নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেধাবী বাংলাদেশের প্রত্যাশায়- সবার জন্য উন্নত শিক্ষা

উন্নত শিক্ষা

দেশের শিক্ষা বিস্তারিত হোক- সবার জন্য উন্নত শিক্ষা

উন্নত শিক্ষা › বিস্তারিত পোস্টঃ

‌‌'বিলাসী' গল্প থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর। (উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষারী্থ ও যারা বাংলা পড়ান কেবল তাদের জন্য)

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:১৩

প্রশ্ন ১ নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।



সৌদামিনী মালো স্বামীর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে ধানী জমি, বসতবাড়ি, পুকুরসহ কয়েক একর সম্পত্তির মালিক হয়। এই সম্পত্তির ওপর নজর পড়ে সৌদামিনীর জ্ঞাতি দেওর মনোরঞ্জনের। সৌদামিনীর সম্পত্তি দখলের জন্য সে নানা কৌশল অবলম্বন করে। একবার সৌদামিনী দুর্ভিক্ষের সময় ধান ক্ষেত্রের পাশে একটি মানবশিশু খুঁজে পায়। অসহায়, অসুস্থ শিশুটিকে সে তুলে এনে পরম যতেœ আপন সন্তানের মতো লালন পালন করে। মনোরঞ্জন সৌদামিনীকে সমাজচ্যুত করতে প্রচার করে যে, নমশূদ্রের ঘরে ব্রাহ্মণ সন্তান পালিত হচ্ছে। এ যে মহাপাপ, হিন্দু সমাজের জাত ধর্ম শেষ হয়ে গেল।



ক. ‘বিলাসী’ গল্পের বর্ণনাকারী কে?

খ. মৃত্যুঞ্জয়ের ‘জাতবিসর্জনের’ কারণ বর্ণনা কর।

গ. সৌদামিনী চরিত্রের কোন বৈশিষ্ট্যটি বিলাসীর চরিত্রের সঙ্গে মিলে যায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘মনোরঞ্জন যেন বিলাসী গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি’- বিষয়টি মূল্যায়ন কর।



১ নং প্রশ্নের উত্তর



ক. জ্ঞান

বিলাসী গল্পের বর্ণনাকারী ন্যাড়া। ন্যাড়া আসলে লেখকেরই প্রতিনিধি।

খ. অনুধাবন

মৃত্যুঞ্জয় সমাজের সকল রীতিনীতি উপেক্ষা করে বিলাসীকে বিয়ে করে তার জাতবিসর্জন দেয়। সে ছিলো ব্রাহ্মণের জাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের উচু জাত বিসর্জন দিয়ে তার চেয়ে অনেক নিচু জাতের বিলাসীকে বিয়ে করে সে।

মুত্যুঞ্জয়ের এ জাতবিসর্জনের ঘটনায় আসলে ভালোবাসার এবং প্রেমের জয়গান ধ্বনিত হয়েছে। বিলসীর প্রেমের মাঝে মৃত্যুঞ্জয় এমন এক আহ্বান দেখেছিলো যা তাকে সমাজ সংসারের সকল বাধা ও লোভ উপেক্ষা করে বিলাসীর কাছে ছুটে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সুতরাং বলা যায়, বিলাসীর প্রতি প্রেমের অমোঘ আকর্ষণেই মৃতুঞ্জয় তার জাতবিসর্জন দিয়েছিলো।

গ. প্রয়োগ

সৌদামিনী মালোর চরিত্রের যে দিকটির সাথে বিলাসীর চরিত্র মিলে যায় তা হচ্ছে তাদের উভয়ের মানবপ্রেম। অনুচ্ছেদে দেখা যায়, সৌদামিনী মালো প্রবল ভালোবাসায় একটি পথশিশুকে নিজের কাছে টেনে নেয়। তাকে মাতৃপ্রেমে লালন করে। যদিও পরবর্তীতে এ শিশুটির জাতকে কেন্দ্র করেই স্বার্থান্বেষীরা তাকে নাজেহাল করে।

