নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি গর্বিত আমি বাঙালি

একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার

সালাউদ্দিন আহমেদ ভোর

আমি আবেগহীন এক মানব ।তবে আমার ও মাঝে মাঝে ভালো লাগে,ভালবাসতে ইচ্ছে হয়!সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে তাই সবার কাছে ঋণী । মাঝে মাঝে আমার প্রচণ্ড রাগ হয় আবার পরক্ষনেই সব ভুলে যাই @@@

সালাউদ্দিন আহমেদ ভোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তম কুমার স্মরণে

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪

অরুনকুমার চট্টোপাধ্যায় বললে অনেকেরই হয়তো ভ্রু কুচকে উঠবে। আর যদি বলি উত্তম কুমার, সকলেই একবাক্যে বলে উঠবে ওহ! হি ওয়াজ জিনিয়াস। গতকাল ছিল এই কিংবদন্তী মহানায়কের ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী। অভিনেতা,প্রযোজক,পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক,গায়ক প্রতি ক্ষেত্রেই তার অবদান ছিল আকাশচুম্বী।

এই মহানায়কের জন্ম কলকাতায় ১৯২৬ সালের ৩ই সেপ্টেম্বর এবং মৃত্যু ২৪ জুলাই ১৯৮০ সালে টালিগঞ্জে। কলকাতার সাউথ সাবারবান স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন এবং পরে গোয়েন্কা কলেজে ভর্তি হন। কলকাতার পোর্টে চাকরি নিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। বিয়ে করেন গৌরী চট্টোপাধ্যায়কে এবং একমাত্র সন্তান গৌতম চট্টোপাধ্যায় ৫৩ বছর বয়সে মারা যান । সাধারণ মধ্যবিত্ত থেকে এসে চলচ্চিত্র জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাকে।

উত্তম কুমারের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল দৃষ্টিদান। এই ছবির পরিচালক ছিলেন নিতীন বসু। এর আগে উত্তম কুমার মায়াডোর নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন কিন্তু সেটি মুক্তিলাভ করেনি। বসু পরিবার চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এরপর সাড়ে চুয়াত্তর মুক্তি পাবার পরে তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়।



উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রে পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে অনেকগুলি ব্যবসাসফল এবং প্রশংসিত চলচ্চিত্রে মুখ্য ভূমিকায় একসাথে অভিনয় করেছিলেন। এগুলির মধ্যে প্রধান হল - হারানো সুর, পথে হল দেরী, সপ্তপদী, চাওয়া পাওয়া, বিপাশা, জীবন তৃষ্ণা এবং সাগরিকা।



উত্তম কুমার বহু সফল বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তাঁর অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত, অমানুষ এবং আনন্দ আশ্রম অন্যতম। তিনি সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় দু’টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথমটি নায়ক এবং দ্বিতীয়টি চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানা চলচ্চিত্রে তিনি শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় সৃষ্ট বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র ব্যোমকেশ বক্সীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। রোমান্টিক ছবির ফাঁকে দু'একটা অন্য ছবিতেও অভিনয় করছেন তিনি। এর মধ্যে একদিন সত্যজিৎ রায়ের কাছ থেকে ডাক পেলেন উত্তম 'নায়ক' ছবিতে অভিনয়ের জন্য।



পাড়ার অভিনেতা থেকে অরিন্দমের নায়ক হওয়ার গল্প নিয়ে ছবিতে উত্তম অভিনয় করতে গিয়ে খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেকে। তবে উত্তম কুমার নিজেকে সু-অভিনেতা হিসেবে প্রমাণ করেন 'এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' ছবিতে স্বভাবসুলভ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কারণ এই ছবিতে উত্তম কুমার তার পরিচিত ইমেজ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। এতে তিনি সফলও হয়েছিলেন। উত্তমের সেই ভুবন ভোলানো হাসি, প্রেমিকসুলভ আচার-আচরণ বা ব্যবহারের বাইরেও যে থাকতে পারে অভিনয় এবং অভিনয়ের নানা ধরন, মূলত সেটাই তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন।১৯৬৭ সালে 'এ্যান্টনি ফিরিঙ্গি' ও 'চিড়িয়াখানা' ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন (তখন এই পুরস্কারের নাম ছিল 'ভরত')। অবশ্য এর আগে ১৯৫৭ সালে অজয় কর পরিচালিত 'হারানো সুর' ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন সমগ্র ভারতজুড়ে। সেই বছর 'হারানো সুর' পেয়েছিল রাষ্ট্রপতির সার্টিফিকেট অফ মেরিট। ইংরেজি উপন্যাস 'র্যানডম হারভেস্ট' অবলম্বনে ছবিটি নির্মাণ করা হয়। প্রযোজক ছিলেন উত্তম কুমার নিজেই। কমেডি চরিত্রেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। 'দেয়া নেয়া' ছবিতে হৃদয়হরণ চরিত্রে অভিনয় করে সেই প্রতিভার বিরল স্বাক্ষরও রেখে গেছেন। এক গানপাগল ধনীপুত্র অভিজিৎ চৌধুরীর বাবা কমল মিত্রের সঙ্গে রাগারাগি করে বন্ধু তরুণ কুমারের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। বাবা গান পছন্দ করেন না, কিন্তু অভিজিৎ চৌধুরীর লক্ষ্য ছিল অনেক বড় শিল্পী হওয়া। নায়িকা তনুজার মামা পাহাড়ি স্যানালের বাড়িতে হৃদয়হরণ নামে ড্রাইভারের কাজ নেয়। সাবলীল অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তোলেন হৃদয়হরণ চরিত্রটি। ছবিটির একটি আকর্ষণীয় সংলাপ ছিল “টাকাই জীবনের সবকিছু নয়”। এছাড়াও, অত্যন্ত চমকপ্রদ একটি গানও রয়েছে - “জীবন খাতার প্রতি পাতায়, যতোই করো হিসাবনিকাশ, পূর্ণ হবে না”

