নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Fahim Ahasan Al Rashid, MBBS

আমি সাজিদ

Dr Fahim Ahasan Al Rashid blog

আমি সাজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে জওহরলাল, বীরত্ব বা আধিপত্যের গল্প।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬


বিশ্ব ইতিহাস প্রসঙ্গ সিরিজ লেখার আগে জওহরলাল নেহেরুকে নিয়ে ছোট একটা বিশ্লেষণ সামনে আনা উচিত ছিলো। ধারাবাহিকতা ভঙ্গ হলেও, চলুন জেনে আসি জওহরলাল নেহেরুর মনের গল্প।

স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু দেশকে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত করতে রেখেছিলেন অবদান। বর্তমান ভারতের প্রতিষ্ঠায় এই আধুনিক ভারতের জনক পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর রয়েছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। । ইতিহাস বলে, ব্রিটিশ রাজশক্তির অত্যাচার তাকে দমাতে পারেনি। স্বাধীনতা সংগ্রামে নয়বার কারাবরণ করেন তিনি।এরপর সাতচল্লিশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে গান্ধীজী সরদার প্যাটেলের পরিবর্তে যখন নেহেরুকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন ঠিক তখন থেকেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তবে, বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ একই সাথে বলেন, তিনি ছিলেন ভারতের সামন্তবাদ জমিদার শ্রেণীর মিত্র, হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা ও সাম্প্রদায়িকতার ঝান্ডাধারী, কৃষক ও শ্রমিকের হত্যাকারী। কিন্তু নেহেরুর রাজনৈতিক সফলতা বা ব্যর্থতা আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় নয়। বরং আমরা আজ আলোচনা করব, ইতিহাসের এই মহা চরিত্রের মনস্তত্ত্ব নিয়ে।

জওহরলালের ছোটবেলার দিকে তাকিয়ে আমরা দেখতে পাই তার আধুনিক মনস্ক পিতাকে। মতিলাল নেহেরু শুরুতে ওকালতি পেশার সাথে জড়িত ছিলেন।পরবর্তীতে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। মতিলাল খুব জাঁকালো পরিবেশে বড় হয়েছিলেন, ছেলে জওহরলাল যেন সর্বোচ্চ পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়, তা মতিলাল খুব করে চাইতেন। নিজের ব্যর্থতার জন্যই হয়তোবা তিনি ছেলের সাফল্য নিয়ে উদগ্রীব ছিলেন। একারনেই ছোটবেলায় গৃহশিক্ষক এবং একটু বড় হওয়ার পর ইংল্যান্ডে পড়তে যাওয়া জওহরলালের একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল।

ফ্রয়েডীয় ইডিপাস কমপ্লেক্সের একটি প্রয়োগ আমরা এখানে দেখতে পারি। পিতা মতিলালের চেয়ে মাতা স্বরূপ রানীর প্রতি নেহেরুর ভালোবাসা দৃঢ় ছিল। এর কারণেই বোধহয় নেহেরু স্বাধীন ভারতকে মায়ের সাথে তুলনা করেছিলেন। পিতা-মাতার স্নেহ ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দু জওহরলাল একদিকে পিতার কড়া শাসন এবং নিয়ম-কানুনকে খুব একটা অবজ্ঞা করতে পারেননি। অন্যদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি পিতার আত্মত্যাগও জওহরলালকে অনুপ্রাণিত করত, কারণ ভেতরে ভেতরে জওহরলাল ছিলেন ঠিকই স্বাধীনচেতা।তাই ইডিপাস কমপ্লেক্স অনুযায়ী পিতার প্রতি যে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার কথা তা বরং পিতার প্রতি সম্মানে পরিণত হয়। জওহরলাল চাইতেন তিনি সেই ভূমিকাটি অর্জন করেন যেটি তার পিতা মতিলাল পারেননি।
অবশ্য ব্যক্তিগত জীবনে পরবর্তীতে মায়ের ছেলে হতে না পারার দুঃখই যেন জহরলালকে পোড়ায়। এজন্য তার জীবনে আমরা লেডি মাউন্টব্যাটেন ও পদ্মজা নাইডুকে দেখতে পাই।

