![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব
(ছবি প্রতিকি)
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবার পইলান মোল্যার কান্দি স্ত্রীর ফাহিমা বেগম (২২) এর যৌনাঙ্গে টেটার নাল, বিষের বোতল, ও ধাতব পদার্থ ঢুকিয়ে দিয়েছে নেশাখোর স্বামী মোহন খান। শুক্রবার রাত ১টার দিকে স্ত্রীকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে এ পাশবিক নির্যাতন করে। এ সময় স্ত্রীর উরু, থাই সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামরিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করার আলামত পাওয়া গেছে। অসুস্থ অবস্থায় ফাহিমাকে শরীয়তপুর সদর হাসতালে ভর্তি করা হয়। সার্জিক্যাল সংক্রান্ত জটিলতার কারনে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম ফাহিমাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেছেন।
ভিকটিমের পরিবার সূত্র জানায়, প্রায় ৩ বছর পূর্বে একই গ্রামের পইনাল মোল্যার কান্দির কাদির খানের ছেলে মোহন খানের সাথে ফাহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোহন কোন কাজকর্ম করতো না। অসুস্থের অজুহাতে সারাদিন ঘরে বসে থাকতো আর ভিটামিন ঔষুধের নামে ইয়াবা সেবন করতো। কিছু বললেই নেশাখোর স্বামী মোহন স্ত্রী ফাহিমাকে মারধর করতো। কয়েক দিন পূর্বে অভিমান করে ফাহিমা পিতার বাড়ি চলে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয় আক্কাস মেম্বার ও হারুন মাদবর ফাহিমাকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসে। গত রাতে (শুক্রবার) মোহন তার বোন সানুর সহায়তায় ফাহিমার যৌনাঙ্গে টেটারনাল, বোতল, ধাতব বদার্থ ঢুকিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স নাসিমা বলেন, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এমন রোগী আর দেখিনি। যৌনাঙ্গের ভিতরে লোহা, বোতল, কনডম। লোহা ধরে টান দিলে নাড়ী, মাংস সহ বেরিয়ে আসে। তাছাড়া উরু ও পাছায় কামরে ক্ষত-বিক্ষত। রোগীর অবস্থা খারাপ তাই চিকিৎসক ঢাকায় প্রেরন করেছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালে বিগত তিন বছরে এমন কেইস দেখিনি। যৌনাঙ্গের ভিতরে বোতলের সিপি, কনডম, ধাতব পদার্থ ঢুকিয়ে দিয়েছে। ধাতব পদার্থ ধরে টান দিলে মাংস সহ বেরিয়ে আসে। তাই গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. সাবরিনার কাছে পাঠিয়ে দেই। সেখানেও কোন সমাধান হয়নি। সার্জিক্যাল সমস্যা সমস্যা সমাধানের জন্য রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করি।
..............!.............
আমাদের এলাকার মানুষ আগে এতো হিংস্র ছিল না। এখন মানুষগুলো দিন দিন আইয়্যামে জাহেলিয়াতে প্রবেশ করছে কেন? এর একমাত্র কারণ মাদক। মাদকের খপ্পরে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষগুলো হিংস্র থেকে হিংস্রতর হচ্ছে। আর বর্তমানে শহুরে এবং গ্রামে যে হারে নারী নির্যাতন হচ্ছে তার মধ্যে বেশিরভাগ ঘটছে স্বামী নেশাখোর কিংবা মাদক সংক্রান্ত কারণে। সবচেয়ে দু:খের বিষ য় খোদ নারীরাই এখন মাদক পরিবহন, বিপনন এবং ব্যবসায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
সবচেয়ে আশ্চর্য এই যে, এ বিষয়ে আমাদের দেশে তথা কথিত নারীবাদী আর সু-চীলরা নিরব। তাদের প্রচার দেখলে মনে হয় তারা তথা কথিত প্রগতির নামে মাদকের প্রচারে নেমেছে। মাদকের কারণে নারী নির্যতন হচ্ছে এটা তাদের জানা নেই। কিন্তু প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে বর্তমানে নারী নির্যাতনের যতগুলি খবর আসছে তার বেশির ভাগ ঘটছে বখাটের উৎপাত, মাদক সেবীর কর্তৃক গার্মেন্টস কর্মী ধর্ষণ, স্বামী নেশাখোর ইত্যাদি কারণে। তারা কিছু হলে পুরাণ ক্যাসেট নতুন করে বাজায়। কিন্তু পুরাণ গান যে এখন বিলুপ্তপ্রায় সেটা তাদের মাথায় নেই। কবে তাদের হুশ হবে আল্লাহ মালুম!