রোমান্টিক নায়ক ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রেও তিনি ছিলেন অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। মঞ্চের প্রতি ছিল তার অগাধ ভালবাসা। যার প্রমাণ হিসেবে পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে যখন তিনি বাংলা ছবির সুপার হিরো। শত ব্যস্ততার মাঝেও মঞ্চের ডাকে সাড়া দিয়ে 'শ্যামলী' নাটকে অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমার বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কয়েকটি হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ছোটিসি মুলাকাত (১৯৬৭), দেশপ্রেমী (১৯৮২) ও মেরা করম মেরা ধরম (১৯৮৭) অন্যতম। উত্তম কুমার পরিচালক হিসেবেও সফল। কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী (১৯৮১), বনপলাশীর পদাবলী (১৯৭৩) ও শুধু একটি বছর (১৯৬৬) ছবির সাফল্য তাই প্রমাণ করে।

তার সম্পর্কে কিছু উক্তি তুলে ধরলাম,



‘‘এ রকম খাঁটি বাঙালি আমি কম দেখেছি। আমি নিজে ধুতি পাঞ্জাবি, কালোজিরে দিয়ে পারশে মাছের ঝোল, ঘরে পাতা দই, এ সবই পছন্দ করি। তবু বলব উত্তমদার মতো এমন ভাবনাচিন্তায়, হাঁটাচলায়, কথাবার্তায়, খাওয়াপরায় বাঙালি আমি বোধহয় কোনদিন হয়ে উঠতে পারব না।’’

- মিঠুন চক্রবর্তী, বাংলা ছবির উত্তম পরবর্তী নামকরা নায়ক, মৃণাল সেনের মৃগয়া ছবির মাধ্যমে অভিষেক, প্রথম ছবিতেই জাতীয় পুরস্কার। পরবর্তীকালে মুম্বাইয়ের হিন্দি ছবিতে ডিস্কো ডান্সার, রকি, অগ্নিপথের মতো অসংখ্য হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন।



‘‘অনেকেই ভাবেন আমি উত্তম কুমারের অভিনয়ের তীক্ষ্ম সমালোচক। ব্যাপারটা আদৌ তা নয়। ওঁর মতো বড় মাপের অভিনেতা আমি জীবনে খুব কম দেখেছি। আমি ওঁর অভিনয়ের ভক্ত, গুণমুগ্ধ। আসলে কিছু ছবিতে ইমেজসর্বস্ব অভিনয়ে দেখে এই ভেবে ব্যথা পেয়েছি, এই হ্যাংওভারটা কাটিয়ে উঠতে পারলে ওঁর অভিনয়ের মাত্রা কোন্ জায়গায় গিয়ে পৌঁছোত। দুঃখটা পেয়েছি একজন গুণমুুগ্ধ হিসেবেই। সমালোচনা করেছি উত্তমকুমারের অভিনয়ের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা আছে বলেই।’’

- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যজিৎ রায়ের অপুর সংসার, অপরাজিত, গণশত্র“ ইত্যাদি বিখ্যাত ছবির নায়ক। তাকে কলকাতার ফিল্ম সোসাইটি চর্চা করা যুবকরা উত্তমের প্রতিদ্বন্দী হিসাবে দেখতে পছন্দ করতো।



‘‘আমার তো মনে হয় যে-ভাবে গোটা বাঙালি জাতির মুখ দেখা যেত উত্তমকুমারের মধ্যে সে-ভাবে আর কেউ পারবে না নিজের জাতকে তুলে ধরতে। ওভাবে ধুতির কোঁচাই ধরতে পারবে না কেউ।’’

