নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলস গল্পকার

মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই...

শাহেদ খান

আমি খুব ভাল একটা ছেলে। আমার সবচেয়ে ভাল দিক হল, কথাটা আমি বিশ্বাস করি ! :) ব্লগের বাইরে যোগাযোগে: [email protected]

শাহেদ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্ট :: ফ্রেডরিখ বাযিল (Jean Frédéric Bazille)

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৫



ছবি'র জগতে ফ্রান্সের 'ইম্প্রেশনিজম' আন্দোলনের সূচনা হয় একদল অ্যাডভেঞ্চারাস তরুণ-তরুণী'র হাত ধরে ! সনাতন সব নিয়ম-কানুন ভেঙে এই ছেলে-মেয়েগুলো এঁকে যাচ্ছিল একের পর এক আলো আর উচ্ছাসে ভরা জীবনের বাস্তব সব পেইন্টিংস ! কিন্তু একই সময়ে তাদের ব্যক্তিজীবনে নেমে আসছিল নানারকম বিপর্যয় আর সম্ভাবনা, কমেডি আর ট্রাজেডি'র খেলা। আজ বলতে এসেছি এক ট্র্যাজিক হিরো'র গল্প - যে শিল্পী এসেছিলেন অসাধারণ প্রতিভা নিয়ে, কিন্তু পরিণত বিকাশের সময় তিনি কখনও পান নি। যে চার বন্ধু'র হাত ধরে 'ইম্প্রেশনিজম'-এর যাত্রা শুরু, তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন - ফ্রেডরিখ বাযিল (Jean Frédéric Bazille)।





বাযিলের সেল্ফ-পোর্ট্রেট



বাযিলের জন্ম ১৮৪১-এর ডিসেম্বরে, মঁপেলিয়ে'তে (Montpellier)। জায়গা'টা প্যারিস থেকে বেশ খানিকটা দূরে, ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলে। এই অঞ্চলে আঙুরের ফলন হয় বেশ ভাল, আর সেই আঙুর থেকে তৈরি হয় মোটামুটি জনপ্রিয় লোকাল ওয়াইন। বাযিলের বাবা'র ছিল ওই ওয়াইন প্রস্তুতের ব্যবসা, অর্থকড়ির অভাব ছিল না তাদের। বাবা'র ইচ্ছা ছিল ছেলে ডাক্তার হবে, কিন্তু ছেলের আগ্রহ দেখা গেল পেইন্টিং-এ ! অবশেষে, পরিবার থেকে তার পেইন্টিং শেখার অনুমতি দেয়া হল, কিন্তু শর্ত হল - একই সাথে মেডিসিনে পড়ালেখাও চালিয়ে যেতে হবে ! দুই মহৎ উদ্দেশ্য এক করে বাযিল চলে আসলেন প্যারিসে, ১৮৬২ সালে। রুপকথা'র গল্প হলে বলতাম, 'ভাগ্যের দেবতা তখন প্রসন্নের হাসি হাসলেন'; কিন্তু ভাগ্যই হোক বা বাস্তবতা - বাযিল গিয়ে ভিরলেন চার্লস গ্লেয়ার (Charles Gleyre)-এর স্টুডিওতে। গ্লেয়ার ছিলেন ঐ সময়ের অন্যান্য সনাতন একাডেমিক শিল্পীদের চেয়ে অনেকটা লিবারেল, আর প্রতিভার কদর বুঝতেন লোক'টা। ভাগ্যের ব্যাপারটা যা বলছিলাম - ঠিক ওই সময়ই প্যারিসের বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও ক'জন তরুণ শিক্ষার্থী তুলি-ক্যানভাস হাতে গ্লেয়ারের স্টুডিওতে যোগ দিতে আসছিলেন, যারা হয়ে উঠবেন বাযিলের সবচেয়ে কাছের বন্ধু, যে ছেলেগুলো আর্টের ক্ষেত্রে হয়ে উঠবে প্রত্যেকে একেকজন আইকনিক ফিগার, যে নামগুলো'র কথা শিল্পজগতের পরবর্তী ইতিহাস কখনই ভুলতে পারবে না - ক্লদ অস্কার মনে', পিয়ের-আগুস্তে রেনোয়া আর আলফ্রেড সিসলী !





