নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতি যুগে একদল সত্যের অনুসারী থাকে। আমি সে দলে আছি।

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া)

সকল মানুষের মধ্যে কিছু কিছু ভুলত্রুটি আছে যা মানুষ নিজে বুঝতে পারে না, সেই ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এই অধমের দায়িত্ব

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনীতি ও ইবাদত কোন পথে?

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৯


আল্লাহ দুটি ইবাদত করার জন্য টাকা পয়সা থাকার জন্য শর্ত আরোপ করেছেন:
এক. হজ্জ।
দুই. যাকাত।

অর্থাৎ এই দুইটি ইবাদত গরীব চাইলেও করতে পারবেনা! গরীবের এই ইবাদত করার যোগ্যতা অর্জণ করতে হলে আগে শর্তানুযায়ী টাকা পয়সা ইনকাম করতে হবে!
কিন্তু আমাদের দেশে যারা টাকা পঁয়সা ইনকাম করে তাদের অধিকাংশ সৎপথে করেন না। অথবা তাদের উদ্দেশ্য যাকাত কিংবা হজ্জ করা নয়। তারা নিজেদের অবস্হা পরিবর্তণ করারা জন্য অসৎ পথের আশ্রয় নিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা আয় করে। বিষয়টা এদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে কিছুটা তুলণা করা যায়। এই সমস্ত নেতাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য জন-সেবা নয়, তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য থাকে ক্ষমতা দখল, প্রতিপত্তি অর্জণ, টেন্ডারবাজী করণ, সরকারী প্রকল্পের টাকা নয়ছয় এবং ব্যাংকের টাকা লুটপাট করা। এগুলো যারা করে তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়। এই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার তালিকায় সাধারণত বড় বড় নেতা, সরকারী আমলা, বড় বড় ব্যবসায়ী কিংবা নামিদামী শিল্পপতি সহ ডাক্তার, উকিল এবং উচ্চ পর্যায়ের চাকুরীজীবীগণ থাকেন।

সবচেয়ে অবাক করার ব্যাপার হলো তারা শেষ বয়সে এসে হজ্জের নিয়তে সৌদি আরব গমণ করেন। টাকার জোড়ে নামের সাথে "হাজী সাব" টাইটেল লাগিয়ে দেশে ফেরেন! তাদের হজ্জ পরকালের, নিজের বা জাতির কোন উপকারে না আসলেও সৌদি রেভিনিউ ফুলে ফেঁপে উঠে। সৌদি শেখেরা সে টাকায় ইউরোপ আমেরিকায় বিলাসিতা করতে যায়। এতে বৈশ্বিক আর্থিক কর্মকান্ড গতিশীলতা অর্জণ করে। হজ্জ থেকে ফিরে এসে এই সমস্ত অসৎ লোকগুলো সন্তানদের সামনে ধর্মীয় বয়ান ছাড়েন। কিন্ত তত দিনে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। কেননা তার সন্তানেরা এতোদিনে ধণীর ঘরের দুলাল হিসেবে বেড়ে উঠেছে। আর এদেশের অধিকাংশ নব্য ধনীর ঘরের দুলাল বা দুলালীরা চরিত্রের দোষে বখাটে কিংবা নষ্টা হিসেবে সমাজে পরিচিতি পায়। তাই নব্য হাজী সাবের বয়ান দেওয়া পর্যন্তই শেষ! এই বয়ানে কোন কাজ আসেনা। ধনীর দুলালদের কাছে এই সমস্ত বয়ান বুড়াদের জন্য প্রযোজ্য কিংবা ব্যাকডেটেট মনে হয়। এতে বুড়ো (টাকার বিণিময়ে হাজী সাব টাইটেল লাগানো ব্যক্তি) মহা পেরেশানিতে পড়ে যান। তখন বুড়ো সাব হাতে তসবিহ নিয়ে আল্লাহ আল্লাহ জিকির করে আত্মাকে দমনন করেন।

অপর দিকে বুড়ার অর্জিত অবৈধ টাকা নিয়ে দুলাল কিংবা দুলালীরা মদের বারে, গাড়িতে বা নিষিদ্ধ যায়গায় গ্লাসে গ্লাস মিলিয়ে চিয়ার্স করেন। ইয়াবা নামক বড়িতে বিলাসিতায় মত্ত হন। কেউ কেউ বয় কিং গার্ল ফ্রেন্ড নামক আজব প্রাণী নিয়ে হইহুল্লুর করেন। বুড়ো চোখের সামনে এভাবে টাকাতে উড়াতে দেখে মনে কষ্ট পেলেও শান্তনা দেন এই বলে যে,.. আমারই তো সন্তান, তাদের জন্যি তো সবকিছু। তারা নষ্ট না করলে করবে কে!

