নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক
১৯৭১ সালে ধর্ষিত নারী, বন্ধ্যাত্ব, পৌনঃপুনিক রোগ ও গর্ভপাত সম্বন্ধে ১৯৭২-এ অস্ট্রেলীয় গর্ভপাত বিশেষজ্ঞ ডা. জেফ্রির সাক্ষ্যঃ
দখলদার আমলে পাকিস্তানী সেনা কর্তৃক ধর্ষিত বাংলাদেশের মহিলাদের একটা বিরাট অংশ বন্ধ্যাত্ব ও পৌনঃপুনিক রোগের সম্মুখীন হয়েছে বলে একজন অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক মত প্রকাশ করেছেন।তৎকালীন সময়ে সিডনীর প্রখ্যাত শৈল চিকিৎসক ডা. জেফ্রি ডেভিস লন্ডনে বলেন যে, নয় মাসের যুদ্ধে পাক-বাহিনীদের দ্বারা ধর্ষিতা ৪ লাখ মহিলার বেশীরভাগই সিফিলিস অথবা গনোরিয়া কিংবা উভয় ধরনের রোগের শিকার হয়েছেন। এদের অধিকাংশ ইতোমধ্যেই ভ্রণহত্যাজনিত অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। তিনি বলেন যে, এরা বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারেন কিংবা বাকী জীবনভর বারংবার রোগে ভুগতে পারেন। ডা. ডেভিস বলেন, বাংলাদেশে কোনো সাহায্য এসে পৌঁছবার আগেই পাকিস্তানী সৈন্যদের ধর্ষণের ফলে ২ লাখ অন্তঃসত্ত্বা মহিলার সংখ্যাগরিষ্ঠাংশ স্থানীয় গ্রামীণ ধাত্রী বা হাতুড়ে ডাক্তারের সাহায্যে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। তিনি বলেন যে, ক্লিনিক্যাল দিক থেকে গর্ভপাত কর্মসূচী সমাপ্ত হয়েছে, কিন্তু মহিলাদের কঠিন সমস্যা এখনো রয়ে গেছে।...[ছাপা অস্পষ্ট ] আনুমানিক সংখ্যা ২ লাখ। ডা. ডেভিসের মতে এই সংখ্যা অনেক কম করে অনুমান করা হয়েছে। তিনি মনে করেন এই সংখ্যা ৪ লাখ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজারের মধ্যে হতে পারে।ডা. ডেভিস বলেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের সংখ্যাই ২ লাখ। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের সাহায্য সংক্রান্ত কর্মসূচী শুরু হবার আগেই দেড় লাখ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার মহিলা গর্ভপাত করেছেন। অবশিষ্ট ৩০ হাজারের মধ্যে কেউ কেউ আত্মহত্যা করেছেন, কেউ কেউ তাদের শিশুদের নিজের কাছে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের প্রায় ১ হাজার ডাক্তারের উদ্দেশ্যে ডা. ডেভিস গর্ভপাতের টেকনিক সম্বন্ধে বক্তৃতা দেন। ডা. ডেভিস বলেন, এইসব অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের গর্ভপাত আইনসম্মত করার জন্যে সরকার বিশেষ ক্ষমতা প্রবর্তন করেছেন বলে অধিকাংশ বাঙালি ডাক্তারই বিশ্বাস করেনি। গর্ভপাত ঘটানো আগে অবৈধ ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অফিস কর্তৃক বারবার আশ্বস্ত হওয়া সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্থ মহিলাদের দ্রুত অবনতিশীল সমস্যার সমাধানে সাহায্য করার চাইতে বাঙালি ডাক্তাররা নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার ব্যাপারে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলেন।ডা. ডেভিস বলেন ...[ ছাপা অস্পষ্ট] জেলাওয়ারী হিসেব করেছেন। সারাদেশে ৪৮০ টি থানা ২৭০ দিন পাক সেনাদের দখলে ছিল। প্রতিদিন গড়ে ২ জন করে নিখোঁজ মহিলার সংখ্যা অনুসারে লাঞ্ছিত মহিলার সংখ্যা দাঁড়ায় ২ লাখ। এই সংখ্যা চূড়ান্ত বলে নির্ভুলরূপে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু হানাদার বাহিনী গ্রামে গ্রামে হানা দেবার সময় যেসব তরুণীকে ধর্ষণ করেছে তার হিসাব রক্ষণে সরকারি রেকর্ড ব্যর্থ হয়েছে। পৌণঃপুনিক লালসা চরিতার্থ করার জনে হানাদার বাহিনী অনেক তরুণীকে তাদের শিবিরে নিয়ে যায়। এসব রক্ষিত তরুণীদের অন্তঃসত্ত্বার লক্ষণ কিংবা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তাদের পরিত্যাগ করা হয়েছে, নয় তো হত্যা করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের His-Story
ইজ্জত ও লজ্জা
-সায়েমা খাতুন
২০১৫ এ প্রকাশিত গ্রন্থ থেকে
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭
নতুন বলেছেন: এখন তো কিছু মানুষ বলবে মাত্র ২ জন ধর্ষিত হয়েছিলো কারন মেজর ডালিম বলেছেন।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: ডালিম একটা খুনী। একজন খুনীর কথায় ইতিহাস বদলে যাবে না।
পাকিস্তান আজও আমাদের ক্ষতি চায়। এমনকি ক্ষতির জন্য উঠেপরে লেগেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাগলদের ব্যবহার করছে পাকিরা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৬
লুধুয়া বলেছেন: এরপরে ও কিছু ব্লগার পাকিস্তানি দের ভাই মনে করে