মাসলোর নীতি অনুযায়ী যদি আমরা নেহেরুর ব্যক্তিত্বের বিশ্লেষণ করতে চাই, আমরা দেখতে পাই, তিনি ছিলেন বাস্তববাদী।মাসলো এই গুনে গুনবান মানুষদের নাম দিয়েছেন সেলফ একচুয়ালাইজার। এই মানুষেরা সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পছন্দ করেন।তাদের জীবনের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে, যেমন জহরলালের জীবনের উদ্দেশ্য ছিল শুধুই ভারত বর্ষ। এই ধরণের মানুষরা গণতান্ত্রিক চরিত্র ধারণ করেন যেমনটি আমরা নেহেরুর মধ্যে কিছুটা দেখতে পাই। জীবনের একটা পর্যায়ে তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র সবাইকে আপন করে নিতে পেরেছিলেন। অবশ্য পরবর্তীতে স্বাধীন ভারতে নেহেরুর আধিপত্যবাদ তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে। নতুন ভারতবর্ষ ভ্রমণের সময় পাবলো নেরুদা সেসময়ের জওহরলালকে শারীরিক, মানসিক ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত কোন ব্যক্তি বলে দাবি করেছিলেন।

পিতা হিসেবে নেহেরু কেমন ছিলেন ? আমরা যেমন দেখেছি মতিলাল তার পুত্রের শিক্ষার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন, ঠিক তেমনভাবে কন্যা ইন্দিরার শিক্ষার বিষয়ে জওহরলালকে সচেষ্ট দেখা যায়। নিজের কন্যাকে কিশোরী অবস্থায় বিলেতে পড়তে পাঠিয়ে ছিলেন তিনি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে মাঝের সময়টায় বিভিন্ন বার কারাবরণ করার পরেও পত্রযোগে মেয়ের সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন তিনি। কিশোরী মেয়েকে লেখা এই নয়শো চিঠি ছিল বিশ্ব ইতিহাসের নানা আলোচনা। যা পরবর্তীতে বিশ্ববিখ্যাত সংকলন আকারে প্রকাশিত হয়। পিতা- কন্যার বিভিন্ন মতবিরোধও আমরা পরবর্তীতে দেখতে পাই। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মাঝের সময়ে আমরা নেহেরু কে বৌদ্ধ মতাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখি। তবে মেয়েকে ধর্মের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তিনি।

জওহরলাল নেহেরুর পুরো ছবিটি আমরা দেখতে পারি এভাবে, গান্ধীর দর্শন ও নেতৃত্ব যে জওহরলালকে গভীর ভাবে আকৃষ্ট করেছিল, ছাত্রাবস্থায় যিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন, ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সেই নেহেরুকেই দেখা যায় সাম্রাজ্যবাদের উপর নির্ভর হতে। কি হওয়া উচিত ছিল বা কি হতে পারত, এসব হিসেব বাদ দিয়ে আমরা যদি ব্যক্তি নেহেরুর দিকে তাকাই, তবে আমরা পাই, একটি শক্তিশালী চরিত্রকে, যিনি রচনা করেছেন ইতিহাস, নিজ হাতে।

প্রিয়দর্শনীকে নেহেরুর চিঠি সিরিজটি চলবে।

পুরো লেখাটি ফোনে বর্ণ এপ্লিকেশনে ভয়েস টাইপিং- এ লেখা। কোডপত্রকে ধন্যবাদ। ব্লগে আর্কিওপটেরিক্স ভাইয়াকে ধন্যবাদ, বর্ণের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:৫৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: জওহরলাল নেহেরু সম্পর্কে এভাবে উপস্থাপন করে ভালো করেছেন। তাঁর শুরুটা জানা হলো।
তিনি যেমন তাঁর বাবার কাছে থেকে শিক্ষার বিষয়ে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তেমনি মেয়েকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
পরের পর্বের অপেক্ষায়............

