাতে তারা সবাই মানসিক ব্যাধির রোগী।

উপেক্ষা ....... উপেক্ষা .......... উপেক্ষা............আর উপেক্ষাই হলো ওরকমের ট্রোলকারীদের মুখে নিঃশব্দ চপেটাঘাত।

২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি। এটাই সারভাইভ করার একমাত্র টুল মনে হচ্ছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২৪| ২৪ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অগ্রাহ্য করাই একমাত্র দাওয়া।

২৮ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: মাঝে মাঝে এই কাজটা কঠিন হয়ে যায়। ১৮ নাম্বার কমেন্টে ব্লগার কুনোব্যাঙ চমৎকার একটা কথা বলেছেন।

২৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এসব বিনোদন এখন বিরক্তিকরে পরিণত হয়েছে।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: চিন্তাভাবনায় আস্তে আস্তে স্লো পয়জনিং করছে বিষয়গুলো। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.