![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবিকার সন্ধানে ঘর ছাড়ি, ফিরে আসি ভালবাসার টানে। অবিরাম, ক্লান্তিহীন ছুটে চলা আমার। পাব বলে কত কি যে পাইনি সে হিসেব আজও মিললোনা.........
এটা একটা সত্য ঘটনা এবং যা এখনো চলমান....................
শুরুটা ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১৪ইং তারিখ রাত ১১:৩০ মিনিটের সময় টেলিভিশনের সংবাদ দিয়ে- একটা ফুটফুটে মেয়ে নবজাতক শিশুকে (বয়স আনুমানিক ২১ দিন) র্যাব-০৩ উদ্ধার করেছে এবং শিশু পাচারকারী দলের চার (০৪) জন মহিলা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাচ্চাটাকে দেখে অন্তরটা কেঁপে উঠল। মাত্র পাঁচ (৫) মাস আগে আমি আমার বহু কাঙ্খিত একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়েছি। জন্মের ৯ম দিনেই সৃষ্টিকর্তা আমার সন্তানটিকে তাঁর কাছে নিয়ে গেছেন। শোকে পাথর হয়ে গিয়েছি আমরা। হঠাৎ টেলিভিশনে দেখানো শিশুটির সাথে আমার সন্তানের যেন মিল খুঁজে পেলাম। আমার স্বামীকে বিষয়টি বলা মাত্রই তিনি র্যাব-০৩ এর টিকাটুলিস্থ কার্যালয়ে রাত আনুমানিক ১২:৪৫ মিনিটে উপস্থিত হলেন। সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি লালবাগ থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি তৎক্ষনাৎ লালবাগ থানার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন, রাত তখন আনুমানিক ১:৩০ মিনিট (১৬ই ডিসেম্বর ২০১৪ইং)।
এমতাবস্থায় দু'জনই সিদ্ধান্ত নিলাম, শিশুটিকে তার অধিকার ফিরিয়ে দিব, তাকে আমাদের সন্তান হিসেবে বড় করব। র্যাব, পুলিশ উভয়ই আমাদের জানালেন যে, একমাত্র মহামান্য আদালতের মাধ্যমেই আইনগতভাবে শিশুটিকে আপনারা পেতে পারেন। তারা সবাই আমাদের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানালেন এবং সকল প্রকার সহায়তার আশ্বাস দিলেন।
তাদের দেখানো পথেই হাঁটা শুরু করলাম। একদিন, দু'দিন করে পুরোটা মাস থানা ও সিএমএম কোর্টে দৌড়াতে দৌড়াতে দু'জনের অবস্থাই শোচনীয়। নিজেদের কর্মক্ষেত্র ও সংসার সককিছু ঠেলে একদিকে সরিয়ে দিয়ে শিশুটিকে পাওয়ার আশায় ছুটছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটি যতদিন ছিল ততদিনের ভরন-পোষনও আমরা দিয়েছি। নিয়মানুযায়ী এরপর শিশুটি চলে গেল সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে "ছোটমনি শিশু নিবাস" -এ। সেখানকার উপ-তত্ত্বাবধায়ক জনাবা ফেরদৌসী আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানালেন যে, একমাত্র আদালতের রায় নিয়ে এলেই তিনি শিশুটিকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করবেন।
অত:পর মহামান্য আদালতের ৫-৬টি শুনানী ও দীর্ঘ যাচাই বাছাইয়ের পর গত ১২ই জানুয়ারী ২০১৫ইং তারিখে শিশুটিকে আদলতে হাজির সাপেক্ষে আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। সিএমএম কোর্টের বারান্দায় যখন শিশুটিকে আমরা কোলে তুলে নিলাম তখন মনে হল আমার সন্তানটি যেন আমার কোলে ফিরে এসেছে। প্রাপ্তির আনন্দে এতদিনের কষ্ট সব বেমালুম ভুলে গেলাম। আমাদের জিম্মায় দেয়ার আদেশ দেয়া হয় এবং উক্ত আদেশের মূলকপিটি "ছোটমনি শিশু নিবাস" -এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক জনাবা ফেরদৌসী আক্তারের দপ্তরে পৌঁছানো হয়।
এরপর আদালতের রায় মোতাবেক যখন শিশুটিকে "ছোটমনি শিশু নিবাস" থেকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করার কথা তখন থেকেই শুরু জটিলতা। প্রতিষ্ঠানটির উপ-তত্ত্বাবধায়ক জনাবা ফেরদৌসী আক্তার তার ব্যক্তি স্বার্থে রায়টি মানতে নারাজ। তিনি অফিসে উপস্থিত হন খুব কম দিন তার উপরে তাকে মুঠোফোনে পাওয়াটা দুষ্কর। রায়ের বিষয়ে তার স্ব-স্বীকৃতি -"আমি যদি না দেই তবে কোন আদালতের রায়ই এখানে কার্যকর হবে না।" উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে তার অধিনস্থ কর্মচারী দ্বারা আমাদেরকে বিভিন্ন কৌশলে আদালতে না গিয়ে তাদের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক লেন-দেনের মাধ্যমে বিষয়টি ফয়সালা করতে বলেছিলেন। তাদের ভাষ্য, আদালতে গিয়ে কি লাভ, শুধু শুধু কোর্ট-থানা দৌড়াদৌড়ী না করে তাদের সাথে লিয়াজো করে সহজে আমরা বাচ্চাটা পেতে পারি। আর এই অশুভ লিয়াজোর কাজটি করেন তার অধিনস্থ কতিপয় কর্মচারীদের দ্বারা। আমরা তাদের দেখানো অবৈধ পথে যাইনি। মহামান্য আদালতের মাধ্যমে এগিয়েছি। আমাদের পক্ষে রায়ও পেয়েছি। তাই ক্ষিপ্ত হয়ে শুরু করেছে হয়রানি।
মানবতা বলতেও তো মানুষের কিছু থাকার কথা। একটি শিশুর ভাল ভবিষ্যত হবে তা কে না চায়! অবৈধ অর্থের লোভে, ব্যক্তি স্বার্থের জন্য, শিশুটিকে নিয়ে যে নোংরা খেলায় নেমেছেন "ছোটমনি শিশু নিবাস" -এর উপ-তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী আক্তার তা কিভাবে মেনে নিতে পারি? তাহলে কি র্যাব, পুলিশ, মাহামান্য আদালতের রায় সব মিথ্যা, সব বানোয়াট? আইনগতভাবে না এগিয়ে যদি অবৈধভাবে টাকা দিয়ে শিশু কিনতাম তাহলেতো এভাবে কষ্ট করতে হত না!
