![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলার মতো যদি টকশোগুলোতে ধারাভাষ্যের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমরা হয়তো বিনোদনটা পুরোপুরি নিতে পারতাম।
---------------------
দর্শকবৃন্দ আমরা দেখছি, টকশো আরাফাত মনে মনে কথা গুছিয়ে আনছেন। প্রস্তুতি হিসেবে তিনি আমাদেরকে দেখানোর জন্য বিভিন্ন পয়েন্ট নোট করছেন। সুতরাং আমরা মনে করলাম তিনি আক্রমণ শানাবেন এখন। কঠিন সব পয়েন্ট লিখে ফেলেছেন। অন্যরা কথা বলছে। কিন্তু তিনি তার সামনের কাগজের দিকে তাকিয়ে আছেন। বুঝাতে চাচ্ছেন যে অন্যদের কথা তার শোনার মতো তত গুরুত্বপূর্ণ না। এমন সময় নাটকীয়ভাবে উপস্থাপক অঞ্জনদা তাকে সুযোগ দিলেন। সুযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই এ. আরাফাত ওরফে আলু আরাফাত হাত উচিয়ে পাঞ্জাবীর হাতা সেটিং ঠিক করলেন। তার পুরুষ্ট বুকটি একটু সামনে ঠেলে দিলেন। এখন তিনি হেলেদুলে ক্ষিপ্র গতিতে ডি বক্সের দিকে ধেয়ে যাচ্ছেন। আরাফাতের সহজ সরল আলাভোলা মুখটিতে দুনিয়ার নিষ্পাপতা ও সাবলীল কৌতুক। আমরা দেখছি শাহবাগি দক্ষতা দিয়ে অন্য সবদিনের মতো আজও তিনি প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে তছনছ করে দিলেন। একই সাথে মুখে বিভিন্ন কথা বলে যাচ্ছেন, অর্থহীন তুবড়ি। খেলার এ জটিল মুহুর্তে আমি শরাফত ভাইকে মাইক এগিয়ে দিচ্ছি।
ধন্যবাদ খোদাবক্স ভাই। আমি আকাশ ও মাঠের পরিস্থিতির একটা বর্ণনা দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন সময় নাই। আমাদের চোখের সামনে আলু আরাফাত অনেকদূর এগিয়ে গেছেন।
আবুল তাবুল ঢং এর মধ্য দিয়ে শেষপর্যন্ত জয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আওয়ামী চাটা কচিখোকাটি গোলবক্সের কাছে পৌছে গেসেন। এখনই সম্ভবত দিনের সবচেয়ে প্রতিক্ষিত গোলটি হতে যাচ্ছে। পুরো মাঠ উত্তেজনায় টানটান। আরাফাত এবং গোলপোষ্টের মাঝে আর তেমন কোন বাধা নেই। আরাফাতের চোখমুখেও প্রচুর আত্মতৃপ্তি। এবং হ্যাআআআআআআ। তিনি চোখ ঘুরিয়ে মুখ বাঁকিয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের বিশাল একটি ফতোয়া আলগোছে বিপক্ষের জালে ঠেলে দিলেন।
আরাফাত জাতিকে আবার জ্ঞানসমৃদ্ধ করলেন। তিনি জানালেন যারা জয় বাংলাকে আলিঙ্গন করতে পারেনা তাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাবতে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধাদের কষ্ট হয়। অর্থ্যাৎ তারা মুক্তিযোদ্ধা না।
ফতোয়া দেয়া শেষ। আমরা দেখতে পাচ্ছি এখন আলু আরাফাত বোমার আঘাতের উপর বার্ণিশ মারার চেষ্টা করছেন। এমন সময়ে পুরো জাতির তালিতে ফেটে পড়তে হবে। আমরা মনে করেছিলাম পুরো ষ্টেডিয়ামের দর্শকবৃন্দ দাড়িয়ে উল্লাসে কুঁদাতে থাকবেন। কিন্তু না। কিন্তু এ কি দেখছি। বিপক্ষদলে একজন বাস্তব মুক্তিযোদ্ধার আবির্ভাব। এ ফতোয়ার পর যেখানে তরুণ প্রজন্ম আরাফাতকে কান্ধে তুলে মাঠ প্রদক্ষিণ করবে, ওখানে মেজর আখতারুজ্জামান আরাফাতকে ধর্ষণ করা শুরু করলেন। সাথে বাকিরাও যোগ দিয়েছেন।
দর্শকবৃন্দ মাঠে চরম উত্তেজনা। আমরা দেখতে পাচ্ছি বেকুব আরাফাত ক্রমাগত ধর্ষিত হচ্ছে। নিরুপায় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধা শাহবাগি আরাফাতের গোলপোষ্ট উড়ে গেসে। ছিন্নভিন্ন এই আরাফাতকে দেখে সুদূর কমেন্টারি বক্স থেকেও আমরা অসহায় বোধ করছি। আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম!
মূল লেখকের লেখা এখানে
ধারণকৃত হাইলাইটস দেখুন এখানে:
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
মদন বলেছেন: