নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক
আপনার মুখের উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ বোমার চেয়েও শক্তিশালী।
ফিলিস্তিনে গত দুই সপ্তাহের অধিক সময় ধরে অবিরাম বোমা বর্ষণ করে বেসামরিক নাগরিকদের পাইকারি হারে হত্যা করা হচ্ছে।আমাদের কিছু করবার নেই, এই সময়ের মানুষ হয়ে এমন ভাববার কোন সুযোগ নেই।সব সময়ই আমাদের কিছু না কিছু করবার আছে।বৈশ্বিক ক্ষমতা সম্পর্কের প্রান্তে অবস্থানকালে নিজের জীবদ্দশায় চলমান গণহত্যার সাক্ষী হয়ে মনে হতে পারে আমাদের তেমন কিছু করবার নেই। ভয়ের সংস্কৃতিতে এক ধরনের নৈরাশ্য চেপে বসতে পারে, - ঠিক এটাই বৈশ্বিক ক্ষমতার খেলোয়াড়দের কাম্য।জনগণের মধ্যে নৈরাশ্য নিপীড়কের জন্যে বিজয়ের স্থায়িত্বের সুসংবাদ। নীরব দর্শকের অবস্থান সম্পূর্ণ উল্টে যেতে পারে, যদি দর্শক থেকে আমরা সক্রিয় সাক্ষী হওয়ার প্রস্তুতি নিতে শিখি এবং গণহত্যার সক্রিয় সাক্ষ্য দিতে শুরু করি।এই দায়িত্ব যদি গভীরভাবে নিতে আগ্রহী হই, তার উপায় ও কৌশল কি হতে পারে?
আমার পর্যবেক্ষণে সক্রিয় সাক্ষী হওয়ার উপায়ঃ
প্রথমতঃ বলবেন না, আমি ফিলিস্তিনে কি হচ্ছে জানিনা, কিংবা বুঝি না। জানা-বোঝা আপনার জন্যে ফরজ।ফিলিস্তিনে কি হচ্ছে তা না জানার অর্থ একভাবে আপনি আপনার অজ্ঞতা ও মূর্খতা দিয়ে এই জাতিগত শুদ্ধিকরণকে জারী রাখতে অবদান রাখছেন।সক্রিয় সাক্ষী হতে হলে আপনাকে আধুনিক জমানার ৭৫ বছর ধরে চলা এই দীর্ঘ ও গভীর সংকটকে আগাপাশ তোলা জেনেবুঝে ঘরে ঘরে নিজেকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে শানিত করে তৈরি করতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ জায়নবাদ এবং ইহুদীবাদের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য করতে শিখতে হবে। জায়নবাদের ধ্বংসাত্মক ও বিষাক্ত দিকগুলো জেনে বুঝে যেমন প্রতিরোধ করতে হবে, তেমনি একই সাথে ইহুদিবাদী ধর্ম, জীবনধারার প্রতি সম্মান বজায় রাখতে হবে।দুনিয়ার বুকে ইহুদী সম্প্রদায়েরও আর সকল মানব সম্প্রদায়ের মত নিশ্চিন্তে এবং নিরাপদভাবে টিকে থাকবার এবং বিকশিত হওয়ার পরিস্থিতিতে সামিল হতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে।
তৃতীয়তঃ ইউরোপের কুখ্যাত হলোকাস্ট এবং ইউরোপে ইহুদী জাতির প্রতি বিদ্বেষ যথা অ্যান্টি-সেমিটিজম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হবে।অ্যান্টি-সেমিটিজম সম্পূর্ণ পরিত্যাজ্য করতে হবে। জার্মান নাৎসিদের সৃষ্ট মহাঅনৈতিক ইহুদীনিধনযজ্ঞকে জ্ঞান-প্রজ্ঞা-করুণার সাথে জেনে-বুঝে ইহুদী জাতির টিকে থাকা ও বিকাশের অধিকার কায়েম করতে হবে।
চতুর্থতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরাইলের সম্পর্কের গাঁটছড়া বিশ্বরাজনীতির এক কেন্দ্রীয় স্থান হিসাবে জানা-বোঝা চালিয়ে যেতে হবে।
অক্টোবর ২৭, ২০২৩
উইস্কন্সিন, যুক্তরাষ্ট্র
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত পোষণ করছি
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:১১
কামাল১৮ বলেছেন: যুদ্ধটা মনে হয় ইউক্রেন যুদ্ধের মতো স্থায়ী হয়ে যাবে।একদিকে ন্যাটো অন্যদিকে চীন,রাশিয়া,ইরান।দ্বিতীয় একটা ফ্রন্ট খোলা হতে পারে।আলামত অনেকটা তেমন মনে হয়।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
উইসকনসিনে কি পরিমাণ ইহুদী আছে? আপনি ওদেরকে দেখলে বুঝতে পারেন, কোনটা যাইওনিষ্ট, কোনটা নন-যাইোনিষ্ট?
