নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Dr. Fahim Ahasan Al Rashid, MBBS

আমি সাজিদ

Dr Fahim Ahasan Al Rashid blog

আমি সাজিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেছেন, তবে আমাদের দেশে এন্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে পদক্ষেপ মোটেও যথেষ্ট নয়

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৩৭

১)এন্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হলে আগে জানতে হবে দেশে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের বাইরে কারা প্রেস্ক্রাইব করছেন? কেন করছেন? কেন ফার্মেসীগুলোতে ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগের মতোই এন্টিবায়োটিক বিক্রি হচ্ছে? দিবস পালন করা ও সভা সেমিনার প্রেজেন্টেশন ছাড়া সরকারের মাঠ পর্যায়ে কোন পদক্ষেপ আছে কিনা এটি নিয়ে?

কেউ কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ের বিস্তারিত রিপোর্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবেন? উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক আগে থেকেই, অন্তত বিশ বছর আগে থেকেই এ বিষয়ে সচেতন ও ওয়াকিবহাল। মনে হচ্ছে আমাদের দেরীতে হলেও, অন্যদের জানানোর চেয়ে বরং আমাদেরই নিজেদের সচেতন হওয়াটাই এখন বেশী দরকারি। অন্যরা অনেক এগিয়ে গেছে এই বিষয়ে।

২) আমার বিশ বাইশ বছর বয়সী কাজিন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। ওর গুগল করে নিজের রোগ নিজে ডায়াগনোসিস করার একটা অভ্যাস আছে। বোধকরি, অনেকবার এন্টিবায়োটিকও খেয়েছে অহেতুক। কয়েকমাস আগে একটা এবসেস হিল হতে দেরী হওয়ায় আমরা ওর এন্টিবায়োটিক সেন্সিটিভিটি টেস্ট করি, দেখা গেলো পেনিসিলিন, সেফালোস্ফোরিন সবই তার শরীরে কোন কাজ করতে পারছে না, মানে রেজিস্ট্যান্ট৷

কোভিডের মতোই বড় বিপদ এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। কোন সন্দেহ নেই।

নিয়ে যাওয়ার মতো দুটো পয়েন্ট - এন্টিবায়োটিক নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। গুগলকে চিকিৎসকের বিকল্প ভাববেন না।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৩:৫৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: দেশকে করোনা মুক্ত করার টিকা আবিস্কারক গ্লোব এর সেই কান্নকাটি বিশারদের খবর কি ???

০৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:০২

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনি কতোবার ফার্মেসির বিক্রয়কর্মীর কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে জানতে চেয়ে সেই বিক্রয়কর্মীর সাজেস্ট করা এন্টিবায়োটিক পাঁচদিনের বদলে দুইদিন খেয়ে সুস্থ হয়েছেন?
গ্লোব ট্র‍্যায়ালে যেতে পারেনি। যা পড়লাম। কাদের দোষ দিব? ভ্যাক্সিন প্রতি ৭৭ টাকা লাভ কেন অযৌক্তিক নয় তা আলোচনা ও জবাবদিহিতা চাওয়ার চেয়ে আমাদের বিল গেটস ও তার স্ত্রীর বিচ্ছেদের প্রতি আগ্রহ বেশী।

২| ০৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগারেরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী এন্টিবোয়োটিক হয়তো কিনবেন না; অন্যদের কিভাবে লাইনে আনা যায়?

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: টিভি সহ সব মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিতে হবে সরকারী খরচে৷ অলিতে গলিতে ফার্মেসী বন্ধ করতে হবে। বা এমন একটি নীতিমালা করতে হবে যেখানে বিক্রেতা চিকিৎসাপত্র ছাড়া যেন এন্টিবায়োটিক বিক্রি করতে না পারেন। বাংলাদেশে ওষুধ কোম্পানীগুলো মাফিয়ে হিসেবে কাজ করে অনেকটা। লাভের জন্য এন্টিবায়োটিকের ইচ্ছে মতোন ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে ওরাও দায়ী। ওদেরও নীতিমালায় আনতে হবে। তবে যারা দূর্নীতি করছে তারাই এই কোম্পানীগুলোর মালিক বা অংশীদার৷ খুব গোলমেলে ব্যাপার৷

৩| ০৫ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:১৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

এই দেশে রোগীরা তো সব চেয়ে বড় ডাক্তার।
আর ডাক্তাররা নেতা।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২১