বাহ্ কত চমেৎকার শান্তনা!

অবশেষে বুড়ো সাব জনকল্যাণ মূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। যাকাতের নামে কাপড় বিতরণ করেন। শরীয়াহ অনুযায়ী লক্ষ লক্ষ টাকার যাকাত আসলেও চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মোটা কাপড় কিনে এলাকায় "যাকাতের কাপড় বিতরণ কর্মসূচী" পালন করেন। এই কাপড় আনতে গিয়ে অনেকে জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দেন। এভাবে পর পর কয়েক বছর যাকাতের কাপড় বিতরণ সহ দান সদকা করার ফলে এলাকায় তার একটা গ্রহণ যোগ্যতা সৃষ্টি হয়, নাম দাম বাড়ে, লোকে হাজী সাহেব বলে তোয়াজ করে! আর এই সুযোগ নিয়ে বুড়ো সাব জন-প্রতিনিধি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। স্হানীয় পত্রিকায় ঈদ ও নব বর্ষের শুভেচ্ছার বাণী ছাপান। তারপর একদিন সাহস কারে পোষ্টার ছাপেন " আগামী মেম্বার, চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর কিংবা এমপি হিসেবে হাজী মকবুল আপনাদের দোয়াপ্রার্থী।
"
তবে ছোটখাটো পোষ্টে বা পাতি পর্যায়ে যারা থাকেন তারা বিশাল অংক কামাতে না পাড়িলেও মোটামুটি ভালোমানের টাকা ইনকাম করেন। এখন বলতে পারেন তাদের জন্য কোন ভালো ব্যবস্হা নেই? আছে আছে, তাদের জন্য ভালো ব্যবস্হা হলো তাব্লিগ জামায়েতের চিল্লা! তিন চিল্লা দিয়ে দাড়ি বড় করে আর লম্বা লম্বা পাঞ্জাবি পড়ে এলাকায় নূরানি ভাব নিয়ে চলাফেরা করা [( কেউ ভাববেন না যেন, আমি এজমালি তাব্লিগের বিরোধিতা করছি)]। তারা সব সময় মসজিদে একটি জায়নামাজ বুকিং দিয়ে রাখে। অসৎ পথের কামাই থেকে মাঝেমধ্যে ভালো অংকের টাকা মসজিদ, মাদ্রাসা কিংবা ওয়াজ মাহফিলে দান করেন। সে সময় সাধারণ মুসুল্লিরা বে-হক পথের টাকা জেনেও মারহাবা কিংবা আলহামদুলিল্লাহ বলে চিৎকার দিয়ে উঠেন! ইমাম সাহেব বিগত দিনের গোনাহ মাফ হওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে ব্যর্থ কান্নাকাটি করে চোখ ভিজাতে চেষ্টা করেন! সাধারণ মুসুল্লিরা এবং ইমামের এই চিৎকার আরশে আজীমে কম্পণ সৃষ্টি হয় কিনা কে জানে! কেউ কেউ মসজিদ কমিটির সভাপতির পদ অলংকৃত করে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলেন। অনেকে স্হানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে দলের মাঝে কোন্দল সৃষ্টি করেন। ছেলেকে লীগে কিংবা দলে পদ দেওয়ার জন্য বিভিন্নজন জায়গায় দৌড়ঝাপ কিংবা লম্পজম্প করেন। ছেলের হাতে মটর সাইকেল এবং টাকার বান্ডিল তুলে দেন ছাত্র কিংবা যুব রাজনীতি করার জন্য। ছেলে সে টাকায় গ্যাং স্টার গ্রুপ গড়ে তোলে এলাকায় নানা অপকর্মে জড়ায়। তাদের অপর্কম মাঝেমাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

