![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নকল নিয়ে এত হা হাকারের কারণ বুঝতে পারছি না। নকল আমাদের পরীক্ষা সিস্টেমেরই এটি অংশ। ৭২ সালের ম্যট্রিক পাশ নিয়ে অনেক গল্প আছে। আমি প্রথমবার নক্লের সাথে পরিচিত হই সম্ভবত ১৯৭৪ সালে । আমার বড় বোনের জুনিয়ার বৃত্তি পরীকষা। আব্বার সাথে গিয়েছি, পানিটানি নিয়ে। হঠাত আমাদের পাড়ার পরিচত এক ভাই আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে বললো নার্গিসের পরীক্ষা কেমন হচ্চছে? বললাম এখনও তো শেষ হয়নি। সে বললো, শেষ হোক না হোক , খুব কঠিন একটা অংক এসেছ, কেউ পারছেনা। নারগিসও মনে হয় পারবে না। আমি ফরিদ ভাইকে দিয়ে অংকটা করিয়ে এনেছি। এখনই পাঠাতে হবে। আমি বললাম, আপনার মাথা খারাপ? হলে ঢুকতে দেবে? তিনি বললেন, তোর মাথায় গোবর নাকি? হলে ঢুকতে দেয়? অর সিট কোনদিকে বল, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি, এই সময় আব্বার চোখ পড়লো আমদের দিকে। আববার দিকে তাকিয়ে আমার প্রায় প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলার অবস্থা, আমি বল্লাম। আমি কিছু বলিনি। আব্বা আমদের দুজনের কথা শুনতে পেরছিলেন কীনা জানিনা। শুধু গম্ভীর গলায় বললেন। এদিকে আয়। কাছে যাবার পর বললেন আর যেন কখনও ওর সাথে না দেখি।
নকলের সাথে সরাসরি পরিচয় হলো, ১৯৭৮ সালে, আমার মামার এইচ এসসি পরীক্ষার সিট পড়েছে, এম এম কলেজ। মামা আমাদের সবার প্রিয়। তিনি আমাদের বাড়ি এসেচছেন পরীকষা দিতে। আমার সাথে তাঁর শোয়ার ব্যবসথা হয়েছে, ইংরেজি পরীকষার আগের দিন মামা দেখি ছোট ছোট টুকরা কাগজ, ছোট ছোট করে লিখছেন। বললাম মামা শুধু তো লিখেই যাচ্চছো পড়বা কখন? তিনি বললেন পড়া পড়ির সময় নেই। দেখে আয় দুলাভাই কোথায়, আর বু’রে বুলে আসবি, আমি পড়া লেখায় ব্যস্ত আমাকে যেন না ডাকে। ফিরে আসার পর তিনি দরজা বন্ধ করে আমার দিকে নোট বই আর চিরকুট এগিয় দিলেন আমি মন প্রাণ দিয়ে তাঁর নকল, লিখলম। নকল গুলি তিনি জা্মা প্যান্টের বিভিন্ন পকেটে রাখলেন। তারপর বললেন একট সূচী পত্র বানাতে হবে, কোন পকেট কোনট থাকলো, মনে থাকবে না আমি যত্ন করে তাও বানিয়ে দিলাম। সকাল বেলায় বোন, দুলাভাইকে সালাম দিয়ে তিনি রওনা হলেন। পরীকষা শেষ হবার কথা ১টায় তিনি বারোটার মধ্ে ফিরে এসেই, ব্যাগ গুছিয়ে ফললেন। আব্বা বাসায় ফেরার আগেই তিনি চলে যাবেন, মা বললেন, কোথায় যাস? কাল পরীক্ষা নেই? মামা বললেন, এভাবে পরীক্ষা দেওয়া যায়? আমাকে অন্যায় ভাবে এক্সপেল্ট করে দিয়েছ। মন খারাপ হয়ে গেলো মার। তার মামাতো ভাইটাকে এক্সপেল্ট করে দিলো তাও অন্যায় ভাবে। বললেন, তুই কিছু বললিনে? মামার মন আরো খারাপ হয়ে গেলো, কত জন নকল করছে, আমি তো কেবল সূচী পত্র বের করেছিলাম, বললাম স্যার দ্যাখেন এর মধ্যে কোন নকল আছে? স্যার বললেন বেয়দবি করলে পুলিশে দিয়ে দেবো।