নিজের কাছে আজ নিজেই হেরে গিয়েছি। এই আমাদের মানবতা! মানবতায় বাঙালী জাতি নাকি শ্রেষ্ঠ! বলতে পারেন এই হয়রানির শেষ কোথায়? শিশুটির বাবা-মায়ের অধিকার কি কেউ দিতে পারবেন? নাকি একজন অর্থ পিপাসু কর্মকর্তার কারনে পুরো সরকারী কর্মকর্তারা চিহ্নিত হবেন অমানবিক হিসেবে? অবুঝ শিশুটি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন -এর ভিকটিম হওয়ায় আমরা কি কেউই তার পাশে দাঁড়াবো না?
ভাই, অনেক দৌড়িয়েছি, আর পারছি না। আমরা দু'জনই অনেক ক্লান্ত ও অবসন্ন। শিশুটিকে আমাদের কোলে তুলে দিন। সমাজের সর্বস্তরের সহায়তা আমাদের কাম্য। মানবতাকে সম্মান জানান। আইনের উধ্বের্ কেউ নয়, মানবতাই মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম -প্রমান করুন।
ধন্যবাদ।
শারিয়া মোস্তাফিজ সিমি
মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল
আপডেট: ২০।০১।২০১৫
অনেক আশায় বুক বেঁধে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল (সোমবার, ১৯/০১/১৫ইং) গিয়েছিলাম সমাজসেবা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে (আগারগাঁও), মহাপরিচালক মহোদয়ের সাথে দেখা করতে। তিনি আমাদের সাদরে গ্রহন করলেন, সবকিছু শুনলেন। বললেন, এতিমখানায় বড় না হয়ে একটি পরিবারে এধরনের শিশুরা বড় হলে সেটাই সর্বোত্তম। একটি পরিবারই পারে শিশুর মানসিক বিকাশে পূর্ণ সহায়তা করতে। সাথে সাথে গতকালই বিষয়টি সমাধান করে আমাদের হাতে শিশুটিকে তুলে দেয়ার জন্য অধিনস্থ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিলেন। আমাদেরকে তিনি সম্পূর্ণ আশ্বস্ত করে গতকালই দুপুর ৩:০০ টায় উপ-পরিচালক সমাজসেবা অধিদপ্তর (ইস্কাটন) কার্যালয়ে যেতে বললেন।
অনেক খরার পরে যেন বৃষ্টি হল। আমরা দু’জনই সমস্ত শঙ্কামুক্ত হলাম। শুভানুধ্যায়ীদেরকে জানালাম –বাবুকে আমরা পেতে যাচ্ছি।
অতপর দুপুর ৩:০০ টায় পৌছালাম ইস্কাটন কার্যালয়ে। উপ-পরিচালক মহোদয় যেন বসে ছিলেন আমাদের অপেক্ষাতেই ১০/১২জন লোক নিয়ে। তিনি জানালেন যে, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমাদেরকে শিশুটিকে দিবেন না। কারন শিশুটি রাষ্টীয় সম্পদ।
প্রশ্ন করলাম তাকে - তাহলে গত এক মাস আগে যখন ফেরদৗসী আক্তারের (সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে "ছোটমনি শিশু নিবাস", উপ-তত্ত্বাবধায়ক) -এর সাথে যোগাযোগ করেছিলাম তখন কেন বলেছিলেন যে আদালতের রায় নিয়ে আসা মাত্র তিনি শিশুটিকে দিয়ে দিবেন? তাহলে মহাপরিচালকের মত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার নির্দেশনাও কি লোকদেখানো? রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি (?) বলেই কি এসব শিশুরা পিতা-মাতার স্নেহ ও মমতা ছাড়া বড় হতে বাধ্য? তাহলে সতি্যই মহামান্য আদালতের রায় মূল্যহীন? তিনি কোনও উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বললেন পারলে আদালতে গিয়ে প্রশ্ন করেন।
দু’দিন আগের উপ-পরিচালক মহোদয় আর আজকের উপ-পরিচালক মহোদয়ের বক্তব্যে ও আচরনে আকাশ-পাতাল তফাৎ! রুচিতে বাঁধলো বাবার বয়সী এই মানুষটার সাথে আর কথা বাড়াতে। তার অফিসের নিচে নেমে আমরা ঠিক করলাম- এর শেষ না দেখে ফিরব না। সেদিন মহামান্য সিএমএম কোর্টের বারান্দায় শিশুটিকে আমরা কোলে তুলে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম তাকে তার বাবা-মার অধিকার দিব।
আমাদের মত আমজনতার দেয়ালে পিঠ ঠেকলে কোথায় যায়? কথা শোনার কোন না কোন মানুষ বা প্রতিষ্ঠান নিশ্চয়ই আছে। তাই আমরা চলে গেলাম জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে। না, তারা ফিরিয়ে দেননি। আমাদের কথা তারা গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন, অত:পর শুধু পরবর্তী দিকনির্দেশনাই দেননি বরং এ বিষয়ে যেকোন ধরনের সহায়তার প্রয়োজন হলে তাও প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এতকিছুর পরেও আবার আমাদেরকে মহামান্য আদালতের শরনাপন্ন হতে হবে। অনেক প্রশ্ন, আক্ষেপ, অভিমান ও ক্লান্তিতে শরীর আর চলতে চায় না, শুধু শিশুটিকে দেয়া প্রতিজ্ঞা ও আপনাদের অনুপ্রেরনাকে শ্রদ্ধা জানাতে আজ পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