পোর্ট্রেট অফ বাযিল; রেনোয়া'র আঁকা



এমন সব প্রতিভাবান শিল্পী এক হওয়াতে যা হওয়ার তা-ই হল; বাযিল তার মেডিকেলের পরীক্ষায় 'ডাব্বা' মারলেন, আর কোনওরকম দুশ্চিন্তা না করে ওই পাট চুকিয়ে নাচতে নাচতে ফুলটাইম আর্টিস্ট হয়ে গেলেন ! বন্ধু হিসেবে ক্লদ মনে' ছিল বাযিলের সবচেয়ে ঘনিষ্ট। মনে'র বাবা মুদি'র দোকানদার, ছেলের আর্টিস্ট হবার উচ্চাভিলাস তার মনঃপূত হয়নি। ফলে পরিবারের সাপোর্ট হারিয়ে মনে'কে সবসময়ই থাকতে হত অর্থকষ্টের মাঝে। এমনকী ছবি আঁকার সরঞ্জাম যোগাড় করাও অনেক সময় দুষ্কর হয়ে যেত। রেনোয়া'র অবস্থাও বিশেষ সুবিধা'র না। সমস্যার সমাধান নিয়ে এলেন বাযিল। লাজুক স্বভাবের হলেও বাযিল ছিলেন বন্ধুদের বিষয়ে পুরোপুরি উদার। তার স্টুডিওতেই চলতে লাগল মনে' আর রেনোয়া'র প্র্যাকটিস, জায়গা আর সরঞ্জাম দু'টার ব্যবস্থাই তিনি করে দিলেন।





বাযিলের হাতে আঁকা তার স্টুডিও'র ছবি। ছবি'র মানুষগুলোও চেনা-পরিচিত। মাঝে লম্বা-মতন শিল্পীটা বাযিল নিজে, তার পেইন্টিংস দেখাচ্ছেন ক্লদ মনে' আর এদুয়ার্দ মানে'কে। বামে সিঁড়ির ওপর রেনোয়া, নিচে বসা বিখ্যাত ফরাসী লেখক এমিল জোলা। আর ছবি'র একদম ডানে পিয়ানো বাজাচ্ছেন আর্ট-ক্রিটিক এডমন্ড মেইতর'।



বাযিল এইসব শিল্পীদের যে শুধু টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিলেন, তাই নয়; এরপর দিতে থাকলেন একের পর এক অভিনব আইডিয়া'ও। স্বভাবসুলভ ভাবেই তারা কনভেনশনাল আর্ট ছেড়ে বাস্তব জীবনের ছবি আঁকতে শুরু করেছিলেন, বাযিল প্রথমবারের মত প্রস্তাব করেন - আউটডোরে গিয়ে সত্যিকার মডেল'দের দিয়ে লাইফ-সাইজ ফিগার পেইন্টিং করলে কেমন হয়? 'লাইফ-সাইজ ফিগার পেইন্টিং' (সত্যিকার মানুষের সাইজের পেইন্টিং) আগে যে হতো না, তা নয়। তবে সবটাই হত শিল্পীদের বড় বড় স্টুডিওতে - আর ছবিগুলো বিষয়বস্তুও হতো কোনও এপিক যুদ্ধ বা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট। কিন্তু সুবিশাল একটা ক্যানভাস নিয়ে রাস্তা-ঘাটে দাঁড়িয়ে একদম সাধারণ লোকজনের ছবি আঁকা হবে - এ ধরণের ওয়াইল্ড চিন্তা কার মাথায় আসে? বাযিলের এসেছিল। তিনি নিজে কখনও এ'কাজ করে যেতে পারেন নি, কিন্তু পরবর্তীতে মনে' ঠিকই করে গিয়েছিলেন, সৃষ্টি করেছিলেন অপূর্ব এক মাস্টারপিস। ওই ছবিটা নিয়েও আলাদা গল্প আছে একটা। মনে'কে নিয়ে যদি কখনও পোস্ট দিই, তখন বলব।



