নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইদুল ইসলাম

শাহেদ সাইদ

এখনও বেঁচে আছি

শাহেদ সাইদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনারেলদের সাথে ১

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯



জেনারেল শব্দটি খুব কনফিউজিং । অনেকে বলেন এই শব্দটি একা থাকলে সাধারণ, অন্যের সাথে থাকলে অসাধারণ। জেনারেল মুস্তাফিজ জেনারেল হবার আগ পর্যন্ত আমিও এই ধারণার সাথে একমত পোষণ করতাম। কারণ তখন পর্যন্ত আমরা মেজর ছাড়া জেনারেল দেখেছি শুধু মাত্র সেনা প্রধানকে, তাও সাথে লেফটেন্যান্ট। সামরিক বাহিনীর বাইরে জেনারেল শব্দটির অবস্থা আরও জটিল। একা সাধারণ, আগে সাধারণ (জেনেরাল সেক্রেটারি্)‌ পরে মহা (সেক্রেটারি জেনারেল)। এর ব্যাতিক্রম আছে ম্যানেজারের ক্ষেত্রে আগে বসেও তিনি মহাব্যবস্থাপক।তবে এই পাঁচালির জন্যে আমি এই পোষ্ট লিখতে বসিনি। বাংলা একাডেমী ডিকশনারীতে এই শব্দটির তিনটি অর্থ দেওয়া আছে। আমি তৃতীয় অর্থ অর্থাৎ সামরিক বাহিনীতে ফিল্ড মার্শালের পরের পদবীটির কথা বলার জন্যে এই পোষ্টটি লিখছি। সিনিয়ার অফিসাররা আমার ধৃষ্টতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কারণ তাঁরা প্রশ্ন করতে যত পছন্দ করেন উত্তর দিতে অতটা পছন্দ করেন না। তবুও আমি এই লেখাটা লিখে যেতে চাই। কারণ সাধারণ মানুষদের এই সব অসাধারণ মানুষ সম্পর্কে ব্যপক কৌতুহল।



আমার দেখা প্রথম জেনারেল হলেন মেজর জেনারেল জিয়াঊর রহমান (আমি জেনে বুঝেই লিখছি, আমি যখন তাঁকে প্রথম দেখি তখন তিনি মেজর জেনারেল), তাঁকে এক দুই বারের জন্যে দূর থেকে দেখেছি। তাই তাঁর সম্পরকে এখনই কিছু বলছি না। দ্বিতীয় হচ্ছেন মেজর জেনারেল এরশাদ, তাঁকে বাংলাদেশের সবাই চেনে। আমি শুধু একটি কথা বলি, তিনি যখন ক্যাডেট কলেজের গভর্নিং চেয়ারম্যান, তখন তাঁর আপন ভাগ্নেকে শৃংখলা ভঙ্গের দায়ে আমাদের ক্যাডেট কলেজ থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ভাগ্নেকে কলেজে ফিরিয়ে আনেন নি। (নষ্ট রাজনীতি একজন নীতিবান সেনানায়ককে একজন নীতিহীন মানুষে পরিণত করেছে।)

এর পর দেখা হলো মেজর জেনারেল আব্দুর রহমানের সাথে। তিনি তখন যশোরে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি। আমাদের কলেজে এসেছেন প্রীতি ক্রিকেট খেলতে। আমি ফিল্ডিং করতাম গালি আর পয়েন্টের মাঝামাঝি কোন এক জায়গায়। প্রথম বলটি অফ স্ট্যাম্পে ছিলো, উনি প্রচন্ড জোরে মারলেন। আমার হাতের সামনে ড্রপ খেয়ে পায়ের ফাঁক দিয়ে বল চলে গেল সীমানার বাইরে। বল করেছিলো সম্ভবত হুমায়ুন কবীর ( এখন বি আইএস এর শিক্ষক), তার দৃষ্টিতে ভষ্ম হলাম। পরের বলে জেনারেল সাহেব ডিফেন্স করতে গিয়ে আলতো ক্যাচ তুলে দিলেন আমার হাতে। অন্যান্য খেলায় ক্যাচ ধরার পর দর্শকদের যে উল্লাস চোখে পড়তো, তেমন কিছু দেখলাম না। শিক্ষকরা যেদিকে বসতেন সেদিক থেকে হাত তালি

শুরু হলেও হঠাতই যেন ছন্দ পতন হলো। সবচে কষ্ট পেলাম আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে। তর্জনী উঠিয়েই যেন তিনি বিমূঢ় হয়ে পড়েছেন। চেহারা দেখে মনে হচ্ছে অপরাধী আঙুলটিকে তিনি ক্ষমা করতে পারছেন, না। জেনারেল কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই প্যাভেলিয়ানের পথ ধরেছেন। হঠাত ভিআইপি টেন্টের মনোভাব বুঝতে পেরে, টিম ক্যাপ্টেন মিজান জেনারেলের দিকে দৌড়েগিয়ে বললো, স্যার ইট ও’জ এ বাম্প ক্যাচ, ইউ আর নট আউট। জেনারেল হাসি মুখে তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ক্যাপ্টেন, ইটস ওনলি এ গেইম এন্ড আই নো হাউ টু প্লে ইট। তারপর আবার হাটা ধরলেন প্যাভালিয়নের পথে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

সাাজ্জাাদ বলেছেন: ভালো লাগলো াপনার লেখা টা পডে।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬

শাহেদ সাইদ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.