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:৩৬

আমি সাজিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য যথারীতি ধন্যবাদ। উড়িষ্যা , মধ্যভারত, হায়াদ্রাবাদ , কাশ্মীরের গনহত্যার দায়ও তার উপর বর্তায় । বিষয়টা বেশ ভাবাচ্ছে। আপনি কি জানেন, হিটলারকেও ইডিপাস কমপ্লেক্স ও ক্যাস্ট্রেশন এনজাইটির ভিত্তিতে প্রোফাইল করা হয়

বগুড়ার করোনার অবস্থা কি ? মৃত্যু হার কেমন ?

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি দারুন হয়েছে। সত্যি বলছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১০

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ রাজিব ভাই।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:১৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ইন্ডিয়ার বর্তমান শাসক গোষ্ঠী তাকে স্বীকার করতে চায় না! এর কারন আপনার লেখা পড়ে সামান্য আঁচ করতে পারলাম।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: এখন তো বিজেপি সরকার ক্ষমতায়, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি নেহেরুকে তারা মানবেই বা কেন ? আদর্শ যে ভিন্ন !

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ কয়েকদিন পর দিলেন

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি, দেরী হচ্ছে বেশ।

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৩:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষের মনস্তত্ব বুঝার জন্য মানুষের সাথেকথা বলতে হয়, প্রশ্ন করতে হয়; আপনি সুযোগ পেয়েছিলেন?

১৮ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: মুরব্বী, অন্যের করা প্রশ্ন - উত্তর বিশ্লেষণ করেও এক প্রকার মনস্তত্ব বোঝা যায়।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:২৯

ঢুকিচেপা বলেছেন: বগুড়ার করোনার অবস্থা কি ? মৃত্যু হার কেমন ?
করোনা পরিস্থিতি কেমন বোঝা মুশকিল। লোকজন মাস্ক পড়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছে। দূরত্বর ব্যাপারটা এখন কাছাকাছি।
পত্রিকা অনুযায়ী আক্রান্ত 7812 আর মৃত্যু 188, তবে নতুন মৃত্যু নাই।

২১ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আল্লাহ্ ভরসা। দেখা যাক কি হয়। বগুড়ার শীত এবার কম পড়ুক।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু নাকি শেরে বাংলা ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন শুনেছি। সত্য কি না জানি না। লেডি মাউন্ট ব্যাটেনের সাথে ওনার সম্পর্কটাকে কিভাবে দেখেন? ওনার মনস্তত্ত্বের সাথে এটা কি খাপ খায়?

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩১

আমি সাজিদ বলেছেন: মায়ের ছেলে হতে না পারাটাই মাউন্ট ব্যাটেনকে উনার জীবনে নিয়ে আসে, এমনটাই মনে হয় আমার। মনস্তত্ত্বকে একটা পেঁয়াজের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। অনেকগুলো স্তর পার করেও আপনি নতুন কিছু পেতে পারেন। কাজেই খাপ খাওয়ার বিষয়টা নিয়ে আমি আমার স্বল্প জ্ঞানে মন্তব্য করতে পারছি না।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:২৪

কল্পদ্রুম বলেছেন: জওহরলাল নেহেরুর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।যদিও নেহেরুর মতো মানুষের পলিটিক্যাল আচরণ ব্যাখ্যা করা কঠিন।বিশেষ করে এত বছর পরে এসে।তবে আমার মনে হয় তার মতো বাস্তববাদী (মাসলোর বক্তব্য মতে) রাজনীতিবিদের কাছে সদ্য স্বাধীন বহু জাতি, ভাষার বিশাল ভারত ভূখন্ডকে একত্র করতে সাম্রাজ্যবাদী আচরণকে সবচেয়ে প্রাক্টিক্যাল এপ্রোচ বলে মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক না।কাজটা ঠিক ছিলো কি না জানি না।অন্তত পক্ষে তিনি নিজের দেশের ভবিষ্যৎ ভেবেই কাজ করে ছিলেন। নিজের ভাগ বুঝে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করেননি।সেটাই বা কম কিসের!