আমি সাজিদ বলেছেন: হেহে ভাই। এন্টিবায়োটিক নিয়ে সচেতন হবেন আশা করি৷

৪| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক কথা! সবচেয়ে ভয়ন্কর শিশুদের উপর এন্টিবায়োটিক-এর যথেচ্ছা ব্যবহার। অনেক মায়েরা ডাক্তারের কাছেও যায়না- অন্য মায়ের কাছ থেকে শুনে কিংবা ফার্মেসির বিক্রেতার কাছে শুনে এন্টিবায়োটিক সেবন করায়

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি৷ এই বিষয়টা খুব এলার্মিং। শিশুদের ক্ষেত্রে খুব সাবধান থাকা দরকার মায়ের৷ মা যদি ল্যাকিটেটিং হোন এবং ইচ্ছে মতো এন্টিবায়োটিক খান, সেটা শিশুর কাছে যাওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা আছে। এবং শিশুর অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে নষ্ট করে দেওয়ারও একটা বিশাল সম্ভাবনা আছে ।

৫| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স যে কি ভয়াবহ হতে পারে তা যদি কেউ বোঝে তবে তিনি বা তাহারা অবশ্যই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন করবেন না। এখন সময় হয়েছে এ বিষয়ে সচেতন হবার ও সচেতন করবার।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: কিছুটা ম্যালপ্র‍্যাকটিসও হয়। আমাদের দেশে এখন বিষয়টা এমন হয়ে গেছে - ক্ষেত্র বিশেষে ক্লায়েন্ট ডিমান্ড হিসেবে এন্টিবায়োটিক লেখেন নবীন চিকিৎসকরা। ফার্মা কোম্পানীগুলো তো আছেই, লাভের জন্য গ্রামের পর গ্রাম এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার ছড়িয়ে দিয়েছে তারা। নীতিমালা সংশোধন না করে, প্রয়োগের ব্যবস্থা না করে শুধু মুখের কথা কোন সমাধান নয়। আমাদের ঘাটতিগুলো আমাদেরও পূরন করতে হবে।

৬| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনো এন্টিবায়োটি খাই না আমরা। এ বিষয়ে সকলের সচেতন হওয়া উচিত

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপি৷ আশা করি বন্ধু বান্ধব ও আশেপাশের মানুষজনকেও সচেতন করবেন। ক্ষেত্র বিশেষে আপনার পরিবারের আর আশেপাশের মানুষের যেকোন শারীরিক সমস্যা নিয়ে জানবেন। ডাক্তারকে প্রশ্ন করা ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে জানতে চাওয়া এখন মানুষের অধিকার৷ আপনার জন্য একটা সাইট - https://patient.info/

৭| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি সাজিদ,




আপনার লেখার শেষ লাইনে " এন্টিবায়োটিক নিয়ে সচেতন হোন" বাক্যটির গুরুত্ব ভেবে সচেতন হয়েই আমি আপনার নামোল্লেখ করে এন্টিবায়োটিক নিয়ে একটি পোস্ট করেছি এইমাত্র।
দেখে নিলে ভালো লাগবে।
শুভেচ্ছান্তে।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

আমি সাজিদ বলেছেন: স্যার, আমি এইমাত্র পোস্টটি দেখেছি। পুরো সিরিজটিই পড়ে মন্তব্য করবো প্রতিটি পর্বে এই আশাবাদ ব্যক্ত করি।

৮| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: https://m.mzamin.com/article.php?mzamin=272899
অনল চৌধুরী ভাই এখানে বিস্তারিতভাবে লেখা আছে

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি। এখান থেকেই আমিও পড়েছি।

৯| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আমি একবার জ্বর নিয়ে ফার্মেসীতে গিয়েছি। আমাকে নাপাসহ দুটো মক্সাসিল ধরিয়ে দিয়েছে। বললাম অ্যান্টিবায়োটিক খাবো না।ফার্মেসীওয়ালা ক্ষেপে গিয়ে বললো, "আমি সারাবছর ওষুধ বেঁচি।আপনে আমার তে বেশি বুজেন??" এই ফার্মেস্যার লোকেরা যত্রতত্র এসব ঔষধ ধরিয়ে দিচ্ছে। আর লোকজনও সচেতন নয়। প্রায়ই দেখি নিজেরাই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে নিয়ে এসে খায়।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:০৩

আমি সাজিদ বলেছেন: উনার হাতে এই অস্ত্র তুলে দিয়েছে ফার্মা কোম্পানিগুলো। ডাক্তার সমাজেরও কিছুটা হলেও দায় আছে। আর জনবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ঘাটতি তো আমাদের আছেই।

১০| ০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি গত ১৫ বছর ধরে ডাক্তারের কাছে যাই না।
শুধু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ছাড়া আমি আর কোনো ওষুধ খাই না।

০৫ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

আমি সাজিদ বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ অনেক সময় কিডনীর সমস্যা করতে পারে। ডাক্তারের কাছে কম গেলেই ভালো। পরী ও ওর ছোটজন যেন অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক না খায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকবেন।

১১| ০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি বলেছেন যে, অলিতে গলিতে ফার্মেসী বন্ধ করতে হবে; এসব লোকের আয়ের কি হবে? আপনি দেশে আছেন, নাকি বিদেশে?

