নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Fahim Ahasan Al Rashid, MBBS

আমি সাজিদ

Dr Fahim Ahasan Al Rashid blog

আমি সাজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যাপিনেস, অনুভব ও অনুশীলন!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

শুভ দুপুর। মাঝে মাঝে অদ্ভুত কিছু ভাবনা মাথায় আসে। এই যেমন এখন লুইস আর্মস্ট্রং - এর হোয়াট হোয়াট এ ওয়ান্ডারফুল ওয়ার্ল্ড শুনছিলাম হঠাৎ প্রশ্ন এলো মনে, মানুষ হ্যাপি হয় কি করে? হ্যাপিনেস কেন চিরস্থায়ী নয়?


আমরা কি 'হ্যাপিনেস' শব্দটিকে এমনভাবে প্রমোট করছি, যাতে আমাদের অধিকাংশের মনে হয় বিইং হ্যাপিই আমাদের আল্টিমেট গোল? মানবজীবনের চিরস্থায়ী অনুভূতি হিসেবে সজ্ঞানে অজ্ঞানে আমরা হ্যাপি হতে চাই। আনন্দ চাই। প্রশান্তি চাই। হ্যাপিনেসের গ্লোবাল মার্কেটিং-এর আলোতে আমরা ভুলে গেছি, আমাদের সংবেদনশীল মন কখনই একই রকম আবেগ অনুভূতি ধরে রাখতে পারে না, তা তার জন্য আমরা যতোই প্রচেষ্টা করি না কেন। কাজেই পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে ভালো খারাপ অনুভূতি ক্রমান্বয়ে আসবেই। যদি মানুষ ভালো অনুভূতির জন্যই সবসময় ক্ষুধার্ত থাকে তাহলে সে খারাপকে অস্বীকার করার চেষ্টা করবে। আমরা এমনই তো করছি। অথচ এই খারাপ অনুভূতি আমারই অংশ। আমাদেরই অংশ। নিজের চারপাশে ভালোর দেয়াল গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় আমাদের মন পড়ে থাকে জীবনের অর্ধেক অংশে, ভালো অনুভূতির অংশে। এত গতি, এত আয়োজন, এত লড়াইয়ের পেছনেও নিজেদের কমফোর্ট জোনে রাখার নিরন্তর চেষ্টাটাই মূল ফ্যাক্টর।

যদি আমরা বুঝি হ্যাপিনেস আসলে অনুভব করার নয়, কারণ চিরদিন তো পরের ব্যাপার, একই দিনেই ভিন্ন সময়ে আপনি আমি এই প্রশান্তি অনুভব করতে পারবো না। তাহলে কেমন হয় ব্যাপারটা? ভালো-মন্দ অনুভূতিগুলো আলাদা না করে একসাথে রাখলে কেমন হয়?
কেমন হয় কোন অনুভূতিতে এনগেজড না হলে? যেমন আপনি আপনার মানসিক অবস্থা সম্বন্ধে ধারনা রাখেন কিন্তু যেহেতু সেটা স্থায়ী নয় তাই সেই মানসিক অবস্থার পেছনের অনুভূতিকে নিজের জীবনে নিয়ন্ত্রণ করতে দেন না, এমন হলে কেমন হয়?

যদি আনন্দিত না হয়ে আনন্দের মুহূর্ত অবলোকন করা যায়, ব্যথিত না হয়ে দুঃখের মুহূর্ত অবলোকন করা যায়, সেটাকেই তো প্রকৃত হ্যাপিনেস বলা যায় , তাই না?

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রশান্তির পূর্বশর্ত হচ্ছে আত্মদর্শন। নিজেকে চিনতে পারলে প্রত্যাশাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেটা করতে পারলে প্রত্যাশা পূরণের ব্যর্থতা মনকে ভারাক্রান্ত করে না, দংশন করে না। প্রতিদিন অন্ততঃ কিছুক্ষণর জন্য প্রকৃতির মাঝে চাক্ষুষ কিংবা কালপনিকভাবে নিমগ্ন হতে পারলে সৃষ্টির বিশালত্বের তুলনায় আপন ক্ষুদ্রতা হৃদয়ঙ্গম করা যায়, ফলে জাগতিক আকর্ষণসমূহ থেকে নিজেকে কিছুটা হলেও নিবৃত রাখা যায়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: আত্নদর্শন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে চেনাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যাশা পূরণের মাইন্ডসেট ঠিক রেখে সঠিক কর্ম সম্পাদনের জন্য চেষ্টা করে যাওয়াটা কখনও হতাশ করে না কাউকে। যদিও ফলাফল পরের ব্যাপার ও তাতে অনেকগুলো ফ্যাকটর জড়িত।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ স্যার। আপনার শেষ দুটো লাইনের উপদেশগুলো অনুশীলনের চেষ্টা করে সবাই আত্নদর্শন লাভ করুক এই প্রত্যাশাই রইলো।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৪

