![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির ঘোর বিরোধী ছিল বিএনপি। আজ ক্ষমতাসীন মহাজোট তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিএনপির মতোই আপোসহীন। বড় বিচিত্র এদেশের রাজনীতি। জনকল্যাণ এখানে মুখ্য নয়, মোক্ষ লাভের একটি উপলক্ষ মাত্র। ক্ষমতাসীন হবার জন্য জনপ্রিয়তা বড় কোনো নিয়ামক নয়, যিনি জনতাকে যতবেশি ব্যবহার করতে পারেন তিনিই সরকারে গিয়ে সর খান। তাহলে রাজনীতিকদের কাজটা কী?
রাজনীতিবিদরা স্বপ্ন প্রদর্শক। এদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে বলেই নেতারা তাদের স্বপ্ন দেখান। দুঃখী মানুষের স্বপ্ন আকাশছোঁয়া নয়। দু’বেলা পেট ভরে ভাত খাওয়া তাদের প্রিয় স্বপ্নকল্প। এই ভাত খাবার আশাতেই তারা নিশ্চিন্তে ভোট দিতে চায়। ভোট কোন পদ্ধতিতে হবে সে বিষয়ে তারা ততক্ষণ মাথা ঘামায় না যতক্ষণ না সুন্দর কোনো স্বপ্নদৃশ্য তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এই জনতা কখনও স্বৈরাচারী শাসকের চটকদারিতে চমৎকৃত হয়, কখনও গণতন্ত্রীদের নতুন কোনো আব্দারে আপ্লুত হয়। অনেকের বিবেচনায় এরকমই একটি আব্দার ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা। এই ফর্মুলায় আমদের রাজনীতিবিদদের পারস্পারিক আস্থার দীনতা পরিস্ফুট হয়েছে। নিজেদের প্রতি আস্থা না থাকুক জনগণকে তারা বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, দেশে রাজনীতিবিদরা ছাড়াও ভালো লোক আছে যাদের উপর ভরসা করা যায়। দেশের কর্ণধারদের কর্ণ ধরার কথা এর আগে মানুষের মাথায় আসেনি। তাদের দেখানো পথে অসাংবিধানিক একটি শক্তি জনতাকে সাথে নিয়ে তাও করে দেখিয়েছে। হালের তত্ত্বাবধায়কপ্রেমিরা বিষয়টিকে কলসীর কানা হিসেবে মেনে নিয়েছেন। অন্যদিকে যারা দীর্ঘদিন সংসদ বর্জন করে, হরতাল হাঙ্গামার-দামামা বাজিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বরণ করেছিলেন তারা এখন ঘটক বিদায়ের তত্ত্ব¡ তালাসে ব্যস্ত। জনগণ আগের মতোই আতঙ্কিত, ভীতসন্ত্রস্ত এবং দ্বিধাগ্রস্থ।
অনেকে বাংলাদেশের তাবৎ সমস্যা সমাধানের জন্যে দুই নেত্রীর এক টেবিলে বসার উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আমার কাছে এই আরোপিত বিষয় তত গুরত্বপূর্ণ নয়। কর্মপদ্ধতির মিলের জন্যে তারা ক্ষমতায় গেলে একই ভাষায় কথা বলেন। ক্ষমতার বাইরেও তার ব্যতিক্রম কিছু হয় না। বিরোধী দলে থাকার সময় অসাংবিধানিক সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্ব থাকে আর সরকারে থাকার সময় হন সংবিধানের রক্ষাকর্তা। তখন মনে হয় জনগণের জন্যে সংবিধান নয়, সংবিধানের জন্যে জনগণ। এর ব্যতিক্রম শুধু একবারই হয়েছিল, ১৯৯০ সালে। রাজনৈতিক দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের তীব্রতায় এরশাদের পতন হয়। আন্দোলনকারী দলগুলো রাষ্ট্রপরিচালনার ধারাবাহিকতা রক্ষা ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশায় বিচারপতি সাহাবুদ্দিনকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেন। এরপর সর্বদলীয় উদ্যোগে উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া হয়। নির্বাচনী তোড়জোড় শুরু হতেই রাজনৈতিক দলগুলোর অসবর্ণ প্রেমের বিবর্ণ ছবি ফুটে ওঠে। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পুরোভাগে থাকা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতারোহণের জন্যে প্রস্তুত থাকলেও সব হিসাব-নিকাশ উল্টে দিয়ে ক্ষমতায় বসে বিএনপি। সেবারের নির্বাচনে কারচুপির কথা তেমনভাবে শোনা যায়নি। বিরোধী দল সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ তুললেও জনমনে তার প্রভাব পড়েনি। ১৯৯১-এর ডিসেম্বরে জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশ, বেসরকারি বিল হিসেবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা সংসদে উপস্থাপন করে। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগ এবং সে বছরই নভেম্বর মাসে জাতীয় পার্টি সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল উপস্থাপন করে। প্রথম দু’বছর দেশে মোটামুটি শান্তি থাকায়, বিএনপির আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। নেতারা নিজেদের ভাগ্যবিধাতা ভাবতে শুরু করেন, সাধারণের সাথে দূরত্ব বেড়ে যায়। এরই পরিণতিতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র হানিফের কাছে ধরাশায়ী হন বিএনপি প্রার্থী। ঘটনাটি বিরোধী দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ভোটের অধিকারের জন্যে বিরোধী জোটের আন্দোলন গণমানুষকেও প্রভাবিত করতে শুরু করে। বিএনপি তখন গণবিচ্ছিন্ন। এসব আন্দোলন আপোসহীন নেত্রীকে বিচলিত করেনি। এরই মধ্যে মাগুরায় উপনির্বাচনের দিন চলে আসে। আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হওয়ায়, আওয়ামী লীগের কাছে আসনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই আসনের জয়-পরাজয় বিএনপির কাছে তেমন গুরুত্ববহ না হলেও এই আসনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন সরকারের জন্যে ছিল জরুরি। ভোটযুদ্ধে নবাগত, ইকোনো কলমের মালিক বিএনপির সেলিমুল হকের কাছে এ আসনটি ছিল অমূল্য আর তিনি বিনিয়োগও করেছিলেন বিশাল। শেষ পর্যন্ত ব্যবসার কাছে রাজনীতি পরাস্ত হয়। নির্বাচন কমিশন হারায় বিশ্বাসযোগ্যতা আর সরকার হারায় জনসমর্থন। বিরোধী দলসমূহের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ। বেগম জিয়া যেদিন বললেনÑ ‘একমাত্র শিশু এবং পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ হতে পারে না।’ বিরোধী দলের নেতারা বরাবরের মতো তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অভাবের কথা জনগণকে মনে করিয়ে দিতে থাকলেন। হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া অন্য সব তথাকথিত নির্দলীয় বুদ্ধিজীবীরাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার সুফল নিয়ে লেখা শুরু করলেন। শুধু হুমায়ুন আহমেদ লিখলেনÑ “এরকম একটি উদ্ভট ব্যবস্থাকে যদিও আমি সমর্থন করি না তবুও দেশের স্বার্থে, দেশের শান্তি ফিরিয়ে আনার স্বার্থে সরকারের উচিৎ বিরোধী দলের দাবি আপাততঃ মেনে নেয়া।” বলাই বাহুল্য এ ধরনের সদুপদেশ সরকারের পছন্দ হয়নি। তাঁরা যথারীতি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে থাকার ঘোষণা দিতে থাকলেন। ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরে বিরোধী দলের এমপিরা একযোগে পদত্যাগ করায়, সংসদ কার্যকারিতা হারায়। বিরোধী দল ক্রমাগত হরতাল-অবরোধ করে দেশ অচল করে দেয়। সে হরতালগুলোর কোনো কোনোটির স্থায়ীত্ব ৭২ ঘণ্টা অতিক্রম করেছিল। একটি হরতাল ছিল ৯৬ ঘণ্টার। আমাদের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া একটি ক্ষেত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আলাদা। কোনো বিষয় ভালোভাবে না বুঝে তিনি কাজে নামেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা বুঝতে বুঝতে ৯৪টি হরতাল পার হয়ে গেল। তিনি পদত্যাগ করে পুনঃনির্বাচন দিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সে নির্বাচন আমাদের দু’দুটি জিনিস উপহার দিয়েছিল। এই নির্বাচনের আগে বা পরে যারা কোনোদিন এমপি হবার সুযোগ পেতেন না এরকম ক’জন এমপি আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ ২৬৮-০ ভোটে সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস হবার সাথে সাথে সারা দেশে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। আজ যেসব বুদ্ধিজীবী তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির সীমাবদ্ধতার কথা জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্যে প্রাণান্ত পরিশ্রম করছেন, তারাই সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বিশ্ব সেরা হিসেবে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। বুদ্ধিজীবী এবং তাদের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকরা ১৯৯৬ সালের সংসদকে স্বীকৃতি দিতে চান না। অথচ ওই সংসদে পাস হওয়া আইন দ্বারা পরিচালিত নির্বাচনে অংশ নেন। এ ধরনের বৈপরিত্য আমাদের রাজনীতির সর্বত্র। দেশের বারো কোটি মানুষের আন্দোলনের সাফল্য কিভাবে একজন বিচারকের কয়েক ঘণ্টার বিবেচনায় ব্যর্থতায় পরিণত হয় ভেবে বিচলিত হই।
একপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ১৯৯৩-৯৪ এর আলোকে দেখতে ভালোবাসে। তারা বলেন, সে সময়ে নির্বাচন ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল। সঠিক ভোটার তালিকা ছিল না। জাতীয় পরিচয়পত্র চালু হয়নি। সে সময়ের নিরিখে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ভালো ছিল। তারা মাত্র দু’-একটি নির্বাচন এই পদ্ধতিতে সম্পন্ন করার কথা বলেছিলেন। তাদের এই বিবৃতি সম্পূর্ণ সত্য নয়। তখন তারা এই পদ্ধতিকে বিশ্ব সেরা বলে গর্ব করেছিলেন। কেউ কেউ এককাঠি এগিয়ে বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের পদ্ধতিকে অনুসরণ করতে যাচ্ছে।
ইউএনডিপির এক জরিপ মতে, একদিনের হরতালে বাংলাদেশে ক্ষতির পরিমাণ ৫২০ কোটি টাকার সমান। সেই হিসাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যে পালিত হরতালে হতাহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ আর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকা, যা সে সময়ের এক বছরের বাজেটের সমান। বুদ্ধিজীবীরা এখন যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার খুত ধরছেন, তাতে ভেবে কষ্ট পাচ্ছি কত তুচ্ছতার জন্যে কত বড় খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের। আমাদের নেতা-নেত্রীরা যদি সহজ অঙ্কটি বুঝতে পারতেন তাহলে দেশ অনেক বড় ক্ষতি থেকে বেঁচে যেত।
আমাদের প্রধান দুই নেত্রীর সবচেয়ে বড় অমিল পার্সেপশনে। এক নেত্রী নিমিষেই সব বুঝে যান এবং কোনো রাখঢাক না করে বলেও দেন মনের কথা। অন্যরা ভাবে আমারও ছিল মনে…। আরেকজন বুঝতে সময় একটু বেশি নেন বটে তবে যা বোঝেন তা শক্ত করেই বোঝেন। তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্বটি তিনি এখন শুধু মেনেই নেননি মনেও নিয়েছেন। আজ আওয়ামী লীগ যখন তার তত্ত্বে বিশ্বাস এনেছে (নিরপেক্ষতা ভ্রান্ত ধারণা মাত্র, শিশু ও পাগল ছাড়া নিরপেক্ষ নেই) তখন তিনি নিজেই সে তত্ত্ব বর্জনের পক্ষে। এর পর আবার অন্য কোনো তত্ত্ব বাজারে আসে কিনা বলা মুশকিল। ম্যাডাম এবার ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে অসাংবিধানিক শক্তির পক্ষে বাজি ধরেছেন। তাঁকে মনে রাখতে হবে, ১৯৯৬ আর ২০১২ এক নয়। গণতন্ত্রের ভিত্তি এখন আগের চেয়ে অনেক মজবুত। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করায়, জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব বেড়েছে। এখন আর আগের মতো সহজে জাল ভোট দেওয়া যায় না। বর্তমান সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভার নির্বাচন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনে তা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে জনমনে আস্থা ফিরে এসেছে যে, এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব।তবে বিরোধী দলের জনপ্রিয় নেতা নেত্রীরা যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সে জন্যে যথেচ্ছ মামলা ঠুকে, বিতর্কিত বিচারপতিদের দিয়ে পক্ষপাত দুষ্ট রায় দিয়ে সেটা নিশ্চিত করা যায়। । দুরবৃত্তদের মাধ্যমে যখন রাজার নীতি বাস্তবায়িত হয় তখন রাজার না থাকে দায় না থাকে নীতি। শেষ দুটি উপনির্বাচনে বিরোধীদল অংশ না নেওয়ায় সে কথাই প্রমানিত হয়েছে। আর তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে সরকার যতই আপোষহীন থাকুক, মিডিয়া জরিপে এখনও সরকারীদলের হেভিওয়েট কিছু নেতা নেত্রী ছাড়া অন্য কারো কাছে তত্ত্বাবধায়ক ব্যাবস্থার অসারতা প্রমানিত হয়নি।সরকারি দলের নেতারা যখন মইনুদ্দিন ফখ্রুদ্দিমলের আমলে রাজনীতিবিদদের জেল ভ্রমণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আতংক ছড়াতে চান তখন মনে হয় দেশ দল কিছু নয় তাদের ভয় শুধু জেল দেখার।
তত্ত্বাবধায়ক প্রশ্নে রাজনৈতিক দল গুলোর বারবার মত বদল প্রসঙ্গে বিসিএস ক্যাডারের এক বন্ধুর কথা মনে পড়ছে। প্রশিক্ষণের সময় তাদের বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে কিছুদিন ট্রেনিং করতে হয়েছিল। সারি বেঁধে ড্রিলের একটি পর্যায়ে ডানে ঘোর, বায়ে ঘোর ইত্যাদি করতে হতো। ড্রিল শেখানোর ওস্তাদটি সম্ভবত রিফ্লেক্স অ্যাকশন বাড়ানোর জন্যে একবার ডানে ঘোর একবার বায়ে ঘোর বলে পাগল করে দিচ্ছিল সবাইকে। আমার বন্ধুটি হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ায় ড্রিল শিক্ষক তেড়ে এসে বলেনÑ দাঁড়িয়ে আছেন কেন সাহেব? বন্ধু উত্তরে বলেনÑ ডানে ঘুরবো না বামে ঘুরবো আগে ঠিক করে নেন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৯
শাহেদ সাইদ বলেছেন: জনকল্যাণ এখানে মুখ্য নয়, মোক্ষ লাভের একটি উপলক্ষ মাত্র। জনগণ ভাত খাবার আশাতেই ভোট দিতে চায়। ভোট কোন পদ্ধতিতে হবে সে বিষয়ে তারা ততক্ষণ মাথা ঘামায় না যতক্ষণ না সুন্দর কোনো স্বপ্নদৃশ্য তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়.আওয়ামীলীগের লোক পটানোর ক্ষমতা ভাল, তারা আগের বার এই ইস্যুতে পুরো জাতিকে জড়িয়ে ফেলেছিল। এবারও তাই করছে। এটি এক ধরণের খেলা, জনগণ এ খেলার অংশ নয়। আমরা ক্রীড়া উপকরণ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: hasina khaledare pasai agun dye desh thaika ber krte hbe.
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
শাহেদ সাইদ বলেছেন: হুম,,,,,,,,
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪
বিডি ফুল বলেছেন: কে আগে ছেয়েছে কে চায় নি সে কথা খুব বাসি খবর জাতির জন্য। আওয়ামী লীগ নিজেরা এর দাবীদার বলে এখন কেন অন্য তামাশা জাতির সাথে, সেটাই আজ বড় প্রশ্ন!!