০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪

আমি সাজিদ বলেছেন: এরপরে লিখেছি 'বা এমন নীতিমালা তৈরি করতে হবে' । আগে সার্ভে করতে হবে যে কোন জায়গায় কতগুলো ফার্মেসি দরকার৷ এরপর একটা ন্যাশনাল ডাটাবেজে এদের যুক্ত করতে হবে। যে ডাটাবেজটি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রও যুক্ত করবে৷ তাহলে কোন জায়গায় কি ধরনের ওষুধ কতোটা যাচ্ছে, এন্টিবায়োটিক এর অতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে নাকি তা যেমন জানা যাবে সর্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থাও গড়ে উঠবে৷ এগুলো সবই সম্ভব যদি একটা ন্যাশনাল সার্ভার করা হয়। অবশ্য আমরা স্বপ্রনোদিত হয়ে নিয়ম কতোটুকুই বা মানি?

আয়ের নতুন নতুন মাধ্যম খুলে যাচ্ছে এই বিশ্বে। সেগুলোর দিকেও মানুষের নজর দেওয়া উচিত।

১২| ০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মানুষ কেন সরাসরি ফার্মেসিতে যেয়ে ওষুধ চায়, এবং ফার্মেসীগুলো কেন এন্টিবায়োটিক ধরিয়ে দেয়, তা জানা দরকার। ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন পেতে হলে আমাদেরকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সরকারি হাসপাতালের লম্বা লাইন, যাতায়াতে দীর্ঘ সময় নষ্ট- এসব ঝক্কি ঝামেলা সবাই নিতে পারে না। আবার, প্রাইভেট ক্লিনিকে গেলে ভিজিট চার্জ হলো ঢাকা শহরে সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা (আমি যদ্দূর দেখেছি)। যে ব্যক্তি মাত্র ৫০ বা ১০০ টাকার ওষুধ কিনবেন, তিনি ৫০০ টাকার ফি'স দিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবেন না।

তাহলে সল্যুশন কী? ফার্মেসিই হলো রেডিমেড ডক্তর কাম হাসপাতাল।

আমাদের আরেকটা টেন্ডেন্সি আছে, অতি দ্রুত রোগ সারতে হবে। সেজন্য এন্টিবায়োটিকই যে সেরা, সেটা আমাদের মনে গেঁথে গেছে। এজন্য, ডাক্তার এন্টিবায়োটিক না দিলেও রোগীরা ডাক্তারকে এন্টিবায়োটিক দেয়ার জন্য জোরাজুরি করেন।

ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বেচার উপর অনেক বিধিনিষেধ আছে। ফার্মেসিগুলো যেন সেগুলো মেনে চলে, এটাও নিশ্চিত করা দরকার।

এবার এ প্রশ্নের উত্তর দিন : করোনা ভ্যাক্সিনে কি এন্টিবায়োটিকের উপাদান আছে?

০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার একটি প্রশ্ন সোনাবীজ ভাই৷ আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা জানি, কিছু কিছু ভ্যাক্সিনে যেন ব্যাকটেরিয়া গ্রো করতে না পারে এবং ভ্যাক্সিনকে নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য ভ্যাক্সিনে কিছু এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় তবে সেগুলো প্রধান জীবনরক্ষাকারী এন্টিবায়োটিকগুলো নয়।

আপনার যুক্তিও চমৎকার। লম্বা লাইনে অনেকেই দাঁড়াতে চান না। হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আরেকটু ভালো হলে এসব নাগরিক যন্ত্রনা দূর করা যাবে বোধহয়৷তবে আমি বলবো, অন্য অনেক দেশ থেকে আমাদের দেশে ডাক্তারের কাছে মানুষ সহজে পৌঁছাতে পারে। যেমন গাজী সাহেব এম আর আই নাকি সিটি স্ক্যান রিপোর্ট দেখাতেই ইউএসএ তে ডাক্তারের সিরিয়াল পেয়েছিলেন এক বছর পর।

