![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে যাতায়াত কমিয়ে দিয়েছি। মনে হয়েছে নিছক বিনোদনের জন্যে ফেসবুকে বসা অর্থহীন। আমি ইমোশনাল মানুষ, এই মনে হওয়াটা কতদিন স্থায়ী হবে জানিনা। কাল চ্যানেল আইএর স্ক্রলের দু’টি লাইনে চোখ আটকে গেল।হুবুহু লাইন দু’টি মনে করতে পারছি না। তবে সম্ভবত এরকম,
এক। পিলখানা হত্যাকান্ডের দিন আজ।
দুই। ছয় বছরে বিজিবি সৈনিকদের অনেক সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
পাশাপাশি এই দু’টি লাইন অন্যদের মনে কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে কীনা জানিনা। আমার মনে হল পাশাপাশি লাইন দু’টি দিয়ে হত্যাকান্ডটিকে এত সরলীকরণ করে ফেলা হয়েছে যে, সেসব বিবেকহীন হত্যাকারিদের প্রতি মানুষের এক ধরণের সহমর্মীতা সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ হতাকান্ডের অন্য যে সব মোটিভ নিয়ে এখনও পর্যন্ত মানুষের মনে নানা রকম প্রশ্নের উদয় হচ্ছে, সেসব থেকে মানুষের দৃষ্টি শুধুমাত্র বিডিআর সদস্যদের হাহাকারের হা তে আঁটকে দেওয়া। এধরণের সাংবাদিকতা হত্যাকান্ডের দিন থেকেই শুরু হয়েছে।খুব একটা প্রতিবাদ হয়নি, গোপনীয়তা এবং আনুগত্যের অজুহাতে সামরিক বাহিনীকে, এবিষয়ে খুব একটা উচ্চ কন্ঠ হতে দেখা যায়নি। যে কয়েকজন এই শোক সইতে না পেরে বেশি আবেগ প্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন, তারা চাকরিতে টিকতে পারেননি। বিচার চাইবার কারণে, ঘাতকদের বিচার হবার আগেই, তারা চাকরিচ্যুত হয়েছেন।
২০০৯ সালে যে সব দাবি দাওয়া অভিযোগ সামনে রেখে বিডিআরে বিশৃংখলা ঘটেছিলো তাকে দু ভাগে ভাগ করা যায়।
অভিযোগ
১। বিডি আর ১০০ বছর ধরে নানা্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত
২। বিডি আরের রেশন পর্যাপ্ত নয়।
৩। সামরিক বাহিনীর অফিসাররা ছোট খাটো কারণে তাদের পদচ্যুত করে
৪। সৈনিক মেসে প্রাপ্য খাবার না দিয়ে সেনাবাহিনীর অফিসাররা খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ব্যাটালিয়নের প্রাইভেট ফান্ড তৈরি করে
৫। অফিসাররা পাজেরো গাড়ি চড়ে
৬। খালেদা জিয়ার সরকার বৈষম্য মূলক বেতন কাঠামো বানিয়েছিল,
৭। ১৯৯৬ সালে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরবারে কথা বলার জন্যে নেক সৈনিককে চাকরি হারাতে হয়েছিল।
দাবীঃ
একটি মাত্র দাবী বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর অফিসারদের তুলে নেওয়া হোক। না হলে আন্দোললনের মাধ্যমে কুকুরের ন্যায় গুলি করে সরাবো।
আমি এই দাবী দাওয়া গুলো বিডিআরের সেই সময়কার লিফলেট থেকে উদ্ধৃত করেছি।
দাবী দাওয়ার মূলকথা সেনাবাহিনীর অফিসারদের বিডিআর থেকে অপসারণ। অভিযোগ গুলি অযুহাত। ছয় বছর পর হত্যাকান্ডের কথা স্মরণ করতে গিয়ে যখন বিডিআরের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কথাটি গুরুত্বের সাথে বলা হয়। তখন হত্যাকান্ড গৌণ আর সুযোগ সুবিধা মুখ্য হয়ে ওঠে।
আমরা যদি তালিকার অজুহাত গুলি বিবেচনা করি, প্রথমে আসে ১০০ বছরের বঞ্চনার কথা, প্রশ্ন হল, ১০০ বছরের বঞ্চনার সমাধান, একটি নতুন সরকার থিতু হবার আগেই চাওয়া হল কেন?