তার ইচ্ছে'র সেই 'লাইফ-সাইজ ফিগার পেইন্টিং' করে যেতে না পারলেও বাযিল যা করলেন সেটাও কম না। ২৬ বছর বয়সে বেশ বড়সড় ক্যানভাসে বাযিল আঁকলেন তার মাস্টারপিস Family Reunion of 1867–1868 (Musée d'Orsay, Paris)। বিশালাকায় ছবিতে বাযিল মাউন্ট-অলিম্পাসের দেব-দেবীদের আঁকলেন না, আদি বাইবেলীয় অ্যাডাম-আব্রাহাম-ডেভিড (আদম-ইব্রাহীম-দাউদ)-এর এপিকও না, তিনি আঁকলেন তার বাপ-মা, বোন, খালাত ভাই, ইয়ার-বান্ধবদের ! বিশাল ক্যানভাসে ব্যাপারটা তখনকার হিসেবে অভিনব। তবে মূল চমক'টা সেখানে না; আগে ছবিটা দেখুন -





Family Reunion of 1867–1868 (Musée d'Orsay, Paris).



কোনও এক রোদেলা সময়ে পরিবার-বন্ধু-বান্ধব'দের নিয়ে একটা মুহুর্তের ছবি, অথচ ছবি'র মানুষগুলো'র মাঝে সেরকম কোনও সাচ্ছন্দ্যবোধ নেই ! মনে হচ্ছে পারিবারিক না, একাডেমিক পিকচার। চেহারাগুলো কেমন ভাবলেশহীন, খুব বেশি ফর্মাল ! ঘটনাটা কী? আসল কথা হল, বাযিলের মূল উদ্দেশ্য ওই চেহারায় না, তার সমস্ত মনোযোগ ছিল ছবি'র পরিবেশ'টার ওপর ! সূর্যের আলো'র ইফেক্ট, ছায়ার নিখুঁত রং ধরা - এসবের উপরই বাযিল নিরীক্ষা করে গেছেন ক্রমাগত; আর এসবই তার ছবিতে এনে দিয়েছে ইউনিক একটা আমেজ !



নিচের ছবিটাও দেখুন। ২৩ বছর বয়সে আঁকা তার আরেকটা বিখ্যাত ছবি।







এই ছবি'র মডেল তার কাজিন। মডেলের চেহারা দেখা যাচ্ছে না; কিন্তু ছবিতে প্রকট হয়ে আছে দূরে বাড়িঘরের উপর প্রখর আলো, আর কাছে মডেলের আশপাশটায় জমাট ছায়া ! বাযিলের ছবিতে এই কাজগুলো চোখে পড়ার মত। একই ছবি'র বিভিন্ন অংশে আলো'র বিভিন্ন অবস্থা - ফিগারের চেয়ে ওটাই যেন ইম্পর্ট্যান্ট। কিন্তু তাই বলে আবার ভাববেন না, চেহারা আঁকায় তার উদাসীনতা ছিল ! একটা অসাধারণ ছবি দেখাই এবার -





View of the village, Castelnau



ছবিটা'র নাম দিয়েছেন 'View of the village', অথচ তাকাতে গেলেই চোখ আটকে যায় অসম্ভব কিউট চেহারা'র ওই মেয়েটার মুখে ! এক্সপ্রেশন দারূণভাবে প্রকাশিত, যেন দর্শকদের দিকে তাকিয়েই মেয়েটার গাল লাল হয়ে উঠছে ! কাছ থেকে দেখলে অসাধারণ একটা পোর্ট্রেট, দূর থেকে দেখলে চমৎকার একটা ল্যান্ডস্কেপ; কিন্তু সবকিছু ছাড়িয়ে - বাযিল নিখুঁতভাবে এঁকে ফেলেছেন ওই দৃশ্যের আব-হাওয়াটাকে ! ছবিটা এত সজীব - দূরে গাঁয়ের উপর রোদের উষ্ণতা, আর সামনে গাছের শীতলতা যেন স্পষ্ট টের পাওয়া যায় ! শুধু মডেল বা অবজেক্ট না, সূর্যের আলো আর বাতাসও যেন এই ছবিতে উপস্থিত !



এই ছবি দেখে তরুণী ইম্প্রেশনিস্ট বার্থ মরিস' তার বোনকে লেখা চিঠিতে বলেছিলেন, "Bazille has done something I like greatly: A young girl wearing a light-colored dress sits in the shade of a tree. Behind in the distance, a village can be seen. The picture is full of light and sunshine. What he has attempted to do is what we have so often tried to do, depict a figure in the open air. And it seems to me that he has succeeded."

[History of Impressionism by John Rewald, Cologne 2001]



আরও কিছু ল্যান্ডস্কেপ দেখুন~















রৌদ্র-ছায়ার এই লুকোচুরি খেলা ছাড়াও পেইন্টিং-এর অন্যান্য ফর্মেও বাযিল দেখিয়ে গেছেন তার দক্ষতার ছাপ। যেমন অসাধারণ কিছু স্টিল লাইফ~















চমৎকার পোর্ট্রেটস~











এবং এসবেও তার আলো'র প্রতি সংবেদনশীলতা প্রখর। নিজেকে আস্তে আস্তে আরও পরিণত করে তুলছিলেন বাযিল। কিন্তু এই সমস্ত সম্ভাবনা'র গল্প একদম হঠাৎ করে শেষ হয়ে গেল !



১৮৭০-এর গ্রীষ্মে শুরু হল ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধ !



ফরাসীদের আর্মিতে যোগদানের চাপ আসতে লাগল। এদুয়ার্দ মানে, দেগা, মরিস' প্যারিসেই গা-ঢাকা দিলেন, ফরাসী-বংশোদ্ভূত না হওয়ায় সিসলী'র যুদ্ধে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল না, পল সেজান সরে গেলেন দক্ষিণে মার্সেই'য়ের দিকে, আর ক্লদ মনে' এবং কামিল পিসারো তাদের বাক্স-পেটরা গুছিয়ে সোজা চলে গেলেন লন্ডনে ! তবে... ফ্রেডরিখ বাযিল গেলেন ফরাসী রণাঙ্গনে ! সে বছর নভেম্বরের ২৮ তারিখ। বঁ-লা-রোলান্দের যুদ্ধে বাযিলের অফিসার আহত হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ পুরো ইউনিটের দায়িত্ব কাঁধে তুলে জার্মান ঘাঁটি আক্রমণের নেতৃত্ব দেন বাযিল। কিন্তু জার্মানদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ফরাসী ইউনিট। রণক্ষেত্রেই নিহত হন আমাদের শিল্পী। এর সপ্তাহখানেক পর বাবা'র কাঁধে নিথর লাশ হয়ে বাযিল ফিরে আসেন তার প্রিয় 'আঙুর আর ওয়াইনের' সবুজভূমিতে... যেখানে তখনও অবিরত চলছে রৌদ্র-ছায়া'র লুকোচুরি খেলা।







যদ্দূর জানা যায়, ব্যক্তিজীবনে বাযিল ছিলেন খুব লাজুক একজন মানুষ। ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের মাঝে বাযিল'কে খুব সহজেই আলাদা করা যেত। তিনি প্রায় সাত ফুটের মত লম্বা ছিলেন - এটা একটা কারণ, তবে একমাত্র কারণ না ! বাযিল আলাদা হয়ে ছিলেন তার দৃষ্টিভঙ্গিতে, চিন্তার অভিনবত্বে ! তার বয়সের অন্যান্যদের তুলনায় যথেষ্ঠ প্রতিভাবান ছিলেন বাযিল, কে জানে - বেঁচে থাকলে হয়তো তিনিই হতেন শ্রেষ্ঠতমদের একজন ! যতদিন এঁকে গেছেন - তাদের এই অবাধ্য শিল্পচর্চা মোটেও কদর পায়নি প্রভাবশালী সনাতনী একাডেমি'র কাছে। পরবর্তী শিল্পযুগে যে ইম্প্রেশনেরই জয়যাত্রা - এসব আর বাযিল দেখে যেতে পারেন নি। তবে দেখে যেতে না পারলেও, দেখিয়ে গেছেন তিনি পুরোপুরি ! মেকী আলো'র কারুকাজ থেকে বের হয়ে তিনি প্রকৃত সূর্যালোকে ভাসিয়ে দিয়েছেন তার ক্যানভাস ! তার কাজগুলো হয়তো একজন শিল্পী'র যাস্ট প্রথমদিকের কাজ, তবু সেগুলোই ছিল নতুন আর অভিনব; আলোকিত আর উচ্ছসিত ! এক কথায় বললে, বাযিলের কাজগুলো ছিল - 'নিখাদ ইম্প্রেশনিস্ট' !