উলডুমা কেরামত বলেছেন: নিয়মিত মেডিটেশন ও যোগ ব্যায়াম করে দেখুন- হ্যাপিনেসকে উপলদ্ধি করতে পারবেন।
হ্যাপিনেস এর ক্ষেত্রে বাস্তব সত্য হচ্ছে- এটা পাগলা ঘোড়া, যে তার পেছনে ছুটে সে তাকে ধরতে পারে না। কিন্তু যে অন্যের কল্যাণে কাজ করে, তার সুখের অভাব হয় না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সঠিক মাইন্ডসেট ছাড়া মেডিটেশন বোধহয় অর্থহীন। হ্যাঁ৷ হ্যাপিনেসের পেছনে দৌড়ানো যাবে না। কাজ করে যেতে হবে। কাজের মধ্যেই সব নিহিত।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হ্যাপিনেসের সাথে মনে হয় জিনেটিকসের সম্পর্ক আছে। শারীরবৃত্তীয় কিছু ব্যাপার মনে হয় হ্যাপিনেসকে প্রভাবিত করে। অনেক মানুষ আছে অনেক প্রতিকুল অবস্থাতেও স্বাভাবিক থাকে। আবার অনেকে অনেক ভালো অবস্থায় থাকার পরও নিঃসঙ্গতায় ভোগে। তবে পরিবেশ পারিপার্শ্বিকতার দ্বারাও হ্যাপিনেস প্রভাবিত হয়। কিছু মানুষ আছে সদা উচ্ছল। কিছু মানুষ আছে সদা বিষণ্ণ। কিছু ড্রাগ আছে যার কারণে মানুষ কিছু সময় খুব আনন্দ অনুভব করে। তাই আমার মনে হয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি বিষয় ছাড়াও শারীরবৃত্তীয় কিছু ব্যাপার আমাদের মনের সুখ, প্রশান্তিকে প্রভাবিত করে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৫

আমি সাজিদ বলেছেন: হ্যাপিনেসের সাথে শৈশবের ভূমিকা আছে। পরিবেশের ভূমিকাও বেশ। বলেছেন - তাই আমার মনে হয় অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি বিষয় ছাড়াও শারীরবৃত্তীয় কিছু ব্যাপার আমাদের মনের সুখ, প্রশান্তিকে প্রভাবিত করে।
আমার বক্তব্য ঠিক সেখানেই। মনের এই অবস্থাকে সবসময় ধরে রাখা যায় না। তাই একে কেন্দ্র করে জীবনযাপন করা বৃথা।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



কঠিন বিষয়ে আলোচনা করতে নেমেছেন। হ্যাপিনেস মানুষের মনে একটি অবস্হা, যা অনুকুল পরিবেশে বিদ্যমান।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: প্রতিকূল পরিবেশেও আনার চেষ্টা করা যায় কিনা সেটার প্রশ্নই করলাম।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

কল্পদ্রুম বলেছেন: আমার কাছে আপনার এ চিন্তাগুলো মোটেও অদ্ভুত নয়। হ্যাপিনেসকে আমরা ভবিষ্যতের সোনার হরিণ মনে করে তার পিছনে ছুটছি। আমার কাছে প্রকৃত হ্যাপিনেস বর্তমানের একটি বিষয়। আমার আশেপাশের পরিবেশ, সেখানকার মানুষগুলোর অনুভূতিকে অনুভব করতে পারছি কি না। একটা ভালো ছবি কিংবা বই (হোক সেটা আনন্দের,হাসির বা দুঃখের) পড়ে বা দেখে আমি সেটা নিয়ে ভাবতে পারছি কি না। এসব আমার কাছে প্রকৃত হ্যাপিনেসের এক একটি অনুষঙ্গ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৬

আমি সাজিদ বলেছেন: একটা ভালো পয়েন্ট ধরেছেন কল্পদ্রুম ভাইয়া। সঠিক চিন্তা করার সক্ষমতাও আনন্দের একটা অংশ। এই ক্ষমতা অর্জন করা যেমন কঠিন ঠিক তেমনভাবে এই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা মনের ব্যাপার।সুখী মনে করলেই সুখী।তবে অভাব অভিযোগ বেশি থাকলে সুথে থাকা যায় না।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৪

আমি সাজিদ বলেছেন: একদম সহজ কথা। অভাবে ভালো থাকার উপায় খুঁজতে হবে। তাও শুদ্ধ উপায়ে।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

ঢুকিচেপা বলেছেন: যতগুলো প্রশ্ন এসেছে, সেগুলো তো সব আমার প্রশ্ন।
আপনি প্রেসক্রিপশন দিবেন আমরা সেইভাবে চলবো।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৫

আমি সাজিদ বলেছেন: সেরেচে!

