নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনা ও ধর্ম ব্যবসায় করি । সেই লাভ ........

এক হতভাগা

মূর্খ মানব

এক হতভাগা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিলাদ কেন বিদআত ??????

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৩

ছোট বেলা থেকেই খুব আগ্রহ নিয়ে মিলাদ পড়তাম । তখন মিলাদ পড়তাম কেবল তাবারক খাওয়ার লোভে । তাবারক হিসেবে থাকতো জিলাপি, বাতাসা কখনো কখনো সিন্নি । একটু বড় হওয়ার পর হুজুরদের মুখে মিলাদের ফজিলত শুনে শুনে আরও ধর্মীয় ভাব গম্ভীর নিয়ে মিলাদ পড়তাম । কিন্তু গত ৫-৬ বছর এটা থেকে দূরে থাকি । এমনকি অন্য কারো তাবারকও মুখে দেই না । কারণটা খুব পরিস্কার , মিলাদ একটি স্পষ্ট বিদআত ।

একটা সময় হুজুরদের অন্ধ বিশ্বাস করতাম । যা বলতো তাই মেনে নিতাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে গন্ধ শুকা ছাড়া তাদের সব কথা গিলে ফেললে বদ হজম হবেই । তাই যে আমল করি তা সঠিক কিনা যথেষ্ট সীমাবদ্ধতা থাকা সত্তেও নিজ দায়িত্তে সেটার হাদিস বা কোরআনের রেফারেন্স খোঁজার চেষ্টা করি ।

মিলাদ কেন বিদআত এটা বুঝতে হলে আমাদের সবার আগে জানতে হবে বিদআত কি ? বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ নতুন আবিষ্কার। বিদআত হলো এমন নতুন আবিষ্কৃত ইবাদত যেটাতে অনেক সওয়াব আছে মনে করে পালন করা হয় ।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম বলেছেন, “তোমরা (দ্বীনের) নব প্রচলিত বিষয়সমূহ থেকে সতর্ক থাক। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয় বিদআ‘ত এবং প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা”।[সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৯৯১ ও সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ২৬৭- তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন।]

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াল্লাম তাঁর এক খুতবায় বলেছেন:“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল (দ্বীনের মধ্যে) নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৫৩৫ ও সুনান আন-নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৬০]

রাসুল (সঃ) এর বিদায় হজ্জের অংশ বিশেষ ‘’ আমাদের কিয়ামত দিবসে জিজ্ঞাসা করা হবে। তোমাদেরও জিজ্ঞাসা করা হবে। তখন তোমরা আমার ব্যাপারে কী বলবে? আমি কি তোমাদের নিকট আল্লাহর দ্বীন পৌছে দিয়েছি? উপস্থিত সাহাবায়েকেরাম উত্তর দিলেন, আমরা সাক্ষ্য দেব যে আপনি আপনার দায়িত্ব পৌঁছে দিয়েছেন। হিত কামনা করেছেন। অতঃপর রাসুল (সা.) আকাশের দিকে হাত তুলে তিনবার বললেন, আল্লাহ আপনি সাক্ষী থাকুন।‘’ [ সহি মুসলিম, সহি তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে ইবনে মাজাহ]

সুতরাং রাসুল (সঃ) জীবিত থাকতেই ইসলাম আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়ে গেছেন । ইবাদতের এমন কোন মাধ্যম নেই যা তিনি আমাদের মাঝে প্রচার করে দিয়ে যান নি । আমরা যদি এখন নতুন কিছু যোগ করি সেটা অবশ্যই রাসুল (সঃ) এর হাদিসের বিপরীত হবে ।

এবার দেখা যাক মিলাদ কেন বিদআত । মিলাদ মানে জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা । এটি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। রাসুল (সা.) করেছেন, এর কোনো প্রমাণ নেই। তার পরবর্তী সময়ে সাহাবিরা করেছেন এরও কোনো প্রমাণ নেই। এর পরবতী সময়ে তাবেয়িরা করেছেন, এমন প্রমাণ নেই। আইমাতুল ইসতেহাদ ইমাম আবু হানিফা (র.), ইমাম মালেক (র.), ইমাম হাম্বলি (র.) ও ইমাম শাফেয়িসহ (র.) যাঁরা মাশহুর ও প্রসিদ্ধ ওলামায়ে কেরাম ছিলেন, তাঁরাও এটা করেছেন বলে কোনো প্রমাণ নেই। মূলত এই কাজটি একেবারেই নতুন আবিষ্কৃত একটি বিষয়। দ্বীনের মধ্যে এ ক্ষেত্রে রাসুল (স.)-এর কোনো নির্দেশনা নেই। আবার এটা ইবাদতের উদ্দেশে করা হচ্ছে সওয়াবের জন্য। তাই এটি বিদআত হওয়ার ক্ষেত্রে সামান্যতম কোনো সন্দেহ নেই বা সামান্যতম কোনো আপত্তি নেই


এখানে যে বিভ্রাট তৈরি হয়েছে, সেটা হলো মিলাদের যে ফরম্যাট তৈরি করা হয়েছে, এই ফরমেটের মধ্যে দরুদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এখন দরুদকে অন্তর্ভুক্ত করে এই সন্দেহ তাদের মধ্যে জাগ্রত হয়েছে যে, আমরা তো দরুদ পড়তেছি। এখানে অসুবিধার কী আছে! কিন্তু দরুদ পড়ার পদ্ধতি তো রাসুল (সা.) শিক্ষা দিয়েছেন। দরুদ আমরা কীভাবে পড়ব, সেটা কি রাসুল (সা.) শিক্ষা দেননি? তাহলে আমাদের এ কথা স্বীকার করতে হবে যে রাসুল (স.) আমাদের শিক্ষাই দিয়ে যাননি। সাহাবি, তাবেইন, তাবে তাবেঈনরা তাহলে রাসুল (সঃ) কে খুব একটা ভালোবাসতেন না আর আমরা এতই ভালোবাসি যে প্রতিনিয়ত রাসুল (সঃ) এর জীবন বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করি ।