২ নম্বর অভিযোগ রেশন পর্যাপ্ত নয়, রেশন বাড়ানোর এক্তিয়ার মহাপরিচালক বা অন্যান্য অফিসারের নয়। তা ছাড়া রেশন বাড়াবার ব্যপারের অনেক আগে থেকেই মন্ত্রনালয়ের সাথে দেন দরবার করা হচ্ছিল, সৈনিকদের সেটি অজানা থাকার কথা নয়, বিভিন্ন সময় দরবারে এ বিষয়ে বলা হয়েছে।
বাকি অভিযোগ, অজুহাতের প্রায় সবই হাস্যকর এবং অসত্য। বিডিআর একটি প্যারামিলিটারি ফোর্স। সামরিক অফসারদের সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে প্রশিক্ষণে, মনণে এবং সাহসে বিডিআর এই অঞ্চলের একটি শক্তিশালি সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে পরিণত হয়েছিল। ইতপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলায় সেটি প্রমাণিত হয়েছে। বিডিআরের নেতৃত্ব ধবংশ করে একদিকে যেমন তাদের যুথ বদ্ধতা নষ্ট করা হয়েছে একই ভাবে সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করা হয়েছে। তাই বিডি আরের সৈনিকদের শাস্তি বা তাদের বঞ্চনার অবসানই বড় কথা নয় সব কিছু খোলাসা হওয়া দরকার।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩৯
শাহেদ সাইদ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে ... এই ঘটনার সূত্রপাত ... অভিযোগ ছিল অনেক , সেই সাথে বৈষম ও ছিল চরম ।
তবে দাবি বলেন আর চাওয়াই বলেন ছিল একটাই ... তা হলো আর্মি থেকে প্রেষনে অফিসার না দিয়ে ... নিজেদের ভিতর থেকে অফিসার এর নিয়োগ... বা আনসার এর মতো বিসিএস ক্যাডারের মাধ্যমে নিয়োগ ..... তাও যদি সম্ভব না হয় তাহলে এই আর্মি অফিসার দের স্থায়ী ভাবে নিয়োগ ... ৩-৫ বছছের ভাড়া করা না।
সম্মান ও অর্থ বানানোর জায়গা এই বিডিআর বাহিনী সো তারা সব পরিবর্তন করেছে .. তাদের ঘৃনা লাগে বলে পোষাক .. নাম .. মনোগ্রাম সব .. কিন্তু সেই বাহিনী থেকে তারা যাবে না ... কারন লভের গুড় কেই বা ছাড়তে চা্য়।
আর একটা কথা ..... বর্ডারে গাধার খাটুনি বলেন আর প্রতিরোধ বলেন সবই করে কিন্তু এই নির্বোধ সৈনিকরা ... কিন্তু বাহবা নিয়ে যায় ... ভাড়া করা অফিসার .....
আর একটা কথা ... নিজের বাড়ির প্রতি সবার যেমন মায়া থাকে ... পরের বাড়ির প্রতি সেইরকম থাকে না । তাই ভাড়া করা অফিসার রা কখনই এই বাহিনীর প্রতি সেই ভালবাসা দেখাতে পারে না ...................
৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫১
শাহেদ সাইদ বলেছেন: পুঞ্জিভূত ক্ষোভ! অদ্ভুত শব্দ। কিসের জন্যে ক্ষোভ? বঞ্চনার? কেমন বঞ্চনা? ১৯৯১ সালে যখন বিদ্রোহের চেষ্টা করা হয়েছিল তখন দাবী ছিলো বেসিক বেতন ৯০০ টাকা করা, যেহেতু সেনাবাহিনীর সৈনিকের বেসিক ৯০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। মহাপরিচালক বলেছিলেন, আপনাদের বেতন ৮৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে তারপরও আপনি লাভবান, কারণ আপনি ৩৭ বছর চাকরি করবেন। সেনাবাহিনীর সৈনিকের চাকরি মাত্র ১৫ বছর। বিডিআর সেটা বুঝতে চায়নি, কারন তাদের মন্ত্রণাদাতারা সেটা চাননি।
এবারের দাবী একটাই একটি মাত্র দাবী বিডিআর থেকে সেনাবাহিনীর অফিসারদের তুলে নেওয়া হোক। না হলে আন্দোললনের মাধ্যমে কুকুরের ন্যায় গুলি করে সরাবো। বাকী গুলোতো অযুহাত।
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা আুপনি অযুহাতকেই গুরত্ত। দিচ্ছেন হত্যাকান্ডের বিচার চাইতে দেকছিনা। সেনাবাহিনীকে দেখে নেবার একটা মনোবৃত্তি আপনার মধ্যে কাজ করছে, আপনার সাথে বাহাস অর্থহীন
৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
ইসপাত কঠিন বলেছেন: দাবীগুলোর কথা বলি। লেখক, আপনাকে নয়, ঐসব বেঈমানদের উদ্যেশ্যে বলছি।
১। বিডিআর ১০০ বছর ধরে নানা্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
তোমরা কি গত ১০০ বছর ধরে বেঁচে আছো আর যারা মারা গেলো তারা কি ১০০ বছর ধরে কমান্ড করছে। তোমরা কি সুযোগ-সুবিধার জন্য বিডিআরে যোগ দিয়েছিলে? বা তোমাদের চাকরীর সময় কি বলা হয়েছিলো যে চাকরীতে যোগদান করলে যা চাইবে তাই পাবে?
২। বিডি আরের রেশন পর্যাপ্ত নয়।
আরে বাপ, তোমার রেশনের স্কেল কি অফিসাররা নির্ধারন করে? আর তোমার আর অফিসারের রেশন স্কেলে কোন বালের পার্থক্য আছে? তারপরও তোমাদের রেশন স্কেলের বিষয়ে বারবার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিলো, সেগুলো অনুমোদন দেওয়া বা না দেওয়া সরকারের বিষয়।
৩। সামরিক বাহিনীর অফিসাররা ছোট খাটো কারণে তাদের পদচ্যুত করে।
তোমরা যদি তোমার পদ অনুসারে দায়িত্ব পালন করতে ব্যার্থ হও, অথবা নৈতিকতা বিরোধী কাজ করো, তাহলে কি তোমাদের কোলে তুলে নাচবে? সেনাবাহিনীতেও তো একই ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র বাহিনীর শাস্তির ৩টা অংশ, কৃতকর্মের ফল, সংশোধন এবং দৃষ্টান্ত। পুলিশে এমনটি নেই বলে পুলিশ যা ইচ্ছা তাই করে। তোমরাও কি পুলিশ হতে চাও।
৪। সৈনিক মেসে প্রাপ্য খাবার না দিয়ে সেনাবাহিনীর অফিসাররা খাবারের টাকা বাঁচিয়ে ব্যাটালিয়নের প্রাইভেট ফান্ড তৈরি কর।
ব্যাটালিয়নের প্রাইভেট ফান্ড দিয়ে কি করা হয়। অফিসার পশ্চাৎদেশে ঢুকিয়ে রাখে? নাকি তোমাদের যেসব প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরকার অর্থ দেয় না, তার পেছনে খরচ করা হয়? তোমরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার অনুশীলন চলাকালীন সময়ে যে অতিরিক্ত ডায়েট খাও, তার টাকা কি তোমার শ্বশুর বাড়ীর লোক দিয়ে যায়? তোমাদের বাইরের ডিউটিতে যে নাস্তা দেওয়া হয়, তার টাকা কি তোমার শ্বশুর বাড়ীর লোক দিয়ে যায়? তোমাদের টিভি নষ্ট হয়ে গেলে তা মেরামত করতে বা নতুন টিভি কিনতে যে টাকা লাগে তার টাকা কি তোমার শ্বশুর বাড়ীর লোক দিয়ে যায়? তোমাদের প্রতিদিন যে নাস্তা দেওয়া হয় (যার জন্য সরকারী কোন বরাদ্দ নেই), তার টাকা কি তোমার শ্বশুর বাড়ীর লোক দিয়ে যায়? তোমাদের প্রতিদিনের খাবারে যে কাঁচামরিচ, ধনিয়া পাতা লাগে, তার টাকা কি তোমার শ্বশুর বাড়ীর লোক দিয়ে যায়? তোমরা ভালো কাজ করলে যে পুরষ্কৃত করা হয়, তার টাকা কি তোমার শ্বশুর বাড়ীর লোক দিয়ে যায়?