আর একটি অনুরোধ, দয়া করে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকবেন।লড়াইটা শুধু এই শিশুটির জন্য নয়, সমাজের সর্বস্তরে এ বার্তা পৌঁছে দেয়া –ডাস্টবিনে ফেলা আর বিক্রি হয়ে যাওয়া শিশুরাও মানুষ, তাদেরও অধিকার আছে একটি পরিবারে মমতায় বড় হওয়ার। ঘৃনা নয়, তাদের ভালবাসতে শিখুন, আপন করুন। ওই শিশুটির জায়গায় আপনি কিংবা আপনার সন্তানও হতে পারত!
ধন্যবাদ।
শারিয়া মোস্তাফিজ সিমি
মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
এস বাসার বলেছেন: সিমি-রাসেল এর মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। প্রথমত নিজেদের সন্তান হারিয়ে এমনিতেই তারা শকড, তারপর আবার এই বাচ্চাটাকে নিয়ে এমন কান্ড..........
আল্লাহ ওদের সহায় হোক।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪২
যোগী বলেছেন:
কি আজব সব যায়গাতে এমন দূর্নীতি হলে কি ভাবে দেশটা চলবে?
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৫
এস বাসার বলেছেন: দেশটা আসলে চলছে, তবে উল্টো পথে....... জানিনা এর শেষ কোথায়!!!
৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০০
নীল লোহীত বলেছেন: এদের কাছে মানবতা প্রত্যাশা করা আর সম্বলহীন মানুষের কাছে ভিক্ষা চাওয়া সমান।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
এস বাসার বলেছেন: আমি চাই এই পোস্ট টা বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হোক। অন্তত সাধারন মানুষ জন জানুক নরপশুদের দল কতটা নস্ট হয়েছে ।
৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
স্যাড!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
এস বাসার বলেছেন: স্যাড বাট ট্রু!
৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৪
সোহানী বলেছেন: আশ্চর্য্য, এটা কি কোন দেশের অবস্থা হতে পারে !!! একাট ছোট শিশু নিয়ে নোংরা পয়সার খেলা না খেললে হয় না??? আমি ঘৃনা জানাচ্ছি ......
কেউ কি আছেন পুরো ব্যাপারটি প্রত্রিকায় দিতে পারবেন? তাহলে হয়তো কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে ও শিশুটি একটি পরিচয় পাবে....
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১০
এস বাসার বলেছেন: সোহানী, রাসেল-সিমি তাদের সর্বোচ্চ চেষ্ঠাটুকু করে যাচ্ছে। রাসেলের সংগে আধাঘন্টা আগেও কথা হয়েছে। সে এখনো সিএমএম কোর্টে....... রাসেল চাকুরী-বাকরী প্রায় ছেড়েই দিয়েছে......... সারাদিন রাত কোর্ট,র্যাব,পুলিশ , শিশু নিবাস ........ এর পেছনে ছুটছে.....
হ্যা, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার কেউ যদি একটু হেল্প করে তবে তা খুবই উপকারে আসতো। আমি নীচে রাসেল এর ফেসবুক লিংক দিয়েছি, চাইলে যে কেউ কনটাক্ট করতে পারবে।
View this link
৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সবকিছুই নষ্টের দখলে
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৩
এস বাসার বলেছেন: তাইতো, সবকিছুই নষ্টদের দখলে যাচ্ছে।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩০
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯
এস বাসার বলেছেন: যে কেউ চাইলে রাসেল এর সংগে যোগাযোগ করতে পারেন।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: মানবিকতা বিকিয়ে গেছে দুর্নীতির কাছে।
ব্যক্তি সার্থ আজ সর্বাধিক প্রাধান্য পায়।
আমাদের সমাজে এটাই স্বাভাবিক।
এর উল্টোকিছু হলে সেটাই অস্বাভাবিক হতো।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৪
এস বাসার বলেছেন: নষ্টরাই সমাজের নেতা-নেত্রী ! তারাই আজ সবচেয়ে ক্ষমতাবান, সুতরাং .......