সামনে পরীক্ষা মিলাদ পড়াও ,কেউ অসুস্থ মিলাদ পড়াও ,বিদেশ যাচ্ছ মিলাদ পড়াও ,নতুন দোকান খুলেছ মিলাদ পড়াও , নতুন ফ্ল্যাট কিনেছ মিলাদ পড়াও ইত্তাদি আরও কত কি । আমরা না বুঝেই বিদআত দিয়ে এসব শুভ কাজ শুরু করি । মিলাদে আমাদের কোন লাভ না হলেও হুজুরদের অনেক লাভ । দাওয়াতে ভরপুর খাওয়া হলো সাথে কিছু বকশিস । আর তাই ত চরমোনাই ভক্ত, চরসিনা ভক্ত, মাজার পূজারি হুজুররা মিলাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলুক পছন্দ করেন না ।


মিলাদ মাওফিলের প্রধান বক্তা হয়ে ইনকাম করার লোভে এখন এ দেশে ব্যাঙের ছাতার মত বহু পীর বাবার দরবার শরীফ গজিয়ে উঠেছে। তারা তাদের মুরিদ হলে বেহেস্তের গ্যারান্টিও দিয়ে থাকেন (আস্তাগফিরুল্লাহ) । অতছ দুনিয়ায় থাকতে কেবল ১০ জন সাহাবি বেহেস্তের গ্যারান্টি পেয়েছিলেন। পীর বাবা আপনার নিজেরি বেহেস্তের ঠিক নাই মুরিদদের কিভাবে গ্যারান্টি দেন ?


যদি কোন হুজুর লিখাটি পড়ে থাকেন তাহলে সহি হাদিস দিয়ে আমাকে মিথ্যা প্রমান করুন । দয়া করে মিথ্যা হাদিস প্রচার বন্ধ করুন কেননা এ দেশের সাধারণ মানুষ এখনও আপনাদের অন্ধের মত বিশ্বাস করে ।এই বিশ্বাস ভাঙিয়ে টাকা রোজগার করবেন না ।
( সব আলেম এক নয়, অনেক প্রকৃত আলেম আছেন যারা মিলাদ পরেন না বা বিদআত করেন না , তাদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা )

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: মীলাদ খুব ভাল কাজ। হতভাগারাই এটা পছন্দ করেনা।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

এক হতভাগা বলেছেন: আমি সহ জাতি আপনার মাধ্যমে সহি হাদিসের রেফারেন্স সহ জানতে চায় মিলাদ কিভাবে ভালো কাজ ?

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি বিভ্রান্ত,
আমাদের পাড়ার মসজিদ এখন আর মিলাদ পড়াতে চায় না
শুধু দোয়া করে আর বখশিশ দিলে নেয়, না দিলে
কিছু বলেনা ।

৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: ইমাম বোখারী (রঃ) সাতানব্বই হাজার ছহি হাদিস থেকে সাত হাজার লিখে নব্বাই হাজার হাদিস ফেলে দিয়েছেন। সেই সব সহি হাদিস আপনি কোথায় পাবেন?

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯

এক হতভাগা বলেছেন: কবি ভাই, হাদিস সংকলনকারী ঈমাম গন লক্ষ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করেছেন কিন্তু সব হাদিস সহি নয় । অনেক জাল, যঈফ হাদিস রয়েছে যেগুলোর সনদ দুর্বল । ঈমাম বুখারি কেবল বাছাই করা কিছু সহি হাদিস সংকলন করেছেন । আরও অনেক সহি হাদিস মুসলিম তিরমিজি সহ অন্যান্য হাদিসে রয়েছে । সহি ত দূরের কথা আপনি মিলাদের পক্ষে একটি জাল হাদিস উল্লেখ করেন যেখানে সাহাবি এবং তাবেঈনরা মিলাদ পরেছেন বলে প্রমান পাওয়া যায় ।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৭

সনেট কবি বলেছেন: ইমাম আবু হানিফার অনেক ফতোয়া আপনাদের হাদিসে নেই। আর তারা বললেই হাদিস সহিহ হবে এটা পেলেন কোথায়? তারাওতো মানুষ! তাদেরও ভুল হতে পারে।আপনার বাপ যে আপনার বাপ এটাও হাদিসে নেই তথাপি তাঁকে দিব্যি বাপ মানেন।
আর হাদিস খোঁজেন মিলাদের ব্যপারে। মিলাদ হলো মহানবির (সঃ) প্রতি আন্তরিকতার প্রকাশ। আমরা শুধু এ সহজ কথাটা বুঝতে চাই। বেশি জটিলতায় গেলে পথ হারা হতে হয়।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২২

এক হতভাগা বলেছেন: ঈমাম আবু হানিফা (রঃ) ত মিলাদ পড়েন নি, তার মানে কি আপনার চেয়ে ঈমাম আবু হানিফা(রঃ) এর আন্তরিকতা রাসুল (সঃ) এর প্রতি কম ছিল ? আপনি তাহলে সাহাবি এবং ঈমাম আবু হানিফা (রঃ) এর চেয়ে রাসুল (সঃ) কে বেশি ভালোবাসেন ? আমার বাবা যে আমার বাবা এটা অন্তত NID দ্বারা প্রমানিত । মিলাদ আছে এটা কোন হাদিস দ্বারা প্রমানিত ? আপনি ত প্রমান না দিয়ে খিস্তি খেউর করে চলেছেন

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম পালন করাও হয়তো বিদায়াত?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

এক হতভাগা বলেছেন: বুঝতে পারছিনা চাদ্গাজি ভাইয়ের কথাটি পজিটিভ নাকি নেগেটিভে ভাবে নিব

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: নবীর কোন সন্তান বা সাহাবাদের মৃত্যুর পর মিলাদ দিয়েছিলেন?

