নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির কোণে বেঁচে থাকা - আমার প্রথম খেলার সাথী।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৬


ছবি - নেট থেকে।

স্মৃতির পাতা উল্টিয়ে যখন দেখি - দেখতে পাই কত না আনন্দময় ছিল সেই দিনগুলি। কষ্টের আঁচড় আসেনি তা নয়, তবে স্মৃতির অধিকাংশ পাতা রংয়ে রঙিন।

দাদার কাঁধে চড়ে প্রথম যেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম, সেই দিনের সেই স্মৃতি আজও এক প্রকার ভাললাগা স্পর্শ করে এ মন। আবার আমার সম্মুখে - দাদার শেষ নিঃশ্বাস মনে আসতেই জলে ভরে উঠে দু'চোখ।
এরকম অসংখ্য সুখ-দুঃখের গল্প আমার স্মৃতির পাতায় এঁটে আছে। কিছু স্মৃতি আমাকে আবেগময় করে তুলে। শৈশবের আবেগময় এক স্মৃতি আমাকে খুবই "আনন্দ-কষ্টের" দুলা চলে ফেলে --

খুলনা শহরের টুটপাড়ায় এক ভাড়া বাসায় থাকতাম, আমার বয়স ৪-৫ বছর হবে। পাশের বাসায় নতুন এক ভাড়াটিয়া এলেন - হিন্দু পরিবার, অন্যদের সাথে তাদের তেমন চলাফেরা ছিল না। তবে আমার মায়ের সাথে নতুন আন্টির বেশ খাতির ছিল, সেই সুত্রে তাঁর ছেলের সাথে আমার খেলার সুযোগ। আমার জীবনের প্রথম খেলার সাথী।

কিছু চুড়ি ভাঙ্গা দিয়ে আমরা খেলতাম, তিনটি গত্ত করে তার যেকোন একটিতে ভাঙ্গা চুড়ির টুকরোগুলো লুকিয়ে রাখতে হত, অন্যজন ততক্ষণ চোখ বন্ধ রাখত। তারপর চোখ খুলে তাকে একটি লাটির টুকরা দিয়ে এক গুতো দিয়ে চুড়ির টুকরো বের করতে হত, না পারলে এক চড় খেতে হত।
সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা আমাদের খেলা চলতোই, মায়েদের বকুনি ডোন্ট কেয়ার।
এই খেলায় যেহেতু আমি নতুন তাই হার আর চড়, দু'টোই আমার কপালে জুটতো। একদিন চড় খেতে খেতে কেঁদে দিলাম, আমার খেলার সাথীর মা তাকে অনেক মারল। সকাল থেকে দুপুর খেলা বন্ধ থাকল, বিকাল থেকে আবার আমাদের খেলা শুরু হল।

একদিন হঠাৎ তাঁরা বাসা ছেড়ে চলে গেলেন, সেই দিন আমি খুব কেঁদে ছিলাম।
শৈশবের ঐ স্মৃতি আমার মনে বহমান ছিল নাকি মায়ের কাছে শুনে স্মৃতিতে এঁটে আছে তা ঠাহর করতে পারি না।
আমার সেই প্রথম খেলার সাথীর নাম আজ আর মনে নাই।

আমার প্রথম খেলার সাথী বন্ধুটি তুমি যেখানে থাক - তোমার শৈশবের ছোট্ট এই বন্ধুটির - শুভ কামনা রহিল।
" ভাল থেকো বন্ধু "

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছোট বেলার আমারও এক বন্ধুর চেহারা মনে আছে কিন্তু তার নাম মনে নেই।
এখনও মাঝে মাঝে তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে।
মানুষের জীবনে এমন অনেক স্মৃতি আছে যা মনের অগোচরে থেকে যায়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: স্মৃতি মাঝে মাঝে অনেক পীড়া দেয়, নাম মনে আছে চেহারা আচঁ করতে পারি না, আবার চেহারা আঁচ করতে পারি নাম ভুলে গেছি।

মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমি খুলনার ময়লা পোতার মোড় অনেকদিন ছিলাম।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমার শহরে দীর্ঘ দিন থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: স্মুতির নাম বেদনার ফুল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: নামটা বেশ চমৎকার, এই নামে একখানা উপন্যাস লেখা যেতে পারে।

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ | খুব ভালো লাগলো আপনার ছোট বেলার স্মৃতিময় বর্ণনা |

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.