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
দিশেহারা আমি বলেছেন: কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি না।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৫
এস বাসার বলেছেন: ভাষাহীন সমাজে আমাদের বসবাস। মুখ থাকা সত্বেও মুখ বুঝে মার খাওয়াই যেন আমার নিয়তি।
১০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
ইছামতির তী্রে বলেছেন: এখানে শেয়ার করে আপনি সঠিক কাজ করেছেন। সামু অনেক বড় একটি প্লাটফরম। আমার বিশ্বাস এবার কাজ হবে। আমি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে সিমি-রাসেলকে সাধুবাদ জানাই। মানবতা যে নিঃশেষ হয়ে যায়নি উনারাই তার প্রমাণ।
আল্লাহ সকল কাজে মঙ্গল করুন। আমিন।
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮
এস বাসার বলেছেন: ঘটনাটার প্রচার জরুরী। যে যার অবস্থান থেকে চেষ্ঠা করুন। শুভ কামনা রইলো।
১১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
নতুন বলেছেন: শারিয়া মোস্তাফিজ সিমি
মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল
ব্লগের সবাই আপনাদের সাথে থাকবে...
আশা করি আমাদের মাঝে অনেকেই কোন না কোন ভাবে সাহাজ্য করতে পারবেন..
মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে হবে...
সবচেয়ে ভাল হয় যদি রাসেল আর সিমি একটি ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে পুরো কাহিটি সাবার সামনে তুলে সাহাজ্য চায়... ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেকের কাছে পৌছে যাবে...
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭
এস বাসার বলেছেন: রাসেল-সিমি অনেক কিছুই করতে চায়, কিন্তু সেটা বাচ্চাটাকে নিজেদের কাছে পাবার পর। কারন তারা আশংকা করছে, শিশু নিবাসের তত্বাবধায়ক কর্ত্বক বাচ্চাটার না কোন শারীরীক ক্ষতি হয়ে যায়!!! এমনকি হয়তো সেই কুলাংগার বাচ্চাটাকে মে........... ফেলতে পারে .........
সুতরাং তারা এখনো অসহায় ভাবে অপেক্ষায় আছে.........
১২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
লাকমিনা জেসমিন সোমা বলেছেন: ভাই সর্বেশষ খবর কী? একটু জানাবেন প্লিজ। ফেরদৌসি আক্তার আসলে কী চান? আদালত রায় দিলেও তিনি কেন শিশুটিকে দিতে চাইছেন না? ছোটমনি শিশু নিবাসে এ ধরনের অবৈধ লেনদেন চলছে কি না বৃহৎস্বার্থেখতিয়ে দেখা দরকার। জনস্বার্থে, মানবতার স্বার্থে। আমি বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকাW কর্মরত আছি। আপনি সহযোগিতা করলে বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখতে পারি। যোগাযোগ নম্বরসহ আমাকে বিস্তারিত জানাতে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০
এস বাসার বলেছেন: থ্যাংকস। সহযোগীতার সুযোগ থাকলে আমরা তা নিতে প্রস্তুত । হ্যা, আদালত রায় দেয়ার পরও শুধুমাত্র শিশু নিবাসের তত্বাবধায়কের টাকার লোভে শিশুটিকে আজও রাসেল-সিমি বুঝে পায়নি।
শুরুতে রাসেল-সিমিও ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারেনি, তাই তারা লিগ্যাল প্রসিডিউর মেইনটেইন করেই বাচ্চাটিকে পেতে চেয়েছিলো এবং এজন্য তারা বেশ কাঠখড়ও পুড়িয়েছে। কিন্তু ফাইনালি শিশু নিবাসের তত্বাবধায়কের স্বার্থ হাশিল না হওয়ায় সে টালবাহানা শুরু করেছে।
সর্বশেষ আপডেট হচ্ছে, রাসেল আবারো আদালতে মামলা করার প্রস্তুত নিচ্ছে এবং শিশুনিবাস থেকে নয় , সে যেন আদালত থেকেই বাচ্চাটা বুঝে নিতে পারে ।
মূল ব্যাপারটা হলো এগুলো সবই সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবং রাসেল-সিমির আশংকা শিশুনিবাসের সেই মহিলা হয়তো বাচ্চাাকে মেরে ফেলতে পারে বা বাচ্চাটার কোন শারীরীক ক্ষতি করতে পারে .........
রাসেলের ফেসবুকের আইডি দিলাম, সব আপডেট সেখানে পাবেন । প্লিজ সুযোগ থাকলে হেল্প করুন।
Click This Link
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩
আমি ইহতিব বলেছেন: সব জায়গায় কিছু মানুষ কিভাবে বাটপারি করে বেড়ায় বুঝিনা। শিশু নিবাস কেন্দ্রের পরিচালক মহিলাকে তো পুলিশে দেয়া উচিত।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৫৮
এস বাসার বলেছেন: হ্যা, সবজায়গায়ই বাটপাররা বসে আছে। পোস্টে যা উল্লেখ আছে, বাস্তব অবস্থা তারচেয়েও অনেক ভয়াবহ। অতি নিম্নমানের বেবী ফুড, শারীরীক নির্যাতন-মানসিক নির্যাতন.......... একবার শুধু যার যার অবস্থানে থেকে খবর নিলেই বুঝতে পারবেন কি সব কান্ড চলছে এসব জায়গায়।
১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক !