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমিও এটা জানার পর বর্জন করেছি। আমাদের উপমহাদেশ ছাড়া এটার চল কোথাও নেই। সবাইকে আরো পড়তে হবে। বিশেষ করে হুজুররাই(যারা পক্ষে) মানতে চাইছে না ব্যপারটা, সাধারণ মুসলমানদের কথা আর কী বলব...

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১৩

তার ছিড়া আমি বলেছেন: আপনার কথা ১০০% সঠিক। ভারত উপমহাদেশ ছাড়া পৃথীবির আর কোথাও মলিাদের অস্তিত্ব নেই। নিঃসন্দেহে এটা বিদআত। মিলাদে যে শব্দগুলো সুর করে বলা হয়, তার কোন 'অর্থ' হয়না। বিদঘুটে কিছু অর্থহীন শব্দ।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মিলাদ বিদাত না। আর বিদাত হলেও সমস্যা কি? মিলাদে তো কারো কোনো ক্ষতি হয় না।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

এক হতভাগা বলেছেন: ভাই ত হাস্যকর কথা বললেন !! আপনি সওয়াবের আশায় বিদআত করবেন আর বলছেন সমস্যা কি ???? আপনি সারা জীবন নামাজ না পরলেও কারো কোন ক্ষতি হবে না । আমার হিসাব আমাকেই দিতে হবে ।

১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

কে ত ন বলেছেন: মিলাদের বিকল্প কি আছে? হাত তুলে দোয়া করা? সেটাও তো অনেকে বলছে বিদআত। তাহলে নামাজ ছাড়া সবকিছুই তো বিদাতের মধ্যে পড়ে। ইবাদতে বৈচিত্র্য আনার জন্য আর কি কি করা যেতে পারে?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

এক হতভাগা বলেছেন: ভাই আপনি কেন মিলাদ পড়েন নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র কাছে কিছু চাওয়ার জন্য । আল্লাহ্‌র কাছে কখন কিভাবে কিছু চাইতে হবে সেটা ত রাসুল(সঃ) আমাদের শিখিয়েছেন । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে, জুম্মার পরে এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের পরে এই সময় গুলো হলো দোয়া কবুলের সময় , আল্লাহ চায় ত এই সময়ে আপনার চাওয়া কবুল হবে । এগুলো হলো কঠিন পদ্ধতি আর সহজ এবং বিদআতি পদ্ধতি হলো ৩০০ টাকার তাবারক আর হুজুরকে ২০০ টাকা বকশিস দিলে হুজুর আপনার জন্য কৃতিম চোখের পানি ফেলে দোয়া করবে , দোয়া কবুলের সহজ রেসিপি আপনিও খুশি । ভাই টাকা দিয়েই যদি হুজুরের মাধ্যমে দোয়া কেনা যেত সালমান এফ রহমান তাহলে নিশ্চিত জান্নাতি । ইবাদতে কোন বৈচিত্র্য আনা যায় না , রাসুল (সঃ) যেভাবে শিখিয়েছেন সেভাবেই ইবাদত করতে হবে ।

১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি সহ জাতি আপনার মাধ্যমে সহি হাদিসের রেফারেন্স সহ জানতে চায় মিলাদ কিভাবে ভালো কাজ ?

আপনারা হাদীস নিয়ে পড়ে আছেন। কোরআনের আদেশের কি হবে? তা বলতে পারেন?
হাদীস লেখা হল মহানবী সা: এর ইন্তেকালের ৩০০-৬০০ বছর পর!
তার সত্যতা আপনার কাছে বেদতুল্য!!!!
যেখানে আমাদের নিজেদের দিকেই তাকান। স্বাদীনতার মাত্র ৪০ বছর পার হয়েছে। ইতিহাসের সথ্যাসত্যের কি বেড়াছেড়া অবস্থা! যে যার মতো বয়ান করছে। দলান্ধরা যার যার দরের মতে বিশ্বাস করছে।
তো ৩০০ বছর পরের হাদীসের হাল তবে কি?

বাদ দিন। আসুন কোরআনের হুকুমে।
আল্লাহ নিজে ফেরেশতাদের নিয়ে রাসুল সা: এর উপর দরুদ পাঠ করেন। এবং মুমিনদের আদেশ দিয়েছেন উত্তম আয়োজনে তা করতে। এটা কিভাবে পালীত হবে?
ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম। শুধু আরবের সীমাবদ্ধতার ধর্ম নয়। এবং ইসলাম যে অঞ্চলে গিয়েছে তার সাথেই এডপট করেছৈ সাবলীল ভাবে স্ব-কীয়তার সাথে আঞ্চলিকতার দারুন কম্বিনেশনে। আফ্রিকার সংস্কৃতি যেমন এশিয়ার সাথে মিলে না। অথচ বিশ্বাসে সকলেই এক। তেমনি স্বাতন্ত্রের উজ্জ্বল সংমিশ্রনে ইসলাম সব স্থানে সবকালে যুগোপযোগী হয়েই তার মহিমায় ভাস্বর।

ইয়াজিদি এবং ওহাবীরাই কেবল মিলাদের বিরোধীতা করে। এবং এর মূল কারণ ইয়াজিদি হিংসুক চেতনা। ইয়াজিদ গং চাইত নবী বংশের নামে কলংক লেপন করতে। উনার স্মরণ থেকে বিমূখ করতে বহু জাল হাদীস প্রনয়ন করেছৈ টাকা, ক্ষমতা এবং জীবনহানির ভয় দেখিয়ে। এখন সেগুলোকে গুরুত্ব দেব না কোরআনকে?
বর্তমান সউদ গং সেই ইয়াজিদি সিলসিলার অনুগামী সমর্থক। তাই পেট্রোডলারের জোরে সেই শয়াতানী ইয়াজিদি মতবাদকে আবার প্রতিষ্ঠা করতেই নবী সা: এর স্মরণ অনুষ্ঠানের বিরোধীতা করে।
এখন বাকীটা আপনার জ।ঞান এবং ঈমানের বিষয়। আপনি কি হোসাইনের পক্ষে থাকবেন। রাসূলের পক্ষে থাকবেন? না ইয়াজিদি পক্ষে থাকবেন।


