![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব
দেশের মানুষ এক সাথে অনেক কিছু অবলোকন করছে। তীব্র গরমে জন জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। তার সাথে চলছে পবিত্র মাহে রমজান। তাপদাহে রোজার ভাবগম্ভীর্যে তত একটা প্রভাব ফেলতে না পারলেও বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে মানুষ চরম নাকাল। মোটা চালের দাম সর্বোচ্চ পরিমাণ ঠেকেছে। গরীব খায় কি! মোটা চাল আর মোটা ডাল। এ দুটো জিনিষের দাম যদি সরকার নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারে তাহলে গরীবের মুখের দিকে তাকিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়া উচিৎ। আচ্ছা এদেশের 16 কোটি মানুষের মধ্যে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে কত জন জড়িত? এক হাজার, দশ হাজার কিংবা দশ লক্ষ্য? যদি দশ লক্ষ্যই হয় তাহলে সরকার এই দশ লাখ অতি মুনাফাখোড় কে কেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? নাকি তারা সরকারের অনুগত বলে সরকার তাদের কে আঁচলের মধ্যে পুষে রাখে! অতি মুনাফাখোড়দের নিয়ে বুড়া অর্থ মন্ত্রী মাঝে মাঝে মুখ দিয়ে দু’চারটি বেফাস মন্তব্য করে হাস্য রস সৃষ্টি করেন। যা টোটালি রাবিস!
এবার আসি কাঁচা বাজারের দিকে; পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে সব সবজির কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে দেখা গেছে।পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি সবজির দাম 5 থেকে 15 টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণ। এই দাম বৃদ্ধির কারণ অজ্ঞাত হলেও ব্যবসায়ীদের সাধারণ একটি উত্তর আছে তা হলো:- লেবার, পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খরচ দিয়ে লাভ করতে হয়। এজন্য দাম এটু বেশি।
কিন্তু সবজি পরিবহনের সময় ট্রাক প্রতি ঘাটে ঘাটে সোনার ছেলেদের অবৈধ যে চাঁদা দিতে হয় সে কথা কেউ মুখ ফুটে বলছে না।বললেও তা বিছিন্ন। সরকারও নিরব।
বাজারের উর্দ্ধ গতি সর্ম্পকে
দেশের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা যে দু’চারটি কথা বলেন; তা অধিকাংশ এরকম:- অন্যান্য যে কোন সময়ের তুলনায় এখন সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। এবং কি নিত্য প্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামেও তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।
মন্ত্রীদের এ সমস্ত কথাবার্তা শুনে গরীবরা আতঙ্কে ভোগেন। গরীবরা ভাবে তারা (মন্ত্রীরা) কি স্বাভাবিক মানুষ নাকি অন্য কিছু।
আজ আরেকটি জিনষ আমাদের জন্য আতঙ্ক এবং অনাকাঙ্খিত হিসেবে আবির্ভত হচ্ছে, তা হলো ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম;
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও এর তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘মোরা’। ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'-র কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ‘সাত নম্বর বিপদ সংকেত’ দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে সামুদ্রিক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে অতিসত্ত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। (যমুনা নিউজ)
এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সাধারণের মাঝে আতঙ্ক এবং চাঞ্চলতা দেখা দিয়েছে। গরীবরা প্রার্থণা করছে যেন তাদের বাড়ি ঘড়, ফসলি ক্ষেত যেন বিনাশ না হয়। আর যদি কোন কারণে ‘মোরা’ ভয়ংকর রুপ ধারণ করে তাহলে গরীবের পাশে কেউ দাড়াবে না। নামে মাত্র যা রিলিফ দিবে তাও তাদের পেটে ঠিক মত পরবে না। তা সরকারের চ্যালারা লুটে পুটে খেয়ে হজম করে ফেলবে।
২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ ও মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন দিবানিশি এই কামনা করি।
২| ২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: সেই সিডরের পর বড় কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ বাংলাদেশ দেখে নি সেই অর্থে। তাই এই 'মোরা' কি সর্বনাশা কিছু নিয়ে আসছে।
২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সেই রকম কিছু। তবে সাবধান থাকাই ভালো।
খোদা সবাইকে হেফাযত করুন।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।
০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমিন।।।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
সুমন কর বলেছেন: আপনার এই সময়ের ভাবনাগুলো ভালো । +।