আমিই তো আপনাদের কাছে এই বিষয়ের চিকিৎসা সমন্ধে ধারনা চাইলাম। নিজের কিছু চিন্তাভাবনাও শেয়ার করলাম। এখন আমি কেমনে প্রেসক্রিপশন দেই?

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: এত কিছু আমি বুঝি না।
আমার ছোট্র মেয়েটাকে কোলে নিলে অন্য রকম একটা আনন্দ আমাকে শিহরিত করে। এতটুকু আমি বুঝি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৮

আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক শুভকামনা নতুনের জন্য। আপনার জন্য। পরী ও ভাবীর জন্য।

৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সুখী মানুষ। কখনো কখনো সুখীর অভিনয় করে সুখী মানুষ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৯

আমি সাজিদ বলেছেন: এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসার জন্যই এই লেখাটা।

১০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২০

নীল আকাশ বলেছেন: হ্যাপিনেস বা আত্মতৃপ্তি সাথে ধর্মের এবং সৃষ্টীকর্তার সর্ম্পক অনেক গভীর। মানুষের জীবনে প্রশান্তি, আত্মতৃপ্তি সবকিছু আসবে যখন সে নিজকে সৃষ্টীকর্তার কাছে সমার্পন করবে পুরোপুরি। একমাত্র এটাই মানসিক প্রশান্তি, আত্মতৃপ্তি পাবার উপায়। যখন আপনি নামাজে দাড়াবেন তখনই এটা আপনি টের পাবেন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৫

আমি সাজিদ বলেছেন: এটা আমিও অনুভব করি। টের পেয়েছি অনেকবার।

১১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: নিয়ন্ত্রিত প্রত্যাশা যখন হাতের মুঠোয় এসে যায় সেটাই হয়তো হ্যাপিনেস তারপরও আপনার কথায় আনন্দিত না হয়ে আনন্দের মুহুর্ত অবলোকন কিংবা দুঃখিত না হয়েও দুঃখে মুহুর্ত অবলোকন করা সেটাও হয়তো হ্যাপিনেস। যা ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে বলেই আমার বিশ্বাস।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: ব্যক্তি বিশেষে ভিন্ন হতে পারে।

১২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম। জটিল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন.......ভালোভাবে পড়ে আবার আসবো। ব্লগের খবরাখবর নেয়ার জন্য পাড়া বেড়ানী শুরু করতে হবে। বেশকিছুদিন না থাকায় একটু আপডেটেড হই আগে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আশা করি এই কয়দিনে ভালোই আপডেটেড হয়েছেন। আবার ডুব দিয়েন না ভুম ভাই।

১৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৭

শায়মা বলেছেন: কষ্টের মাঝেও আনন্দ বা হ্যাপীনেস থাকে জানো???

উহাকে বলে দুঃখবিলাস........

মানুষ যখন সুখে থাকে তখন দুঃখ নিয়ে দুঃখ করে স্মৃতি রোমন্থন করে। গল্প কবিতা লিখে..... আমার মত আর কি :P


বেশি সুখে থাকলে আবার ভূতেও কিলায় ......

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: গল্পকাররা কি দুঃখ ছাড়া কিছু বুঝে না?

বেশী আনন্দে থাকা যাবে না।

অভিনন্দন আপি। ইউটিউবে বাড়ি দেখলাম। লাইক দিলাম।

১৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০৫

করুণাধারা বলেছেন: সোহানীর সাজেশন ছিল এই পোস্ট পড়বার জন্য, আসতে দেরি হলো...

অল্প কথায় কঠিন বিষয়ে আলোচনা করেছেন, বেশ ভাবনার বিষয়। আমি সবসময় মনে করি, happiness is not a goal, it's a way of traveling.

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার ধারনার সাথে একমত করুনাধারা আপি। হ্যাপিনেসকে এভাবে বুঝতে আমার বেশ সময় লেগেছে আর লাগছে।

১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সবকিছুই সম্ভব। এজন্যই সাধকগণ আগে নিজেদের রিপু, চক্র,অনুভূতি,ইন্দ্রিয়কে নিয়ন্ত্রণ করে মোক্ষ লাভ করতে চান যাতে জাগতিক সুখ-দুঃখকে তারা অতিক্রম করতে পারেন। যায়া মোক্ষ বা নির্বান লাভে সফল হন তারা সুখী না হয়েও সুখকে অবলোকন করতে পারেন নিরপেক্ষ ও নির্মোহ দৃষ্টিতে। আবার দুঃখকেও অবলোকন করতে পারেন বিন্দুমাত্র দুঃখিত না হয়ে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা, চমৎকার কনসেপ্ট। সাফল্যের জন্য অপরিহার্য। আর নিজেকে নিয়ন্ত্রন যদি মানবের কল্যাণের জন্য হয় তাহলে তা আরও চমৎকার৷