২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

এক হতভাগা বলেছেন: ভাই আপনার বায়ুবীয় যুক্তির মন্তব্বের জন্য ধন্যবাদ । উত্তরে আসি .।.।.।.।।

১০০ হিজরিতে ইমাম আবু হানিফা মিলাদ পেলেন না
১৫০ হিজরিতে ঈমাম শাফী বা ঈমাম মালিকি মিলাদ পেলেন না
৩০০ হিজরিতে ঈমাম হাম্বলি এবং তারও আগে হাদিস সংকলনকারী ঈমাম গন মিলাদ পেলেন না
অবশেষে ৬০০ হিজরিতে তৎকালীন ইরাকের বাদশা মিলাদ পেয়ে গেলেন আর এটাই আপনাদের কাছে যুক্তিযুক্ত হয়ে গেলো !!!!

রাসুল (সঃ) এর প্রতি অবশ্যই দুরুদ পাঠ করতে হবে কিন্তু সেটা মিলাদের মত আয়োজন করে নয় । রাসুল (সঃ) আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে তার উদ্দেশে দুরুদ পাঠ করতে হবে । আয়োজন করে দুরুদ পাঠ করতে হবে এটা কোরআনের কোন সূরা কত নাম্বার আয়াত সেটা বললে উপকৃত হব । দলিল ছাড়া ইসলামে বায়ুবীয় কথার স্থান নাই ।

আমি এখানে মোটেই সৌদির কথা উল্লেখ করি নি । তর্কটা যদি তারাবী নামাজ কত রাকাত এটা নিয়ে হত আপনারা অবশ্যই সৌদির উদাহারন দিতেন । অন্য সব মাসালার বেলায় সৌদি নিয়ে আপনাদের এলারজি থাকে এটাই বাস্তবতা । সৌদি বড় কথা নয় কথা হলো দলিল ।।

১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: একমাত্র বিদ্রোহী ভীগু ছাড়া এই সামান্য বিষয়ে দলিল দিয়ে তর্ক করার মতো ব্লগে নাই। এই হইলো ব্লগের ইসলামিস্টদের অবস্থা। অথচ এই মিলাদের তর্ক দিয়া মাযহাবের মাজা ভাইঙ্গা দেয়ার মতো তর্ক করা যায় পক্ষে বিপক্ষে।

কি আর কইতাম! এমন অজ্ঞ মাসলম্যান দিয়া কেমনে এচলাম বাচবে!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

এক হতভাগা বলেছেন: উদাসী ভাই সবাই কেবল বায়ুবীয় যুক্তি দিচ্ছে কিন্তু কোরআন হাদিস থেকে কেউ দলিল দেখাতে পারছে না ।

১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মৌলিক পয়েন্ট আপনার কাছে বায়বীয় হয়ে গেলেতো আর আলোচনা অর্থহীন।
আহলে বায়াতের প্রতি ইয়াজিদের ইদ্বেষ বায়বীয়?
আহলে বায়াতের প্রতি প্রেম ঈমানের শর্ত -বায়বীয়?
কোরআনে আল্লাহর আদেশ ও বায়বীয়?

আসলে জানা আর না জানা এ দুইই হল পার্থক্য। মানুষ যখন অর্ধে
ক জানে বা কোন বিষয়ে অল্প জেনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তখনই সমস্যা তৈরি হয়।
ইসলাম এক বিশাল বিষয়। একজনমে এর মৌলিক বিষয়গুলো বুঝতেই যথেষ্ট নয়। বিস্তিারিততো কল্পনাতীত।
যুগে যুগে কালে কালে মনিষিগণ সে পথ রচে দিয়ে গেছেন। জ্ঞান প্রজ্ঞা এবং সাধনার মাধ্যমে
কোরআন, হাদীস, ইজমা কিয়াসের মাধ্যমে। তারপরই যে শেষ তা নয়। নব নব সময়ে নতুন নতু সমস্যা আসবে
তার জন্য ঐ চার পথই উন্মুক্ত রাখা হয়েছে যুক্তিসিদ্ধ গ্রহণযোগ্য সমাধানের জণ্য।

কিন্তু যদি গিট মেরে কেউ বসে যায় এবং নবীজি উটে চড়ে হজ্বে গেছেন এই সুন্নতকে আক্ষরিক ধরে আমলে রত হয় তখন ইসলাম এগিয়ে যাবার বদলে পিছিয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে এমনিতেই ইসলামের মুক্ত জ্ঞান এবং ব্যবহারের অনুপস্থিতিতে মুসলিম নামধারীদের ব্যবহারিক জীবনে তার প্রয়োগ কমে যাবার কারণে এক পিছিয়ে পড়া, জঙগী, ব্যাকডেটেড ধর্ম
হিসেবে পরিচিতি পাচেছ। এখণ প্রয়োজন দ্রৃুত জ্ঞান এবং বিজ্ঞানের অসীম পথে পিছিয়ে পড়া থেকে এগিয়ে যেতে ডাবল ট্রিপল স্পিডে দৌড়ানো।
দু:খজনক হলো আপনারা এখনো পড়ে আছেন আমসিপারা আর ফতোয়ার পুরানো পাতা ধরে। কবি নজরুল একশত বছর আগে যে দু:খ করে গেছেন - বিবি তালাকের ফতোয়া খোঁজে কোরআন হাদীস চষে ! তার থেকে কয় কদম আগাতে পেরেছেন?

