![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.
.
.
.
.
.
.
.
যেখানে নূপুরের নিক্কন ধ্বনি হৃদয়কে ভেঙ্গেছে - শত টুকরো কাঁচের মত ,
সহস্র তীব্র রঙ্গিন রশ্মি বিচ্ছুরিত হয় সেখান থেকে , চোখ ধাঁধানো ,
অন্ধকারের জীব ছটফটিয়ে মরে , তাতে কী ? গিয়ে ঐ আস্তাকুড়ে ,
আলো সে জ্বালাময়ি অতি , বুকে বিঁধে করে ভয়ংকর বিক্ষত-ক্ষত ।
তাতে তার কী-বা আসে যায় ? দোষ তো ব্যাটা তার, যার পড়েছে ভীষম দায় ।
যেখানে উড়ন্ত কৃষ কেশ হৃদয়কে বেঁধেছে – খুনে ফাঁসির দড়ির মত ,
গলায় অস্পষ্ট গোঁগানি , দূরে ঐ একটানা গো-শকট এর চাকার ঘড়ঘড়ানি ,
যেভাবে হারিয়েছে বিশ্বাস , নিঃশ্বাসে-নিঃশ্বাসে মরা পচা শবের দূর্গন্ধ –
-ছড়ায় নির্লজ্জের এক শেষ , মরার আগেই মরেছে হাজারো-শত।
তাতে তার কী-বা আসে যায় ? দোষ তো ব্যাটা তার, যার পড়েছে ভীষম দায় ।
যেখানে ঠোঁটের বাঁকানো হাঁসি হৃদয়কে কাঁদিয়েছে – খরস্রতা রক্ত গঙ্গার মত ,
দেহের সমস্ত শিরা-ধমনি এনে শেষ করেছে পোড়া চোখে , জানিনা সে কী –
জ্বালাময়ী অজানা ধুম্রজালের বসে , টপ-টপিয়ে গড়ে পড়ে অবাধ্য ফোঁটায়-ফোঁটায় ,
জিহ্বাতে পাই খুনে নোনতা স্বাদ , নতুন নয় - আনেক দিন হল , হয়েছে গত ।
তাতে তার কী-বা আসে যায় ? দোষ তো ব্যাটা তার, যার পড়েছে ভীষম দায় ।
যেখানে কাজল আঁখি দিয়েছে হৃদয়কে ফাঁকি – মরুভূমির অচেনা মরিচিকার মত ,
সমস্ত স্বপ্ন আশা নিয়েছে শুষে , উত্তপ্ত বালি আর বালি , কিছু ক্যাকটাস –
রয়েছে না বাঁচিয়া বাঁচি , সে তো তপ্ততারই আহাজারি , ভীষন রূপ ,
অন্ধকারের সামান্য আলো যেমন বাড়ায় কালো , বিকৃত হতাশা যত ।
তাতে তার কী-বা আসে যায় ? দোষ তো ব্যাটা তার, যার পড়েছে ভীষম দায় ।
©somewhere in net ltd.