- রাজেশ খান্না

‘‘যদিও আমার সঙ্গে উত্তমদাদার কোনো তুলনা হওয়া উচিত নয় কারণ দুজনে দুই ঘরানার, দুই ভাষার, দুই মেজাজের নায়ক, তবু একই ছবির রিমেক হলে স্বাভাবিকভাবেই তুলনা এসে যায়। অন্তত দর্শক তো করেই। এখানে অবশ্য দায়িত্বটা আমার উপর পড়ায় একটু বেশি কঠিন হয়ে গেল কাজটা। তা কী আর করা যাবে। ‘অমর প্রেম’ সুপারহিট হয়েছিল সবাই জানে, অনেকেই হয়তো বলবে আমি দূর্দান্ত অভিনয় করেছি, কিন্তু আমি নিজে জানি উত্তমকুমার আমার থেকে একশো মাইল এগিয়ে ছিলেন।’’

- রাজেশ খান্না, হিন্দি ছবির কিংবদন্তী অভিনেতা। এখানে উল্লেখ্য, উত্তমকুমারের ‘নিশিপদ্ম’ ছবির রিমেক ‘অমর প্রেম’।



‘‘গৌরীশঙ্কর ও শঙ্কর সিং এই দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন উত্তমকুমার। উত্তম যে কতটা শক্তিমান অভিনেতা ‘ঝিন্দের বন্দী’ দেখেই আমি উপলব্ধি করতে পারি।’’

- গৌতম ঘোষ, পদ্মা নদীর মাঝি, পার, অন্তর্জলী যাত্রা ইত্যাদি ছবির পরিচালক



‘‘গঙ্গার বুকে আমি ও উত্তম এই রোমান্টিক দৃশ্যটা তখন দর্শকদের মুখে মুখে ফিরত। ‘শঙ্খবেলা’ ছবিটি আমি পরে আর দেখিনি। তবে স¤প্রতি টিভিতে ওই দৃশ্যটা আমি আবার দেখলাম। সেখানে একটা কথা বুঝলাম উত্তম মারাত্মক অভিনয় করেছিলেন। এটা খুবই ঠিক ‘শঙ্খবেলা’ পুরোপুরি রোমান্টিক ছবি। আর রোমান্টিক ছবির ক্ষেত্রে নায়ক হিসেবে উত্তমকুমারের কোন বিকল্প নেই।’’

- মাধবী চক্রবর্তী, সত্যজিৎ রায়ের ঘরেবাইরে দ্বারা বিখ্যাত নায়িকা হয়েছিলেন



‘‘শিল্পীদের মধ্যেই এমন কেউ কেউ থানে যাঁরা অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রেরণা হয়ে থাকেন। যাদের মধ্যে কাউকে দেখে সাহস পাওয়া যায়। এক কথায় শিল্পীদের শিল্পী। উত্তমকুমার ছিলেন তাঁদের একজন।’’

- তনুজা, হিন্দী ও বাংলা ছবি নায়িকা। তার কন্যা কাজলও হিন্দী ছবির নায়িকা হয়েছেন



‘‘সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ ছবিতে উত্তমকুমারের অভিনয় তুলনাহীন। আর ওকে ছাড়া যেন কাউকে মানাতও না ওই ভূমিকায়। ‘চিড়িয়াখানা’ ছবিটা আমি বার তিনেক দেখেছি। ভাল অভিনয়ের ওই আরেক নমুনা। প্রায় প্রত্যেকটা চরিত্রই বেশ জটিল মানসিকতার। ‘গোলাপ কলোনি’ নামের আশ্চর্য বাগান-ডেয়ারিতে রহস্যের জট খুলতে ডাক পরে গোয়েন্দার। সেই গোয়েন্দার ভূমিকায় দূর্ধর্ষ অভিনয় করেছেন উত্তমকুমার।’’

‘‘ডিটেকটিভ বলতেই আমাদের চোখে ভাসে ছিপছিপে, ধারালো, শক্তপোক্ত চেহারা। কিন্তু উত্তমকুমার তো ছিলেন এর ঠিক উলটো। নরম-সরম, প্রেমিক-প্রেমিক, আদুরে চেহারা। তাহলে কিভাবে ‘চিড়িয়াখানা’য় সফল হলেন উত্তম? তারথেকেও বড় প্রশ্ন অবশ্য, কেন সত্যজিৎ রায়ের মতো পরিচালক উত্তমকে বাছলেন। এ দুটো প্রশ্নের উত্তর আমার মনে হয় একই। উত্তম ভাল অভিনেতা ছিলেন বলে।’’