এসব কারণে এমন পোষ সচরাচর ইগনোর করি। আজ কথা যখন হলোই- আপনি রাজি থাকলে চলুন একশত বছর পেছনেই খানিক হেটে আসি। :)

আপনি পূর্বতন শ্রদ্ধেয় ইমাম গনের নামোল্লেখ করে বলেছেন - তারা মিলাদ পাননি?
আপনার মৌখিক কথাও কি বায়বীয় নয়? আপনার মতো বলতে গেলে বলতে হয় ;)

এলোমেলো আলোচনার চেয়ে আসুন ধারাক্রম মেনে তথ্য ভিত্তিক আলাপ করি তাতে উপসংহারে পৌঁছা সহজ হবে।
যদি আপনার আপত্তি না থাকে।

মূল পয়েন্ট অব ফোকাসে আলোচনা থাকবে।
মিলাদ কি?
মিলাদে কি করা হয়?
মিলাদের সাথে প্রাসংগিক ভাবেই কিয়াম চলে আসে।
কিয়াম কি?
কিয়াম কেন করা হয়?
বিদআত কি?
ইজমা, কিয়াস ক?
ইজমা কিয়াস কি বাতিল করা হয়েছে?


২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

এক হতভাগা বলেছেন: ইয়াজেদি, ওয়াহাবি এসব বিষয় টেনে এনে আপনি সিম্পল ব্যাপারটাকে কেবল ঘোলাটে করছেন । বিদআত বিষয়ে সবাই একটা জায়গায় বুঝতে ভুল করে , এখানে বুঝতে হবে বিদআত হলো এমন ইবাদত বা আমল যা মহানবী (সঃ) নিজে কখনো করেন নি এবং সাহাবিরাও কখনো করেছেন বলে প্রমান পাওয়া যায় না এমন কাজ যদি আমরা সওয়াবের আশায় করে থাকি তাহলে সেটা বিদআত । দ্বীনের মধ্যে নতুন আমল ঢুকানো যে বিদআত সেটার একাধিক সহি হাদিস আমি পোস্টে দিয়েছি । সওয়াবের আশায় কেউ উঠে চরে না বা বিমানে উঠে না । বিমান হজ্জ পালনে সহায়ক । কিন্তু মিলাদ আমরা সওয়াবের আশায় পড়ি । রাসুল (সঃ) কখনো ব্লগ লিখেন নি তাই বলে ব্লগ লিখা বিদআত নয় কারন আমরা সওয়াবের আশায় ব্লগ লিখি না ।
মিলাদে কি করা হয়?
আপনি হয়ত এটাই বলবেন মিলাদে ত দুরুদ পড়া হয় সুতরাং খারাপ কেন হবে ?
ভাই রাসুল (সঃ) এর উপর কিভাবে আমরা দুরুদ পাঠ করব এই ব্যাপারে হাদিসে বলা আছে ।

সাহাবীরা রাসুল(সঃ) কে সম্মান দিয়ে ডাকতেন '' আসসালামুয়ালাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ্‌ '' আর আমরা মিলাদে একটু উল্টিয়ে বলি '' ইয়া নবী সালামুয়ালাইকা'' আমি হয়ত মূর্খ কিন্তু আপনি জ্ঞানী মানুষ বুঝবেন কিভাবে ডাকলে রাসুল(সঃ) কে অধিক সম্মান দেয়া হয় । আপনি ডঃ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এর বই পড়তে পারেন বুঝবেন আশা করি ।

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

মিঃ আতিক বলেছেন: আপনি নিজে(এক হতভাগা) বিদআত নন এটা শুধু কোরআন শরিফ থেকে আয়াত দিয়ে প্রমান দেন।কোন ধরনের সাইট যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।

১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই আমাদের মধ্যে ভ্রান্ত একটা ধারনা আছে যে হুজুররা সব জানে। এটা ভুল কথা। আমরা যেসব হুজুর দেখি তাদের মধ্যে অনেক ক্লাসিফিক্যাশন আছে। দাড়ি টুপি পাঞ্জাবি পায়জামা এসব আরবী পোশাক এবং বাবরী চুল ও কপালে দাগ থাকলে একজন মুসলমানের সুন্নতী রুপসজ্জার পরিপূর্নতা পায়।

এখন যে মানুষ কোরানে হাফেজ তাদের বেশীর ভাগ ভালো ক্বারী পারে না। যারা ক্বারী সম্পন্ন করেন তারা নির্দিষ্ট তফসীর পড়েন। কিন্তু এগুলোর বেশীরভাগই সহী তাফসীর নয়। আদি সহী তাফসীর ও সীরাত যেমন ক্বাথীর, হিশাম, সা’দ দেশের খুব মাদ্রাসাতেই পড়ানো হয়। বেশীর ভাগই পড়েন দেশের অনুবাদকৃত স্বঘোষিত পীর বা আলেমদের জগাখিচুড়ি মার্কা তাফসীর। সেক্ষেত্রে বেশীর ভাগ তথ্যই ভুল থাকে।

যারা আলিম পাশ করেন। তারা জরুরী নয় যে কোরানে হাফেজ তবে তারা আরবী ভাষার ওপর বিশেষ দখল রাখেন এবং কোরান ও সহী হাদিসের ওপর দখল থাকে। সমস্যা হলো তাদের সহী হাদিসের জানার পরিধি বুখারী ও মুসলিমের নির্দিষ্ট অংশ। এর াইরে ঐসব হাদিসের মুসনাদ রেয়াত চেইন বা তার পেছনের আলেমদের ব্যাখ্যা সম্পর্কে অজ্ঞাত। তার ওপর সে যদি কওমী মাদ্রাসার হয় তাহলে সে ইতিহাস ও আধুনিক শিক্ষা ব্যাবস্থা যেমন ইংলিশ অংক বিজ্ঞান সম্পর্কে অধিক ধারনা এবং শুধু মাত্র নির্দিষ্ট হাদিস গ্রন্থ ও তাফসীর। সেক্ষেত্রে আলেমী মাদ্রাসা ও ইবতেদায়ী এগিয়ে কিন্তু ইবতেদায়ী অবহেলিত বলে এসব ছাত্রদের কাছ থেকে আপনি খুব বেশী আশা করতে পারবেন না। যারা দাওরায়ে হাদিস করে আপনি তাদের কাছে কোরান ও হাদিসের পূর্ন ব্যাখ্যা পাবেন কিন্তু তারা বাস্তবজীবনের আলোকে সঠিক ইসলামী সমাধান ও ইসলামী ইতিহাসের নানা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন না। যারা দেন তারা মূলত আন্দাজে এবং এসবে বিতর্ক ও ফ্যাতনার সৃস্টি হয়। বাস্তবজীবনরে আলোকে সমাধান দিতে পারবেন যারা মুফতি, ফতোয়া দেবার যোগ্যতা রাখেন। তারা আপনাকে অর্থনীতি থেকে শুরু করে অন্যান্য বহু বিষয়ে ইসলামী বিধান বাতলাতে পারবেন। তবে তার আগে তাকে প্রমান করতে হবে যে তার সঠিক হিকমা আছে কিনা। হিকমার ব্যাপারটা অনেকটা গ্রে এরিয়া কারন কোরানে বলা আছে হিকমা অর্জন করার ক্ষমতা আল্লাহর হাতে ন্যাস্ত।

