নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা কথা

কি যেন খুজি নিজেই জানিনা

আরিফ সাকী

এইতো আছি

আরিফ সাকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

'অপবিত্র' শহীদ মিনারের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ত

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫


সন্ধ্যার 'অপবিত্র' শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের লাশ নেয়ার যৌক্তিকতা আমি অন্তত খুজে পাচ্ছিনা । চোরের খনির কিছু দেউলিয়া আর রাজনৈতিক বেশ্যার ডেমাগগ কুটচালের কাছে স্পস্তভাশীর লাশ কে পরাজিত করতে দেয়া যায়না ।মানুষকে আল্লাহ সম্মান দিলে তাকে যে কেউ অসম্মান করতে পারেনা তা আজকের জানাজায় জনতার ঢল আর একজন ছাত্র নেতার বক্তব্যে প্রতিফলিত হল ।

এবনে গোলাম সামাদ তার একটি লেখায় শহিদ মিনারের সিঁড়িগুলোর মাথা নিচু করে থাকার ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন শহিদ মিনারের স্থপতির রেফারেন্সে ফ্রান্সে সাক্ষাতকালে । আউলা বাঙ্গালীর চিরন্তন ফাউল কাজকামের একটা নিদর্শন বটে ।

শহিদ মিনারে যাদের যাতায়াত আছে তারাই বলতে পারবেন শহিদ মিনারের পবিত্রতার পারসেন্তেজ সম্পর্কে । সন্ধ্যার পর শহীদ মিনারের দেয়ালের নিচে আধুনিক বেশ্যার আনাগোনা আর খরিদ্দারের দেখাও মিলবে । কিংবা নৈতিকতা বিবর্জিত তথাকথিত আধুনিকতার ভণ্ড অনুসারী কিছু ছাত্র ,যুবক , মধ্যবয়স্ক দের দেখা যায় তার সঙ্গী কিংবা সঙ্গিনীটির সাথে আহমদ সফার গাভী বৃত্তান্তের মত করে "বিনু" টিপতে । উরনার নিচে হাত দিয়ে কিংবা আলো আধারিতে আরও কাছে টেনে নিয়ে চরিত্রহীনতার বাকশালী স্টাইলে মর্দন কিংবা নৃত্যও চলে ।

গাঁজাখোর-ফেন্সিদিল-ইয়াবা কিংবা আরও যেসব বিধ্বংসী উপকরন যেমন সিরিঞ্জ-সুই-পলিথিনে ভরে গাম সহ জিনিস নিয়ে বসে যায় শহীদ মিনারের বিভিন্ন কোনে/ উন্মুক্ত সাইডে ।

জুতা পায়ে মন্ত্রী কিংবা চেতনার ঘাসকাটারা যখন সিগারেট হাতে পা মাড়িয়ে শহীদ মিনারের প্রতিটি ইটের বুকে একে দেয় নির্লজ্জতার ছাপ তখন কোথায় থাকে আমাদের মোছ ফরকানো মাননীয় প্রোক্টর ? শিক্ষকদের চোখে মুখে যেদিন মরিচের গুড়া দিয়ে ,পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল উত্তরবঙ্গের একজন সম্মানিত শিক্ষককে তখন কোথায় ছিলেন আমাদের বুকের মাংসবিহিন হাড়সর্বস সেই মাননীয় ভিসি ? বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মিদের যখন অমানুষিক নির্জাতন করা হয় প্রগতিশিলতার কুলুপ এঁটে থাকা সেই ধ্বজাধারীরা তখন কোথায় থাকেন? ঢাবির রাজনৈতিক প্রধান দালালের চোখে কি তখন ঢাকা বিস্ববিদ্যালয় অপবিত্র হয়না ? রাতের পর রাত যখন শাহবাগের ছাগলেরা কনডমের স্তুপ গড়ে তোলে তখন কি ঢাবি এলাকা অপবিত্র হয়না ? সত্যবাদী একজন মানুশের বিদায়ে বুদ্ধিবৃত্তির হিমালয় হিসেবে যেখানে শ্রদ্ধার পুস্প নিয়ে সর্বাগ্রে ঢাবির আসার কথা তখন এহেন কর্মকান্ডে ঢাবি তার একাডেমিক সতীত্ব হারিয়েছে বললে খুব কি বেশি বলা হবে ? শ্রদ্ধা আর শোকের মিনারে যখন তাকে বিদায় দেবার কথা তখন আমরা আছি সুপ্রিম কোর্টের রঙ হেডেড ব্যাক্তির পিশাচীয় মনোভাবের বাস্তবায়নে ।



লতিফ মার্কা পাগল আর সাজেদার বেয়াদবরা যেখানে শিখণ্ডী সেখানে মানবতার মুল্যায়ন আশা করাটা অরন্যে রোদন বটে । সহকর্মির আত্মীয়ের বিদায়ে যখন তার পাশে দাঁড়াবার কথা তখন বরং উল্টো অপমানের পায়তারা খুজে বের করার হিংসাত্তক চেতনা ঢাবির নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ।


কমিনিজমের গ্যারাকল থেকে বের হয়ে সত্য কথা বলাটাই ছিল তার অপরাধ । তাকে হুমকিও দেয়া হয়েছিল যেমন দিয়েছিলেন এদেশের একজন শাসক জহির রায়হানের বোনকে ।জাতির ক্রান্তিলগ্নে তার সাহসী পথচলা ,সত্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নেয়া ঢাবি আমাদের না শেখাতে পারে পিয়াস করিম সেটা আরেকবার শেখালেন ।


দেশের এই সেনসিটিভ জায়গাগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিত করা হোক কিংবা অপবিত্রতার ঢলাঢলি বন্ধ করা হোক কিংবা গুড়িয়ে দেয়া হোক একক গোষ্ঠীর কোন স্থাপনা যেখানে মানবতাকে অপমান করা হয় কিংবা স্বৈরতন্ত্রের নিশানের মত দাড়িয়ে থাকে ।


(বি দ্র ঃ এই লেখার পর হয়ত কোন চেতনা ধারী / বেয়াদব মার্কা মানিকের মত কোন আবাল মামলা ঠুকে দিতেও পারে)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

ইরান তুরান বলেছেন: তোমার মাজে বিডরোহ বিবেকের টোরবারি ডেখিলাম

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

নেবুলাস বলেছেন: বাস্তব কথা। সহমত।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০২

খেলাঘর বলেছেন:


ঢাকায় নির্জন স্হান নেই; তাই মানুষ শীদ মিনারকেও বেচে নিটে পারে; এতে আপনি ক্ষেপছেন কেন?


শীদ মিনারে কারো লাশ আনা যাবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.