‘‘এদেশের সিনেমা বিশেষ করে বাণিজ্যিক সিনেমা, অনেকক্ষেত্রেই সংলাপনির্ভর। সংলাপ বলার কায়দাটা উত্তকুমারের স্টাইলের অন্যতম। আর সেই ঘাড় দোলানো। মন জয় করা হাসি। উত্তমকুমারের গোড়ার দিকের অভিনয়ে হলিউডি ছাপ পাওয়া যায়। পরে একান্ত নিজস্ব একটা স্টাইল তৈরি করে নেন। হাঁটাচলা কথা বলা সবটার মধ্যেই একটি আভিজাত্য ছিল যে কিছুতেই এড়ানো যেত না। একটু মোটার ধাঁচ থাকলেও এক্সপ্রেশন ছোটাতে পারতেন নিখুঁতভাবে।’’

- শত্র“ঘœ সিনহা, হিন্দী ছবির বিখ্যাত অভিনেতা, অন্তর্জলী যাত্রার মতো বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন।



‘‘যদিও উত্তমদার আদি অকৃত্রিম পরিচয় রোমান্টিক নায়ক হিসাবে, তবুও আমার মনে হয় ‘অবাক পৃথিবী’ ছবিতে উত্তমদা যে চরিত্রটি চিত্রায়িত করেছিলেন, তারই প্রকাশ আমরা দেখেছি, পরবর্তীকালের বিভিন্ন অ্যান্টি হিরো-র মধ্যে।’’

উত্তমদার অভিনয় মেপে দেখার যন্ত্র আমাদের কেন, বিদেশেও আবিষ্কৃত হয়নি।’’

- বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, বাংলা ছবির অভিনেতা, মূল অ্যান্টি হিরো বা খল নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।



‘‘লাল পাথর’-এর সেই চিৎকার করে বলা ‘আমাকে মুক্তি দাও’, সংলাপ বলার অনবদ্য সেই কায়দাটা আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না। সেই যে উন্মাদ প্রেমিক, যে প্রেমিকার খুন-রাঙা বেদি মুছত আর হাহাকার করনত দিনরাত, উত্তমকুমার কী অপূর্ব ফুটয়েছিলেন! উতেপুর সিক্রির দেয়ালে দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফেরা, তার আর্তনাদ আজও কানে বাজে। বাংলা আর হিন্দি দুভাষাতেই ছবিটা হয়েছিল। দুটোই দেখেছি আমি। তবে ‘লাল পাথর’-এর উত্তমকুমার আর ‘লাল পাথর’-এর রাজকুমারের কোনো তুলনাই চলে না। রাজকুমারের অভিনয় প্রতিভা সম্পর্কে পুরোপুরি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে পারি, উত্তমকুমার অতুলনীয়।’’

- শশী কাপুর, হিন্দি ছবির অভিনেতা এবং রাজকাপুরের ছোট ভাই



‘সংলাপ বলার নিজস্ব কায়দা ছিল উত্তমবাবুর। শঙ্কর সিং আর গৌরীশঙ্কর Ñ ডাবল রোলে, বিশেষ করে গৌরীশঙ্করের ভূমিকায় যেখানে এক শহুরে যুবাকে সাজতে হচ্ছে রাজকুমার, উত্তম এককথায় অতুলনীয়। একজন মদ্যপ, নারীবিলাসী অথচ সাদাসিধে, আরেকজন বুদ্ধিমান, শিক্ষিত। এ-কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়। উত্তম কতটা বড়ো অভিনেতা ছিলেন প্রতিভার বিচারে, তা মাপার চেয়ে আমার মনে হয় আজকের দিনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই যে তিনি ছিলেন নিষ্ঠাবান অভিনেতা। অ্যাক্টিং ছিল তাঁর কাছে উষ্টদেবতার মতো, ফুল বেলপাতা চন্দন ঠিকঠাক সাজিয়ে গুছিয়ে মন এক জায়গায় স্থির রেখে অভিনয় করতেন তিনি। যখন উত্তম দাঁড়াতেন ক্যামেরার সামনে, বাইরের পৃথিবীর সুখ-দুঃখ যেন স্পর্শ করতা না তাঁকে।’’

- শক্তি সামন্ত, হিন্দী ও বাংলা ছবির চলচ্চিত্র পরিচালক। উত্তমকুমারের জন্যেই তিনি ‘অমানুষ’ ছবিটি তৈরি করেছিলেন বাংলায়।

‘‘উত্তম আমার বন্ধু। এক কথায় গ্রেট, গ্রেট আর্টিস্ট। তবু যেন মনে হয় ওকে ঠিকমতো এক্সপ্লয়েট করা হয়নি।’’

-সুচিত্রা সেন, উত্তমের অসংখ্য হিট ছবির জুটি, বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম সুচিত্রা জুটি সবার উপরে ।



তার অভিনীত বাংলা ছবির তালিকাঃ

সাল ছায়াছবি নির্দেশক নায়িকা







.