সাজিদ ভাই, তামিল ভাষার সাথে পৃথিবীর অনেক ভাষার মিল নিয়ে আমার মতামত জানতে চেয়েছিলেন। ঘটনা হচ্ছে, তামিল ভাষা ব্যাপারে আমার কোনই ধারণা নেই। তবে বাংলা ভাষার যেখানে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন ঘটেছে। সেখানে তামিল ভাষা হাজার বছর ধরে একই আছে বলে শুনেছি। এটা সত্যি হলে আমি ভেবে অবাক হই ওরা এত দীর্ঘ সময় ধরে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রাখলো কিভাবে? ব্লগে ভাষা বিজ্ঞান নিয়ে যারা জানেন তারা হয়তো এই সূত্রে কিছু লিখতে পারেন। তামিল ভাষা মেজর কয়েকটি ভাষার সাথে কমন একটি সূত্র থেকে উৎপত্তি হওয়াতে এদের ভিতরে মিল থাকতে পারে। আবার তামিলদের ব্যাপক মাত্রায় মাইগ্রেশন একটা ভূমিকা হতে পারে। ওরা যেখানে গেছে সেখানে নিজের ভাষা,সংস্কৃতি সাথে করে নিয়ে গেছে। তবে আসল বিষয় হচ্ছে, তামিলদের কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা কেমন জানি না। তবে দূর থেকে এই সময়ের হিন্দি এবং বলিউড আগ্রাসনের সময়েও তারা যেভাবে নিজেদের স্বকীয়তা ধরে রেখেছে সেটা দেখে খুব ভালো লাগে। ওদের কাছ থেকে আমাদের শেখার আছে।

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: ভারত ভূখন্ডকে একত্র করতে সাম্রাজ্যবাদী আচরন সে সময়ের প্রত্যাশিত ছিল। নেহেরুও ব্যাতিক্রম কিছু করেন নি। এভাবে ভাবলে একটা উপসংহারে পৌঁছানো যায়।

তামিল ভাষা নিয়ে যা জেনেছি, ওরা সেই আর্য জাতির অংশ যারা উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণে মাইগ্রেট করেছিল। আর্যরা যখন আসে তার আগে থেকেই বেশ কিছু সভ্যতা ছিল, পরে যারা আর্যদের দ্বারা ইনফ্লুয়েন্সড হয়ে যায়। এরাই অনেক বছর ধরে উত্তর ভারতে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে ছিল, এরপর যখন উত্তর ভারতের সীমানায় বারবার বাইরের শক্তি হানা দেয়, তখন এরা দক্ষিণে চলে আসে। এবং সে সময় উত্তরের সাথে দক্ষিণের ভৌগলিক দূরত্ব থাকায় এদের সংস্কৃতি রক্ষা পায়। আপনার ধারনাই ঠিক। তাদের স্বকীয়তা ধরে রাখার বিষয়টি আসলেই চমৎকার ।

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: একজন মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষন খুবই জটিল ও কঠিন কাজ আপনি সেটা করতে পেরেছেন। +++

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভ সকাল।

১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১

জুন বলেছেন: আপনার পরের পর্বগুলো পড়ার অপেক্ষায় । জওহর লাল নেহেরু ছিলেন ভারত বর্ষের স্বাধীনতার এক প্রধান স্থপতি । অসাধারন কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ও আইনজ্ঞ হিসেবে প্রভুত জ্ঞ্যান ভারতবর্ষের স্বাধীনতা উত্তর রাজনীতিতে বাপুজীর পাশাপাশি জহরলালকেও প্রধান ভুমিকা রাখতে সহায়তা করেছিল ।
ভালোলাগলো আপনার ভুমিকা

২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপু।

১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন রাজনীতিবিদ ক্ষমতায় গেলে যদি বদলে যান, গন-মানুষের সাথে যদি তার দুরত্ব তৈরী হয়......তাকে হয়তো সফল রাস্ট্রনায়ক বলা যেতে পারে, তবে তার জন্য আমার কোন শ্রদ্ধা থাকে না। সে কারনেই নেহেরুর প্রতি আমার তেমন কোন মোহ নাই, যতোটা আছে নেলসন ম্যান্ডেলার জন্য। রাজনীতিতে যেমন শেষ বলে কোন কথা নাই, কতিপয় রাজনীতিবিদদের চরিত্রেও তেমনিভাবেই শেষ বলে কোন কথা নাই। ক্ষমতা এদের কাছে মুখ্য......জনগন গৌণ।

