নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শফিকুল ইসলাম খান

আমি কেমনে তারে দেখি, তারই কাছে যাইতাম উইড়া- হইতাম যদি পাখি।। তার লাগিয়া পরান কাঁন্দে- জলে ভেজে আখি, কাছে পাইলে রাখতাম বুকে- করতাম মাখামাখি।। তার কারনে সব হারাইলাম- আর নাই কিছু বাকি, শায়খ বেধা পাখির মত- একা পড়ে থাকি।। কেন এত পাষান সেযে- দেয় যে শুধুই

সেলিম খান

আমি কেমনে তারে দেখি, তারই কাছে যাইতাম উইড়া- হইতাম যদি পাখি।। তার লাগিয়া পরান কাঁন্দে- জলে ভেজে আখি, কাছে পাইলে রাখতাম বুকে- করতাম মাখামাখি।। তার কারনে সব হারাইলাম- আর নাই কিছু বাকি, শায়খ বেধা পাখির মত- একা পড়ে থাকি।। কেন এত পাষান সেযে- দেয় যে শুধুই ফাঁকি, তার বিরহ পাহাড় সমান- কেমনে বুকে রাখি।।

সেলিম খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিলি্লতে আবারো ধর্ষণের লজ্জা

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮

দিলি্লতে চলন্তবাসে গণধর্ষণের ঘটনার পর একটুও বদলায়নি সেখানকার চিত্র। 'দিলি্ল যেন আছে সেই দিলি্লতেই'। কারণ ভারতের রাজধানীর বুকে আবারো গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বর্ষবিদায়ের রাতে সেখানকার সফদরজং এনক্লেভ এলাকায় একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে আচ্ছন্ন করে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, ছাত্রীটিকে তাদের ফ্ল্যাটে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদক মেশানো পানীয় খাওয়ায় অভিযুক্তরা। এ ঘটনার পর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত দু'জনই দিলি্লর একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। পুলিশ জানায়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ওই ছাত্রীর। দামিনিকে বাসের নিচে পিষে মারার চেষ্টা হয় দিলি্লতে চলন্তবাসে গণধর্ষণ ও মারধরের শিকার উত্তরাখ-ের ২৩ বছর বয়সী ওই মেডিকেল ছাত্রী দামিনিকে বাসের চাকায় পিষে মারার চেষ্টা করেছিল ধর্ষকরা। তবে মেয়েটির সঙ্গের হবু বর সময়মতো তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে পারায় সে যাত্রায় সে প্রাণে বেঁচে যায়। বৃহস্পতিবার আদালতে এক হাজার পৃষ্ঠার যে অভিযোগপত্র পুলিশ দাখিল করতে যাচ্ছে, তাতে ভয়াবহ সেই ঘটনার বিবরণ এভাবেই দেয়া হয়েছে। চার্জশিটে আটক আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্তারিত অভিযোগও লিপিবদ্ধ করা হয়। স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ধর্ষকদের মধ্যে তিনজনকে কামড়ে দিয়েছিল মেয়েটি। তিন পাষ-ের শরীরে এর চিহ্নও পাওয়া গেছে। সন্দেহভাজনদের শরীরে পাওয়া চিহ্ন, ফরেনসিক প্রতিবেদন ও মেয়েটির আহত ছেলে বন্ধুর দেয়া সাক্ষ্য আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রধান তথ্য-প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হতে পারে। অভিযোগপত্রে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এই ছয় আসামির মৃত্যুদ- চাওয়া হবে বলে এরই মধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে দিলি্ল পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযোগপত্রে মোট ৩০ জনকে সাক্ষী করা হচ্ছে, যার মধ্যে দিলি্ল ও সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরাও থাকবেন। এদিকে বুধবার দিলি্ল হাইকোর্টে এ মামলার ই-চার্জশিট জমা পড়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিলি্লতে উত্তরাখ-ের ২৩ বছর বয়সী ওই ছাত্রী একটি চলন্তবাসে গণধর্ষণের শিকার হন। এরপর ওই ছাত্রী ও তার সঙ্গের ছেলে বন্ধু বা হবু বরকে রড দিয়ে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। এরপর মেয়েটিকে বাসের চাকায় পিষে মারার চেষ্টা করা হয়। ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মেয়েটি মারা যায়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হতে পারে। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেয়া হোক। আলোচিত এই মামলার কার্যক্রম চলবে দিলি্লর দ্রুত বিচার আদালতে। ধর্ষণবিরোধী আইন মেয়েটির নামে হলে অনাপত্তি পরিবারের দিলি্ল গণধর্ষণের ঘটনায় নিহত ওই তরুণীর নাম প্রকাশ করা উচিত। এ দাবি ওঠার একদিনের মধ্যেই ওই মেয়েটির পরিবার তার নামে ধর্ষণবিরোধী আইন আনার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। বুধবার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তরুণীর স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটা যোগ্য সম্মাননা হবে বলে মত দেন তারা। ২৩ বছরের ওই তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, 'সরকার যদি ধর্ষণবিরোধী আইন আনতে তার নাম প্রকাশ্যে আনে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।' এর আগে মেয়েটিকে মীনাক্ষী শেষাদ্রী অভিনীত হিন্দি সিনেমার নির্যাতিত নায়িকার নামে 'দামিনি' বলে আখ্যা দেয়া হচ্ছিল। এর আগে মঙ্গলবার ভারতের মানবসম্পদ প্রতিমন্ত্রী শশী থারার টুইটারে বলেন, 'দিলি্ল গণধর্ষণে নিগৃহীতা তরুণীর নাম গোপন রেখে কী লাভ?' কেন্দ্রীয় ওই প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাব দেন, পরিবারের যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে দেশের কঠোর ধর্ষণবিরোধী আইন তরুণীর নামেই করা উচিত। এভাবে আইনটির নামকরণ হলে নিহত ওই তরুণীর উদ্দেশ্যে যথাযোগ্য সম্মান জানানো হবে। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বুধবার বলা হয়েছে, দেশে কারো নামে এভাবে আইনের নামকরণ করা যাবে না। এটা বিধি-বহির্ভূত। এদিকে মঙ্গলবারই তরুণীর উত্তরপ্রদেশের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামকরণ করা নিয়ে তার নাম প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তার নামে একটি নতুন স্কুল তৈরি করা হবে বলে প্রস্তাব দেয়া হয়। তথ্যসূত্র : জি-নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, পিটিআই





মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪

তা্নভীর মোরশেদ বলেছেন: এইসব আনুশ্ঠানিকতা ছাড়া কিছুই না ।
হাস্যকর বৈকি ।

কঠিনতম শাস্তি কায়েম করা উচিত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.