১৯৪৮ দৃষ্টিদান নীতিন বসু



.

১৯৪৯ কামনা নবেন্দুসুন্দর ছবি রায়



.

১৯৫০ মর্য্যাদা দিগম্বর চ্যাটার্জি স্মৃতিরেখা বিশ্বাস



.

১৯৫১ ওরে যাত্রী রাজেন চৌধুরী করবী গুপ্ত



.

১৯৫১ সহযাত্রী অগ্রদূত ভারতী দেবী



.

১৯৫১ নষ্টনীড় পশুপতি চ্যাটার্জি সুনন্দা দেবী



.

১৯৫২ সঞ্জীবনী সুকুমার দাশগুপ্ত সন্ধ্যারানী



.

১৯৫২ বসু পরিবার নির্মল দে সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫২ কার পাপে কালীপ্রসাদ ঘোষ মঞ্জু দে



.

১৯৫৩ সাড়ে চুয়াত্তর নির্মল দে সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৩ লাখ টাকা নীরেন লাহিড়ী সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৩ নবীন যাত্রা সুবোধ মিত্র মায়া মুখার্জি



.

১৯৫৩ বৌঠাকরানীর হাট নরেশ মিত্র মঞ্জু দে



.

১৯৫৪ মনের ময়ুর সুশীল মজুমদার ভারতী দেবী



.

১৯৫৪ ওরা থাকে ওধারে সুকুমার দাশগুপ্ত সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৪ চাঁপাডাঙার বৌ নির্মল দে সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৪ কল্যানী নীরেন লাহিড়ী সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৪ মরনের পারে সতীশ দাশগুপ্ত সুচিত্রা সেন, প্রণতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৫৪ সদানন্দের মেলা সুকুমার দাশগুপ্ত সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৪ অন্নপূর্ণার মন্দির নরেশ মিত্র সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৪ অগ্নিপরীক্ষা অগ্রদূত সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৪ বকুল ভোলানাথ মিত্র অরুন্ধতি মুখার্জি



.

১৯৫৪ গৃহপ্রবেশ অজয় কর সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৪ মন্ত্রশক্তি চিত্ত্য বসু সন্ধ্যারানী



.

১৯৫৫ সাঁঝের প্রদীপ সুধাংশু মুখার্জি সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৫ অনুপমা অগ্রদূত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৫ রাইকমল সুবোধ মিত্র কাবেরী বসু



.

১৯৫৫ দেবত্র হরিদাস ভট্টাচার্য্য সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৫ শাপমোচন সুধীর মুখার্জি সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৫ বিধিলিপি মনু সেন সন্ধ্যারানী



.

১৯৫৫ হ্রদ অর্ধেন্দু সেন সন্ধ্যারানী



.

১৯৫৫ উপহার তপন সিনহা মঞ্জু দে



.

১৯৫৫ কঙ্কাবতির ঘাট চিত্ত্য বসু সন্ধ্যারানী, অনুভা গুপ্ত



.

১৯৫৫ রাতভোর মৃণাল সেন সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৫ ব্রতচারিনী কমল গাঙ্গুলী সন্ধ্যারানী



.

১৯৫৫ সবার উপরে অগ্রদূত সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৬ সাগরিকা অগ্রগামী সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৬ সাহেব বিবি গোলাম কার্তিক চ্যাটার্জি অনুভা গুপ্ত, সুমিত্রা দেবী



.

১৯৫৬ লক্ষহীরা চিত্তরঞ্জন মিত্র মঞ্জু দে



.

১৯৫৬ চিরকুমার সভা দেবকী কুমার বসু অনিতা গুহ



.

১৯৫৬ একটি রাত চিত্ত্য বসু সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৬ শঙ্করনারায়ন ব্যাঙ্ক নীরেন লাহিড়ী কাবেরী বসু



.

১৯৫৬ শ্যামলী অজয় কর কাবেরী বসু



.

১৯৫৬ ত্রিযামা অগ্রদূত সুচিত্রা সেন, অনুভা গুপ্ত



.

১৯৫৬ পুত্রবধু চিত্ত্য বসু মালা সিনহা



.

১৯৫৬ শিল্পী অগ্রগামী সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৬ নবজন্ম দেবকী কুমার বসু সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৭ হারজিত মনু সেন অনিতা গুহ



.

১৯৫৭ বড়দিদি অজয় কর সন্ধ্যারানী



.

১৯৫৭ যাত্রা হল শুরু সন্তোষ গাঙ্গুলী সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৭ পৃথিবী আমারে চায় নীরেন লাহিড়ী মালা সিনহা



.