বিডিআরের প্রতিটি জওয়ান বছরে একটি নির্দিষ্ট সময় ছুটি পান। ছুটিতে থাকাকালীন সময়ে তারা রেশনের বদলে একটি ভাতা পান। যতদিন ছুটি প্রাপ্য, তার বেশী ছুটি গেলে অতিরিক্ত দিনসমূহের জন্য ভাতা পাবেন না, এবং তা পেলে বড় ধরনের অডিট আপত্তি উথাপিত হবে। কিন্তু বিভিন্ন কারনে অকারনে তারা প্রাপ্যের অধিকদিন ছুটি পান। সেই ছুটিটা অফিসিয়ালি দেখানো হয় না সংগত কারনে। তখন তাদের ঐ নির্দিষ্ট দিনের রেশন গুলো অতিরিক্ত হিসেবে বিক্রয় হয়ে প্রাইভেট ফান্ডে জমা হয় যা দিয়ে উপরে উল্লেখিত কাজসমূহের অনুরূপ কাজে খরচ হয়। প্রাইভেট ফান্ডের টাকা অফিসারের একাউন্টে জমা হয় না।
৫। অফিসাররা পাজেরো গাড়ি চড়ে।
প্রধানমন্ত্রী আজ প্রধানমন্ত্রী বলে বুলেট প্রুফ বিএমডব্লি্উ, ল্যান্ড রোভার, ডিসকোভার গাড়ীতে চড়েন। আর আমি আজকে আমি বলে রিক্সায় চড়ি। এখন কি আমি দাবী করবো প্রধানমন্ত্রীকে রিক্সায় চড়তে হবে? প্রতিটি পদের জন্য বেতন, সুযোগ সুবিধা ভিন্ন থাকবে, এটা সারা বিশ্বের নিয়ম। আমার বস যদি পাজেরোতে না চড়ে, আমার চেয়ে বেশী বেতন না পায়, তাহলে আমি কেন আমার সততা, মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে বসের পদে একদিন যাওয়ার চেষ্টা করবো? আমার তো শুয়ে বসে খেলেই চলবে। বিশ্বের কোন সংস্থা তোমাদের এই ধরনের বালের যুক্তিতে চলে না।
৬। খালেদা জিয়ার সরকার বৈষম্য মূলক বেতন কাঠামো বানিয়েছিল।
তো যেই ৫৭ জনকে মেরে ফেললে, সেই ৫৭ জন খালেদা জিয়া সরকারের কি কি মন্ত্রী ছিলেন?
৭। ১৯৯৬ সালে ততকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরবারে কথা বলার জন্যে নেক সৈনিককে চাকরি হারাতে হয়েছিল।
এই বিষয়টা আমার জানা নাই। তাবলে এর আগে অফিসার মেরে ফেলার পরে টিভি ক্যামেরায় যে পরিমানে মিথ্যা বলেছো বাবারা, তোমাদের বাপ-মা "সদা সত্য কথা বলবে" নীতিবাক্যটি কোনকালে শুনিয়েছে কি না তাই সন্দেহ।
৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩৪
মিঠুন_বিশ্বাস_রানা বলেছেন: হাহাহাহাহা বোকার স্বর্গে বসবাস ..... কিছুই বলার নাই ।
এ জাতি পারে শুধু তেলো মাথায়... তেল দিতে।
(এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি)
৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৮
ইসপাত কঠিন বলেছেন: তো, আপনি কোন জাতির?
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমার ৩ বছর আগের দুটি লেখা পড়ুন, কমেন্টের উত্তরগুলো সহ। অনেক প্রশ্নের জবাব পাবেন।
কি ঘটেছিল সেদিন দরবার হলে.?
উদ্ধার পর্ব, যে কারনে সেনা অভিযান সম্ভব হয়নি।