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০০
এস বাসার বলেছেন: বাট, নিবাসের তত্বাবধায়কদের কাছে একটা শিশু মানে একটা ব্যবসার পণ্য........।
১৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাসেল-সিমি অনেক কিছুই করতে চায়, কিন্তু সেটা বাচ্চাটাকে নিজেদের কাছে পাবার পর। কারন তারা আশংকা করছে, শিশু নিবাসের তত্বাবধায়ক কর্ত্বক বাচ্চাটার না কোন শারীরীক ক্ষতি হয়ে যায়!!! এমনকি হয়তো সেই কুলাংগার বাচ্চাটাকে মে........... ফেলতে পারে .........
সুতরাং তারা এখনো অসহায় ভাবে অপেক্ষায় আছে......... [/sb
কিছু করে ফেলার পরে আর সময় থাকবেনা...
উপরে লাকমিনা জেসমিন সোমা সাহাজ্য করতে চেয়েছেন... তিনি অবশ্যই এই ব্যপারে সাহাজ্য করতে পারবেন...
আর বসে থাকলে তো আর চলবেনা... ওরা অবশ্যই ভিতু...তাই যখন দেখবে যে প্রশাসনের নজরে পরেছে তখন অবশ্যই তারাই মিমাংসা করছে..
তাদের দুজনেকে বলুন একটা ভিডিও বানাতে..যাতে তার অবস্হা খুলে বলে এবং সবাইকে বিষয়টি নিয়ে সাহাজ্য করতে.. এখন অনেকেই নেতা/আমলা ফেসবুকে বসে এবং নেটের খবর দেখে... তারা এগিয়ে এলে অবশ্যই সমাধান হবে..
উনি কি করবে সেই ভয়ে থাকলে উনাকে হারাতে পারবেন না... উনাকে হারাতে হলে উনাকে ভয় দিতে হবে..আর তা হলো মিডিয়াতে তার দূনিতির খবর ফাস হওয়া..
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:০৩
এস বাসার বলেছেন: এটা ঠিক মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারই পারে এসব দূর্নীতিবাজ সরকারী চাকুরেদের মুখোশ খুলে দিতে। তাইতো ফেসবুক,ব্লগে এই লেখাটা শেয়ার করা হচ্ছে........
আসলে খারাপ মানুষের সংগে ভালো মানুষরা সহজে পেরে উঠতে পারেনা। স্বার্থ হাশিলের জন্য ওরা সব ধরনের অপকর্ম করতে পারে, সুতরাং ভালো মানুষগুলো বরাবরই এদেরকে ভয় পায়।
১৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪১
ওয়্যারউলফ বলেছেন: মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, ব্লগের এসব "হাবিজাবি" লিখা কি আপনার চোখে পড়বে ?
যদি না পড়ে তাহলে কেন পড়লো না এর জবাব আমরা আপনার কাছে চাইতেই পারি ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯
এস বাসার বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর হয়তো এসবে চোখ বুলানোর সময় থাকার কথা না।কিন্তু সমাজকল্যান মন্ত্রীর কাজটা কি? অবশ্য উনারা সব জানেন, বুঝেনও। শুধু বুঝিনা আমরা, মানে সাধারন মানুষজন। আমরা এখনো সততা, মানবতা এসব নিয়ে ভাবি, কিন্তু............
১৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ক্ষেতে বেড়া দেয়া হয় ফসল রক্ষার্থে। কিন্তু বেড়াই যখন ফসল খাওয়া শুরু করে, তখন ক্ষেতের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের মানবতার অবস্থাও এখন এমনি হয়েছে।
দুর্নীতির শেকড় কত গভীরে প্রোথিত হয়েছে, এই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করলে সহজেই আমরা বুঝতে পারি। খুবই দুঃখজনক।
শারিয়া মোস্তাফিজ সিমি এবং মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল কে স্যালুট। মানবতাকে উচ্চে তুলে ধরতে যেয়ে তারা অন্তত দুর্নীতির আশ্রয় নেয় নাই। সমাজে এদের মতো লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। অথচ এদের সংখ্যাই বাড়া উচিৎ।
সংবাদটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ বাসার।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৪৪
এস বাসার বলেছেন: ..........কিন্তু বেড়াই যখন ফসল খাওয়া শুরু করে, তখন ক্ষেতের অস্তিত্বই হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ে। আমাদের দেশের মানবতার অবস্থাও এখন এমনি হয়েছে.........
১৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০২
এহসান সাবির বলেছেন: আপনার এই পোস্ট টি কয়েকজন কে দেবার ট্টাই করছি, যেখানে গেলে কাজ হতে পারে।
ইনশাল্লাহ ছোট বাবুটা আপনাদের কোলেই দেখব।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২১
এস বাসার বলেছেন: চেষ্টা চলছে..... দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়?
১৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: একটি দত্তক নেবার প্রক্রিয়ায় কোর্ট এতো দীর্ঘসূত্রিতার আশ্রয় কেন নিল তা আমার মনে প্রথম জেগেছে। তাহলে মালপানিতে কোর্টও জড়িত।
মানবাধিকার বাস্তবায়ন বা শিশু অধিকারের পক্ষ্যে হাইকোর্টে কোন উকিল দিয়ে ওই পরিচালিকার বিরুদ্ধে রুল জারি করলেই আশা করি মিটে যাবে। শিশুটি সুস্থ আছে কিনা তা প্রমান করার একটি নির্দেশ থাকবে ওই রুলনিশিতে। পরিচালিকার বিরুদ্ধে নিন্মআদালতে কোর্ট আদেশ পালন না করার জন্য মামলা চালু হবে এবং চাকরি যাবে, সাজা নিশ্চিত ও আগে কয়টি শিশু পাচার করেছে তা বের হবে। চেষ্টা করুন ।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১২
এস বাসার বলেছেন: অনেক চেস্টার পর আদালতের বিশেষ আদেশে অবশেষে বাচ্চাটিকে রাসেল-সিমি বুঝে পেয়েছে। শিশুনিবাসে থাকাকালীন অনাদর আর অবহেলায় বাচ্চাটির নিউমোনিয়া হয়ে গিয়েছিলো, তাই ওকে হাতে পাবার পরই শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এখন বাচ্চাটি বেশ ভালো আছে।
২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
লাকমিনা জেসমিন সোমা বলেছেন: জনাব রাসেলের সাথে ফেসবুকে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাইনি। ওনার ফোন নাম্বার টা একটু জানাবেন প্লিজ......
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
এস বাসার বলেছেন: অনেক চেস্টার পর আদালতের বিশেষ আদেশে অবশেষে বাচ্চাটিকে রাসেল-সিমি বুঝে পেয়েছে। শিশুনিবাসে থাকাকালীন অনাদর আর অবহেলায় বাচ্চাটির নিউমোনিয়া হয়ে গিয়েছিলো, তাই ওকে হাতে পাবার পরই শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, এখন বাচ্চাটি বেশ ভালো আছে।
২১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৮
এস বাসার বলেছেন: আরিফ আর রহমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে :
মেয়েটা এসেছে আমাকে সালাম করতে
পায়ে ধরে সালাম করতে
জীবনে এরকম অনেক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু প্রথম দেখাতেই একজন মেয়ে, তার হাজবেন্ডের সাথে আমার অফিসে এসে পায়ে ধরে সালাম করতে চাচ্ছে... ব্যাপারটা খুব বিব্রতকর
তাদের বাচ্চা হয়না আজ প্রায় ৭ বছর
না না ... ভুল বললাম... গত আগস্টে তাদের একটা বাচ্চা হয়েছিল ... বাচ্চাটা ৯ দিনের মাথায় মারা যায়
স্বাভাবিক ভাবেই স্বামী স্ত্রী দুইজনই একটা ট্রমার মধ্যে চলে যায়
মাস তিনেক পরের কথা... একদিন মেয়েটি টিভি দেখছে, হুট করে খবরে দেখল যে RAB-3 এর অভিযানে একটা চোরাই বাচ্চা উদ্ধার হয়েছে
সাথে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
দেখে মেয়েটির মনে হলো তার ৯ দিনের সন্তানের চেহারার সাথে হুবুহু মিল
যদিও সব বাচ্চার চেহারাই একই রকম থাকে... তারপরেও তার কেন জানি মনে হলো তার সন্তান পুনর্জন্ম নিয়েছে
সে পাগলের মতো তার জামাইকে নিয়ে RAB এর অফিসে গেলো
যেয়ে বললেন, “যদি এর বাবা মা পাওয়া না যায় তবে আমরা এই বাচ্চাটাকে দত্তক নিব”
RAB বলল, ‘আমরা বাচ্চাটা লালবাগ থানায় পাঠিয়ে দিয়েছি’
তারা রাত ২ টার দিকে লালবাগ থানায় গেলো... থানা জানালো বাচ্চাটা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে দেখে আমরা ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়ে দিয়েছি
তারা ঢাকা মেডিক্যালে গেলো
সেখানে, তারা দুজন দাঁড়িয়ে চোখখ ভরে বাচ্চাটাকে দেখল
নার্স বলল, ‘দাঁড়ায়ে আছেন কেন? ডায়পার লাগবে... যান নিয়ে আসেন’; মেয়েটির হাজবেন্ড দৌড়ে যেয়ে ১ কার্টুন ডায়পার কিনে নিয়ে আসল
একটু পরে জানানো হলো, লেক্টজেন দুধ লাগবে
দৌড়ে দুধও এনে দেয়া হলো
... এটা আজকে থেকে ঠিক ৩৫ দিন আগের কথা
লিগ্যাল ওয়েতে একটা দম্পতি একটা বাচ্চাকে দত্তক নিতে চাচ্ছে, কিন্তু পারছে না
কোর্ট বলছে, ‘যে নিতে চাচ্ছে তার গ্রামের বাড়ির এড্রেস ভেরিফাই করো’
ভেরি লজিকাল
সেটাও করা হলো
সেই পেপারস লালবাগ থানা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ি যেয়ে আবার ফেরত আসতে লাগলো ৮ দিন
আবার কোর্ট বলছে, ‘বাচ্চাটাকে দত্তক দেয়ার আগে তার ডিএনএ টেস্ট করে রাখো... যেনও ভবিষ্যতে কেউ এসে বাচ্চাটা ক্লেইম করলে তার সুরাহা করা যায়’
কুয়াইট লজিকাল
কিন্তু থানা, সেই রায়ের ১০ দিন পরেও ডিএনএ টেস্ট করতে পারেনি... কারণ কোর্ট তাড়াহুড়া করে উঠতে যাওয়ার আগে বলেনি যে এই টেস্টের খরচ কে দিবে
হাজবেন্ড বলল, “আমি দিবো খরচ... তাও প্রসেসটা তাড়াতাড়ি করেন... বাচ্চা তো দিনদিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে”
থানার আইও বলল, ‘আপনার কাছ থেকে খরচ কেমনে নেই...’