এভাবেই আমাদের দেশে রাজনীতির চর্চা এবং হজ্জ ও যাকাত নামক ইবাদত পালন করা হচ্ছে। হতে থাকুক.... এতে আমার কিছু যায় আসেনা। আফসোস এই জন্যে যে এদেশের অধিকাংশ ধর্মভীরু গরীব জনগণ সব সময় হজ্জ এবং সোনার মদিনা স্পর্শ করার জন্য ছটফট করে মরে, অধিকাংশ মেধাবী ছেলেরা রাজনীতি নামে অপরাজীনীতির স্বীকার হয়ে ক্যাডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

এখন অনেকে বলবেন, অবৈধ টাকায় হজ্জ এবং যাকাত হয়না, হজ্জের ছোঁয়াব তমুক ইবাদতে পাওয়া যায়! এবং রাজনীতির শিক্ষা এই নয়. ব্লা ব্লা........। কিন্তু... অপরাজনীতির স্বীকার এই ছেলেগুলো একদিন সত্যি সত্যি মাথার উপর বসবে, আমরা তখন তাদের জি-হুজুর বলে ডাকব। এবং অবৈধ টাকায় ধার্মিক সাজা লোকগুলো থেকে যাবে সব কিছুর উর্দ্ধে।

রাজনীতি ও ইবাদত কোন পথে?

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: রাজনীতি ও ইবাদত দু'টিই এদেশে ধর্ম। একটি দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে টকানো হয়; আর অন্যটি জনগনকে বাশ দিতে ব্যবহৃত হয়। ভীন্ন শব্দ কিন্তু ব্যবহারিক অর্থ এক ও অভিন্ন। ভন্ড ও বাটপারদের কাছে দু'টিই ধর্ম।

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রাজনীতি এবং ধর্ম দিন দিন নষ্টাদের অধিকারে চলে যাচ্ছে। এখানে কিছু লোক ধর্ম ও রাজনীতি কে অপ ব্যবহার করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর থেকে সাধারণ জনগণের সহজে নিস্তার নাই।

২| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: অপ্রিয় অনেক সত্য কথা বলেছেন। আমরা আম জনতা এগুলো সবই বুঝি। এখন যাদের বুঝার তারা বুঝলেই হয়।

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: মানুষ কে বোকার রাজ্যে বসিয়ে কতগুলো অসৎ মানুষ কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছেন। আমরা তা দেখেও না দেখার ভান করি। এভাবে কত দিন!

৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


৭৬ সাল থেকে শুরু করে, দেড় কোটীর বেশী গরীব বাংগালী মক্কা মদীনায় কাজ করেছেন

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৮

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ৭৬ সাল থেকে শুরু করে, দেড় কোটীর বেশী গরীব বাংগালী মক্কা মদীনায় কাজ করেছেন তারা সৌদি হজ্জের উদ্দেশ্য যায়না তবে কেউ কেউ সুযোগে হজ্জ করে আসেন। তারা সাধারণ জনগণ। তারা অসৎ, ঠক এবং প্রতারক নয়। তারা দেশের মাথা হয়ে বসে না।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: রাজনীতি এই পথে যাওয়ার পেছনে দায়ী হল দুই নেত্রী বা দুই দলের লোভী রাজনীতিবিদরা। এরা সঠিক গণতন্ত্র চর্চা করেনি। ভোট করে নেতা নির্বাচন করেনি। যার কারণে একটা প্রজন্ম চামচামি করেই কাটিয়ে দিয়ে নেতা হয়েছে। আর ধর্ম এই পথে যাওয়ার কারণ হল এখনও সহানুভূতিশীল মুসলমানদের সংখ্যা বেশী হওয়াতে। যখন সচেতন মুসলিমের সংখ্যা বেড়ে যাবে তখন এদের দৌরাত্মও কমে যাবে...

