নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনা ও ধর্ম ব্যবসায় করি । সেই লাভ ........

এক হতভাগা

মূর্খ মানব

এক হতভাগা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে বরাত বলে কি কোন রাত আছে ?

০১ লা মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৪

বিদআত বলতে আমি সরল ভাষায় যা বুঝি তা হলো, এমন কোন আমল যা কিনা কোরআনে করতে বলা হয় নি এবং রাসুল (সঃ) সাহাবী বা তাবেঈনদের যুগেও কেউ করে নি পরবর্তী যুগে নতুন সংযোজিত, যা করলে অনেক সওয়াব হবে বলে মনে করা হয় । এক কথায় বিদআত একটি না জায়েজ কাজ ।

রাসুল (সঃ) রমজানের পর সবচেয়ে বেশি ইবাদত করতেন শাবান মাসে । এই মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন, তার মধ্যে একটি হলো শাবান মাসের ১৫ তারিখের রোজা । অন্যান্য রাতের মত এই রাতেও তিনি নফল সালাত পড়তেন । প্রতি রাতের মত আজকের শেষ রাতেও আল্লাহ্ প্রথম আসমানে আসবেন বান্দার গুনাহ মাফ করার জন্য । সুতরাং রাসুল (সঃ), সাহাবী এবং তাবেঈন কেউই এই রাতকে বিশেষ রাত ভেবে আমল করেন নি । কোরআনেও এই রাতের ব্যাপারে কোন আয়াত নেই । কিন্তু আমরা এই রাতকে শবে বরাত নাম দিয়ে অনেক মহিমান্বিত ভেবে পালন করি । বিশেষ করে উপমহাদেশে এটি বেশি পালন করা হয় । বরাত কোন আরবি শব্দই নয় পার্সি শব্দ । রাসুল (সঃ) এর মৃত্যুর প্রায় ৫০০ বছর পর প্রথম শবে বরাত পালন করা শুরু হয় ।

আল্লাহ্‌ বলেন, ‘’আমি কিতাবে কোন কিছু লিপিবদ্ধ করতে ত্রুটি করি নি’’ (সূরা আনআম, আয়াত- ৩৮)

রাসুল (সঃ) বলেন , যে ব্যক্তি এমন কাজ (আমল) করলো যে ব্যাপারে আমাদের কোন নির্দেশনা নেই তা বর্জনীয় (সহি মুসলিম )

বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুল (সঃ) বলেন , ‘’ আমি আজ ইসলাম ধর্মকে তোমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিলাম ‘’ ।

উপরের বাক্যগুলো থেকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে রাসুল (সঃ) জীবিত থাকতে ইবাদতের সমস্ত মাধ্যম আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে গিয়েছেন । এখন আমরা যদি নতুন কিছু আমল ধর্মে অনুপ্রবেশ করাই তাহলে কি ধরে নেব রাসুল (সঃ) শবে বরাত সম্পর্কে আমাদের বলতে ভুলে গেছেন আর আমরা তার মৃত্যুর ৫০০ বছর পর সেটা আবিস্কার করে আমল করা শুরু করেছি ? (আস্তাগফিরুলাহ) ।
ভারত উপমহাদেশে প্রকৃত আলেমের চেয়ে ধর্ম ব্যবসায়ির সংখ্যা বেশি তাই অত্র অঞ্চলে ধর্মীয় বিদআতের পরিমাণও বেশি । রাসুল (সঃ) যেসব ইবাদত করেছেন বলে সহি হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত আমাদের কেবল সেসব আমলই করার চেষ্টা করা উচিত । বাকি সব বর্জনীয় । আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুক ।

(লিখাটি কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য নয় যে কোন ত্রুটি নিজগুণে ক্ষমা করবেন)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। আঘাত পাইনি।

২| ০১ লা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

বনসাই বলেছেন: ছেলেবেলায় শবে বরাত মানেই ছিল তারাবাতি আর বোমা ফুটানো। আলাদা বাজেট করতাম। ৩/৪ দিন আগে থেকেই চলতো আমাদের অভিযান। আর ছিল হালুয়া,রুটি, গরুর গোসত খাওয়া। কিন্তু পরিবারে রাতভর মসজিদে বা ঘরে নামাজ পড়ার চল ছিল না। মাগরিবের আযানের সাথে সাথেই ঘরে ফেরার নির্দেশনা ঈদের রাত আর শবে বরাতের রাতে শিথিল হতো; তবে এশার আযান পর্যন্তই। প্রতিদিনের নামাজই আদায় করা হতো। তাই আমাদের মাঝে এই রাত নিয়ে বিশেষ কিছু করার চল গড়ে ওঠে নি।

বড় হয়ে যখন আরো কিছু জানলাম এই রাত নিয়ে চর্চা আরো সীমিত হয়ে গেছে। ফরজ নামাজ ছেড়ে নফল নিয়ে ব্যস্ত থাকার কি অর্থ হতে পারে আল্লাহই কেবল জানেন।

৩| ০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টটি খুবই ভালো লেগেছে, অজস্র ধন্যবাদ।

শবেবরাত অর্থ ভাগ্য রজনী, এই রাতে আগামী এক বছরের জন্য ভাগ্য লেখা হয়- একদা এ কথা আমিও বিশ্বাস করতাম। আরব দেশে থাকাকালীন দেখলাম শবে বরাতের কোন অস্তিত্বই তারা জানেনা। তাহলে আমাদের দেশে এর কেন প্রচলন হলো? হালুয়া-রুটির জন‍্য।

শবেবরাত উপলক্ষে মসজিদে মুসল্লিদের থেকে টাকা উঠিয়ে খানাপিনার আয়োজন হয়। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতে আসলেন মসজিদের পক্ষ থেকে একদল মানুষ। চেয়েচিন্তে কিছু টাকা নিয়ে গেলেন। আজ দেখলাম গরু জবাই করে বিরাট খাওয়ার আয়োজন করেছে তারা, আশেপাশে সমস্ত কিছু রঙিন বাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে! হয়তো আজকের রাতে ভাল খেলে আগামী এক বছরে এমন ভালো খাওয়া লেখা হবে ভাগ্যে। তাই এই আয়োজন!!!

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

নীল আকাশ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.