১৯৫৭ তাসের ঘর মঙ্গল চক্রবর্তী সাবিত্রী চ্যাটার্জি, দেবযানী



.

১৯৫৭ সুরের পরশে চিত্ত্য বসু মালা সিনহা



.

১৯৫৭ পুনর্মিলন মনু সেন সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৭ হারানো সুর অজয় কর সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৭ অভয়ের বিয়ে সুকুমার দাশগুপ্ত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৭ চন্দ্রনাথ কার্তিক চ্যাটার্জি সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৭ পথে হল দেরী অগ্রদূত সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৭ জীবন তৃষ্ণা অসিত সেন সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৮ রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত হরিদাস ভট্টাচার্য্য সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৮ বন্ধু চিত্ত্য বসু মালা সিনহা



.

১৯৫৮ মন্ময়ী গার্লস স্কুল হেমচন্দ্র চন্দ্র অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৫৮ ডাক্তারবাবু বিশু দাশগুপ্ত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৮ শিকার মঙ্গল চক্রবর্তী অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৫৮ ইন্দ্রানী নীরেন লাহিড়ী সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৮ যৌতুক জীবন গাঙ্গুলী সুমিত্রা দেবী



.

১৯৫৮ সূর্য্যতোরণ অগ্রদূত সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৯ মরুতীর্থ হিংলাজ বিকাশ রায় সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৯ চাওয়া পাওয়া যাত্রিক সুচিত্রা সেন



.

১৯৫৯ বিচারক প্রভাত মুখার্জি অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৫৯ পুষ্পধনু সুশীল মজুমদার অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৫৯ গলি থেকে রাজপথ প্রফুল্ল চক্রবর্তী সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৫৯ খেলাঘর অজয় কর মালা সিনহা



.

১৯৫৯ সোনার হরিণ মঙ্গল চক্রবর্তী সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৫৯ অবাক পৃথিবী বিশু চক্রবর্তী সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬০ মায়ামৃগ চিত্ত্য বসু সন্ধ্যা রায়



.

১৯৬০ রাজা সাজা বিকাশ রায় সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬০ কুহক অগ্রদূত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬০ উত্তর মেঘ জীবন গাঙ্গুলী সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬০ হাথ বাড়ালেই বন্ধু সুকুমার দাশগুপ্ত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬০ খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন অগ্রদূত সুমিতা সান্যাল



.

১৯৬০ শখের চোর প্রফুল্ল চক্রবর্তী বাসবী নন্দী



.

১৯৬০ শহরের ইতিকথা বিশু দাশগুপ্ত মালা সিনহা



.

১৯৬০ শুনো বরনারী অজয় কর সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬১ সাথীহারা সুকুমার দাশগুপ্ত মালা সিনহা



.

১৯৬১ অগ্নিসংস্কার অগ্রদূত সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬১ ঝিন্দের বন্দী তপন সিনহা অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৬১ নেকলেস দিলীপ নাগ সুনিতা দেবী



.

১৯৬১ সপ্তপদী অজয় কর সুচিত্রা সেন



.

১৯৬১ দুই ভাই সুধীর মুখার্জি সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬২ বিপাশা অগ্রদূত সুচিত্রা সেন



.

১৯৬২ শিউলিবাড়ি পিযুষ বসু অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৬২ কান্না অগ্রগামী নন্দিতা বসু



.

১৯৬৩ শেষ অঙ্ক হরিদাস ভট্টাচার্য্য শর্মিলা ঠাকুর



.

১৯৬৩ নিশীথে অগ্রগামী নন্দিতা বসু, সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৩ উত্তরায়ন অগ্রদূত সুপ্রিয়া চৌধুরী, সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬৩ ভ্রান্তিবিলাস মনু সেন সাবিত্রী চ্যাটার্জি, সন্ধ্যা রায়



.

১৯৬৩ সুর্য্যশিখা সলিল দত্ত সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৩ দেয়া নেয়া সুনীল ব্যানার্জি তনুজা সমর্থ



.

১৯৬৪ বিভাস বিনু বর্ধন ললিতা চ্যাটার্জি



.

১৯৬৪ জতুগৃহ তপন সিনহা অরুন্ধুতি মুখার্জি



.

১৯৬৪ নতুন তীর্থ সুধীর মুখার্জি সুলতা চৌধুরী



.

১৯৬৪ মোমের আলো সলিল দত্ত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৬৪ লাল পাথর সুশীল মজুমদার সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৫ থানা থেকে আসছি হীরেন নাগ মাধবী মুখার্জি



.

১৯৬৫ রাজকন্যা সুনীল ব্যানার্জি রীনা ঘোষ



.

১৯৬৫ সূর্য্যতপা অগ্রদূত সন্ধ্যা রায়



.