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি যদি কোন যাইওনিষ্ট ইহুদীকে চিনে থাকি, তাকে আমাার কি করা উচিত?
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৫
সোনাগাজী বলেছেন:
া
ইসরায়েলের সেনা বাহিনীতে কি পরিমাণ সৈনিক যাইওনিষ্ট ও কি পরিমাণ নন-যাইওনিষ্ট? সক্রিয় সাক্ষী হওয়ার জন্য ঢাকার ব্লগারদের কি উপদেশ দিবেন?
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: কেয়ামতের আগেই বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে।
এক দেশ আরেক দেশের সাথে যুদ্ধ করবে। এভাবে কেউ টিকে থাকবে না।
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি একটু "সক্রিয় ব্লগার" হোন; কচ্চপের ডিম পাড়ার মতো পোষ্ট দিয়ে উদাও; এদিকে ব্লগারদের বলছেন সক্রিয় সাক্ষী হতে।
৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:২৮
আমি নই বলেছেন: জায়নিষ্ট ইহুদিগুলাই বদের হাড্ডি, অর্থডক্স ইহুদিরা শান্তি কামি। এই ব্লগের অনেকে জুডাইজম আর জায়ানিজম এর পার্থক্যই জানেনা।
পোস্টের সাথে একমত।
১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত, আরেকটু বিস্তারিত লিখলে বিষয়টি আরও ক্লিয়ার হত।
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২০
বাউন্ডেলে বলেছেন: সাধারন মানুষের এতো ইজম-টিজম নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নাই । তারা চায় অস্ত্রধারীরা মরে ভুত হয়ে যাক। কিন্তু নারী-শিশু-নিরস্ত্র সাধারন মানুষ হত্যার কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বিচার গনহত্যা বন্ধ করতে হবে।
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:২১
মহানব্যক্তি বলেছেন: বাউন্ডেলে বলেছেন: ........কিন্তু নারী-শিশু-নিরস্ত্র সাধারন মানুষ হত্যার কঠোর বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্বিচার গনহত্যা বন্ধ করতে হবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী এবংশিশুদের হত্যা করেছিলেন :
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৩০. রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণ এবং নারী ও শিশুদের নিধন প্রসঙ্গ
১/২৮৩৯। সাব’ ইবনে জাস্সামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাতের বেলা মুশরিকদের মহল্লায় অতর্কিত আক্রমণ প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলো, যাতে নারী ও শিশু নিহত হয়। তিনি বলেনঃ তারাও (নারী ও শিশু) তাদের অন্তর্ভুক্ত।
সহীহুল বুখারী ৩০১৩, মুসলিম ১৭৪৫, তিরমিযী ১৫৭০, আবূ দাউদ ২৬৭২, ৩০৮৩, ৩০৮৪, আহমাদ ২৭৯০২, সহীহ আবু দাউদ ২৩৯৭।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সা‘ব ইবনু জাসসামাহ লায়সী (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান ইবনু মাজাহ ১৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد) 18/ The Chapters on Jihad
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের আঁধারে সাধারণ লোকদের হত্যা করেছিলেন :
২/২৮৪০। সালামা ইবনুল আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আবূ বকর (রাঃ) এর সাথে হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। আমরা ফাযারা গোত্রের পানির উৎসে পৌঁছে সেখানে রাত কাটাই। ভোর হলে আমরা তাদেরকে অতর্কিতে আক্রমণ করলাম। অতঃপর আমরা পানির মালিকদের নিকট এসে তাদেরকে আক্রমণ করে তাদের নয় অথবা সাত ঘর লোককে হত্যা করি।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাঃ) পুনঃনিরীক্ষণঃ সুনান ইবনু মাজাহ ১৮/ জিহাদ (كتاب الجهاد) 18/ The Chapters on Jihad
আমি যতই অর্থ সহ আল কুরআন এবং সহিহ হাদিস পড়ি ,ততই ইমানহারা হই।
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৭
বাউন্ডেলে বলেছেন: মহানব্যক্তি বলেছেন:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী এবংশিশুদের হত্যা করেছিলেন :
পরিচ্ছেদঃ ১৮/৩০. রাতের বেলা অতর্কিত আক্রমণ এবং নারী ও শিশুদের নিধন প্রসঙ্গ
এ ধরনের অসংখ্য জাল হাদিস ক্রসেডাররা তৈরী করে গোটা দুনিয়ায় ছড়িয়েছে এবং ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাপক বাজার পেয়েছে। কতিপয় মুসলিম নামক মোনাফেক এই হাদিস গুলি টাকার বিনিময়ে প্রচার করছে।
১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২
সায়েমার ব্লগ বলেছেন: আপনাদের সকলের মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ! ফিলিস্তিনের জনগণ মুক্তি লাভ করুক!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভেরী গুড।