নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনা ও ধর্ম ব্যবসায় করি । সেই লাভ ........

এক হতভাগা

মূর্খ মানব

এক হতভাগা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ দেশে প্রকল্প ব্যয় কি কেবল বেড়েই যাবে ??

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

২০১৬ সালের ১লা জুন সুইজারল্যান্ডে উদ্ভোদন হয় বিশ্বের বৃহত্তম রেল টানেল God Heart টানেলের। আল্পস পর্বতের নিচ দিয়ে যাওয়া ৫৭ কিমি দীর্ঘ এই টানেল নির্মাণ শুরু হয়েছিলো ১৯৯৬ সালে। ১৯৯৬ সালেই নির্ধারণ হয়েছিলো ২০১৬ সালের ১লা জুন টানেল উদ্ভোদন হবে এবং এর নির্মাণ ব্যয় ১২০০ কোটি মার্কিন ডলার। ২০ বছর ধরে কাজ চললেও একবারও বাড়েনি টানেলের নির্মাণ ব্যয় ও উদ্ভোদনের তারিখ !!!! রাষ্ট্রীয় স্থাপনা নির্মাণে সততা, নিষ্ঠার একটি উজ্জ্বল উদাহারন বলা যায় ।
সূত্র- প্রথম আলো (৫ জুলাই ২০১৬)

আমাদের দেশে এমন কোন দৃষ্টান্ত আছে কিনা সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে । প্রতিটি প্রকল্পে কয়েকগুন ব্যয় বৃদ্ধি একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনাই বলা যায় এ দেশে । বিএনপি বা আওয়ামীলীগ দু দলই সমান পারদর্শী এই কাজে । আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে আসলেই ৪ হাজার কোটি কোন টাকা নয় ।

টঙ্গী-ভৈরববাজার সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প। এক যুগ ধরে চলছে প্রকল্পটি। ব্যয় ৭২৪ কোটি টাকা থেকে এখন ২ হাজার ১৭৫ কোটি ৯০ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।
সূত্র - নয়া দিগন্ত (২৩ জুন ২০১৮)

২০১৬ সালের মে মাসে শুরু হয় ঢাকা-খুলনা (এন-৮) মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন থেকে (ইকুরিয়া-বাবুবাজার লিংক সড়কসহ) মাওয়া পর্যন্ত এবং পাঁচ্চর-ভাঙ্গা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেনে উন্নয়ন’ প্রকল্প । ছয় হাজার ৮৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা মোট ব্যয় ধরে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির বিশেষ সংশোধনী করা হয়। বর্তমানে তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রায় ১০ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা ধরে প্রথম সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সূত্র- যুগান্তর (১৫ মার্চ ২০১৮)

২০১০ সালে নেয়া হয় ‘বরিশাল টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটকে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। ৫৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০১২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু এরই মধ্যে দু’বার মেয়াদ বাড়িয়ে, দু’গুণের বেশি ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যেও শেষ করা যায়নি কাজ। সর্বশেষ তৃতীয়বারের মতো আরও ৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা বাড়িয়ে সংশোধনী প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য আগামী একনেক বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। এতেও শেষ পর্যন্ত যদি কাজটি শেষ হয়!
সূত্র - যুগান্তর (৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৮)

এমন আরও অনেক প্রকল্প আছে যেগুলোর অবস্থা প্রায় এমনি । পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধির খবর ত এখন কোন খবরই নয় ! কারন এটা আমরা নিজেদের অর্থে করতে পেরেই তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছি ।

একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা, ঠিকাদার ও রাজনৈতিক নেতাদের পকেট কেবল ভারী হচ্ছে আর উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে নৌকার মাঝিকে চড়া মূল্য দিয়ে যাচ্ছে জনগণ ।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৫২

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: সূত্র সহ দিয়ে ভাল করেছেন।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৪

এক হতভাগা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্রকল্প শুরু হলেই যখন সবার লালা ঝরে সে প্রকল্পতে এমন হবেই। এত জ্ঞানী গুণী অডিট কমিটি থাকার পরও বছরের পর বছর এই পুকুর চুরি চলছেই। টপ টু বটম দুর্নীতি...

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৩

এক হতভাগা বলেছেন: খড়ের গাদার ভেতর মাথা ঢুকিয়ে রাখুন দেখবেন কোথাও কোন দুর্নীতি হচ্ছে না ।

৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৪

ঢাকার লোক বলেছেন: যে কোনো প্রকল্প প্রাক্কলিত ব্যায় হিসাব করার সময় কাজটা কতদিনে শেষ হবে তার সুস্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার, ডিজাইন করার সময় কনসালটেন্টগণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিযুক্তি, তাদের প্রস্তুতি সময়, নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহের সময়, নির্মাণ সময়
ইত্যাদি একত্রিত করে প্রকল্প সম্পন্নের যুক্তিসঙ্গত সময় নির্দিষ্ট করবেন এবং সময়মতো শেষ না হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত জরিমানা করার ব্যাবস্থা চুক্তিপত্রে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে . ডিজাইনের সময় দেখা যায়নি এমন কিছু বিষয় পরবর্তীতে দরকারি হয়ে যাওয়া এবং এতে নির্মাণ ব্যায় বৃদ্ধি যে কোনো বৃহৎ নির্মাণ প্রকল্পে অপ্রত্যাশিত কিছু নয়, তবে এ ধরনের বিষয় যথাসম্ভব কম রাখায় পরিদর্শণে নিযুক্ত কন্সালটেন্ট এবং/বা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে যত্নবান হতে হবে, সময়মতো শেষ হলে প্রকল্প পরিদর্শনে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, ওভারটাইম, বাসস্থান, যানবাহন ব্যাবহার খরচ: নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি জনিত অতিরিক্ত অনেক ব্যায় বাঁচানো সম্ভব ।
সর্বোপরি প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সবাইকে সৎ হতে হবে, সে বলাই বাহুল্য !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

এক হতভাগা বলেছেন: আপনার কথা গুলো কেতাবে আছে মশাই , কর্মে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর ।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:০৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: টপ টু বটম দুর্নীতিগ্রস্থ আমলা/রাজনীতিবিদদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি জাতির প্রকল্প ব্যয় নিয়ন্ত্রণের চিন্তা করাটা রীতিমতো হাস্যকর |

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: কি আর করা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় কি আর বলেন!!""

৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৪১

চাঙ্কু বলেছেন: টেবিলের নিচ দিয়ে হিসাব হলেতো এই রক হবেই!!

৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: প্রকল্পের ব্যয় বাড়ার কারন হচ্ছে- অনেককে টাকা খাওয়াতে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.