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত। তাছাড়া দেশে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এই সমস্ত ব্যবসায়ীরা অল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করতে চায়। তাদের উদ্দেশ্য জনগণ কে ঠকানো। এই ব্যবসায়ী শ্রেণির মধ্যে ধর্ম কে ব্যবহার করে ফায়দা লাভের ঝোঁক থেকে বেশি। এদের কে আমরা ধর্ম ব্যবসায়ী, চেতনা ব্যবসায়ী, নীতি ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ ইত্যাদি নামে চিনি।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১১

সিগন্যাস বলেছেন: :) :) :) ইহা আর এমন কি

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপনি এই সমস্ত কাজ কর্ম দেখতে দেখতে সয়ে গেছেন।

৬| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: রাজনৌতিক নেতারা মানুষের ঠকিয়ে আংগুল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে .....
এদিকে ভন্ডরা অন্ধ বিশ্বাস কে কাজে লাগানোর জন্য ধর্ম কে ব্যবহার করছে ?
আমাদের দেশে সব কিছুর মূলেই শুধু টাকা আর টাকা ।
টাকার এত চাহিদা থাকলে মানুষ কিভাবে প্রকৃত হাজী হয়ে হজ্ব করবে তা আমার জানা নাই .....।

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:০১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: দেশে আগাছারর চেয়ে ফসল দ্রুত বাড়ছে। এই আগাছা লালন পালনের ভার রাজনৈতিক দল সমূহ হাতে তুলে নিচ্ছে। এতে করে একদিকে অসৎ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে অপর দিকে এক শ্রেণির মানুষ ধর্মীয় ভাবাবেগ কাজে লাগিয়ে নিজের অপরাধকে লুকিয়ে ফেলছে। সমাজের মানুষগগুলো টাকার পিছনে লাগামহীন ভাবে ছুটে সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় অবক্ষয় ঘটাচ্ছে। যা দুঃখজনক। সৎপথে ইনকাম করে হাজী না হতে পারলে আফসোস করার কিছু নেই। অসৎ পথে হাজী হওয়ার চেয়ে সৎপথে থাকা অনেক উত্তম।

৭| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভাই, আপনার বিষয়বস্তুর সাথে ছবির কোন মিল খুজে পেলাম না। :(
এটাতো রাজীব নুরের স্টাইল!! তবে যাই হোক, ছবি দেখে হাসি থামাতে পারি নাই! =p~ =p~

আর, রাজনীতির শিক্ষা এই নয়. ব্রা ব্রা......., ওটা ব্লা ব্লা... হবে।

আমার মন্তব্যে আবার কিছু মনে করবেন না, প্লিজ!

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:১০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কুকুরের জিহ্বা বের করা দ্বারা লোভ এবং আক্রমণাত্মক আচরণ কে বুঝায়। তারা সামনে যা পাবে তাতেই মুখ দিবে... ঘেউ ঘেউ করবে.... এটা রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র। অপর দিকে বিড়াল সোজা হওয়া মানে ভালো মানুষী সাজা। সাতশো ইঁদুর মেরে হজ্জ করে আসা.... ইত্যাদি ইত্যাদি (এটা সিজন্যাল হাজীদের প্রতিক)।

কারো ছবি আপলোডের স্টাইল কে অন্য কারো সাথে মিলানো ঠিক যায়না। কেননা যার যার চিন্তাধারা ভিন্ন।

টাইপো নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৮| ২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অসৎ পথে কামাই করা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া রাজনীতিক নেতা, সরকারী আমলা, বড় ব্যবসায়ী খেলাপি শিল্পপতি, কশাই ডাক্তার, ডাকাত উকিল, পাড়ার স্থানীয় মাস্তান।

এরা প্রায় সবাই নিয়মিত নামাজি। মাঝেমধ্যে ভালো অংকের টাকা মসজিদ, মাদ্রাসা কিংবা ওয়াজ মাহফিলে দান করেন। হজও করেন। ওমরা,জাকাত-ফেত্রা বলা লাগেনা।

উপরে অনেকে মন্তব্য করছে ওরা এরা ভন্ড, লোক দেখানো ভণ্ডামি করছে। একজনতো বললো গণতন্ত্রহীনতার কারনে এইসব ভণ্ডামি.বৃদ্ধি ..