সূত্র: এখানে দেখুন
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যার মধ্যে নিন্মত মানুষিক জ্ঞান আছে সেও চাইবে পাষান্ডের উর্যুক্ত বিচার হউক। এভাবে আর কত দিন!
গাছের গোড়ায় পানি ঢেলে আগা কাটলে কোন লাভ নেই। সেটি আবার গজাবে।
মাদক যেবাবে ছোবল মারছে আর তরুন পোলাপাইন যেভাবে ইয়াবার ডিলারশিপ হচ্ছে তাতে কয়জন কে ফাঁসি দিয়ে এ অপরাধ রুখতে পারবেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে, তার উপর আজ আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো, এই জঘন্য অপরাধের শাস্তি চাই --
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশ এখন উদ্ভট সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশে প্রযুক্তি এবং মাদকের বিপ্লব ঘটছে। এই বিল্পবের ফলে সৃষ্ট সমস্যার মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আমাদের নেই বা কিংবা কিবাবে মোকাবেলা করব সে সম্পর্কে আমাদের জানা নেই বা আমরা উদাসীন।
একদল আছে, মূল সমস্যায় না গিয়ে মিডিয়াতে হাউকাউ শুরু করে দেয়।
৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:০৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন শাহাদাৎ ভাই, মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এমন জঘন্যতা দেখতেই হবে। পাশাপাশি অপরাধের দ্রুতবিচার সম্পন্ন করে শাস্তি নিশ্চিত করারও বিকল্প নেই।
প্রতিউত্তরে মুগ্ধতা রইল
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মাদকের ব্যাপারে আমাদের দেশের সরকার, রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন এবং মিডিয়া কেন জানি প্রশ্নবোধক ভূমিকা পালন করে। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
আপ্নাকেও ধন্যবাদ, ফিরে এসে প্রতি মন্তব্য রেখে গেছেন।
৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২১
জাহিদ অনিক বলেছেন: পোষ্টের শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম হয়ত অনেক আগের মধ্যযুগীয় কোন ঘটনা ।
কিন্তু এ তো এই সমসাময়িক ঘটনা!
এমন মাতাল, নেশাখোর স্বামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি ।
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মাদকের নীল ধর্ষণে মানুষের মস্তিষ্ক ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায়। একজন মাদক সেবী যে কোন ঘটনা ঘটাতে পারেন। নিজ মা-বাবা কে হ ত্যার নজির ভূরি ভূরি আছে। এগুলো আইয়্যামে জাহিলিয়াতের লক্ষণ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
দেশটা মগের মুল্লক না, দ্রুত এই জঘন্য তম অপরাধের শাস্তি চাই ।
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৩২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশটা মগের মুল্লুক না হলেও হাসিনার মূল্লুক!
মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নজরে আসলে বিচার পাওয়াটা সহজ হত। তা না হলে ভিক্টিমের বিচার পেতে অনেক বেগ পেতে হবে।। এবং কি প্রভাব খাটিয়ে আপোষ রফায় যেতে পারে।
৬| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এদেশে এখনও নারী নির্যাতন চরমে। সব গুলা যদি মিডিয়াই আসত আমরা অবাক হয়ে যেতাম।
যাই হোক অপরাধী যেন কোন ছাড় না পায়।
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ভাইরে........ মিডিয়ার প্যাটার্ন এখন চেঞ্জ হয়ে গেছে। তারা রিপোর্ট করার আগে পারিপাশ্বিক দিক খেয়াল করেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা, অর্থ, প্রভাব সব কিছুর সাথে যোগ-বিয়োগ করে তারপর খবর পাব্লিশ করেন।
যাই হোক অপরাধী যেন কোন ছাড় না পায়।- আপনার ভিতর সরাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে।
৭| ১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
শাকিল১২৩৪ বলেছেন: সর্বপ্রথম মাদক দ্রব্যের চালান বন্ধ করতে হবে সমাজ থেকে, তবে যদি সমাজে কিছুটা শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়। আর এই পাষন্ডের ফাসির দাবি করছি।
কত্ত বড় অপরাধ!