তবে এ সবই ছিল এক মহাযাত্রা'র শুরু মাত্র ! যে যাত্রা অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বাযিলের একনিষ্ঠ সঙ্গী'রা - মনে' ল্যান্ডস্কেপে, রেনোয়া এক্সপ্রেশনে, দেগা' ফিগার মুভমেন্টে, পিসারো বিশাল পরিসরের সব ছবিগুলোতে সৃষ্টি করে যাবেন আলোয় উদ্ভাসিত এক ঝলমলে পৃথিবী - যার দিকে তাকিয়ে এক পৃথিবী শুধু অবাক-দৃষ্টিতে বলতে থাকবে, O brave new world !



সেই এক পৃথিবী'র গল্প বলা এখনও বাকি। গল্পটা সবে শুরু...

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

শাহেদ খান বলেছেন: সমস্ত ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগল ডট কম এবং উইকিপিডিয়া

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

শাহেদ খান বলেছেন: তথ্য সূত্র:

* বই - Impressionism: A Celebration of Light, by Isabel Kuhl, Parragon books.

* বই - History of Impressionism by John Rewald, Cologne 2001

* টিভি ডকুমেন্টারী - The Impressionists Painting and Revolution, BBC.

* ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টে ও ছবি তে ১ম ভাল লাগা ।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৫

শাহেদ খান বলেছেন: নিয়মিত এই সিরিজের সাথে থাকার জন্যে আপনিও আমার ভাল লাগা জানবেন 8-|

৩| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। চমৎকার পোস্টে প্লাস।

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬

শাহেদ খান বলেছেন: ভাল লাগল জেনে

৪| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার সব ছবি, চমৎকার পোস্ট ||

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৭

শাহেদ খান বলেছেন: ছবি'র কৃতিত্ব ফ্রেড বাযিল'এর !

পোস্টে ভাল লাগায় আমার ভাল লাগা জানবেন ! :)

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১

১৯৭১স্বাধীনতা বলেছেন: ভালো লাগা জানানো ছাড়াও ধন্যবাদ জানানো এই মন্তব্যের কারণ-------ছবির জন্যে এবং বই আর ডকু'র জন্যেও

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২১

শাহেদ খান বলেছেন: এই সিরিজের পোস্টগুলো'র উদ্দেশ্য শুধুমাত্র এই গ্রেট আর্টিস্টদের সাথে নতুনদের পরিচয় করিয়ে দেয়া ! এটা পড়ার পর পাঠক আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহী হবে - আমি এটাই আশা করি !

কমেন্টে ভাল লাগা জানবেন। ব্লগে স্বাগতম !

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেক কিছু জানতাসি পোস্টগুলা পৈড়া। এইখান থিকা মোক্ষম কিছু শব্দ আর নাম শিখা রাইখা আঁতেল হওনের টেরাই নিমু :-B

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৩

শাহেদ খান বলেছেন: বুদ্ধি খারাপ না ! B:-/

আর্ট বিষয়ে ছোটগল্প লেখার কথাও বিবেচনা করতে পারেন ! বিষয় হিসাবে যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং !

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৯

শোশমিতা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট!
অনেক কিছু জানলাম। ভালো লাগলো + +

কেমন আছেন ভাইয়া ?

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৪

শাহেদ খান বলেছেন: অনেকদিন পর, শোশমিতা আপু ! আমি অনেক ভাল আছি, আপু'র কী খবর?