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টে আসার ইচ্ছা নিয়েই এতোটা দিন পার করলাম। দেরী করার জন্য দুঃখিত, তবে ভুলি নাই। বুঝতেই পারছেন, আমার ব্যস্ততা কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

যাই হোক......পোষ্টে করা আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আমার মতো করে দেয়ার চেষ্টা করি।

মানুষ হ্যাপি হয় কি করে? যে কোনও কিছুই যদি কোন রকমের সুখের অনুভূতি আনে, তাহলেই মানুষ সুখী হয়।

হ্যাপিনেস কেন চিরস্থায়ী নয়? কারন পৃথিবীর কোন কিছুই চিরস্থায়ী নয়।

বিইং হ্যাপিই আমাদের আল্টিমেট গোল? ইয়েস.....দিনশেষে তাই। যদিও এই গোল টু সাম এক্সটেন্ট আনএচিভ্যাবল।

ভালো-মন্দ অনুভূতিগুলো আলাদা না করে একসাথে রাখলে কেমন হয়? করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু আমরা যেহেতু মানুষ, তাই ভালো অনুভূতিগলোকে সামনে রেখে খারাপ অনুভূতিগুলোকে ভুলে থাকতে চাই।

কেমন হয় কোন অনুভূতিতে এনগেজড না হলে? পারলে ভালো হতো, তবে সম্ভব না। কারন এটাই পার্ট অফ লাইফ!!

যদি আনন্দিত না হয়ে আনন্দের মুহুর্ত অবলোকন করা যায়, ব্যথিত না হয়ে দুঃখের মুহুর্ত অবলোকন করা যায়, সেটাকেই তো প্রকৃত হ্যাপিনেস বলা যায় , তাই না? এটা রোবটীয় ব্যাপার হবে। কারন মানুষ আনন্দ আর দুঃখে রিয়্যাক্ট করবেই। আনন্দে আনন্দিত হবে, দুঃখে দুঃখিত হবে। সেজন্যেই আমরা মানুষ!!!

অটঃ আপনার দাওয়াতি পোষ্টে আপনার একটা কমেন্টকে কোট করে আমি আমার মন্তব্য দিয়েছিলাম। তবে কথাগুলো কিন্তু আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলি নাই। আশাকরি বুঝতে পেরেছিলেন। :)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আমি সাজিদ বলেছেন: দেরিতে প্রতিউত্তর করার জন্য দুঃখিত। চমৎকার মন্তব্য। স্পষ্ট৷ অনুভূতিতে এনগেজড না হওয়া সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, আনন্দ দুঃখের মুহুর্তে রিএক্ট না করা একটা স্কিল। এই সময়ের পৃথিবীর জন্য খুব দরকার। তবে সব মানুষেরই এই স্কিল ডেভেলপ করার প্রয়োজন নেই৷

আমি অবশ্যই বুঝতে পেরেছি সে পোস্টে আপনার কথাগুলো আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হয় নাই। দাওয়াত দিয়ে যে কান্ড হয়ে গেল, তাতে আমি বিব্রত।

১৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

আখেনাটেন বলেছেন: চাওয়া-পাওয়ার হিসেব না রাখলেই হল..........

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আখেনাটেন ভাইয়া এটা একটা ভালো পরামর্শ দিয়েছেন।

১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ওমেরা বলেছেন: যার চাহিদা যত কম সে তত সুখী । তবে,সুখ- দুঃখ কোনটাই আমাদের জীবনে স্থায়ী না , ( অবশ্য আমাদের জীবনও অস্থায়ী) সুখে আর দুখে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এগুলো নিয়ে যত চিন্তা হবে ততই অশান্তি হবে।

১৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার লিখেছেন। তবে জীবনের পরতে পরতে নানাবিধ ঘাতপ্রতিঘাতে হ্যাপিনেসের স্থান কোথায়!

২০| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন

২১| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭

মিরোরডডল বলেছেন:




হ্যাপিনেস হচ্ছে অধরা, শুধু ছুটে ছুটে বেড়ায়, ধরা যায়না ।
হ্যাপিনেস একটা সুখানুভূতি ।
মন যা চায়, সেটা যখন মানুষ পায় তখন যে একটা পরম প্রশান্তি আসে মনে সেটাই হ্যাপিনেস ।
এটার কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই । ব্যক্তি বিশেষে, ক্ষেত্র বিশেষে সময়ের সাথে সাথে এটা ভিন্নভাবে ডিফাইন হয় ।

আবার এটাও বলা যায় দুঃখের মাঝেই সুখ লুকায়িত ।
দুঃখ না পেলে সুখ কি এটা বোঝা যায় না ।

The more and more you’ll get hurt, you’ll know what happiness is !

সাজিদ কেমন আছে ?







আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.