যারা ইসলামিক স্টাডিসে পিএইচডি করেন তারা আপনাকে ইসলামের সহী ইতিহাস এবং বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়কে ডিফেন্ড করতে পারেন।

আপনার প্রশ্নের উত্তর এখন বুঝতেই পারছেন কে দিতে পারবে। কথা হলো ব্লগে সেরকম মুফতি আগে ছিলো এখন নেই। তাই সবাই বায়বীয় যুক্তিই দেবে। আমি কিছু যুক্তি দিতাম পক্ষে বিপক্ষে কিন্তু আমি ইসলামোফোব, ধর্মটাকে ঘৃনা করি। তাই এসব বিষয়ে আলোচনা করতে অপারগ

১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আচ্ছা বুঝলাম আপনার কাছে সব নূতন আবিষ্কার বিদআত। আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি, কোরআন বা হাদিসের কোনখানে মিলাদ পালন না করা প্রসঙ্গে, কিংবা মিলাদ-কিয়াম করার বিপক্ষে কোন রকম নির্দেশনা দেয়া আছে কি? থাকলে সনদ সহ জানাবেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭

এক হতভাগা বলেছেন: বিদআত বিষয়ে সবাই একটা জায়গায় বুঝতে ভুল করে , এখানে বুঝতে হবে বিদআত হলো এমন ইবাদত বা আমল যা মহানবী (সঃ) নিজে কখনো করেন নি এবং সাহাবিরাও কখনো করেছেন বলে প্রমান পাওয়া যায় না এমন কাজ যদি আমরা সওয়াবের আশায় করে থাকি তাহলে সেটা বিদআত । দ্বীনের মধ্যে নতুন আমল ঢুকানো যে বিদআত সেটার একাধিক সহি হাদিস আমি পোস্টে দিয়েছি । যেটা ইবাদত নয় সেটার ব্যাপারে কোরআন হাদিসে নির্দেশনা থাকবে না এটাই ত স্বাভাবিক ।

১৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আর যারা বলতেছেন কোরানে আছে বা নাই, তাদেরকে জিগাই কলেমা শাহাদাত কোরানে কত নম্বর আয়াত এবং যাকাত নামাজ কিভাবে দেবেন এইটা কি লেখা? কবরের আজাব এইটা কোথায় লেখা কোরানে?

কোরান একটা অসম্পুর্ন গ্রন্থ তাই নবী মোহাম্মদ কোরানে নিজেই লেখছে কোরান ও তার সাথে নবীর জীবনী (হাদিস) মেনে চলতে। মিলাদ ছাড়াও আরও মেলা বিষয় আছে যেগুলো কোরানে ডাইরেক্ট নাই কিন্তু ফরজে কিফায়া ও সুন্নত ও ওয়াজিবের মর্যাদা পাইছে। এমনকি হাদিস যে শব্দ এইটাও কোরানে নাই।তাই বইলা হাদিস বাদ দিলে ইসলাম শুধুই একটা অকার্যকর অর্থহীন এলোমেলো কথা।

এখন মিলাদ বিদাআত না সুন্নত না শুধুই জায়েজ এটা আপনাদের প্রমান করতে হবে সীরাত ও হাদিসের সহী মুসনাদ দিয়ে সেক্ষেত্রে বিদ্রোহী ভৃগু যেটা বলছে যে আগের কাজ আগে সেটাও মাথায় রাখতে হবে। হুদাই তর্ক করলে ফ্যাসাদই সৃস্টি হবে। এআর১৫ কিন্তু লাইন মতোই ধরছে। তার বক্তব্য বিরোধী শিবিরের হলেও সেগুলো অকাট্য।

আর এসব ব্যাপারে আপনার আমার আলোচনাও মূল্যহীন। বর্তমানে মাযহাবের মধ্যেও অনেক ্অনুসারী চাই ফিতনা না করে সহী নিয়মে যারা এসব পালন করবে অথবা করবে না তাদেরকে সেভাবেই স্বাধীনতা দেয়া উচিত

১৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আরেকটা কথা আমাকে বলুন, আপনি যে ব্লগে লিখছেন সেটা কি বিদআত নয়?
আল্লাহ্‌র হাবীব বা কোন সাহাবা কিন্তু ইন্টারনেটে ইসলাম প্রচার করেন নাই, তাহলে আপনার এ প্রশ্ন করাটা বিদআত হয়ে গেলো না?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৪

এক হতভাগা বলেছেন: রাসুল (সঃ) কখনো ব্লগ লিখেন নি তাই বলে ব্লগ লিখা বিদআত নয় কারন আমরা সওয়াবের আশায় ব্লগ লিখি না । কিন্তু মিলাদ আমরা সওয়াবের আশায় পড়ি ইবাদত মনে করে ।

১৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: মিলাদ পালন করা যদি বিদআত হয়, তবে মিলাদুন্নবী উৎযাপন উপলক্ষে ৫০ টির ও বেশী দেশে মিলাদুন্নবী কেন উৎযাপন করা হয়? সে জন্য ওসব দেশে এ পবিত্র দিনটি সরকারী ছুটি থাকে। সাউদী আরব ও গত বছর থেকে মিলাদুন্নবী উৎযাপন উপলক্ষে সরকারি ছূটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাহলে প্রশ্ন আসে যে, আপনি কি তাঁদের কাছ থেকে ইসলামী আইন কানুন বেশী বুঝেন?
আর উনারা সবাই বিদআতি হুজুর? এঁদের মাঝে রয়েছেন, বিশ্বখ্যাত আলআজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিশ্ব বরেণ্য স্কলারগণ।

২০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: যদি মিলাদ পালন করা বিদআত হয়, তাহলে সহী সনদ সহ এরকম একটা হাদীস কোট করেন?