১৯৬৬ রাজদ্রোহী নীরেন লাহিড়ী অঞ্জনা ভৌমিক



.

১৯৬৬ শুধু একটি বছর উত্তম কুমার সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৬ নায়ক সত্যজিত রায় শর্মিলা ঠাকুর



.

১৯৬৬ শঙ্খবেলা অগ্রগামী মাধবী মুখার্জি



.

১৯৬৬ কাল তুমি আলেয়া শচীন মুখার্জি সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৭ নায়িকা সংবাদ অগ্রদূত অঞ্জনা ভৌমিক



.

১৯৬৭ জীবনমৃত্যু হীরেন নাগ সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৭ গৃহদাহ সুবোধ মিত্র সুচিত্রা সেন



.

১৯৬৭ চিড়িয়াখানা সত্যজিত রায় কনিকা মজুমদার



.

১৯৬৭ এন্টনি ফিরিঙ্গি সুনীল ব্যানার্জি তনুজা সমর্থ



.

১৯৬৮ চৌরঙ্গী পিনাকি মুখার্জি অঞ্জনা ভৌমিক



.

১৯৬৮ তিন অধ্যায় মঙ্গল চক্রবর্তী সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৮ গড় নসিমপুর অজিত লাহিড়ী মাধবী মুখার্জি



.

১৯৬৮ কখনো মেঘ অগ্রদূত অঞ্জনা ভৌমিক



.

১৯৬৯ সাবরমতি হীরেন নাগ সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৯ চিরদিনের অগ্রদূত সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৯ শুক সারী সুশীল মজুমদার অঞ্জনা ভৌমিক



.

১৯৬৯ কমললতা হরিসাধন দাশগুপ্ত সুচিত্রা সেন



.

১৯৬৯ মন নিয়ে সলিল সেন সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৬৯ অপরিচিত সলিল দত্ত অপর্ণা সেন



.

১৯৭০ কলঙ্কিত নায়ক সলিল দত্ত অপর্ণা সেন



.

১৯৭০ বিলম্বিত লয় অগ্রগামী সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭০ দুটি মন পিযুষ বসু সুপর্ণা সেন



.

১৯৭০ রাজকুমারী সলিল সেন তনুজা সমর্থ



.

১৯৭০ নিশিপদ্ম অরবিন্দ মুখার্জি সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৭০ মঞ্জরী অপেরা অগ্রদূত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৭১ এখানে পিঞ্জর যাত্রিক অপর্ণা সেন



.

১৯৭১ নবরাগ বিজয় বসু সুচিত্রা সেন



.

১৯৭১ জয় জয়ন্তী সুনীল বসু মল্লিক অপর্ণা সেন



.

১৯৭১ ধন্যি মেয়ে অরবিন্দ মুখার্জি সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৭১ জীবন জিজ্ঞাসা পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭১ ছদ্মবেশী অগ্রদূত মাধবী মুখার্জি



.

১৯৭২ বিরাজ বৌ মনু সেন মাধবী মুখার্জি



.

১৯৭২ আলো আমার আলো পিনাকি মুখার্জি সুচিত্রা সেন



.

১৯৭২ অন্ধ অতীত হীরেন নাগ সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭২ স্ত্রী সলিল দত্ত আরতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৭২ ছিন্নপত্র যাত্রিক মাধবী মুখার্জি



.

১৯৭২ মেমসাহেব পিনাকি মুখার্জি অপর্ণা সেন



.

১৯৭২ হার মানা হার সলিল সেন সুচিত্রা সেন



.

১৯৭৩ বনপলাশীর পদাবলী উত্তম কুমার সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৩ কায়াহীনের কাহিনী অজয় কর অপর্ণা সেন



.

১৯৭৩ রাতের রজনীগন্ধা অজিত গাঙ্গুলী অপর্ণা সেন



.

১৯৭৩ সোনার খাঁচা অগ্রদূত অপর্ণা সেন



.

১৯৭৩ রৌদ্র্যছায়া সচিন অধিকারী অঞ্জনা ভৌমিক



.

১৯৭৪ রক্ততিলক বিশ্বজিত চ্যাটার্জি সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৪ আলোর ঠিকানা বিজয় বসু অপর্ণা সেন



.

১৯৭৪ যদি জানতেম যাত্রিক সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৪ যদুবংশ পার্থপ্রতিম চৌধুরী অপর্ণা সেন



.

১৯৭৪ রোদন ভরা বসন্ত সুশীল মুখার্জি বাসবী নন্দী



.

১৯৭৪ বিকেলে ভোরের ফুল পিযুষ বসু সুমিত্রা মুখার্জি



.

১৯৭৪ অমানুষ শক্তি সামন্ত শর্মিলা ঠাকুর



.