আমার পর্যবেক্ষণে এরা মোটেই ভণ্ডামি করছে না। আল্লাহ একজন আছেন এই শক্ত ঈমান নিয়েই -
মন দিয়ে নামাজ পড়া, অন্তর দিয়ে দানখয়রাত করছে।
পাপের চেয়ে পুণ্য রেশিও বৃদ্ধির জন্য করছে।
নিশ্চয়ই আল্লাহ দয়াবান ও ক্ষমাশীল।

২১ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:২০

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কিছু ইবাদত আছে যেগুলো অবশ্যি পালন (ফরয) করতে হবে, যেমন- নামাজ, রোজা, হজ্জ যাকাত ইত্যাদি । আবার কিছু কাজকে আল্লাহ নিষিদ্ধ(হারাম) করেছেন, যেমন-সুদ, ঘুষ, ব্যভিচার, ইত্যাদি। এই হুকুমগুলো মানা বাধ্যতা মূলক। যারা আদেশ পালন করবেনা এবং নিষেধ অমান্য করবে তাদের জন্য পরকালে শাস্তির বিধান রয়েছে। আর ধর্মীয় মতে সুদ, ঘুষের টাকা দিয়ে ইবাদত (হজ্জ ও যাকাত) করা নিষিদ্ধ। যারা এগুলো করবে আল্লাহ তাদের সাথে কঠোর আচরণ করবেন।

৯| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:০১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মীয় মতে সুদ, ঘুষের টাকা দিয়ে ইবাদত (হজ্জ ও যাকাত) নিষিদ্ধ।

ফরজ এবাদত কে নিষিদ্ধ বলছেন?
৯৯% ই হারাম বা আংশিক হারাম ইনকাম।
হারাম টাকায় হজ জাকাত নিষিদ্ধ হলে এয়ারপোর্টেই হুজুররা আটকাতো, বিক্ষোব হতো, কোনমতে এয়ারপোর্টে পার হলেও হেরেম শরিফের গেটে সৌদি হুজুররা ঢুকতে দিতনা।
মসজিদে মসজিদে এসি ডোনেশান রিফিউজ করা হত।

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আমি ধ র্র মে বড় কোন এলেম নয় তবে এটুকু বললতে পারি নিষিদ্ধ টাকায় ইবাদত কবুল হয়না। আর সুদ ঘুষের টাকায় এবাদত নামক লোক দেখানো কালচার পাল ন করা ধ র্র মে যে নিষিদ্ধ রয়েছে তা গুগোল করলে পাওয়া যায়। যেহেতু আমি বড় কোন আলেম নই সেহেতু সে সকলল রেফারেন্স ব্যবহার করতে অনিশ্চা পোষণ করলাম। বিষয়টা ভালোমতো ক্লিয়ার হয়ে নেই। আর আপনি যে আলেমদের বিরোধিতার কথা বলেছেন প্রকৃত আলেমদের জোড়ালো বিরোধিতা করার মতো লজিস্টিক সার্পোট বর্তমান সমাজে নেই। এবিষয়ে এলেমরা বিরোধিতা করলে বিশ্বের বিপুল সংখ্যক তাগুত শক্তির সন্মুখীন হবে। খোদ সৌদির বাদশাহের কোপানলে পড়তে হবে। কে যায় এগুলো করতে। আল্লাহর ইচ্ছে হলে যার ইবাদত কবুল করবেন আর ইচ্ছে না হলে ইবাদত কবুল করবেন না।

১০| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৭

সনেট কবি বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

১১| ২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৭

ওমেরা বলেছেন: ভাল লিখেছেন ধন্যবাদ ।

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ আপু।

১২| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৩১

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ শাহাদাৎ হোসাইন- ধর্ম নিয়ে ধর্মপ্রচারক ও ধর্মযাজকেরা হাজার বছর ধরে ঘুমপাড়ানি গান গেয়ে চলছেন। তার মাঝেও সেই প্রাচীনকাল থেকে বর্তমানের কিছু জ্ঞানীব্যক্তি ধর্মের adverse effects নিয়ে লিখে গেছেন।
দুটি বহুল প্রচারিত quote দিচ্ছি । মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আর ভাববেন । তখন অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।
1.Religion is the sigh of the oppressed creature, the heart of a heartless world, and the soul of soulless conditions. It is the opium of the people . ( কার্ল মার্কসের বিখ্যাত উক্তি 1843)
2.Religion is regard by the common people as true, by the wise as false , and by the rulers as useful. ( সেনেকা দা ইয়ংগার 4BC-AD 65)