একই বৈশিষ্ট্য এবং পরিণতি দেখা যায় বিলাসীর ক্ষেত্রেও। বিলাসী সাপুড়ে মেয়ে। কিন্তু তার মধ্যে মানবপ্রেমের অনুভূতি প্রবল। সে অনুভূতি জাতপাতের ভেদ মানে না। সে অনুভূতি সকল বিপদ তুচ্ছ করে ভালোবাসাকে বাচিয়ে রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করে। এ কারণেই আমরা দেখি, সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সে মৃত্যুঞ্জয়কে দিনের পর দিন সেবা করে বাঁচিয়ে তুলে। অবশ্য এ ভালোবাসার জন্য তাকেও মূল্য দিতে হয়েছে। এখানেও সৌদামিনী মালোর সাথে তার পরিণতির মিল লক্ষ্যণীয়।

ঘ. উচ্চতর দক্ষতা

উপরের অনুচ্ছেদে দেখা যায়, সৌদামিনীর জ্ঞাতি দেওর মনোরঞ্জন সম্পদের লোভে সৌদামিনীর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালায়। বিভিন্ন অজুহাতে সে সৌদামিনীর সম্পদ গ্রাস করতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত সে সৌদামিনীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণের জাত নষ্ট করার অভিযোগ আনে। মনোরঞ্জন প্রচার করে যে, সৌদামিনী পথ থেকে কুড়িয়ে এনে যে শিশুটিকে বড় করে তুলেছে সে আসলে ব্রাহ্মণ সন্তান। আর সৌদামিনী হচ্ছে নমশূদ্র। সুতরাং ব্রাহ্মণ সন্তানকে লালন করে সে পাপ করেছে। অথচ যখন ছেলেটি অনাহারে রাস্তায় মারা যাচ্ছিল তখন কেউ তাকে রক্ষা করতে যায় নি। সুতরাং সৌদামিনীর বিরুদ্ধে মনোরঞ্জন ও তার সমর্থকদের অভিযোগ ছিলো সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মনোরঞ্জন সৌদাামিনী মালোর সম্পত্তি দখলের জন্যই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকে সমাজচ্যূত করার ফন্দি করেছিলো।

একই বিষয় আমরা লক্ষ্য করি, বিলাসী গল্পের খুড়ার মাঝে। মৃত্যুঞ্জয়ের এ খুড়ার মতলব ছিলো মৃত্যুঞ্জয়ের সম্পত্তি দখল করার। সে বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুঞ্জয়ের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিয়ে সমাজের চোখে তাকে ঘৃণিত করার প্রচেষ্টা চালায়। মৃত্যুঞ্জয় যখন ভীষণ অসুস্থতায় মরনোন্মুখ হয়ে যায়, তখনও সে তাকে দেখাশোনা করে নি। বরং সে তার মৃত্যু কামনা করেছিলো। কিন্তু বিলাসী যখন প্রবল ভালোবাসা ও যতœ দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে তখন সে প্রচার করে বেড়ায় যে, সাপুড়ে মেয়ে বিলাসীর হাতে ভাত খেয়ে মৃত্যুঞ্জয় কঠিন অন্নপাপ করেছে। এভাবে সে মৃত্যুঞ্জয়কে সমাজের চোখে অপরাধী বানিয়ে তার সম্পত্তি দখলের মরিয়া প্রচেষ্টা চালায়।

সুতরাং আচার-আচরণ এবং কর্মকাণ্ড নিরিখে বলা যায়, ‘মনোরঞ্জন যেন বিলাসী গল্পের খুড়ারই প্রতিচ্ছবি’।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-১

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২১

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: এইটা কি নমুনা দিলেন, নাকি এভাবেই পড়ানো হয় নোট দিয়ে?

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৪

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: এটাতো নমুনা না। সম্পূর্ণ উত্তর করে দেয়া। নোট বলতে পারেন। মূল বইয়ের অনুশীলনীতে দেয়া প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর দেয়া হয়েছে এখানে। উত্তরগুলো কেমন হওয়া উচিত তা দেখানো হয়েছে।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২২

কেউটে সাপ বলেছেন: লুচি নয় , পাঠার মাংস নয় . অন্নপাপ ! সে তো মহা পাপ . ......এই লাইনটা খুব প্রিয়

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:২৫

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: শরৎচন্দ্রের শ্লেষাত্ম ভাষার অত্যন্ত উচ্চমার্গীয় নমুনা এই উক্তিটি। সমাজের বক ধার্মিকদের প্রতি অত্যন্ত তীর্যক মন্তব্য বটে।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩০

পরমানন্দ বলেছেন: আপনি নোট করে দিলে সৃজনশীলতা নষ্ট হবে না?