এটা একটা সিরিজ পোস্টের অংশ, প্রিয় কয়েকজন আর্টিস্টদের নিয়ে নিয়মিত পোস্ট করে যাচ্ছি। ভাল লাগা'য় অনেক ভাল লাগা জানালাম।

৮| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৬

ভারসাম্য বলেছেন: আর্ট বুঝিনা ভাল। আসলে পেইন্টিংস এর কিছুই বুঝিনা কারণ বুঝতে চাওয়ার আগ্রহই জন্মেনি আগে তেমন। ক'দিন থেকে আপনার পোষ্টগুলো দেখছি আর ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হচ্ছি। আর্ট নিয়ে আঁতলামীর ইচ্ছে নাই বলে শুধু ভাল লাগা রেখে চুপিচুপি সটকে পড়েছি।

আজ আর কিছু না লিখে পারলাম না। ছবিগুলো সত্যিই অদ্ভূত সুন্দর! আর ছবির গল্পগুলোও সুন্দর হচ্ছে।

+++

০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

শাহেদ খান বলেছেন: ভারসাম্য ভাই, আর্ট নিয়ে আমিও যে খুব বুঝি তা কিন্তু না। কয়েকমাস আগে আমিও ছিলাম একেবারেই অজ্ঞ ! কিন্তু এই ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের ছবিগুলো দেখার পর আর গল্পগুলো জানার পর আগ্রহ বাড়তে থাকে। যেখানেই পাই, এদের সম্পর্কে পড়তে থাকি। এরপর আর্টের ফর্ম-টেকনিক এসব বোঝার জন্যও বইপত্র কেনা শুরু করি।

এখনও জ্ঞান খুবই অল্প, কিন্তু আগ্রহের জায়গা'টা প্রচুর ! এই আগ্রহের ব্যাপারটা সবার সাথে শেয়ার করার জন্যেই এই সিরিজের পোস্টগুলো। সারাক্ষণ মনে হচ্ছিল এই বিপ্লবী মানুষগুলো'র আলোকিত দৃষ্টিভঙ্গি সত্যি সবার সাথে শেয়ার করার মত একটা বিষয় !

৯| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

বোকামন বলেছেন:





গল্পটা শুনতে চাই, বিনিময়ে ধন্যবাদ ... কৃতজ্ঞতা .... ভালোলাগা .... শুভকামনা ছাড়া আর কিছুই দেওয়ার সাধ্য নাই ......

গল্পটা শুনতে চাই .....।

মেকী আলো'র কারুকাজ থেকে বের হয়ে তিনি প্রকৃত সূর্যালোকে ভাসিয়ে দিয়েছেন তার ক্যানভাস !

অসাধারণ বর্ণনা !

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৫

শাহেদ খান বলেছেন: গল্পটা আমিও বলতে চাই ! আমার নিজের জন্যেই !

কারণ যতই লিখছি, লেখার খাতিরেই ততই আরও পড়তে হচ্ছে - আর নতুন করে আবিস্কার করছি আরও চমকপ্রদ সব গল্প !

এই সিরিজে সাথে থাকার জন্য আর অনুপ্রাণিত করার জন্য আমার তরফ থেকে অনেক ভাল লাগা জানবেন !

১০| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: চমৎকার ! শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ !

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

শাহেদ খান বলেছেন: কমেন্টে ভাল লাগা

১১| ০৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

সায়েম মুন বলেছেন:
ফ্রেডরিখ বাযিল দুর্দান্ত আঁকিবুকি করতো।

পোস্টগুলো আমার মনেও ছাপ ফেলছে দেখি। আঁকাআকি করতে ইচ্ছে করছে এখন।

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৬

শাহেদ খান বলেছেন: সায়েম ভাই, ইচ্ছেটা কিন্তু খারাপ না !

অনেক শুভকামনা !

১২| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,

আপনার পিছু ছাড়িনি । আমারো ভালোলাগার বিষয়টি নিয়ে আপনার লেখা তাই আগ্রহ অনেক ।

ভালোলাগছে । মাছের ছবিটির দিকে খেয়াল করুন, কী বাস্তব । পেটের কাছে আর কানকোর দিকটাতে লাল রঙয়ের ছোপ, আঁশগুলো যেন তরতাজা । ঠিক যেখানে যেমন থাকার কথা । ছবি নয় যেন ফটোগ্রাফি । অদ্ভুত !

