নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিলীন হয়ে আছি এক ধোঁয়াটে ধূসরে

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে, রয়েছ নয়নে নয়নে। হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে, হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

অপ্রচলিত

প্রচলিত সব ধারণার বিপক্ষে।

অপ্রচলিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ ব্ল্যাসফেমি, এবং কিছু কথা

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

ব্ল্যাসফেমির সংজ্ঞা অনেক রকমের হতে পারে, তবে এখন ব্ল্যাসফেমি বলে যেটা বোঝানো হচ্ছে তা হল নবী-রাসূলের সমালোচনা/মিথ্যাচার, কুৎসা রচনা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা। অনেকেই বলছেন এ বিষয়ে কঠোর আইন করে এর বাস্তবায়ন করাটা জরুরী এবং এটি সময়ের দাবি। কোন সন্দেহ নেই যে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা নিন্দনীয়, তবে প্রশ্ন হল এটি কি শাস্তিযোগ্য কোন অপরাধ? প্রথমত ধরা যাক এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এটি কি আপনি আদালতে প্রমাণ করতে পারবেন? ধরা যাক আপনার নাম-ঠিকানা দিয়ে আমি কোন ব্লগে কিছু একটা লিখলাম। এটি কি আদালতে প্রমাণ করা সম্ভব যে এটি আপনি আসলেই লিখেছেন বা লিখেন নি? এর উত্তর দিতে খুব একটা চিন্তা করার দরকার হয় না। প্রশ্ন উঠাটা খুবই স্বাভাবিক যে যেখানে আপনি অপরাধ প্রমাণ করতে পারবেন না সেখানে শাস্তির দাবি কোথা থেকে আসে?



এবার এ প্রসঙ্গে আসা যাক। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা কি আসলেই শাস্তিযোগ্য অপরাধ? এ ব্যাপারে ইসলাম কি বলে তা জানা যাক। বলা হচ্ছে ব্ল্যাসফেমি ঠেকাতে ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করার কথা, কিন্তু যারা এটা বলছে তাদের নিজেদেরই ইসলামী আইন সম্পর্কে ভাল ধারণা নেই। আমরা জাতি হিসেবে আসলে বেশি কথা বলতে ভালোবাসি। কোন কিছু, বিশেষ করে ধর্ম, সম্পর্কে কিছু কথা শুনলেই ভালো করে যাচাই না করেই সেটা ছড়িয়ে দেই। যেটা সত্য, সেটা হল ইসলামে আসলে ব্ল্যাসফেমির বিরুদ্ধে সেরকম কোন আইনের কথা বলা নেই। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু এখন লিখব না, তবে কারো জানার ইচ্ছা হলে এ দুটো নিবন্ধ পড়ে দেখতে পারেন।



Blasphemy In Islam

The Origins Of The Blasphemy Law



যদি আমি ভুলও বলে থাকি এবং ইসলামে এ ব্যাপারে কঠোর আইনের বিধান থেকেও থাকে, তা হলেও কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকেই যায়।

যে আপনার ধর্ম বিশ্বাস করে না, তাকে কি করে আপনি আপনার ধর্মের বিধান অনুযায়ী শাস্তি দিবেন, এবং সেটি কি নৈতিক হবে?

আপনি কি করে জানেন যে আপনার ধর্মই সঠিক ধর্ম? আপনি বড়জোর এটি বিশ্বাস করতে পারেন, কিন্তু আপনি কখনোই প্রমাণ করতে পারবেন না। পারলে ধর্ম নিয়ে এত বিতর্ক কখনোই হত না। সব চাইতে ভাল সমাধান হল যার যার ধর্ম তার তার কাছে রাখা।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: হুম চিন্তার বিষয়

ভালো লেখা ++

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

অপ্রচলিত বলেছেন: অনেক পুরনো পোস্ট পড়েছেন। কষ্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২

মামুনূর রহমান বলেছেন: ব্লাসফেমি কি তাই জানতাম না। নতুন কিছু জানলাম।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

অপ্রচলিত বলেছেন: আমিও লেখার আগে জানতাম না। যখন লিখেছিলাম তখন হেফাজত সহ আরও কিছু সংঘটন ব্ল্যাসফেমির অভিযোগে কিছু ব্লগারদের শাস্তির দাবি করে তোলপাড় করছিল।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: ব্লাসফেমি নিয়ে আরও অনেক কিছু আলোচনার আছে।

বিস্তারিত পাবো বলে আশা করি!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩

অপ্রচলিত বলেছেন: ঠিক বলেছেন। স্বীকার করে নিচ্ছি তেমন গঠনমূলক লেখা হয়নি। অবশ্যই আরও অনেক বিস্তারিত যুক্তিতর্কের অবকাশ আছে। পাশে থাকুন হয়তো নিকট ভবিষ্যতে কখনো বিস্তারিত লিখব।

ভালো থাকুন সদা সর্বদাই।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:১২

বেলা শেষে বলেছেন: Brother, today we know - more then 95% writings are from Tools or from Mashines, more interesting is that all of them are from western.....

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

অপ্রচলিত বলেছেন: ঠিক বোধগম্য হল না, খোলাসা করে বললে ভালো হত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.