এই ‘কেমনে নেই’ ... ‘কে দিবে’ এসব করতে করতে ১৫ দিন চলে গেলো
বাচ্চাটাকে কোর্টের নির্দেশে এখন সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে, আজিমপুরে ‘ছোট-মনি শিশু নিবাস’ নামক একটা ঘুপড়িতে রাখা আছে
এটা এমন একটা জায়গা যেখানে কোনও সুস্থ বাচ্চাকে রাখা হলেও সে অসুস্থ হয়ে যাবে
সেখান থেকে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ১ টা করে লেক্টজেন-১ এর কৌটা লাগবে...
প্রতিদিন একটা করে? সম্ভবত এখানের তত্ত্বাবধায়ক সাহেবও চায়ের সাথে লেক্টজেন-১ খান
তা না হলে একটা দেড় মাস বয়সী শিশুর দিনে এক কৌটা দুধ লাগার কথা না
তারপরেও তারা কোনও উচ্চবাচ্য না করে প্রতিদিন এক কৌটা দিয়ে যাচ্ছে
সেদিন জানালো, প্রতিদিন ১ প্যাকেট ডায়পার লাগবে
প্রতিদিন ১ প্যাকেট?
তত্ত্বাবধায়ক সাহেব ডায়পারও পরেন?
যাই হোক... এদের প্রতিদিনের ডিমান্ড এখনও তারা মিটিয়ে যাচ্ছে
আর ওদিক দিয়ে ‘ছোট-মনি শিশু নিবাস’ সেই বাচ্চা ভরণ পোষণের খরচ সরকার থেকেও নিচ্ছে
কি মজা না?
... এই দম্পতির কি ঠেকা পড়েছে এসব করার?
তার থেকে তো অনেকক কম কষ্ট হতো একটা বাচ্চা ক্লিনিক থেকে কিনে আনতে
এই সকল সিস্টেমের কারনেই আজ হাসপাতাল/ক্লিনিক থেকে বাচ্চা চুরি হয়
এ দেশে হাজারো দম্পতি আছে যারা লিগ্যাল ওয়েতে বাচ্চা দত্তক দেয়ার জন্য উদগ্রীব... কিন্তু সিস্টেমের দোষে, আজ সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের ‘ছোট-মনি শিশু নিবাস’ এর সকল তত্ত্বাবধায়ক ডায়পার পরে ঘুমায়
তাও ঠিক ছিলও... কিন্তু কোর্টের অর্ডার হাতে পাওয়ার পরেও উপ-তত্ত্বাবধায়ক চায়ে চুমুক দিতে দিতে বললেন, ‘আমাদের নীতিমালায় নাই এভাবে বাচ্চা দেয়া... আমাদের এখানের বাচ্চাগুলোর জন্য প্রতি মাসের আপনাদের মত এরকম ২/৩ জন কোর্টের অর্ডার নিয়ে আসে... এটা ব্যাপার না... আপনারা আসতে পারেন... বাচ্চা আমরা দিবো না’
হোয়ার এজ, এই রুমেই কথা বলতে থাকার সময় একটু আগে কাগজ পত্র নিয়ে ব্যস্ত ভঙ্গিতে ঢু মেরে যাওয়া কম্পাউন্ডার, হাজী আনোয়ারই কিন্তু কিছুক্ষণ আগে রুমের বাইরে ফিসফিস করে বলেছিলেন, “৫ লাখ টাকা দেন... বাচ্চা দিয়ে দেই... মামলা খতম”
টাকা দিয়ে বাচ্চা নিব কেন? কেন আমি ইলিগ্যাল ওয়েটে বাচ্চা নিব? দেশে আইন নাই?
আবার কোর্টের সরনাপন্ন হতে হলো... জাজকে বলা হলো, এটা কি কন্টেম্পট অফ কোর্ট না?
ভাগ্য ভালো জাজ সাহেব মহিলা ছিলেন ... তিনি সাথে সাথে সমন জারি করলেন
বাচ্চাটা গতকাল রাতে এই স্বামী স্ত্রী হাতে পেয়েছে
দুইজনে ডুকরে কাঁদছে বাচ্চাটাকে ধরে
কাঁদতে কাঁদতেই আমাকে ফোন দিলেন তারা... “আরিফ ভাই, বাচ্চাটা এখন আমার কোলে... এখান থেকে বাসায় না যেয়ে ডাইরেক্ট শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি... গত ১৫ দিন থেকে তার নিউমোনিয়া আর তারা এটা ধরতেই পারে নাই ... প্লিজ আপনি উনাদের ছাড়বেন না ভাইয়া প্লিজ”
এই দম্পতির জন্য হয়তো আমি ছিলাম... বা, কিছু মানবাধিকার কর্মী পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ... বা, সেই লালবাগ থানার আইও সাহেব আসলেই ভালো মানুষ ... বা, ভাগ্য ভালো দেখে সেদিন কোর্টের জাজ সাহেব একজন মহিলা ছিলেন ... বা, সেই দম্পতীর অসীম ধৈর্য ছিলো দেখেই তারা ফাইনালি বাচ্চাটা লিগ্যাল ওয়েতে পেয়েছে
কিন্তু... কিন্তু দেশের সবার জন্য কি আমি-আপনি আছি?... এ সম্ভব?
