নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস আমি...

শ্বাস-প্রশ্বাসে স্বাধীনতা, চিন্তায় মানবতা...

মোহাম্মাদ আবু সাইদ

.....অজানা কে জানতে ভালোবাসি!! যা আমি জানিনা, তা আমি বলিনা! আমি যা নিজে মানিনা, তা অন্যকে নসীহত করি না!

মোহাম্মাদ আবু সাইদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মে এত মতভেদ কেন?? কেন বিভ্রান্তি?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ইসলাম নিয়ে কেন এত বিভ্রান্তি?

একদল বলে ঐটা ঠিক না, এইটা পালন কর। আরেক দল বলে ওরা ভুল পথে যাচ্ছে, এটা অনুসরন করো...

কেন? ইসলাম নিয়ে কেন আমাদের মাঝে এত বিভ্রান্তি? কেন এত জটিলতা? কোনটা ছেড়ে কোনটা মানবো?



আরে ভাই! সল্যুশান হিসেবে বিদায়ী হজ্বের ভাষণে প্রোফেট মুহাম্মদ(সাঃ) বলে গেছেন, “দুটি জিনিস আঁকড়ে থাকলে তোমরা কখনোই বিভ্রান্ত/পথভ্রষ্ট হবে না। এক কুরআন আর দুই আমার সুন্নতসমূহ।”



আমার মতে, কুরআন-হাদিস অনুসরন করে চলাটাই আমাদের একমাত্র করনীয়। এতে মুসলিমদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আমাদের উপর মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা অনেক অনেক অনেক দয়া করেছেন। পূর্ববর্তী নবী-রাসূলেরা যেই মুহাম্মদ(সাঃ) এর উম্মত না হতে পেরে আক্ষেপ করেছে আমরা সেই মুহাম্মদ(সাঃ) এর উম্মত।

এরপরও যদি, আমরা বিভ্রান্ত হই পথভ্রষ্ট হই তাহলে এই শাস্তি আমাদেরই ভোগ করতে হবে...



[লেখক একজন ম্যাঙ্গো মুসলিম, পোস্টে তথ্য বিকৃতি দেখা দিলে অবশ্যই দেখিয়ে দেয়ার অনুরোধ করছি]

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আমার মতে, কুরআন-হাদিস অনুসরন করে চলাটাই আমাদের একমাত্র করনীয়। এতে মুসলিমদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ, পরিবেশ বন্ধু!

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬

লজিক মানুষ বলেছেন: এ বিষয়ে কিছু বলতে তো ভয় করে। তাউ বলছি, কেউ মাইন্ড কইরেন না।

আমাদের দেশের সিংহভাগ মানুষ নিজের ধর্ম পালন করুক বা না করুক অন্যের ধর্মের ক্ষুত ধরতে দ্বিধা করে না।

চোখের সামনে যা দেখি তাই বল্লাম, আবার বলছি, মাইন্ড করলে আমি দায়ী নই।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: একেবারে খাটি কথা বলেছেন, লজিক মানুষ। এদেশে এমনটাই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়ায়। রোগীর চেয়ে ডাক্তারের সংখ্যা সবসময়ই বেশি দেখা যায়। ;) মূল সমস্যাটাই এখানে....
প্রত্যেকেই অন্যের ভুল ধরে যাচ্ছে যার ফলে আমাদের ম্যাঙ্গো মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক কনফিউশান কাজ করে যে আমরা এইটা বা ঐটা করবো কি করবো না!

কিন্তু, ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করলে দেখা যায় সল্যুশান দেয়াই আছে।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৮

বীরেনদ্র বলেছেন: The reason can be - Religion is perhaps not the most important thing for most of the individuals. Where some sort of interest comes into play nobody bothers and should not bother about religion.

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাইজান।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৩

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সকল ধর্মেই কিছু কিছু মতভেদ আছে। তবে সকল ধর্মেই মৌলিক বিষয়ে কোন মতভেদ নেই।কোরান হাদীস নিয়েও মতভেদ নেই।ধর্ম পালনের পন্থা নিয়ে এবং সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নেই এমন বিষয়েই মতভেদ থাকে। মুসলমানদের মধ্যে যেমন শিয়া-সুন্নী মতভেদ আছে তেমনি খ্রীস্ট ধর্মে ক্যাথলিক, প্রোটেস্ট্যান্ট, অর্থডক্স ইত্যাদি ভাগ আছে। বৌদ্ধ ধর্মে আছে হীনযান আর মহাযান পন্থা। হিন্দু ধর্মে মূল ধারার পাশাপাশি ব্রাক্ষ্ম মতবাদ, বৈষ্ণববাদ এরকম ধারা আছে। আবার রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের অনুসারী আছেন। বাঙালী হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। ভারতের বাকী অংশে প্রধান ধর্মীয় উৎসব কালী পূজা।এগুলো গুরুতর বিষয় নয়।যারা এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা বদমতলবে প্রশ্ন তোলে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৪

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কামাল ভাই।
ভেদাভেদটাকে বড় করে দেখানোর মূল কারণ নিজেদের মধ্যে সংঘাত জন্ম দেয়া। এটা খুবই নিন্দনীয় ও জঘন্য কাজ।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