এবার আমর কথায় আসি। ক্যাডেট কলেজ রাত ভর পড়ার নিয়ম নেই। এসএসদি পরীক্ষার সময়, ফিজিক্স পরীক্ষার আগের রাতে, কমন রুমে পড়তে পড়তে টেবিল টেনিসের টেবিলের উপর ঘুমিয়ে পড়েছি, সকালে ঘুম ভাংলো, ল্যাব এসিসট্যান্ট , মান্নান ভাইএর ডাকে, ওনাকে দেখে অবাক হয়ে গেলাম। তিনি বললেন, চোখ ডয়াব ড্যাব করে তাকিয়ে না থেকে। হলে যাও। সবাই চলে গেছে, তুমারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে খুঁজতে পাঠিয়েছে। আমি হন্ত দন্ত হয়ে কোন মতে ইউনিফর্মটা প্রে দৌড় দিলাম, ডাইনিং হলে পাউরুটির একটা টুকরা মুখে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছি, সিদ্ধ ডিম হাতে দৌড়ে এলেন হেড বাটলার ভঁুইয়া ভাই, বললেন এই খেয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছো ( আমাদের জন্যে এই লোক গুলোর টানের কথা মনে হলে চোখ ভিজে আসে) । ঝট পট ডিমটা খাই ফ্যালো। গরম ডিম পকেটে নিয়েই দৌড়ে গেলাম পরীকষার হলে, ততকষণে প্রশণ পত্র দেওয়া হয়ে গিয়েছে। লেখা শুরু করে বারবার পকেটে হাত দিচ্ছি, পকেটের ডিমের গরমে পা পুড়ে যাবার অবস্থা। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ্ থেকে এক্সটারনাল এসেছিলেন মোস্ফা আজিজ স্যার। বিখ্যাত চিত্র শিল্পি, কাগজ পেন্সিল সব সময় তাঁর হাতে, পরীক্ষার হলে বসেও স্কেচ আঁকছেন। তিনি হঠাত পাশে এসে আমাকে দাড় করালেন, দেখি পকেটে কী! আমি ভয় ও লজ্জায় কাচু মাচু, হলের সবাই আমারদিকে তাকিয়ে আছে, নীতি বাগিসরা ভাবছে আমার জন্যে কলেজের বদনাম হতে যাচ্ছে। এমনিতেই দেরি করে এসেছি আবার পকেটে নকল। আমি পকেট থেকে হাত বের করিনা। একটু পরে কলেজের একজন স্যার এসে বললেন, পকেট দেখাও, কী আর করা, পকেট থেকে হাত বের করলাম । মোস্তফা আজিজ স্যারের চোখ কপাল উঠে গেছে। ‘এতদিন ধরে, ছাত্র চরাচ্ছি, ডিম্ নিয়ে কাঊকে পরীক্ষার হলে আসতে দেখিনি।
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
শাহেদ সাইদ বলেছেন: আমি অবশ্য ডিমের চেয়ে বেশি পেয়েছিলাম
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:১০
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: হা হা হা হা
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
শাহেদ সাইদ বলেছেন: হি হি হি
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:০০
জামান ইবনে জিয়া বলেছেন: হা হা : D
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
শাহেদ সাইদ বলেছেন: হি হি হি
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:১৬
মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: সব ছেরে ডিম নিয়ে হলে?
আমাদেরকেতো বলা হয় যে ডিম খেরে ডিম পাব