একজন মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ আরেকজন মানুষ যখন করে, তখন তার কাজ দিয়েই তাকে বিচার করতে হয়। এ'ছাড়া আসলে উপায়ও নাই। কারন, নিজেকে জানাই যেখানে একটা কঠিন কাজ, সেখানে আরেকজন কিভাবে আলোচিত ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বা মনস্তত্ব সঠিকভাবে জানবে? নেহেরু নতুন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে উৎরে গিয়েছিলেন নিঃসন্দেহে, তবে তার অনেক কাজই বিতর্কিত ছিল। আবার এই বিতর্ককে কিন্তু একজন ভারতবাসী যেভাবে দেখবে, একজন বাংলাদেশী বা পাকিস্তানী সেভাবে দেখবে না। উদাহরন হিসাবে বলা যায়, কাশ্মীর প্রসঙ্গ। এখানে ভারতের লোকজন তার পদক্ষেপকে বর্তমানে যথেষ্ট ছিল বলে মনে করে না, আবার একজন পাকিস্তানী বিষয়টা অন্যভাবে দেখবে। এখানে কনটেক্সট এর ভূমিকা বিশাল।

ক্ষমতার কারনে বা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কোন নেতার ব্যক্তিত্ব যদি পরিবর্তিত হয়, তাহলে তাকে আমার দৃঢ়চেতা মনে হয় না, বরং চেয়ারের প্রতি মোহাবিষ্ট একজন মানুষই মনে হয়। এমন মানুষ তরল স্বভাবের হওয়া স্বাভাবিক, যার প্রমান লেডি মাউন্টব্যাটেন!

যাইহোক, আপনি জটিল একটা কাজে হাত দিয়েছেন। আশা করছি, আপনার একেবারেই নিজস্ব কিছু মুল্যায়ন পাবো।

২৫ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার নিজের মূল্যায়ন এই লেখায় অতি নগন্য। এটা একপ্রকার ফরমায়েশি লেখা। পরে ভাবলাম, ব্লগে দেই। ম্যান্ডেলার প্রতি আপনার মনোভাব জেনে ভালো লাগলো। ম্যান্ডেলাকে নিয়েও একই ধরনের একটা লেখা লেখেছিলাম, ফরমায়েশি লেখা। বাংলাদেশের একটা মাসিক ম্যাগাজিনে আছে।

বলেছেন -
একজন মানুষের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ আরেকজন মানুষ যখন করে, তখন তার কাজ দিয়েই তাকে বিচার করতে হয়। এ'ছাড়া আসলে উপায়ও নাই।

একদম সঠিক। এই ধরনের লেখাগুলো সে জন্যও বড় পরিসরে গেলে গুরুত্বহীন হয়ে যায়। গ্রহনযোগ্যতাও হারায়।

আমি এখানে নিরপেক্ষ থাকতে চেয়েছি। আজকাল বিভিন্নজনের মতামত জেনে আর বই পড়ে যা জানা গেছে তাই তুলে ধরেছি শেষে -
জওহরলাল নেহেরুর পুরো ছবিটি আমরা দেখতে পারি এভাবে, গান্ধীর দর্শন ও নেতৃত্ব যে জওহরলালকে গভীর ভাবে আকৃষ্ট করেছিল, ছাত্রাবস্থায় যিনি সমাজতন্ত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন, ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সেই নেহেরুকেই দেখা যায় সাম্রাজ্যবাদের উপর নির্ভর হতে।

বাকিটা পাঠকের উপর। এর জন্য কনটেক্সটের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনার মন্তব্যে উঠে এসেছে।

লেডি মাউন্টব্যাটেন প্রসঙ্গে নেহেরুতে তরল স্বভাব চিত্রায়িত করতে আমার আপত্তি আছে। সাইকোলজির এমন বেশ কিছু অলিগলি আছে, সেগুলোর সূত্রে আচরণগত ও অভ্যাসগত পরিবর্তন এমনভাবে হয় যে, তাতে অবাক হতে হয়।