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পোষ্টের সাথে সহমত পোষণ করলেন। বর্তমান সময়ে এই ধরণের সত্য উপলদ্ধি করলে বিপদের সম্ভাবনা আছে।
আপনার জন্য শুভ কামনা থাকল।
৮| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
আল ইফরান বলেছেন: মাঝে মধ্যে মনে হয় 'চোখের বদলে চোখ' এই ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা থাকলেই ভালো হতো।
এটলিস্ট যেই অমানুষিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে এই মেয়েটিকে যেতে হচ্ছে, অপরাধীও একইভাবে শাস্তি দেয়া যেতো।
বাস্তবতা হচ্ছে এই পাশবিক অপরাধের পরেও হয়তো আইনের ফাক গলে এই পশুটা বের হয়ে যাবে।
১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০০
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষরুপী হায়েনাদের শাস্তি দেয়ার জন্য এটা ভালো তরিকা হতে পারে।
এই ধরণের ঘটনায় স্হানীয় প্রভাবশালী শালিসি ব্যক্তিরা আপোষ রফার চেষ্টা করেন। যা অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। এই অবস্হা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে এবং গরীবের জন্য বিচার পাওয়া যাতে সহজ হয় সে ব্যবস্হা করতে হবে।
৯| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই কুত্তার উপযুক্ত বিচার চাই
১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:০৩
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: উপর্যুক্ত বিচার করা গেলে হয়ত এই মহিলা কিছুটা হলেও মানুষিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু তার উপর দিয়ে যে শারীরিক যন্ত্রণা যাচ্ছে এটা অবর্ণানীয়।
১০| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১০
হাফিজ রাহমান বলেছেন: দুঃখিত ভাই ! অনেক কষ্ট করে পাঠ করলাম। কিন্তু মন্তব্য করতে পারছি না। কারণ এ জাতীয় পোষ্টে কমেন্ট করার ভাষা আমার নেই। তাই দুঃখিত। .....।
১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার এই দু:খ ভারাক্রান্ত মন, আবেগ, প্রাণ আমাদের সকল কে স্পর্শ করুক- এই কামনা রইল।
এবং
মাদক ও নারী নির্যাতন চিরতরে বন্ধ হউক - এটাই থাকল রাষ্ট্র পক্ষের কাছে প্রার্থনা।
১১| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬
খালিদ বলেছেন: সমস্যা মোহন খান নয়, সমস্যা মাদক
প্রশাসন মাদকের রক্ষক, বিডিআর বা বিজিএফ নেশা চোরাচালানে সাহায্য করে, প্রশাসন দু একজন মাদক সেবী ধরে ঘুষ খায়, কিন্তু মাদক ব্যবসা পুষে রাখে
১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সহমত।।
১২| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
খালিদ বলেছেন: বাংলার জমীনে প্রতিটি মাদক, সিগারেট বন্ধ করা জরুরী
১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: অবিশ্যি।
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০০
Md Arif Mridha বলেছেন: আল্লাহ অসহায়ের সহায় হোক।আমিন।
১২ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমিন।।।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব দুঃখজনক ও ঘৃণিত অপরাধ। শাস্তিদানে শিথিলতা থাকার কারণে এমন জঘন্যতা আমাদের মাঝেমধ্যেই দেখতে হচ্ছে!!!
এই কুত্তার ফাঁসি হওয়া উচিৎ, তবে যদি সমাজ থেকে নারীনির্যাতন কিছুটা কমে।