নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইদুল ইসলাম

শাহেদ সাইদ

এখনও বেঁচে আছি

শাহেদ সাইদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিলখানা হত্যাকান্ড ও গণজাগরণ কর্মসূচী

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫

কাল ২৫ ফেব্রুয়ারি। অনেকের কাছে এটি শুধুই একটি তারিখ। পিলখানা হত্যাকান্ডে যারা স্বজন হারিয়েছেন, তাদের কাছে এটি সর্বনাশের দিন। চার বছর পার হয়ে গেল। আমাদের গোয়েন্দারা এখনও তাদের সহযোদ্ধাদের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেন নি।এই নৃশংস হত্যাকান্ডের মোটিফ নিয়ে প্রথম দু’বছর কথা হয়েছিল। বিচারাধীন হিসাবে এখন এপ্রসঙ্গে কথা বার্তা হচ্ছে না। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গত ৪ বছর যে সহনশীলতা দেখিয়েছেন তাতে তাদের যতটা না সু-শৃঙ্খল তার চেয়ে বেশি শৃঙ্খলিত মনে হয়েছে। নিজেদের মত করে নিজের কথা বলার অধিকার শসস্ত্র বাহিনীর নেই। পুলিশে এধণের সমস্যা হলে তাদের পক্ষে কথা বলার লোকের অভাব হয়না। পুলিশরা নিজেরাও সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে। বিসিএস ক্যাডারতো এ বিষয়ে আরও সিদ্ধ হস্ত। আনুগত্যের শপথের কথা ভুলে গিয়ে জনতার মঞ্চে যোগ দিয়ে জনতার কাতারে চলে আসেন। উদ্দেশ্য হাসিল হবার পর সাধারণ মানুষ সাধারণই থেকে যায়। আমলারা হন মন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীর হোমরা চোমরারা বড়জোর বড় নেতাদের বক্তৃতার মঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকেন পাহারাদার হিসাবে।নেতার ক্ষমতা পেলে তাঁদের কেউ কেউ সম্মান জনক চাকরি পান। অবসর গ্রহণের দিন থেকে বছরের পর বছর লেজূড়বৃত্তি করেও অনেকের ভাগ্যের শিকে ছেড়ে না। এই সমস্ত সামরিক আমলারা চাকরিতে থাকা অবস্থায় কনিষ্ঠদের ভালো মন্দ নিয়ে ভাবেন না। অবসর গ্রহণের পর দেশের ভালো মন্দ নিয়ে ভাবতে বসেন। শাহাবাগের আন্দোলনেও তাদের কাউকে কাউকে দেখা যাচ্ছে।তবে পিলখান হত্যাকান্ডের জন্য কাঁদতে হচ্ছে শুধু ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলিকে।



শাহাবাগের যে আন্দোলন যুদ্ধ অপরাধীদের ফাঁসির দাবী নিয়ে শুরু হয়েছিল, এখন তাতে নতুন নতুন এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। হরতাল প্রতিরোধ করা। জামায়াত নিষিদ্ধ করা। মসজিদের দোয়াপড়া, বধ্যভূমিতে শপথ নেওয়া আরও কত কী।তবে চার বছর আগের হত্যাকান্ড নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হচ্ছে না। তাদের কর্মসূচী পালন করতে করতে ২৫ ফেব্রুয়ারি এসে গেল। পচিশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচীতে পিলখানা হত্যাকান্ড অনুক্তই থেকে যাচ্ছে। সে সময় পিলখানায় সামরিক অভিযান না করার কারণ হিসাবে বলা হয়েছিল, সামরিক অভিযান চালাতে গেলে অনেক বে সামরিক লোক ক্ষতি গ্রস্থ হত। দেশে গৃহ যুদ্ধ লেগে যেত। দেশের অখন্ডতা নষ্ট হত, ইত্যাদি। ( যেন বে সামরিক মানুষ এদেশের নাগরিক, আর সামরিক বাহিনীর লোকেরা বিদেশ থেকে আসেন) । সেটা যদি সত্যি ধরে নেই তার মানে, দেশের শান্তি বিনষ্ট হবার আশঙ্কায় যেনে শুনে আমরা সেনা অফিসার গুলিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিলাম। চার বছর পর বুঝতে পারছি না পিলখানার শহীদ্ দের আত্ম ত্যাগ ঠিক কত টুকু গুরুত্ব পূর্ণ ছিল যা আমদের বিপ্লবীরা মনেই রাখে নি। মনে রাখলে শাহাবাগ প্রজন্ম ২৫ তারিখের কর্মসূচীতে ওই বীরদের জন্যেও কিছু করতে পারতো

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪১

আহলান বলেছেন: ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাই না .... সবাই ধারণা করতে পারে এর পেছনে কারা জড়িত ... কিন্তু ভাসুরের নাম মুখে আনতে নেই ....

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ঠাকুর ঘরে কে? আমি কলা খাই না .... সবাই ধারণা করতে পারে এর পেছনে কারা জড়িত ... কিন্তু ভাসুরের নাম মুখে আনতে নেই ...

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ২৫ শে ফ্রেব্রুয়ারি বন্ধ দেওয়া হোক...

এই দেশ জন্ম দিবসে বন্ধ হয় কিন্তু দেশে গড়ার এত গুলা সৈনিকের হত্য দিনে কোন সরকারি বন্ধ নাই কেন...

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ২৫ শে ফ্রেব্রুয়ারি বন্ধ দেওয়া হোক...

এই দেশ জন্ম দিবসে বন্ধ হয় কিন্তু দেশে গড়ার এত গুলা সৈনিকের হত্য দিনে কোন সরকারি বন্ধ নাই কেন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.