একদম শেষের পোট্রেটটির চোখ কী আশ্চর্য্য রকমের জ্যান্ত ! জ্যান্ত যেন সবটাই ।

ধন্যবাদ শাহেদ খান .....

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬

শাহেদ খান বলেছেন: এই সিরিজের সাথে আছেন দেখে ভাল লাগছে !

স্টিল লাইফ ছবি'গুলোর বাস্তব ইল্যুসনটা চমৎকার, তবে বাযিল বেঁচে থাকলে পরবর্তীতে এ ধরণের ছবি আঁকতেন কিনা নিশ্চিত না। পরের সময়গুলোতে 'ইম্প্রেশনিস্ট' আর 'রিয়ালিস্ট'রা পরিস্কার ব্যবধানে আলাদা হয়ে যাচ্ছিলেন ! অথবা, অন্তত একটা এলোমেলোতা তৈরি হচ্ছিল !

হয়তো সিরিজে আস্তে আস্তে ব্যাপারগুলো আসবে। যেহেতু এখনও স্টাডি করেই যাচ্ছি। 8-|

১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৪

আরজু পনি বলেছেন:

একেকটা পোস্ট দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি !
সত্যিই অসাধারণ !

০৭ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৫

শাহেদ খান বলেছেন: এমন কমেন্টেই লেখার উৎসাহ বেড়ে যায় ! বিশেষ করে এই ধরণের পোস্টে, যেগুলো আমার জন্য একদম নতুন প্রচেষ্টা। 8-|

১৪| ০৮ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৬

শোশমিতা বলেছেন: আমি ভালো আছি ভাইয়া। একটু ব্যাস্ত হয়ে গেছি তাই ব্লগে সময় দিতে পারিনা, অনেক লেখা মিস হয়ে যায়। তাই এই সিরিজ পোস্টের আগের পর্ব গুলো দেখা হয়নি। এই পর্বে আগের পর্বের লিন্ক দিয়ে দিলে একটু সুবিধা হতো :) সুন্দর পোষ্ট। সময় করে সব পর্ব দেখব।

ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভ রাত্রি :)

০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২২

শাহেদ খান বলেছেন: আচ্ছা আপু, সময় হোক। ব্যস্ততার সময়গুলোও ভাল কাটুক। :)

হুম, পোস্টে লিঙ্ক দেয়া হয়নি সেভাবে। এখানে দিয়ে যাচ্ছি তাহলে:

দেগা'র রং ঝলমলে জগৎ, স্যুরা'র ম্যাজিক ট্রিক আর কাইবটের ভিন্ন দৃষ্টিতে পৃথিবীকে দেখা নিয়ে ছিল এখন পর্যন্ত পোস্টগুলো।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর প্রার্থনা।

১৫| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অনেক আবেগ নিয়ে একটা কমেন্ট লিখে সেন্ড করতে গিয়ে দেখি লগ অফ হয়ে গেছি ! অদ্ভুত ব্যাপার , মেজাজটাও খারাপ লাগছে।

এই পর্যন্ত ইম্প্রেশনিস্টদের নিয়ে যে কয়টা লেখা পড়লাম তার মাঝে বাযিল আর কাইবট এর পারিবারিক স্বচ্ছলতা দেখা গেলো তুলনামূলক ভাবে অন্য শিল্পীদের চেয়ে ভালো। ঐ সময়টা সম্ভবত একটা নেশার মতো সময় কেটেছিল ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের।

বাযিলের আঁকা পারিবারিক ছবিটার প্রাকৃতিক যে আলো , ফোকাস করার ভিউ , তার কাজিনকে মডেল করে আঁকা ছবিটা তে দুইটা ব্যাপার চোখে পড়ল।

১। ছাদের ছায়া ঘেরা সময়ের একটা অংশ ; অলস দুপুর , রোদ পরে এসেছে ঐ অংশে এমন

২। বাইরে একই সময়ে ঝকঝকে আলোর খেলা

অনেক কিছুই বলা যাবে বাযিলের আঁকা এই ছবি বা পোস্ট থেকে যেটুকু পড়লাম। আমি তো এই লেখা গুলো পড়ছি আর গল্পের থীম নিয়েও চিন্তা করছি।লেখার জন্য পারফেক্ট সাবজেক্ট আপনার পোস্ট গুলো । আগে বিখ্যাত আরও যে কজন আছে তাদের নিয়ে পোস্ট দেয়া শেষ হোক ।

ভালো থাকবেন শাহেদ। এত সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা গুলো পড়ে মন ভরে গেলো সত্যিই।

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:১৩

শাহেদ খান বলেছেন: দেগা' আর বাযিল'রা স্বচ্ছল ছিলেন, তবে কাইবট'রা ছিলেন বিশাল ধনী !