এ দেশে যারা ব্লেসড তারাই কি তাহলে শুধু সারভাইভ করতে পারবে? সিস্টেম কি এমন হতে পারে না যেটা সবাইকে ব্লেসড বানিয়ে দিবে?
ব্লেসড বানিয়ে দিবে ...সেই চুরি হয়ে যাওয়া বা কারও ফেলে যাওয়া বাচ্চাটিকেও
ব্লেসড বানিয়ে দিবে ... সেই সকল দম্পতিদেরকেও যারা দিন রাত জায়নামাজে বসে থাকার পরেও পাগলের মতো পুনর্জন্মে বিশ্বাসী হয়ে তাদের জমানো টাকা নিয়ে ছুটে আসে
শুধু যদি এই বিষয়টা নিয়েই একটা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ করা যায় তাহলেই কিন্তু একাধারে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়
১) কিছু, ভবিষ্যতে পথ শিশু হয়ে বেড়ে উঠার চান্স থাকা শিশুরা পাবে ভালো একটা ফ্যামিলি
২) কিছু ফ্যামিলি ফিরে পাবে তাদের স্বপ্ন
৩) হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে বাচ্চা চুরি করে কারও কোলে উঠিয়ে দেয়ার কথা কেউ চিন্তাও করবে না... কারণ ক্রেতা তো নেই
৪) শুধু এই সিস্টেমের দোষের কারণে একজন সৎ নিয়তে থাকা দম্পতি, আরেকজনের স্বপ্ন চুরি করে লালন পালন করার কথা জীবনেও ভাববে না
... আমি তো দেখছি একটা ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ অনেকগুলো সমস্যার সমাধান নিমিষেই করে দিতে পারে
জাস্ট নিমিষেই
সেখানের তত্ত্বাবধায়ক সাহেবদের ডায়পার ছাড়া ঘুমানো আর লেক্টজেন দুধ ছাড়া চা খেতে না পারাটা ছাড়া... আর কোনও অসুবিধা তো দেখছি না............
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮
লাকমিনা জেসমিন সোমা বলেছেন: আমরা দু'জন রিপোর্টার আজ ছোটমনি নিবাসে গিয়েছিলাম সাধারন মানুষের পরিচয়ে। তাদের আচরণ অনেক কিছু প্রমাণ করে। আমরা হাসপাতালেও গেছিলাম। যাইহোক, বাচ্চাটাকে ওনারা শেষ পর্যন্ত পেয়েছেন যেনে ভালো লাগলো। কিন্তু সেখানে যে দুর্নিতি হচ্ছে এবং শিশুরা ভালো নেই সে ব্যাপারে আমরা স্পষ্ট। আপনার কাছে একান্ত অনুরোধ ওই দম্পতির সাথে যোগাযোগের নাম্বারটা দিন। তারা তাদের পরিচয় এবয় ঘটনা গোপন রাখতে চাইলে সম্পূর্ণ নিশ্চয়তা দিচ্ছ যে আমরা তা প্রকাশ করবনা। শুধু ওনাদের মুথে বাস্তব অভিজ্ঞতাটুকু শুনতে চাই। দেশের অন্যান্য সরকারী শিশু আশ্রয় সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেসব বিষয়গুলো জনস্বার্থে তুলে ধরতে চাই। আশা করি আপনারা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বৃহৎ স্বার্থে আমাদেরকে এটুকু সহায়তা করবেন।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৫
এস বাসার বলেছেন: ফেসবুকে রাসেলকে মেসেজ দেন। সে অবশ্যই রেসপন্স করবে। যদি না করে প্লিজ কমেন্টে জানাবেন।
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো লাগলো শুনে যে শিশুটি এখন মুক্ত।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০১
এস বাসার বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
লাকমিনা জেসমিন সোমা বলেছেন: আমার কলিগ এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের আরেকজন রিপার্টার গোলাম রব্বানি তাকে ফেসবুকে টেক্সট করেছিলো। কন্তু তিনি এখনো পর্যন্ত রেসপন্স করেননি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
এস বাসার বলেছেন: স্যরি, আমি রাসেলকে ব্যাপারটা বলেছি। হয়তো কোনভাবে আপনাদের মেসেজটা সে মিস করেছে। আমি রাসেলের মেইল আইডি দিচ্ছি , প্লিজ তাকে মেইল করুন। সে অবশ্যই রিপ্লাই করবে । [email protected] অথবা
[email protected]
আমাকে কমেন্টে জানাবেন প্লিজ।
২৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৬
শায়মা বলেছেন: এখন কি বাবুটাকে শিশু নিবাস থেকে নিতে পেরেছেন ওনারা?
০১ লা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
এস বাসার বলেছেন: হ্যা, ফাইনালি তারা বাচ্চাটাকে নিজেদের কাছে নিতে পেরেছে। তবে অনেক বাঁধা, জটিলতা আর দূর্নীতির বিষবাস্পকে মোকাবেলা করে।
২৬| ২৭ শে মে, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯
খালিদ১৪ বলেছেন: আজকাল আমাদের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে , সমস্যা যোগ হচ্ছে ........
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪
এস বাসার বলেছেন: আমি জানি আমার এই পোস্ট হয়তো শিশুটির কোন উপকার এ আসবেনা বা সিমি-রাসেলকে শিশুটিকে ফিরে পেতে সাহায্য করবে না , তবুও শেয়ার করলাম............