আমি কোন জটিল কাজ ও নিজস্ব মূল্যায়ন করতে চাই না। :`>





১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক ব্যক্তিতের মনোবিজ্ঞানের ক্ষেত্রটি ভারতে এখনো তেমন গুরুত্পপুর্ণ হয়ে উঠেনি।তারপরেও দেশের কল্যাণে গৃহীত সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী নেতাদের মনস্তাত্বিক ব্যক্তিত্বের অধ্যয়ন বিশেষকরে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর প্রতি আগেরমত এখনো অনেক শ্রদ্ধার বিষয় হয়েই রয়েছে। তবে সর্বভারতীয় জাতীয় পছন্দ এবং তার জাতীয় নেতাদের মনস্তাত্বিক গুণাবলীর মধ্যে একটি জটিল বিশ্লেশন এখন দৃশ্যমান। ভারতীয় রাজনীতির অতীত ও বিদ্যমান কার্যপ্রনালী এবং প্রকৃত নীতিগুলি বরাবরই ছিল বেশ জটিল । এ কারণে তাদের জাতীয় নেতাদের মনস্তাত্বিক বিশ্লেশন ডোমেনের মধ্যে যে অপর্যাপ্ততা বা গ্যাপ রয়েছে তা পুরনের জন্য নেতাদের মনস্তাত্বিক বিশ্লেষনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । এ প্রয়োজনীয়তা পুরণের লক্ষ্যে সকলের মহতি প্রচেষ্টার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৩

আমি সাজিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জ্ঞানগর্ভ আলোচনা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: অনেকদিন পর এদিকে মন্তব্য করলেন, কেমন আছেন?

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

জুন বলেছেন: আমি সাজিদ আপনার নেহেরুর চিঠির কি হলো? আপনি খুব ব্যাস্ত মানুষ জানি। কিন্ত এত দেরি হলে পাঠকের আগ্রহ হারিয়ে যায় যে। আরেকটা কথা আপনার দুই বছরের সিনিয়র হিসেবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলি কোন লেখাই তিন পর্বের বেশি লিখবেন না। আমি খেয়াল করে দেখেছি তিন পর্ব পর্যন্ত মানুষের আগ্রহ থাকে তারপর আর সেই আগ্রহ থাকে না। আর একই শিরোনাম থাকলে পাঠকরা কনফিউজড হয়ে যায় যে এটা কি আমি অলরেডি পড়েছি কি না! আশাকরি আমার কথায় আপনি কিছু মনে করবেন না সাজিদ। ব্লগে আমি দুই বছরের বড় হলেও বয়সে অনেক বড়ই হবো। অভিজ্ঞতার একটা দাম আছে না কি বলেন ;) :`>

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮

আমি সাজিদ বলেছেন: শুভ দুপুর। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপি। কেন যেন আগ্রহ পাচ্ছি না লেখার, সেজন্যই থেমে আছে। বরং সবার লেখা পড়ছি। আপনার উপদেশ পরবর্তীতে সিরিজ লেখার সময় আমার মনে থাকবে ।

১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:৩০

সোহানী বলেছেন: জওহরলাল নেহেরু সম্পর্কে মনস্তাস্তিক উপস্থাপন ভালোলেগেছে। সে অবস্থায় ভারতবর্ষে একজন নেহেরুর দরকার ছিল। কিন্তু তারপর আমার কাছে বরাবরেই নেহেরুকে কিছুটা স্বার্থপর, ক্ষমতালোভী কিংবা আভিজাত্যের অহংকারী মনে হয়েছে। মাটি মানুষের খুব কাছের কেউ তিনি তেমন ছিলেন বলে প্রমান পাইনি। বরং আপার ক্লাস এর সাথেই তার ছিল সক্ষতা।

অবশ্য দোষ ধরলে অনেকভাবেই ধরা যায় তারপরও উনার অবদান এ ভারতবর্ষে বিশাল।

বাই দা ওয়ে... আপনার এতো চমৎকার লিখাগুলো এতোদিন মিস করছি বলে লজ্জাই পাচ্ছি। তাই ফলো করলাম আর মিস হবে না আশা করি :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.