আপনার কমেন্ট'টা পড়ে মনে হচ্ছিল আমি এমন কিছু শোনার জন্যেই অপেক্ষা করে ছিলাম ! আপনি যদি লিখেন তো আরও অনেকেই জানতে পারবে এই দারুণ শিল্পীদের সম্পর্কে, আমার একজনের লেখা আর ক'জনের কাছে পৌঁছায় ! আমি বরাবর দেখে এসেছি, গানে আর কবিতায় আমরা যতটা আগ্রহী, পেইন্টিংসে আমাদের আগ্রহ ঠিক ততটাই কম। এমনকী জয়নুল আবেদীনের পেইন্টিংসও আমরা দেখতে যাই না অনেকে... অথচ চিন্তা-ভাবনা আর বোধের দিক থেকে পেইন্টার'রা কিন্তু কোনও অংশেই কবিদের চেয়ে কম না ! তারাও মানুষের জীবনের গল্পই ফুটিয়ে তোলে দৃষ্টিভঙ্গি'র ভিন্নতায় ! এই বোধ থেকে গত এক সপ্তাহজুড়ে পেইন্টারদের গল্প বলছি।

তা না হলে গত ৩ বছর ৩ মাস আমি কবিতা ছাড়া আর তেমন কিছুই পোস্ট করিনি ! শুধু গত ৩ সপ্তাহ হল সিনেমা আর চিত্রকলা নিয়ে লিখছি।

আপনিও ভাল থাকবেন। আপনার মন্তব্যও আমার এসব লেখায় প্রেরণা হয়ে থাকছে...

১৬| ০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আপনি তো অনেক তথ্য ঘেঁটে এসব পোষ্ট রেডি করেছেন আর আমি তো আরাম করে পড়ছি মাত্র । আমি ইংরেজিতে বরাবরারে কাঁচা , জীবনেও এত সুন্দর করে পারতাম না আপনার মত সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে উইকি বা অন্য তথ্য সূত্র ঘেঁটে । তবে কখনো যদি এই বিশ্যএর গল্প লিখি , প্রয়োজন পড়লে আপনাকে নক করবো ব্লগে ।

ভালো থাকবেন । আপনার অনেক ধৈর্য দেখা যাচ্ছে । আমি সময় করে আপনার ব্লগের অন্য লেখাগুলোও দেখবো আশা করছি ।

০৯ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫০

শাহেদ খান বলেছেন: আমিও আশা করছি ! :)

আমি প্রায়ই ব্লগে অনিয়মিত হয়ে যাই। তবু, নক করলে আমি যখনই দেখব, যেটুকু পারা যায় সাহায্য করতে চেষ্টা করব।

শুভকামনা, অপর্ণা মম্ময়।

১৭| ১৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:২৩

শব্দহীন জোছনা বলেছেন: জার্মানদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে ফরাসী ইউনিট। রণক্ষেত্রেই নিহত হন আমাদের শিল্পী।

ধূর! এই যুদ্ধ গুলাই এই রকম প্রতিভাকে কত সহজেই না হত্যা করল। বাযিল এর ছবির আলোর উদ্ভাসনটাই সবচেয়ে মুগ্ধ করল।

ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪২

শাহেদ খান বলেছেন: সেটাই। বাযিল মারা গেলেন ১৮৭০-এ। ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের মূল আন্দোলন শুরু হল ১৮৭৪-এর পর থেকে। বাযিল বেঁচে থাকলে হয়তো সবচেয়ে প্রতিভাবানদের একজন হয়ে যেতেন !

যাই হোক, ট্রাজেডিও জীবনেরই অংশ।

শুভকামনা, শব্দহীন জোছনা !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.