![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.....অজানা কে জানতে ভালোবাসি!! যা আমি জানিনা, তা আমি বলিনা! আমি যা নিজে মানিনা, তা অন্যকে নসীহত করি না!
পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায়,হাটতে হাটতে যখন ধোয়া নিচ্ছিলাম তখন হঠাৎ খেয়াল হলো যে আমি ঢাকা সিটি কলেজের সামনে। মনে পড়লো মাত্র বেশ কয়েক দিন আগের কথা!! রাস্তার ঠিক এই জায়গাটা থেকে রাত করে রিক্সা খুজছিলাম তিনজন। গন্তব্য ছিল মিরপুর এর এক এলাকা, আমাদের একজনের এর বাসস্থান। জায়গার নাম শুনে রিক্সাওয়ালারা রীতিমত অবাক হচ্ছিল! ভাড়া বেশী দিতে আমাদের তোয়াক্কা ছিল নাহ্। সমস্যা ছিল- কেউ যেতেই চাইছিল নাহ্। আমি মোটেই বাসে চড়ে যেতে রাজী ছিলাম না, এবং মোটামুটি বাকী দুই সহচরকেও এই ব্যাপারে একমত হতে সাহায্য করেছিলাম।
অনেক্ষন খোজাখুজির পর এক ভদ্রলোক রিক্সা চালক আমাদের প্রতি সদয় হয়েছিলেন। ১১০ টাকা ভাড়ায় যেতে রাজী হলেন। তিনজন উঠে পড়লাম বেশ খুশিমনেই, এই ভেবে যে অনেকটা রাস্তা তাহলে তিনজন আড্ডা দিতে দিতে পাড়ি দেয়া যাবে। রাত তখন কমপক্ষে সাড়ে দশটার কাছাকাছি, রাস্তাঘাটও বেশ ফাকা ছিল। মৃদু বাতাসে খারাপ লাগছিল না মোটেও। প্রায় আধঘন্টা 'র মতন নানা বিষয়ে আড্ডা দিতে দিতে পৌঁছলাম। রিকশাওয়ালা ভাইকে ভাড়ার সাথে আখের শরবতের বোতল ধরিয়ে দিলাম। এতে ভদ্রলোক খুশি হলেন কিনা দেখার ইচ্ছে ছিল নাহ্। বাসায় গিয়ে মিসেস হক এর সাথে কথাবার্তা হলো, ছোট আপিটা'র সাথেও খুনসুটি করলাম। খুব সম্ভবত দুইটি দিন কাটালাম আমরা তিনজন একসাথে!! সারাদিন ঘোরাঘুরি করার পর রাতে ক্লান্তি নিয়ে আবার পিএস২ নিয়ে গেইম খেলতাম। তিনজনের মধ্যে কখন যে কে ঘুমিয়ে পড়তো তা কেউই খেয়াল করতাম না!!
হায়, সময় যে খুব তাড়াতাড়িই গড়িয়ে গেলো!! রাত ১০:০০ টার পর ব্যস্ত হতে হলো জোনায়েতের প্যাকিং এ সাহায্য করতে। আজ রাতটা আর গেইম খেলে বা আড্ডা দিয়ে কাটানোর সুযোগ নেই। ঘুমানোরও সময় নেই। কাল ভোর ৬ টায় গাল্ফ এয়ারের ফ্লাইট। যেতে হবে আমাদেরই একজনের। যার অভাব হয়তো এখন আমি জীবনে ক্ষণে ক্ষণে অনুভব করছি। রাত প্রায় সাড়ে বারোতে প্যাকিং কমপ্লিট! বাইরে গাড়ি অপেক্ষায়। ব্যাগগুলো টেনে গাড়ির পেছনে উঠালাম। মিসেস হক্, ছোট আপি পিঙ্কি, ওর হাসবেন্ড রানা ভাইয়া আর আমার সর্বকালের বেস্ট ফ্রেন্ড_ _ _ _ _
জোনায়েত!! তার সাথে আমি আর লরেন্স উঠে বসলাম গাড়িতে। এয়ারপোর্টের দিকে যখন ধীর গতিতে গাড়ি ছুটছিল তখন তার সাথে সেই পুরনো দিনের কিছু কথা বলতে লাগলাম। একেবারেই শুরুর কথা। যেখান থেকে বন্ধুত্বের এই সম্পর্কের সূচনা। মিনিট কয়েক পরই এয়ারপোর্টে!! এত তাড়াতাড়ি?!! Sad
ভেতরে যতটুক পর্যন্ত ভিজিটরদের যাওয়া যায় গিয়েছিলাম। হয়তো, অপলক দৃষ্টিতে দেখছিলাম ধীরে ধীরে তার গেইট এর দিকে অগ্রসর হওয়া। হঠাৎ-ই সে মিশে গেল বাতাসে!! বিদায় জানালাম, হয়তো হাসিমুখে!!
আমার জীবনের প্রতিটি কাজে, চিন্তায়, পুরনো স্মৃতিতে প্রায়ই কারো অভাব বোধ হয়। জানতে চাই না সে কে!! কারন, হৃদয়ের গভীরে কিছু একটা প্রতিনিয়তই জানান দিচ্ছে কার অনুপুস্থিতি মাঝে মাঝে কিছুটা ইমোশনাল করে তোলে আমায়!!!! smile :-)
©somewhere in net ltd.