নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সব সময় সত্যি বলে যাব,,,,

আমি আমার মতো চলি,

সৈয়দ ছায়েদ আহমদ

যে যা বলুক ভাই, তাতে আমার কিছু আসে যায়না,,,,,,,,

সৈয়দ ছায়েদ আহমদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৌলভীবাজারের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা কি অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারবেনা।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:২৮

মৌলভীবাজারের এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা কি অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হতে পারবেনা।



মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:

মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত অবহেলিত, দিনমজুর পরিবারের ছেলে মেয়েরা শত অভাব অনটন সহ নিদারুন কষ্টে লেখাপড়া করে কেউ জিপিএ-৫ সহ ভালো রিজাল্ট করেছে। শত দারিদ্র্যতায়ও দমাতে পারেনি অদম্য মেধাবী এই ছেলে মেয়েদের। কিন্ত এখনো জানেনা তারা আদ্যে কলেজে ভর্র্তি হতে পারবে কিনা।

অনেক পিতা মাতা তাদের ছেলে মেয়েদের কলেজের পড়ানো আর্থিক সংঙ্গতি না থাকায় হয়তো এখানেই ইতি টানতে হবে বলে জানান। এই পিতা মাতা ও ছেলে মেয়েরা তাদের শিক্ষাজীবন ও উচ্চ শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এই প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশের আর্থিক ভাবে সচ্ছল দানশীল,পরপকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ পারিবারিক সামাজিক মর্যাদার কারণে শত অভাব অনটন থাকার পর প্রকাশ্যে সাহায্যে কামনা করতে পারছেন না। তার মধ্যে এমনই একজন শ্রীমঙ্গল উপজেলার রাজাপুর গ্রামের জুনায়েদ আহমদ খান এর পুত্র মো.জাকারিয়া আহমদ খান। সে কাকিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীন্ন হয়েছে। একমাত্র ভুগোলে এ-মায়নাস- ছাড়া বাকী সব বিষয়ে এ প্লাস পেয়েছে। সে এবং তার পরিবার শংখিত কি ভাবে সে কলেজে ভর্তি হবে। তার এবং তার পরিবারের ইচ্ছে সে একজন বড় ডাক্তার হওয়ার।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার তিলকপুর গ্রামের মণিপুরী মুসলীম স¤প্রদায়ভুক্ত আদিবাসী দিনমজুর জয়নুল উদ্দিন ও সেহেরুন বেগমের ছেলে মেয়ে দুই ভাই বোন জিপিএ-৫ উত্তীন্ন হয়েছে। রোশনী বেগম ও মঈন উদ্দিন তাদের বাবা মায়ের সাথে তাঁতে কাপড় বুনে লেখাপড়ার খরছ চালিয়েছে। তিন সন্তানের মধ্যে ২য় রোশনী এ বছর এস,এস,সি পরীক্ষায় দয়াময় সিংহ উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছে। তার বড় ভাই মঈন উদ্দিনও একই বছর একই বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছে। এক পরিবারের দুই সন্তান একসাথে ভালো ফলাফল করায় নিজ বিদ্যালয় এবং এলাকায় আনন্দের ঢল নামলেও রোশনীদের পরিবারে ছেলেমেয়ের উচ্চশিক্ষা অর্জনে কলেজে ভর্তি হওয়া নিয়ে আশংকার বাতাস বইছে। ধলাই নদীর তীরে একটুকরো ভিটে আর ঘাম ঝরিয়ে পরিশ্রম করার শক্তি ছাড়া যাদের আর কিছুই নেই,তারা আর কষ্ট করে সন্তানদের লখাপড়া চালিয়ে যেতে চাচ্ছে না। রোশনীর বাবা জয়নুল চান মেয়েকে কোন ভাল ঘরে পাত্রস্থ করতে আর ছেলেকে মহাজনের দোকানে ঢুকিয়ে দিতে। অথচ রোশনী মঈনরা আশায় বুক বেঁধে কতো কষ্ট করে প্রতিদিন ৯/১০ঘন্টা করে লেখাপড়া করে এ ফলাফল অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় ব্রতী হতে চায় রোশনী আর মঈন হতে চায় প্রকৌশলী।

একই উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের শ্রীনাথপুর গ্রামের দিনমজুর ইরেশ শব্দকর ও দিপালী রানী শব্দকরের ছেলে শান্ত শব্দকর। কমলগঞ্জ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। ৫ম ও ৮ম শ্রেনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিলাভকারী শান্ত ভবিষ্যতে ডাক্তার হতে চাইলেও বাঁধা হয়ে দেখা দিয়েছে দারিদ্রতা। এই অসহায় দারিদ্র শিক্ষার্থী সহ পরিবারের দাবী তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকার সহ সমাজের দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন কি!।





ছবি সংযুক্ত



সৈয়দ ছায়েদ আহমদ

মৌলভীবাজার সংবাদদাতা:

০১৭১২- ৫৩ ৮৪ ১৬

৯ জুন ২০১৪ খ্রি.



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.