নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনের বনে দুঃখ ফুল বেদনার রঙে সেজেছে

২৩ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭




অগ্নিদগ্ধ একটি শিশু হাঁটছে উদাসীন
দেহটি যে তার ঝলসে গেছে আগুনে
ছোট্ট অবলা শিশু কখনো যে
ভাবেনি হায় আসবে এমন নির্মম দিন
দিক্বিদিক যেন ছুটছে সবাই
যেন সেই রোজ হাশরের ময়দান
নেমে এসেছে ধরায়
প্রিয় নগরী তাই ডুকরে কেঁদে ওঠে
কোথায় হারালো নিষ্পাপ শিশুটি তার
যে শিশুটির চলার পথ; আদর সোহাগে পরম যতনে
বাবা মায়ের বুকের জমিন।
সারা জীবন আগলে রাখা প্রাণের চেয়ে প্রিয়ো কোমল দেহটিও
খন্ড খন্ড লন্ড ভন্ড মৃত অবয়ব পান্ডুর মলিন।
বীভৎস এমন দৃশ্য এইখানে কেউ দেখেনি যে আগে।
নিহত বিমান চালক পারতেন বেঁচে যেতে
তিনিও যে মরে গেছেন নগর বাসীর জীবন বাঁচাতে চেয়ে
মেহেরীন চৌধুরী সব কিছু ছাপিয়ে যেন জগৎ মাতা
মানবতার বাতিঘর,
একে একে কুড়িটি শিশুর জীবন বাঁচাতে গিয়ে
তিনিও জীবন দিলেন; অগ্নি দগ্ধ হয়ে
আত্নোৎসর্গের এমন নজির কেউ দেখেনি আগে
কৌতুহলী মনে তাই প্রশ্ন জাগে
শিক্ষিকা কি তবে মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে পারে
নিজের জীবন তুচ্ছ করে কেমন করে আগুনে ঝাপিয়ে পড়ে
প্রিয় সব ফুলের কাননে আগুন লেগেছে
মনের বনে দুঃখ ফুল বেদনার রঙে সেজেছে।
নিষ্ঠুর শহরে পানির বোতল ছয়শ টাকা
রিকশা ভাড়া হাজার, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে থেকেও
ফুটলো না ফুল হায় বিশ্ব মানবতার।




ছবি: নেট থেকে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১২

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভীষণ মর্মস্পর্শী সমসাময়িক একটি ঘটনার কবিতায় চিত্রায়ন। ঘটনায় মানবিকতা এবং অমানবিকতা, দুটোই দেখা গেছে। অসহায় বাচ্চাদের জননীর ভূমিকায়একজন মহিয়সী নারী (মিস মেহেরীন)নিজে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ২০টি অসহায় শিশুকে আগুনের লেলিহান শিখা থেকে উদ্ধার করেছেন, এটা করতে গিয়ে তিনি নিজেও ৮০% অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। এটা ছিল মানবিকতার একটি চরম দৃষ্টান্ত।

অপরদিকে এলাকার আশেপাশে অবস্থিত কিছু দোকানদার এবং রিক্সা/সিএনজিওয়ালা অত্যন্ত চড়া মূল্যে পানির বোতল এবং যাতায়াতের ভাড়া দাবী করে দুর্ঘটনার চরম বিপর্যয়ের মুহূর্তে তাদের পশুত্বের পরিচয় দিয়েছেন। আগে সবসময় দেখা যেত, এমন চরম বিপর্যয়ের সময় অনেক রিক্সাওয়ালা বিনামূল্যে অথবা কম ভাড়ায় রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দিত। মানুষ আহতদের নিকট পানি পৌঁছে দিত। এখন মানুষ তামাশা দেখে এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও করে। মানবিক বোধ এবং সহানুভূতির অবক্ষয় প্রকটভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে সমাজের নানা স্তরে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১১:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে এবং পাঠে অনেক ধন্য। ব্লগে কমেন্ট করতে পারছি না। তাই অন্যদের পোস্ট পড়ার পরও কমেন্ট করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.