২১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৮

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: বাক স্বাধীনতার মানে এটা নয় যে আপনি যা ইচ্ছা তা-ই বলবেন। অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করবেন। তাঁর ধর্মকে খাটো করবেন। যে কেউ-ই নাস্তিক বা কোন ধর্মে অবিশ্বাসী হতে পারেন। সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু অতি আধুনিকতার নামে ইহুদী বা নাসারাদের মত ইসলাম ধর্মের নামে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়াবার অধিকার কারো নেই। দুঃখের বিষয় আজকাল ইসলামকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ পোষ্ট দেয়াটা একরকম ফ্যাশন বা হিরোইযম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া সত্যিকার ইতিহাস না জেনে আন্দাজি মন্তব্য করাটা ও কিন্তু কম দোষের নয়। তাই কোন পোষ্ট দেয়ার আগে নিজের ভাষাকে সংযত রাখুন। অন্যের বিশ্বাস কে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। সবাইকে ধন্যবাদ।

২২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আল্লাহ্‌র হাবীব (দরূদ) প্রতি সোমবার দিবসে সিয়াম পালন করতেন। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, সোমবার আমি জন্ম গ্রহন করেছি, সে জন্য শুকরিয়া জ্ঞাপন করতেই আমি প্রতি সোমবার রোযা রেখে থাকি। আল্লাহ্‌র রাসুল রোযা রাখার মাধ্যমে নিজের জন্মদিনের উৎসব বা মিলাদ পালন করেছন।
এবার বলুন, রাসুল স্বয়ং যে কাজ করেছেন সেটা বিদআত হয় কীভাবে??

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৬

এক হতভাগা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত । আপনি যা যা বলেছেন রাসুল(সঃ) তাই করেছেন কিন্তু আপনি ত মিলাদ পরছেন অন্য ভাবে বা আপনার কাছে এটার অর্থটাও ভিন্ন । ধরুন আপনি নতুন ফ্ল্যাট কিনলেন, ফ্ল্যাটে উঠার আগে মিলাদ দিলেন এখানে ফ্ল্যাটে উঠার সাথে রাসুল(সঃ) এর জন্মদিন পালনের কি সম্পর্ক ?

২৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: মহাগ্রন্থ আল কুরআনে রাব্বুল আলামীন নির্দেশ দিয়েছেন, লা তামশী ফিল আরদ্বি মারাহান অর্থাৎ, “তোমরা জমীনের উপরিভাগে অহংকারের সাথে চলা ফেরা করিও না। আবার আজকালকার কিছু সংখ্যক অতি বুদ্ধিমান প্রানী সম্পর্কে বলা হয়েছে, উলাইকা কাল আনাম, বাল হুম আদাল।আর সেই সকল পন্ডিতমমন্য জ্ঞান পাপীজনদের উদ্দেশ্যে আরো বলা হয়েছে, সময়ের শপথ, নিশ্চয়ই মানুষ জাতি ক্ষতিগ্রস্থ।কিন্তু যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, যারা সৎ পথে আছে এবং ধৈর্যধারণ করেছে তারা ব্যতিত। সূরা আল আসর। আবার সূরা আত্ত্বীন –এ বলা হয়েছে, ছুম্মা রাদাদনাহু আসফালা স্ফিলিন –অর্থাৎ তাদেরকে নিক্ষেপ করা হয়েছে অতি গভীর খাদে। আল কুরআনে উল্লিখিত এ লোকগুলো কারা? এখানে কিন্তু তাদের পরিচিতির চিহ্ন বা ক্রায়টেরিয়া দেয়া হয়েছে।
এবার একটা হাদীস বলি, আল্লাহ্‌র প্রিয় হাবীব (দরূদ) এরশাদ করেছেন, “”মান তাসাব্বাহা বি কাউমিন, ফাহুয়া মিনহুম। আর্থাৎ- কোন ব্যক্তি দুনিয়াতে যে ব্যক্তি বা দলের সাথে মিল বা সামঞ্জস্য রাখবে, তার হাশর তাদের সাথেই হবে।
এখন ভাবার বিষয় হচ্ছে, আপনি কি তাদের দলে গিয়ে পড়লাম নাতো?

২৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: হরকত ছাড়া যারা পবিত্র কুরআনের আয়াতে কারীমা তিলাওয়াত করতে পারে না, কিংবা ছিহাহ ছিত্তার আহাদীস যারা সনদ ও মতন সহকারে রেওয়াত করতে পারে না, ঐ সব কপি পেস্ট মার্কা গুগল মুফতি বা উইকি মুহাদ্দিসের কাছ থেকে আমার দরস নেয়ার কোন প্রয়োজন নাই। আসমাউর রিজাল কি? দিরায়েত,রেওয়ায়েত, মারফু, মওকুফ, মুরসাল, জয়ীফ, হাসান, মুতাওয়াতির, মারুফ, মওযু এগুলো কি চিনেন/জানেন?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