এক সময় ফার্মেসির রেডিমেড ডক্তর কাম হাসপাতাল ব্যাপারটা কাজে লাগতো মাঝে মাঝে। এখন চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও পরিবর্তিত হয়ে দিন দিন আরও স্পেসেফিক ও সূক্ষন হচ্ছে। এখন পেট ব্যাথার জন্য দোকান থেকে এলজিন কিনে খেয়ে নেওয়াই সমাধান নয়।

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩০

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার জন্য খুঁজতে গিয়ে আমি ভ্যাক্সিন নলেজ সাইটটি পেলাম৷ অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিও এই প্রজেক্ট এ আছে - ভ্যাক্সিন নলেজ

এন্টিবায়োটিক এর বিষয়টা আমি স্ক্রিনশট দিচ্ছি। (সাধারণত যা প্রোডাকশনের সময় করা হয়) ।



এন্টিবায়োটিক ও ভ্যাক্সিন দুটোই কিছু কমন উপাদান শেয়ার করে। বিভিন্ন প্রোটিন, ফরমালডিহাইট ...

এই সেন্সে কোভিড ভ্যাক্সিনে এন্টিবায়োটিক উৎপাদনের সময় ব্যবহৃত হওয়া কিছু কমন উপাদান থাকবে, সূত্র বলে তাই। আর ভ্যাক্সিন উৎপাদনের সময় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় নাকি, যদি প্রশ্নটা এ নিয়ে থাকে তাহল উত্তর কিছু ভ্যাক্সিনে হয়৷ কোভিডের বিষয়ে আমি জানি না ।

১৩| ০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমরা যে হারে ফার্মের মুরগী খাচ্ছি তাতে আমাদের শরীরে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স এমনিতেই কমে গেছে এর জন্য আলাদা করে এন্টিবায়োটিক খেতে হবে না কারন ফার্মের মুরগীকে মুড়ি মুড়কির মতো এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়।

০৫ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

আমি সাজিদ বলেছেন: বিগত বছর গুলোতে অনেক অন্যায়কে মেনে নিতে নিতে, অনেক সিস্টেম লস ও অপ্রথাকে মেনে নিতে গিয়ে আমাদের এসব বিষয়ে ভাবনার শক্তি কমে এসেছে৷ মনে আছে গরুর দুধের কিছু প্রক্রিয়াজাতকরন কোম্পানির অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ে ঢাবির সেই প্রতিবেদনের কথা? খামারিরাই প্রতিবাদ করেছিল। একটা দেশে অন্যায়ই যখন স্বাভাবিক আর চলমান প্রক্রিয়া তখন বিবেকের চর্চা কেমন করে হবে?

রাবির কয়েকজন শিক্ষক বোধহয় এই বিষয়ে একটা কাজ করেছেন, মিডিয়ায় একবার এসেছিল এ বছর। এরপর মিডিয়া তো খালি কাদের মির্জাকে কাভার করে।

১৪| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার এখানে ডাক্তার প্রেস্ক্রাইব করলে তবেই শুধু এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায়। এখানের ডাক্তাররা পারতপক্ষে এন্টিবায়োটিক দিতে চায় না। দেশে দেখেছি সবাই মুড়ি মুড়কির মত ফার্মাসি থেকে এন্টিবায়োটিক কিনে খায়। মানবতার আম্মার দায়িত্ব সচেতনতা সৃষ্টি নয় , এন্টিবায়োটিক যাতে ফার্মেসিগুলো ডাক্তারের প্রেস্ক্রিপশন ছাড়া না বিক্রি করে তার ব্যবস্থা করা।

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২৫

আমি সাজিদ বলেছেন: এখানে এই বিষয়টি নতুন নয়৷ সবাই সচেতন। বাকি দেশের প্রতিনিধিরা এগুলো অনেক আগেই জানেন। তাদের বরং আমাদের সত্যিকারের পদক্ষেপগুলো নিয়ে আগ্রহ থাকার কথা৷ আমার মনেহয় না এমন কোন পদক্ষেপ আমাদের আছে শুধু বিশেষ দিন হিসেবে এটি পালন করা ছাড়া৷ সমস্যা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম যারা সেট করেন বা বিশ্বমঞ্চে উনার দেওয়া বক্তব্যগুলো যারা তথ্য উপাত্ত দিয়ে প্রস্তুত করেন তাদেরও মাঠ পর্যায়ে কোন অভিজ্ঞতা নেই এই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স নিয়ে। তাই করা উচিত আর করতে হবে তেই সীমাবদ্ধ সব।

