নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সব সময় সত্যি বলে যাব,,,,

আমি আমার মতো চলি,

সৈয়দ ছায়েদ আহমদ

যে যা বলুক ভাই, তাতে আমার কিছু আসে যায়না,,,,,,,,

সৈয়দ ছায়েদ আহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একরামের মৃত্যৃতে নাকি এলাকার মানুষ খুব খুশী,শক্রবার নাকি ওই এলাকায় গরু জবাই করে শিরনি হবে

২২ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৯

বুধবার মাগরিবের নামাজ পড়ার জন্য ফার্মেসিতে (প্রায়ই ওই ফার্মেসীতে বসি) বসে আমি ও ওই ফার্সেসীর মালিক অপেক্ষা করছিলম। এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করছিলাম। এক পর্যায়ে পাশেরই আরেকটি দোকানের মালিক আমাদের সাথে কথা যোগ দিলেন। কথার এক পর্যায়ে ফেনী ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামূল হক হত্যা প্রসঙ্গে কথা উঠলে তিনি দুংখ প্রকাশ করে বলে এ ঘটনাটা আরো আগে ঘটা উচিত ছিল। আমি বললাম তার প্রতি মানুষে এর ক্ষোভ কেন। তিনি এর উত্তরে বললেন মানুষের কত ক্ষোভ থাকলে এভাবে প্রতিশোধ নেই। তিনি আরো জানান, সে নিজেই ছিল একজন সন্ত্রাসী, জয়নাল হাজারী স্টিয়ারিং কমিটি সদস্য। সে নিজেই কত খুনের সাথে জড়িত। সে নাকি ১৭ বছরেই ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্রীতায়। কারণ ওই সময় জয়নাল হাজারীর ক্যাডার ছিল এবং মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে এলাকায় থোষনা দিয়ে ছিল তার বিরোদ্ধে যারা দাড়াবে তার যেন তার মতো কাফনের কাপড় নিয়ে এভাবে রাখে। তার এ ঘোষনা তখন নাকি কেউ জীবনের ঝুকি নিয়ে তার বিরোদ্ধে ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ত্রীতা করেনি। তিনি আরো বলেছেন আগামী শক্রবার ওই এলাকায় নাকি তার মৃত্যৃার আনন্দে গরু জবাই করে শিরনি হবে। একরামের মৃত্যৃতে নাকি এলাকার মানুষ খুব খুশী। এবং তিনিও ওই শিরনিতে অংশ গ্রহণ করবেন। যিনি এসব কথা বলেছেন উনার বাড়ী ফেনী এলাকায়। হাজি মানুষ, বয়স প্রায় কমবেশী ৬০ এর কাছাকাছি হবে। দীর্ঘ বছর এখানে থেকে ব্যবসা বানিজ্য করছেন। তবে বাড়ীর সাথে তার সার্বক্ষিনিক যোগাযাগ আছে। একরামূল হক যে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন সেই এলাকায় একবার চেয়ারম্যান ছিলেন ওই ব্যাক্তির শুশ্বর। তিনি আরো বলেন একরামূল হক হত্যার সাথে তার দলের নেতাকর্মী জড়িত। এটা তার পাপের ফল। ২/৩ মিনিটের মধ্যে এ পর্যন্ত কথা হয়েছিল এর মধ্যে মাগরিবের আযান শুরু হয়। আমরা কথা বন্ধ করে মসজিদ মূখী রওয়ানা হই। নামাজে যাওয়ার পথে উনার কথা বারবার মনে হচ্ছিল। বাবলাম এ কথাগুলো আমি লিখব। গতকাল ফেইজবুকে আমি এব্যাপারে কোন কিছু না বুঝে লিখেছিম আমাদের দেশে এধরনে ঘটনা দৃর্বৃত্তায়নের রাজনীতির ফসল। আমার বক্তব্য হলো এ ধরণের নৃংশ কেন যে কোন বিচার বহিভুত যেন কোন হত্যা কান্ড সমর্থন যোগ্য নয়। কিন্ত হচ্ছে, কারণ সরকারী দল বা বিরোধী দল তাদের প্রয়োজনে এ সব করছে। আইন তার নিজেস্ব গতিতে চলতে পারছেনা। সব দলই তাদের ক্ষমতার জন্য এ ধরেনর লোকদের ব্যবহার করে। তারা নেতা বানানো আগে পরিক্ষা নেই কার কত শক্তি আছে। কে কতটা খুন করেছে। কার বিরোাদ্ধে কতটা মামলা আছে। কে কতদিন জেলা খেটেছে, কে কতটা গাড়ি জ্বালিয়েছে এবং ভাংচুর করেছে। কার কত টাকা আছে। এই সমস্ত পরিক্ষায় পাশ করলে তার পর না দলীয় পদ পাওয়ার অধিকার রাখে। এরপর তারা আরো যত অন্যায় করুক,খূন খারাপি করুক তাদের কোন বিচার হবেনা , তাদের শান্তি হবে না, যদি তার সরকারী দল করে। এ কারণে মানুষে ক্ষোভ দিন দিন এভাবেই প্রকাশ পচ্ছে এবং পাবে। আবারও বলছি ক্ষমতার রাজনীতি, দৃর্বৃত্তয়নের রাজনীতিবাদ দিয়ে জনকল্যাণের রাজনীতি করুন, মানুষের অধিকারের কথা বলুন, পুলিশ,বিচারালয় সহ প্রশাসনের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনে সহযোগীতা কুরুন, দেখবেন আস্তে আস্তে এ ধরণের নৃংশ ও জগণ্য বর্বরচিত হত্যা কান্ড সহ অন্যায় অবিচার কমে আসবে। আবারও বলছি আমরা এ ধরণে জগণ্য ও নৃংশস এ হত্যা কান্ডে নিন্দা জানাই, এবং ঘটনার সাতে জড়িতদের শান্তি চাই।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৪ রাত ২:১৮

পংবাড়ী বলেছেন: ৫০০ উপজেলায় ৫০০ ডাকাত নির্বচিত হয়েছে: ২০ জন নিহত হবে; ১২০ জন জেলে যাবে।

২| ২২ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:৫০

কলাবাগান১ বলেছেন: "একরামের মৃত্যৃতে নাকি এলাকার মানুষ খুব খুশী"- এভাবে না লিখে সরাসরি বললেই পারেন যে আপনি খুশী।

এত লোক জানাজা পড়ল, তাদের কে কি জোর করে এনেছে

৩| ২২ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:১৮

মরণের আগে বলেছেন: একরামূল হক যে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন সেই এলাকায় একবার চেয়ারম্যান ছিলেন ওই ব্যাক্তির শুশ্বর।

সাক্ষাৎকার নেওয়ার আর মানুষ পাইলেন না

বিরোধীরা খালি শিরনী খাবে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.