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩৯

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: এ প্রশ্ন পরীক্ষায় আসবে না। এখন কোন প্রশ্নই পরীক্ষায় আসবে এমন নিশ্চয়তা নেই। সুতরাং এট মুখস্হ করার কিছু নেই। কেবল দেখতে পারে।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৩১

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: পরীক্ষায় কি এই প্রশ্নগুলাই থাকবে, নাকি একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই প্রশ্নগুলাই থাকবে, নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রশ্ন থাকবে?

উত্তরের এই মানদন্ড কে ঠিক করেছেন? বোর্ড থেকে বইয়ে এই উত্তর ছাপিয়ে দেয়া হয়েছে নমুনা হিসেবে নাকি আমাদের মহান শিক্ষকরা তৈরী করে করেছেন।

****আমি আসলে আইছি তেনা পেচাইতে আর গালি দিতে। গালিডা কারে দিমু খুজতাছি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১১:৪২

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: গালি দিলে এমনিই দেন। তেনা পেচানোর কি দরকার।
কারো কারো প্রয়োজন হতে পারে এ বিষয়ে একটু দিক নির্দেশনার। তাই পোষ্ট টা দেয়া। আপনার প্রয়োজন না থাকলে না দেখলেই তো পারেন।

উত্তরের মানদন্ড বোর্ড ঠিক করলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে এটা আপনাকে কে বললো। বোর্ড প্রকাশিত অনেক নমুনাই কুখাদ্য।

বিষয়টা নতুন বলে কোন শিক্ষকও তো এটা দেখে সহযোগিতা নিতে পারেন।.....

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৩৫

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: আমি এমনিতে গালি দিই না। বিবেকে লাগে।

আমার প্রথম মন্তব্যের জবাবে বলেছেন, "উত্তরগুলো কেমন হওয়া উচিত তা দেখানো হয়েছে।"

এইটার নাম সৃজনশীলতা না। এইটা সেই বস্তাপচা অখাদ্য বিধ্বংসী পুরাতন রীতি। সেখানে শিক্ষকরা দেখিয়ে দেন কিভাবে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে, কিভাবে উত্তর দিলে ভাল নম্বর পাওয়া যাবে এইসব.........

আমার উত্তর আমি লিখব, আমার মাথায় যা আছে তা দিয়ে লিখব, আমি যতটুকু বুঝেছি ততটুকু লিখব, কোন শিক্ষরের কাছ থেকে ধার করা জ্ঞানের আমার দরকার নাই।

বোর্ড একটা আবাল। "বই পড়া" প্রবন্ধও রাখে আবার রচনামূলক প্রশ্নের হাতের লেখার প্রতিযোগীতাও চালায়।

শিক্ষার হর্তাকর্তা বা নিয়ন্ত্রক শিক্ষকরা নয়, বোর্ড। তারা যদি কুখাদ্য দেয় তবে তাই গিলতে হবে। শিক্ষকের অতিরিক্ত আঁতলামি এখানে গ্রহনযোগ্য নয়। পারলে শিক্ষকরা বোর্ডের কাছে অবেদন করে মানদন্ড বদলাক।

১০ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:৫৫

উন্নত শিক্ষা বলেছেন: হুমমম...।আপনি গালি দিলেও যৌক্তিক গালি দিয়েছেন। সুতরাঙ আপনার মন্তব্যে প্লাস।

হতে পারে আমি বলেছি উত্তরটা এরকম হওয়া উচিত। তারমানে এই নয় যে, এমনই হতে হবে। এখনকার প্রশ্নোত্তরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে কিছুই কমন পড়ার নাই, কিছুই মূখস্থ করার নাই। যে যত ভালো বুঝতে পারবে তত ভালো হবে তার লেখা।
তবে এটাও তো ঠিক- কেউ একজন যদি তার ইচ্ছেমতো লিখে তাহলে তা সঠিক নাও হতে পারে। উত্তরের সঠিকতা নির্ভর করবে তার আন্ডারস্ট্যান্ডিঙএর উপর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.