একটা দেশে আদালত নিশ্চিত করতে পারেনি যে চিকিৎসা সহকারীরা মানে স্যাকমোরা নিজেদের নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে কি পারবে না? রিট করে এই সহকারীরাও ডাক্তার লিখে গ্রামে বা মফস্বলগুলোতে প্র‍্যাকটিস করছেন। যেখানে এখন আমাদের মেডিকেল গ্রাজুয়েটদের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমেই।

গোঁড়াতেই ঠিক নাই। এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম এইগুলো তো অনেক দূরের ব্যাপার।

১৫| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি দেশে ফেরার পর এই এন্টিবায়োটিক নিয়ে সবচেয়ে ঝামেলায় পরেছি।
ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। আজকালকার বাচ্চারা সত্যিই চিকিৎসক এর ব্যবস্থাপত্রের পর ও গুগুল চেক করে।

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪১

আমি সাজিদ বলেছেন: জ্বি। এই সমস্যার সমাধান শুধু বড় পরিসরে বক্তব্য দিয়েই হবে না, সত্যিকারে মাঠ পর্যায়ে কাজ কর‍তে হবে।

১৬| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৫৮

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: সবচেয়ে ভয়াবহ ছিলো কিছু মানুষের চিকন গনিয়ায় এন্টিবায়োটিক খেয়ে বসে থাকা ও চিরস্থায়ী হাত পায়ের ব্যথা ও নানা উপসর্গে ভোগা। এন্টিবায়োটিককে অনেকেই মুড়ি মুড়কির মত কিছু ভেবে খেয়ে থাকে।

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৪৮

আমি সাজিদ বলেছেন: চিরস্থায়ী ব্যথা? এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলবেন। এখন আস্তে আস্তে সচেতনতা বাড়ছে। শহরের সাধারণ মানুষ যে পরিমাণ সচেতন হচ্ছে সরকারও এই পরিমানে সচেতন নয়।

১৭| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৪

ঢুকিচেপা বলেছেন: ভালো বলেছেন, গুগলকে অন্তত নিজে নিজে চিকিৎসার কাজে না লাগানো উচিত।

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

আমি সাজিদ বলেছেন: স্পেসিফিক রোগ সমদ্ধে জানতে গুগল ভালো। পেশেন্টের মেন্টাল স্যাটিস্ফেকশনের জন্যও জানার দরকার আছে।কিন্তু নিজের চিকিৎসা নিজে করা বা গুগলের সাজেশনে মেডিসিন নেওয়া একেবারেই উচিত নয়।

১৮| ০৬ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ফার্মেসী যে কেউ দিতে পারে না। কিছু নিয়ম কানুন আছে।

০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: নিয়ম কানুন থোড়াই কেয়ার করে মানুষ।

১৯| ০৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সাজিদ ভাই, ধন্যবাদ আপনার আন্তরিকতার জন্য। আমি ইমোনোসাপ্রেস্যান্টস খাচ্ছি (স্যান্ডোজ, ট্যাক্রোলিমাস, স্টেরয়েড- কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট) গত ৪ বছর ধরে, প্রথম ৬ মাস আরো কী যেন একটা এন্টিবায়োটিক ছিল। এগুলোতে এন্টিবায়োটিক উপাদান আছে কিনা, আগে এরকম কোনো প্রশ্ন মনে আসে নি, আপনার পোস্টের পর এসব প্রশ্ন মাথায় এলো। যাই হোক, আল্লাহর রহমতে বোনাস লাইফে আছি এখন। এসব ওষুধে শরীরের উপর কী প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে তত ভাবছি না, তবে, আমি অনেক সতর্ক থাকি।

০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২২

আমি সাজিদ বলেছেন: সুস্থ থাকুন সবসময় এই শুভকামনাই করি।

২০| ০৭ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪৭

নতুন বলেছেন: দেশের মানুষ মুরগী,গরু,ছাগলের মাংসের থেকে অনেক বেশি এন্টিবায়টিক পায়। তার সাথে নিজে ডাক্তারী করাতো আছেই।

এটা অনেক বড় একটা বিপদ দেশের মানুষের জন্য এগিয়ে আসছে। এটা নিয়ে সরকারের উচিত ঔষুধ কম্পানীর সাথে কথা বলা যাতে তারা এন্টিবায়োটিকের লাভের দিকে কম নজর দেয় এবং তাদের বিক্রেতারা ফারমেসি এবং ডাক্তারকে এই বিষয়ে সচেতন করেন।

জনগনকেও সচেতন করতে হবে। কিন্ত সরকারকেই এই বিষয়ে সবচেয়ে বড় ভুমিকা নিতে হবে।

০৭ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আশা করি সরকার এই বিষয়ে সচেতন হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.