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ক্ষেত্র বিশেষ সকল ধর্মে সত্যের বীজ নিহিত, সকল ধর্মের মাঝে শান্তির পয়গাম থাকলেও ধর্মের সকল অনুসারীরা শান্তির বার্তা বহন করে না। আর ধার্মিকদের উত্তেজিত করতে ধর্ম ভালো টনিক হিসেবে কাজ করে।


ধন্যবাদ।।

১৩| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শুভ সকাল শাহদাৎ ভাই। অপ্রিয় সত্য কথা তুলে ধরেছেন। গোটা উপমহাদেশে এই নিয়মে চলছে। জনতন্ত্রের নামে চলছে বোকাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। আর আমরা বেশ আছি ধর্ম নিয়ে।

অনেক শুভ কামনা রইল।

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রথমত ধন্যবাদ ভাই।

ধর্ম নিয়ে কত ফ্যাসাদ, মারামারি, মানুষে মানুষে বিভেদ বিদ্যমান। সাধারণের মাঝে এই বিভেদ এক শ্রেণির মানুষ তৈরী করে রেখেছে। দেশের কর্ণধারেরা ধর্মীয় উত্তাপে আলু পোড়া দিয়ে খান।

১৪| ২২ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩২

শামচুল হক বলেছেন: ভন্ড বাটপারদের কাছে দু'টিই অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হয়।

২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: রাজনীতি এবং ধর্ম উভয়ই ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করা যায়।

১৫| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: রাজনীতি ও ইবাদত আলাদা। একটা আরেকটার পরিপূরকও না।
সৌদি আজও একটা বর্বর রাষ্ট্র।
রমজান মাস আমাদের দেশে যেমন ব্যবসার মাস, হজের সময় ওরা ব্যবসা করে। আমি নিজে দেখেছি প্রবাসীরা জায়নামাজ, তজবি, খেহুর, আচার, হাত ঘড়ি ইত্যাদি দৌড়ে দৌড়ে বিক্রি করছে। সেখানে শুধু বাঙ্গালীরা না, পাকিস্তানী আছে, মিশরের আছেম মধ্য প্রাচ্যের নানান সৌদি তে যারা থাকে তারা সবাই তখন মক্কা মদীনায় চলে আসে।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ২২ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: কুকুরের জিহ্বা বের করা দ্বারা লোভ এবং আক্রমণাত্মক আচরণ কে বুঝায়। তারা সামনে যা পাবে তাতেই মুখ দিবে... ঘেউ ঘেউ করবে.... এটা রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্র। অপর দিকে বিড়াল সোজা হওয়া মানে ভালো মানুষী সাজা। সাতশো ইঁদুর মেরে হজ্জ করে আসা.... ইত্যাদি ইত্যাদি (এটা সিজন্যাল হাজীদের প্রতিক)।
খুবই সুন্দর ব্যাখ্যা। এখন রিলেট করতে পারছি। ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১১

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধন্যবাদ

১৭| ২২ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: পুরোনো টপিক।
আরেকবার পড়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়া উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।

আরেকটা বিষয় বলতে ইচ্ছে করছে : কিশোর, যৌবন পার করে বৃদ্ধ বয়সে এক- দুই চিল্লা দিলেই কী হয়?

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্ম হাছিলের চেষ্টা ও ভালো অবসর।

১৮| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১৫

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: মাদক ব্যবসাটা ছাড়া, রাজনীতি আর ধর্ম ব্যবসা এদেশে সবচেয়ে বেশি লাভজনক এবং নিরাপদ। এতে না লাগে পুঁজি, না লাগে মেধা। চক্ষুলজ্জা ছেড়ে একটু ভণ্ডামী করতে পারলেই হয়।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৩

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: ধর্ম ব্যবসা জাতির জন্য সমস্যা।

ধন্যবাদ।।

১৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: সোজা সাপ্টা ভাষায় বেশ সুন্দর করে কিছু ভন্ডামির চিত্র তুলে ধরেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
একথা সত্য, হারাম অর্থ দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুধু হজ্জ্ব কেন, দান খয়রাতসহ কোন এবাদতই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এটা গ্রহণযোগ্য করা হলে হারাম অর্থ উপার্জনের স্পৃহা অনেক বেড়ে যেত।

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: জি, ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.