![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় কি ? এক কথায় আমরা মুসলিম । মহানবী (সঃ) এর পরিচয় এটাই ছিলো তিনি মুসলিম । কিন্তু আজকাল আমরা নিজেদের মুসলমান পরিচয়ের চেয়ে আরও বড় পরিচয় নিয়ে গর্ব করি ……… আমি হানাফি , আমি মালেকি, আমি আহলে হাদিস, আমি লা মাযহাবি, আমি রেজভি সহ আরও অনেক পরিচয় । কিন্তু মহানবী (সঃ) আমাদের পরস্পর বিভক্ত হতে কড়া ভাবে নিষেধ করেছেন।
ইসলাম বিভক্ত হওয়ার কারণটা মূলত রাজনৈতিক আবার কিছু ক্ষেত্রে হাদিসের ভুল ব্যখ্যা । শহরের শিক্ষিত মানুষের ধর্ম জ্ঞান কিছুটা থাকলেও ধর্ম প্রাণ নন, আবার গ্রামের মানুষরা ধর্ম প্রাণ হলেও ধর্ম জ্ঞান তাদের অনেক কম। আর তাই ধর্মীয় গোঁড়ামি গ্রামে প্রকট । বেশিরভাগ মানুষের ধর্ম জ্ঞান প্রচলিত কিছু সূরা এবং মাসলা মাসায়েল জানা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ । তাই বিভক্তির রাজনীতিটা গ্রামে বেশি ফলে ।
খেলাফত বিতর্কে মুসলিমরা সবার আগে দুটি ভাগে ভাগ হয়
1. সুন্নি
2. শিয়া
সুন্নি মুসলিম কিছু দেশে নিজেদের আলাদা স্বকীয়তা, নিজস্বতা ধরে রাখতে ৫ টি ভাগে ভাগ হয় যা আমরা মাযহাব বলে চিনি ।
1. হানাফি
2. মালিকি
3. শাফিয়ি
4. হাম্বলি
5. জাহিরি (বিলুপ্ত প্রায়)
প্রত্যেক মাযহাবের ঈমাম গন তার আমলের সবচেয়ে বড় আলেম ছিলেন । তারা একাধারে গবেষক এবং হাদিস সংকলক ছিলেন কিন্তু সেই আমলে বুখারি তিরমিজির মত সহি হাদিস লিপিবদ্ধ না থাকায় তারা কিছু ক্ষেত্রে দ্বিধায় ছিলেন । এই দ্বিধায় থাকা ব্যপার গুল নিয়ে আমরা এক সময় গোঁড়ামি শুরু করে দেই ।
শিয়ারাও একই কারনে ২ টি ভাগে ভাগ হয়েছে
1. জাফরি
2. জায়েদি
কেবল ভারতীয় উপমহাদেশের হানাফিগণ আবার ৫ টি ভাগে ভাগ হয়েছেন
1. কাদিয়ানি
2. দেওবন্দি
3. ইলিয়াছি (তাবলীগ)
4. বেরলভী
5. মওদুদি (জামায়াত ইসলাম)
তারপরেও আহলে হাদিস, লা মাযহাবি, রেজভি, মাজার ভক্ত, ভাণ্ডারী, চরমনাই ভক্ত, চরসিনা ভক্ত এসব ত আছেই । সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে রয়েছে এমন অসংখ মতবিরোধ ।
দুর্বল কিছু হাদিস এবং রাজনীতি এই দুটি কারনে মুসলিমদের মধ্যে অসংখ্য মতবিরোধ তৈরি হয়েছে যা মহানবী (সঃ) এর একটি হাদিস কেই সত্য প্রমান করে , তিনি বলেছিলেন আমার উম্মতরা পরবর্তীতে ৭৩ ভাগে ভাগ হবে এর মধ্যে একটি মাত্র ভাগ জান্নাতে যাবে। এই একটি মাত্র দল হলো সেই মুসলমানরা যারা সরাসরি কুরআন এবং সহি হাদিস মেনে চলে । এখন প্রশ্ন হলো আমরা দৈনন্দিন যেসব আমল করি তা সহি হাদিসে আছে কিনা আপনি কতটা নিশ্চিত ? নাকি বংশ পরম্পরায় চলে আসা আমল করি ? নাকি ওমক হুজুর করতে বলেছেন তাই করি ?
প্রত্যেক দোকানি আপনাকে বলবে এই জামাটায় আপনাকে ভালো মানাবে তবুও আপনি নিজে পরখ করে দেখে শুনে তারপর জামা কিনেন কিন্তু ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে নিজে পরখ করে দেখেন না কেন ? জামা কিনার সময় ত বলেন না যে আমার পূর্ব পুরুষরা জুব্বা পরেছে তাই আমিও জুব্বা কিনবো কই আপনি ত লাল গেঞ্জি কিনলেন তাহলে ধর্মের বেলায় কেন বলেন যে আমার পূর্ব পুরুষরা ওই ভাবে পালন করেছে তাই আমিও ওই ভাবে করবো !!!!!
কোন ব্যাপারে একাধিক মত থাকতে পারে কিন্তু খারাপ সেটা যখন মনে করা হয় শুধু আমি বা আমরা সঠিক বাকি সব ভুল ! আমরা সবাই মনে করি আমরাই শুধু জান্নাতে যাওয়া ওই একমাত্র দল ! আসলেই কি তাই ? উত্তর টা নিজ গুনে খুঁজে দেখবেন । আমার লিখাটা কোন হানাফি বা আহলে হাদিস ভাইকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয় । কিছু মুরুব্বীর ধর্মীয় গোঁড়ামির জন্য লিখা । ধর্ম সম্পর্কে কিছু বলার আগে একটু নিশ্চিত হওয়া দরকার যে তা কতটা যৌক্তিক ।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবকিছু উদার দৃষ্টিতে পড়তে হবে, জানতে হবে। এতদিন ধরে করেছি, সওয়াবের জন্যই তো করা - এসব হলো খোঁড়া যুক্তি...
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগে কোরআন হাদীস আকড়ে ধরে থাকা খুব কষ্টের।