আশমএরশাদ বলেছেন: যত বিভ্রান্তি সেটা হলো হাদিসের কারণে-
আসলে হাদিস সংকলন হয়েছিল প্রায় ১৪০ বছর পরে যার কারণে অনেক অনেক জাল হাদিস এখনো অনেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশ করে।
যেমন শবে বরাত নিয়ে হাদিস।
যেমন আগে বলা হতো স্বামীর পায়ের নীচে বেহেস্ত - বর্তমান হাদিস গবেষকরা এই ধরণের হাদিসের অস্থিত্ব খুঁজে পাননি।
সালাতুস তছবি নামের কোন নামাজের কথা নবিজী বলেন নি - কোন ভালো সুত্র সেটা বলেনও নি কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশে এই নামজের ব্যাপারে বলা হয় জীবনে একবার হলেও এই নামাজ পড়তে হবে।

এর বাইরে হাদিস নেরেটর বিষয়েও নানা কথা প্রচলিত - যেমন আবু হুরায়রার বর্ণিত হাদিস বিষয়ে বিপক্ষ গুষ্টি একটি তথ্য দিয়ে থাকেন- আর তা হলো-

সুন্নী মাযহাবের বিভিন্ন গ্রন্থে তার হতে ৫৩৭৪টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে আবু বকর, উমর, উসমান, আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), মহানবী (স.) এর নয়জন স্ত্রী (রা.), বনি হাশিম এবং মহানবী (স.) এর আত্মীয়-স্বজন হতে বর্ণিত হাদীস সমূহ একদিকে এবং আবু হুরাইরা হতে বর্ণিত হাদীস সমূহ অপরদিকে!

সুন্নী ভাইদের বর্ণনা অনুযায়ী আবু বকর ২৩ বছর মহানবী (স.) এর সাথে ছিলেন এবং আবু হুরাইরা মাত্র ২১ মাস (এক বছর ৯ মাস) মহানবী (স.) এর সাথে ছিল। আবু বকর উল্লিখিত দীর্ঘ সময়কালে হযরত মহানবী (স.) হতে মাত্র ১৪২টি হাদীস বর্ণনা করেছেন কিন্তু আবু হুরাইরা উক্ত অল্প সময়ে ৫৩৭৪টি হাদীস তাঁর (স.) হতে বর্ণনা করেছে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: এগুলাই তো জটিলতা সৃষ্টি করছে। এরকম সাংঘর্ষিক তথ্যের কারনে আমরা ম্যাঙ্গো মুসলিমরা বিভ্রান্ত.... :(

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬

তা্নভীর মোরশেদ বলেছেন: ভাল কথা ।
এ বিষয়ে কিছু লেখা বা কোন মন্তব্য করা কঠিন । কারন আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধর্মশিক্ষার সুযোগ কম । পারিবারিকভাবে যা শেখানো হয় তা হোল নামাজ-রোজা করা আর কোরান শরীফ তেলাওয়াত (তোতা পাখির মতন!)।

যে বইটি সমগ্র জীবনের জন্য ম্যানুয়াল তার মর্মার্থ না জেনেই মরতে হয় অধিকাংশের । কারন আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা এবং রাষ্ট্রীয় চেতনায় অসাম্প্রদায়িকতার বাতাস বইছে ।

অসাম্প্রদায়িকতার ধূয়া তুলে ইসলাম ধর্মশিক্ষা একরকম কোনঠাসা করে রেখেছে একটা অপশক্তি । অন্যদিকে বিভিন্ন মাধ্যমে-র সহযোগীতায় আমাদের সংষ্কৃতিতে এবং জীবনাচারে অনৈসলামিক কর্মকান্ড গেঁথে দেয়া হচ্ছে । আবার ইসলাম ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করার সকল আয়োজন ঢাকঢোল পিটিয়ে করে যাচ্ছে ।

বিদায় হজ্জ্বের ভাষনটুকু মেনে চললে এর থেকে মুক্তি আসবে ।
” কোরান পড়ুন, অর্থ বুঝুন, জীবন যাপনে অনুসরন করুন ।”

ধন্যবাদ লেখককে ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫০

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: তানভীর ভাইকে অনেক ধন্যবাদ। মন্তব্যটির প্রতিটি লাইন সত্য এবং হয়তো কারো কারো কাছে এগুলো অপ্রিয় সত্য।

"আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় ধর্মশিক্ষার সুযোগ কম । পারিবারিকভাবে যা শেখানো হয় তা হোল নামাজ-রোজা করা আর কোরান শরীফ তেলাওয়াত (তোতা পাখির মতন!)।"

আবারও তানভীর ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পোস্টে তার মুল্যবান এবং প্রাসঙ্গিক মন্তব্যের জন্য। :)

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

ছািব্বর বলেছেন: আপনি সব মানুষের চাইতে মুসলমানদের অধিক শত্রু ইহুদী ও মুশরেকদেরকে পাবেন " । এত মতবাদ কাফিরেরা মুসলমান নামধারী মুনাফিক দিয়ে করেছে যাতে মুসলমান একসাথ না থাকতে পারে ।
আবুবকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর পুরা জিন্দেগি গেছে সুন্নত অনুসরন করতে । আর উনি যেহেতু খলিফা ছিলেন সেহেতু খিলাফত নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। পতবর্তি খলিফাদের একই অবস্থা ।

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: একমত। তত্থ্যবহুল মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ছাব্বির ভাই।

৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ধর্ম, রেলিজিয়ন, আহ্ খুবই স্মৃতিকাতর সময়।

বিদায় জানাবার সময় হয়েছে।

অনেক ভালো কিছুকেই ধরে রাখা যায় না।

সময় বড় নির্মম।

এক দশক সময় নেবে।

৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

মোহাম্মাদ আবু সাইদ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.