এক হতভাগা বলেছেন: সত্য বলেছেন ভাই , আপনার মত অধিক জ্ঞান আমার নাই । একজন মুসলিম হিসেবে নিজের ধর্মকে জানার চেষ্টা করছি মাত্র । ভুল হতেই পারে। মারফু হাদিস ত দূরের কথা আমরা যেই পদ্ধতিতে মিলাদ পড়ি সেটার সপক্ষে আপনি একটা জাল হাদিস আমাকে দিন যাতে আমি বুঝতে পারি সাহাবি এবং তাবেঈন রা মিলাদ পরেছেন । আমি জ্ঞান পিপাসু

২৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১০

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আমার নূর নবীজীকে আমি কিভাবে সম্মান জানাবো সেটার জন্য কারো কাছ থেকে অনুমতি বা নির্দেশনা নেয়ার প্রয়োজন নাই। আপনার বিদআতের ফতোয়া নিজের পকেটে রাখুন। কে চেয়েছ আপনার কাছে ফাতাওয়া? আপনি কি ফাতাওয়া দেবার যোগ্যতা রাখেন? আরে মিয়া এসব ধুন-ফুন ছাইড়া নিজের চরকায় তেল ঢালেন। আমার আমল বিদআত নাকি সুন্নত সেটা আপনার না জানলেও চলবে।।

২৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: এখন আমি যদি বলি বোখারীর হাদীস সংকলন করাটা সবচেয়ে বড় বিদায়াত? মাদ্রাসাগুলতে বোখাঁরী শরীফের পাঠদান আর ঢাক-ঢোল পিটিয়ে খতম উপলক্ষে অনুষ্ঠান করাটা বিদআত। জবাব দিন।

২৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: ১৪। আল্লাহ্‌র রাসুল ধর্ম শিক্ষা দিতেন মাসজিদে নবুবীতে, আর আজকাল শিক্ষা দেয়া হয় মাদ্রাসাগুলোতে। এটাকি বিদআত নয়? ইদানীং আমাদের মাননীয়া প্রধান মন্ত্রী দ্বারা দাওরায়ে হাদীস কে মাস্টার্স সমমান ঘোষিত করা বিদায়াত নয়?

২৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: যেখানে আপনি নিজের আসল পরিচয় গোপন রেখে আমেরিকার একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট এর ছবিকে নিজের নিক হিসাবে ব্যবহার করছেন, এটা কি প্রতারণা নয়?

২৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫০

এক হতভাগা বলেছেন: ভাই ইসমাইল দুঃখিত ভাই , আমি হয়ত বিদআতের সংজ্ঞাটাই আপনাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছি । তর্ক আপনার সাথে চলে না । ভালো থাকবেন ভাই ।

৩০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ব্যক্তিগতভাবে আমার মিলাদ খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে মসজিদের মিলাদগুলো। তবে আফসোস আমি যেতে পারিনি আজ পর্যন্ত। :((

৩১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাসুল (সঃ) কখনো ব্লগ লিখেন নি তাই বলে ব্লগ লিখা বিদআত নয় কারন আমরা সওয়াবের আশায় ব্লগ লিখি না । কিন্তু মিলাদ আমরা সওয়াবের আশায় পড়ি ইবাদত মনে করে ।

এটা সত্য নয়। আপনার এই পোষ্ট কি কারণে দিয়েছৈন? মানুষকে তথাকথিত সত্য জানানোর আশায়। সত্য জানলে কি হবে? মানুষ পূন্য কাজ করবে ভুল থেকে দূরে থাকবে। তাতে আপনার কি ফায়দা নেই। আপনি সওয়াবের আশাতেই এই ব্লগ লিখেছেন।
সো আপনি একজন বিদাতী ;)

আর মূল পয়েন্টকেই বলছেন জল ঘোলা করা। আবার বলছেন জ্ঞান পিপাসু! পুরোটাই কন্ট্রাডিক্টরি! আবার স্কিপ করছেন উদা ভাইকে!!! টোটাল হিপোক্রেসি!
ভাই, ইসলাম ইহদিনাস ছিরাতাল মুস্তাকিমের পথ। একদম সহজ সরল। জ্ঞান দিয়ে মোকাবেলা করুন। অথবা ভুল স্বীকার করে মেনে নিন। আগে বিশ্বাসের ঘর পোক্ত করুন।
আল্লাহেক কেন মানবেন? আল্লাহ কে? রাসুল কে? বায়াত কি? মুসলমান কে? ভাল ভাবে জেনে নিন।
অন্ধ আনুগত্য নিম্নস্তরের ঈমান।
বিল গায়বী ইয়াকিন, ইলমুল ইয়াকিন, আয়নাল ইয়াকিন, হাক্কাল ইয়াকিন এই চারস্তরের বিলগাইয়ে যদি বসে থাকেন বাকী তিন স্তর অধরাই রয়ে যাবে।
ভাল থাকুন।

৩২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

আমিন রবিন বলেছেন: আমি নিশ্চিত নই, শোনা কথা; মিলাদের সূত্রপাত হয় বৃটিশ ভারতে আলেমদের বিদ্রোহের পরে। সে সময় ব্রিটিশরা সারা ভারত থেকে আলেমদের খুঁজে বের করে হত্যা করছিল। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে ইসলাম তখন ভারতে হুমকির মুখে। এ অবস্থা থেকে বাঁচতে কিছু বুজুর্গ ব্যক্তি গোপনে গোপনে ধর্ম নিয়ে আলোচনা, বিশেষত তরুণদের আলোকিত করার জন্য একেক দিন একেক বাড়িতে বৈঠকের আয়োজন করতেন। উপমহাদেশীয় শিষ্টতা হিসেবেই হয়ত খানাপিনার ব্যবস্থা থাকত। সে সময়ের জন্য নিঃসন্দেহে এটা ছিল ভালো কাজ। কিন্তু এটাকে রিচ্যুয়াল বানিয়ে ফেলাটা অবশ্যই ইসলাম সম্মত নয়।
আমি আবারো বলছি, আমার কথার কোন রেফারেন্স আমার কাছে নেই। তবে আপনি আগ্রহী হলে এ নিয়ে একটু খোঁজ নিতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.