নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৩৬

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

মায়াময়ী,
আমি ধরেই নিয়েছি তুমি বেরসিকা হবে,ভালবাসি কথাটি পেটে গুরগুর করবে;তবু বোলবেনা তুমি মুখে,আমি রোজ এক চামচ করে তোমার বেরসিকা মনে মধু দেবো,আমি দেখতে চাই কতোদিন ভালবাসি না বলে থাক তে পারো।
আসলে তুমি কি জানো,তোমাকে যেদিন প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই ভালোলাগার প্রথম উপসর্গ তৈরী হয়েছিল এটা আমি অস্বীকার করব না। এই ভালো লাগার বীজ থেকেই অঙ্কুরিত হয় আমার ভালোবাসার অমূল্য রতন। কালক্রমে যা হয়ে উঠেছে রূপকথার মতো উপমিত। উপমিত আর উপমান যাই হোক না কেন একজন আমি কিন্তু এসব নীতিকথার হিসাব নিকাশ করে প্রেমের মন্দিরকে কলুষিত করি না। আমার কাছে তুমি ও তোমার মায়াময় মুখটিই প্রধান বিবেচ্য।
এই মুখটির দিকে তাকিয়ে আমি পৃথিবীর সব কিছু বিসর্জন দিতে পারি। নিজের আমিত্বকে বিলিয়ে দিতে পরি।তার জন্য পাড়ি দিতে পারে পৃথিবীর মানচিত্রের এপার ওপার। আমাকে আটকাতে পারবে না জাগতিক কোনো পরাশক্তি। সীমান্তের কাঁটা তার বা ভৌগোলিক ধরাবাধা নিয়ম। ভালোবাসার রাজ্যে আমি সকাল বিকেল বুক চিতিয়ে বলে দি হ্যা আমি তোমাকে ভালবাসি।
আসলে ভালোবাসা বিষয়টা খুব সহজ নয়।তবে তা ভীরু ও হীনম্মন্যও নয়।আমি তোমাকে যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায়, যে কোনো পরিস্থিতিতে খুঁজে নিতে পারি।এইতো সেদিন তোমাকে দেখেছি মনে করে বাসে উঠতে গিয়ে উষ্ঠা খেলাম,একদিন তো কোথায় যেন দেখে বাস থেকে নামতে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পেয়েছি।
তোমাকে আমি পেয়েছিলাম ভাসমান জগতে ফেসবুকের কৃপায়। অনেকটা জীবনানন্দের বনলতা সেনের মতো দেখতে।যে দিন তোমাকে শাড়ি পড়া দেখলাম মন থেকে যে কবিতা এসে গেল‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, মুখ তার শ্রাবন্তীর কারুকার্য,পাখির নীড়ের মতো চোখ'। আমি তোমাকে দেখে মনে মনে বলেছিলাম, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন’?

সেই থেকে আমি তোমায় এক মুহূর্ত ভুলতে পারি না। চ্যাটে বসে তোমায় না পেলে মনটা হু হু করে কেঁদে ওঠে।দেখলে হাত পা কাঁপে।চিঠি তুমি দেখলে কলিজাতে বিদ্যুৎ চমকায়।না দেখলে নিঃস্তব্ধতা কাঁদে।
নিজেকে খুব নিঃসঙ্গ মনে হয়। এই নিঃসঙ্গতার স্বরূপ কি আমি ব্যাখ্যা করতে পারি না।মন বলে উঠে তোমার রাজ্য থেকে আমায় কিছু ন্যায্যমূল্যে ত্রাণ দাও,আমি দাঁড়িয়ে আছি বুভুক্ষের মতো তোমার রুক্ষ মাটিতে।
আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের দারস্থ হই। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মিটিমিটি করে হাসে। যুক্তি তর্কের লাল সবুজ বাতি নিয়ে খেলা করে। আমাকে নিরপেক্ষ বিচারকের আসনে আমন্ত্রণ করে। কিন্তু ভালোবাসার পক্ষপাতিত্ব আমাকে জড়িয়ে ধরে।মন টা বলে জন্মই হয়েছে তোমার চারপাশে ঘুরার জন্যে আমি তোমার চারপাশেই ঘুরঘুর করতে চাই,আমার জীবন হয়েছে সাঁতার হীন মানুষের মত,আমি তোমাতেই ডুবে মরতে চাই।
তুমি আমার, শুধুই আমার। আমারই অধিকার যেখানে,সেখানে কেউ সামান্য একটা আঙুল ছোঁয়ালেও,তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘোষনা করে তবেই ক্ষান্ত হবো।তুমি যতই আমায় স্বৈরাচারী আর বখাটে ভাব আমি আজন্ম তোমাতেই মেতে রই,আমি তোমরই রবো।
তুমি কি জানো মায়াময়ী আমি বরাবরই একজন খুন হতে চেয়েছি।
আমি জানি একদিন ভয়ঙ্কর সুন্দর জ্যোছনায় আমি আমার জীবনের শেষ দিনটায় সবচেয়ে নিখুঁত আর সুন্দরভাবে খুন হবো।
খুনি টা তুমিই করো।
তুমিই নাহয় ঠিক কর তোমাকে পাবার আজন্ম তৃষ্ণায় মারবে, নাকি ঐ মায়াময়ী দৃষ্টিতে..?
ইতি
অনিকেত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.