১৯৭৫ মৌচাক অরবিন্দ মুখার্জি সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৭৫ আমি, সে ও সখা মঙ্গল চক্রবর্তী কাবেরী বসু



.

১৯৭৫ অগ্নিশ্বর অরবিন্দ মুখার্জি মাধবী মুখার্জি



.

১৯৭৫ নগর দর্পনে যাত্রিক কাবেরী বসু



.

১৯৭৫ কাজললতা বিকাশ রায় অপর্ণা সেন



.

১৯৭৫ প্রিয় বান্ধবী হীরেন নাগ সুচিত্রা সেন



.

১৯৭৫ সন্যাসী রাজা পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৫ বাঘবন্দী খেলা পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৬ হোটেল স্নো ফক্স যাত্রিক মিঠু মুখার্জি



.

১৯৭৬ আনন্দমেলা মঙ্গল চক্রবর্তী আরতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৭৬ মোমবাতি যাত্রিক সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৬ সেই চোখ সলিল দত্ত সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৭৬ নিধিরাম সর্দার রবি ঘোষ অপর্ণা সেন



.

১৯৭৬ বন্হিশিখা পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৬ চাঁদের কাছাকাছি যাত্রিক অপর্ণা সেন



.

১৯৭৭ রাজবংশ পিযুষ বসু আরতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৭৭ সব্যসাচী পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৭ অসাধরন সলিল সেন আরতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৭৭ ভোলা ময়রা পিযুষ গাঙ্গুলী সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৭ সিস্টার পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৭ জাল সন্যাসী সলিল সেন আরতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৭৭ আনন্দ আশ্রম শক্তি সামন্ত শর্মিলা ঠাকুর



.

১৯৭৮ দুই পুরুষ সুশীল মুখার্জি সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৮ নিশান এস এস বালান আরতি ভট্টাচার্য্য



.

১৯৭৮ ধনরাজ তামাং পিযুষ বসু সন্ধ্যা রায়



.

১৯৭৮ বন্দী আলো সরকার সুলক্ষণা পন্ডিত



.

১৯৭৯ ব্রজবুলি পিযুষ বসু সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৭৯ দেবদাস দিলীপ রায় সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৭৯ সুনযনি সুখেন দাস শকুন্তলা বড়ুয়া



.

১৯৭৯ নবদিগন্ত পলাশ ব্যানার্জি সুমিত্রা মুখার্জি



.

১৯৭৯ শ্রীকান্তের উইল দীনেন গুপ্ত সুমিত্রা মুখার্জি



.

১৯৭৯ সমাধান জযন্ত বসু গায়ত্রী মুখার্জি



.

১৯৮০ পক্ষিরাজ পিযুষ বসু নন্দিতা বসু



.

১৯৮০ রাজনন্দিনী সুখেন দাস সাবিত্রী চ্যাটার্জি



.

১৯৮০ আরো একজন সৃজন সুমিত্রা মুখার্জি



.

১৯৮০ দর্পচূর্ণ দিলীপ রায় সন্ধ্যা রায়



.

১৯৮০ দুই পৃথিবী পিযুষ বসু সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৮০ রাজা সাহেব পলাশ ব্যানার্জি



.

১৯৮১ ওগো বধু সুন্দরী সলিল দত্ত সুমিত্রা মুখার্জি



.

১৯৮১ কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী উত্তম কুমার সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৮১ খনা বরাহ বিজয় বসু সন্ধ্যা রায়



.

১৯৮১ প্রতিশোধ সুখেন দাস সুপ্রিয়া চৌধুরী



.

১৯৮১ সূর্য্যসাক্ষী অগ্রদূত



.

১৯৮২ ইমন কল্যাণ শান্তিময় ব্যানার্জি সুপ্রিয়া চৌধুরী

সঙ্গীতের প্রতিও ছিল তার অসীম ভালবাসা। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কিংবা মান্না দে'র গানেই সবচেয়ে বেশি ঠোঁট মিলিয়েছেন উত্তম। ছবির গান রেকর্ডিংয়ের সময় শিল্পীর পাশে বসে তার অনুভূতি উপলব্ধি করার চেষ্টা করতেন। এতে করে না কি পর্দায় ঠোঁট মেলাতে তার বেশ সহজ হতো। সঙ্গীতপ্রেমী উত্তম ‘কাল তুমি আলেয়া’ ছবির সবগুলো গানের সুরারোপ করেন। ছবিটি ১৯৬৬ সালে মুক্তি পায়। অভিনেতা প্রযোজক, পরিচালক, সব মাধ্যমেই তিনি ছিলেন সফল।

১৯৪৮ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি একাধারে অভিনয় করে গেছেন গুণী এই শিল্পী, তাই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি তাকে।



ভোর

উত্তম কুমারের অসাধারণ একজন ভক্ত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.