![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গন্ডমূর্খ
-কি করো?
-বই হাতে নিয়ে বসে আছি।তুমি?
-আযান দিচ্ছে এখন নামায পড়বো।তুমিও পড়ো।
-প্যান্ট অপবিত্র
-তো কি হইছে?লুঙ্গী নেই?রুমমেটের একটা পবিত্র কিছু পরে নামায টা পড়ো।
-লুঙ্গী ছিলো এখন এটা ঘর মোছার ক্ষেত্রে ব্যবহ্রত হয়।আর রুমমেট আমার থেকেও অপরিষ্কার।
-হইছে আর কারণ দেখানো লাগবে না।নামায পড়ো না কেনো?
-অলস।
-প্রতিদিন তো ঠিকই রাত জাগতে পারো তখন কষ্ট হয় না।আর ফযরের নামায টা পড়তে বলছি বাহানার শেষ নেই।
-জ্বী
-কি? নামাযটা পইড়ো
-পরকালে বিশ্বাস থাকলে ইহকালে কখনো তুমি মানবিক হতে পারবে না।
-আজাইরা কথা বন্ধ করো,নামায পড়ো
-এটা আমার কথা না,আমেরিকান সাহিত্যিক কুট র্ভনেগাট বলেছেন।
-এসব ফালতু কথা মানো কেন?
-আবার উড এলেন বলেছেন তোমাদের কাছে আমি নাস্তিক কিন্তু ঈশ্বরের কাছে আমি শুধু মাত্র একজন অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধতাকারী।
-ধুর
-ভালো আর যুক্তিমূলক কথা বললেই ধুর।
-হইছে তুমি থাকো তোমার ভালো আর যুক্তিমূলক কথা নিয়ে।আমার সাথে আর কথা বলতে আইসো না।আমাদের সম্পর্ক এখানেই শেষ।যেদিন থেকে তুমি নামায পড়া শুরু করবা সেদিন আমাদের কথা হবে।
-এসবের মানে কি?
-মানে খুবই সহজ।নামায।এই আমাকে আর বিরক্ত করবে না।
-আচ্ছা তুমি আমার কথাটা বুঝার চেষ্টা করো এত অস্থির হচ্ছো কেন?
-তোমারে না মানা করছি আমার সাথে কথা না বলতে।আমারে আর ম্যাসেজ দিবা না।আর যদি দাও তাহলে আমি যে কোনো ব্যবস্থা নিতে দ্বিধাবোধ করবো না।
-নামাযের জন্য তুমি এমন করছো?
-হুম করছি,আমি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম ঘরের সন্তান।তাই করছি।আরেকবার যদি তুমি ম্যাসেজ দাও তাহলে দেইখো আমি কি করি?
-
-
-
এভাবে একটা সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলো নামাযের জন্য।নামায,ধর্ম নিয়ে তর্ক,বিতর্ক আমার ভালো লাগে না।আমাদের দেশে এখনো কিছু কিছু ভন্ড আলেম ওলামা আছে তারা ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানে না,দেখা গেছে নামাযের দোয়াটাও ঠিক মত জানেনা।কিন্ত ইসলাম নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে,অনেক ফতোয়া দেয়।এরাই ধর্মের মধ্যে ভেদাভেদ,ফেতনা,সৃষ্টি করে।আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ।ধর্ম নিয়ে এত ভেদাভেদের কি আছে, আগে প্রকৃত মানুষ হই,মানবতা বজায় রাখি তারপর না হয় ধর্ম।
আমি পৈত্রিক সূত্রে মুসলিম।কিন্ত প্রকৃত মুসলিম না।
বি.দ্রঃনামায পড়ার চেষ্টায় আছি।সম্পর্ক টা টিকিয়ে রাখা ধরকার।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৭
সৈয়দ আহাম্মদ উপল বলেছেন: ভাই ভালো একটা কথা বলছেন।
ধন্যবাদ
২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১৪
দুর্গম পথের যাত্রী বলেছেন: যে প্রেকটিসিং মুসলিম সেই প্রকৃত মুসলিম
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৪৫
সৈয়দ আহাম্মদ উপল বলেছেন: জ্বী ভাই, ঠিক বলছেন।
কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৫
সেলিম৮৩ বলেছেন: ধর্মবিশ্বাস মানুষকে অামানবিক করে এটার ব্যখ্যা দেন।
ধর্মহীন ব্যক্তি মানবিকত হতে পারে কিন্তু চরিত্রবান হতে পারেনা।
এই দেশে বিয়েবহর্ভূত সম্পর্ককে অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে দেখলেও অামেরিকা, ইংল্যান্ডের মত দেশে সেটা অপরাধ নয়।
তাহলে, অামেরিকানদের দৃষ্টিভঙ্গি অাপনি কেন মেনে নিচ্ছিন না?
বিয়েবহর্ভূত সম্পর্ককে অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ-এটা ধর্মই মানুষকে শিখিয়েছে। কোন অামেরিকান লম্পট সাহিত্যিক শেখায়নি।
অার, চরিত্রতহীন মানুষ কখনই মানবিক হতে পারেনা। এ বিষয়ে যুক্তি-তর্ক দিতে চাইলে এখনই শুরু করুন।
একজন বেনামাজীকে হুট করেই নামাজী বানানো যায়না।
অার সম্পর্ক ছিন্ন করে, জোর খাটিয়ে মানুষকে ধর্মের দিকে ধাবিত করার চেষ্টা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচয় বহন করে।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
সৈয়দ আহাম্মদ উপল বলেছেন: মুসলিম রা পরকালের জন্যই ইবাদাত করে।ইসলামে স্পষ্ট লিখা আছে ইহকাল পরকালের কাছে কিছুই না।ইহকাল দিয়েছে শুধু পরকালের জন্য।পরকালে শান্তি,জান্নাত পেতে হলে ইহকালে ইবাদাত বন্দেগী করো।
এককথায় বলতে গেলে ইহকালে যদি পরকালে জান্নাত পাওয়ার জন্য ব্যাস্ত থাকি তাহলে মানবিক হওয়ার সুযোগ টা কোথায়?
ভাই আপনার পরের কথা গুলোর সাথেও আমি একমত।
আমিও পৈত্রিক সূত্রে মুসলিম।কিন্ত প্রকৃত মুসলিম না
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৭
সংগ্রাম দেব বলেছেন: সম্পর্কটা আর এগিয়ে নিয়েন না । নিজের মতো থাকুন । সে একজন মুসলমান হতে পারে । কিন্তু মানুষ না ।
নিজের সাথে মিলে, এমন কাউকে খুজেঁন ।