নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনারেল জিয়া ও তাঁর সকল গোষ্টি চোর, বাটপার, খুনি !!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮






জেনারেল জিয়ার পরিচিতিঃ নিজের প্রাণ বাঁচাতে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, দেশের জন্য নয়। "জেড ফোর্স" গঠন করেছিলেন পাকিস্তানীদের সহযোগিতা করতে। কিন্তু কামে লাগি নাই। যুদ্ধের পরে তৎকালীন সরকারকে বিরাট অঙ্কের টাকা ঘুষ দিয়ে "বীরউত্তম" খেতাব নিয়েছিলেন সরকারের সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য। কিন্তু তাদেও তিনি ক্ষান্ত হননি আওয়ামলীগ কর্মীদের দিয়ে তাদের নেতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করলেন। ক্ষমতা দখল করে একখানা আলাদ্দিনের চেরাগ পেলেন, এই চেরাগের দৈত্যর বিশাল গুন, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বানিয়ে দেয় যে কাউকে, যা আজ অবধি বহমান আছে। তবে শর্ত হচ্ছে, তাকে জিয়ার সাথে কোন না কোন ভাবে জড়িত থাকতে হবে।

জিয়ার চেরাগের দৈত্যর কামের কিছু নমুনাঃ

খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া ১০০ কালো সুটকেস ভর্তি করে টাকা সেীদি আরবে পাঠিয়ে বিশাল মার্কেট বানিয়েছে, স্বাক্ষী স্বয়ং বিশ্ব থেকে সৎ মানুষ হিসাবে বিবেচিত আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখানেও জিয়া পরিবারের বাঁধা তাঁরা উকিল নোটিশ করেছে তাদের সম্পদ কোথায় তা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে, দেখা যাক প্রধানমন্ত্রী কি করেন, টাকা ফেরত এনে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগায় কিনা।

আরও কিছু নমুনা দেখিঃ

হলমার্ক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িতরা, তাঁরা জিয়ার বাটপার ভাই-বোন।
শেয়ার বাজার লুটকারী সাদা দরবেশ, জিয়ার দরবেশ মুরব্বি।
বাংলাদেশ ব্যাংক লুটকারী ডাকাত দল, জিয়ার লুন্ঠন ভাই।
পাঁচ বছরে সম্পদ ২০০-৩০০ গুন বৃদ্ধি এম,পিরা, জিয়ার রাবিশ ভাই।
গুম গ্রুপ, জিয়ার নকশাঁল বাহিনী।
শিক্ষার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া গোষ্টি, জিয়ার অশিক্ষিত ভাই।

এরকম বললে জিয়ার অনুসারীদের কর্মের লিষ্ট শেষ হবে না, কারণ বর্তমান দেশের সব সমস্যার মূলে জিয়ার চেরাগের দৈত্য।
কিন্তু একটা বিষয় জানতে পারিনি কখনও ৭৪ সালে নাকি বাংলাদেশে বিখ্যাত এক ব্যাংক ডাকাত ধরা পড়েছিল তিনি কি জিয়ার অনুসারী ছিলেন? কারণ তখনতো জিয়ার চেরাগ জন্ম হয় নাই।



মন্তব্য ৮৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিয়াকে আপনি দেখেননি, উনাকে জানার সুযোগ আপনি পাবার কথা নয়; যুদ্ধের সময় উনাকে খুব অল্প কিছু বাংগালী দেখেছেন; উনি সামরিক শাসনকর্তা হওয়ার পর, কিছু মানুষ উনাকে কাছের থেকে দেখেছেন, যারা উনাকে একবার কাছের থেকে দেখেছেন, তারা জিয়ার সমানে আর কোনদিন হয়তো যেতে চাহেনি; জিয়ার মৃত্যুতে বিএনপি'র সব নেতা হাঁফ ছেড়ে বেচেছে, এবং মনে হয়, খুবই খুশী হয়েছে; মৃত জিয়াই সব রূপকাহিনীর জন্ম দিয়েছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনি কি দেখেছেন? দেখে থাকলে একটু বলুন শুনি।
যারা দেখেছেন, আওয়ামলীগ নেতা মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম, জাসদ নেতা বাদল তাঁরা কিন্তু জিয়ার যুদ্ধের অবদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেননি, আপনি তুলেছেন।
আপনি নিশ্চই তাদের চেয়ে কাছ থেকে জিয়াকে দেখেছেন।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেনারেল জিয়া সাথে বেগম জিয়া জেনারেল হননি, তারেকও জেনারেল নন, তারেক আসলে মজুমদার, সে জিয়ার কিছু পাবার কথা নয়।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এদেশে এখনও উল্লেযোগ্য মানুষ কেন জিয়াকে ভালবাসে, মনে রাখে? জিয়া অসৎ হয়ে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকল আর আপনি সৎ হয়েও কেন দেশের জন্য কিছু করতে পারলেন না। শুধু যুদ্ধ ছাড়া।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " এদেশে এখনও উল্লেযোগ্য মানুষ কেন জিয়াকে ভালবাসে, মনে রাখে? "

-এটা বড় দু:খের কাহিনী, কেন এই দেশের মানুষ জিয়াকে ভালোবাসে! এই দেশের মানুষ আইয়ুব খানকে (যিনি জিয়ার ১৪ গোষ্টী থেকেও দক্ষ ছিলেন) সরাতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছন, ইয়াহিয়াকে সরাতে গিয়ে ৩০ লাখ প্রাণ দিয়েছে; সেই ইডিয়টদের ছেলেরা ৩০০ মুক্তিযোদ্ধা (বেংগল রেজিমেন্ট ) জিয়ার আমলে ফাঁসীতে ঝুলেছে, ১১০০ জন চাকুরী হারায়েছে; যারা জিয়াকে ভালোবাসে, তাদের পরিবারে বেংগল রেজিমেন্টের বাঘ জন্মেনি, সেইসব পরিবারে শিয়াল জন্মেছিলো; এগুলো বাংলার শিয়াল!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার কথা মতে এদেশের অর্ধেক মানুষ শিয়াল। আপনি নিশ্চই বাংলার বাঘ!!! তাহলে আমেরিকা কেন? এদেশে থেকে কিছু শিয়ালকে বাঘ তৈরি করা উচিত ছিল না।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেজর জিয়া ছিলেন ১নং সেক্টরের প্রথম সেক্টর কমান্ডার, মেজর রফিক উনার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ছিলেন; জুনের শেষের দিকে, মেজর জিয়াকে ১১ নং সেক্টরে বদলী করা হলে, উনি ওখানে যেতে অস্বীকার করেন; দায়িত্ব চলে যায় মেজর রফিকের হাতে; জিয়া ১ নং সেক্টরে ফ্রন্ট ফাইটে থেকে যান আগষ্ট অবধি, জোর করে; শেষ উনাকে বাধ্য করা হয় ১১ নং এ যোগ দিতে।

হয়তো এই কারণেই জিয়া ১৯৭৫ এর ঘটনায় যুক্ত হয়েছিলেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: তাহলে উনি যুদ্ধে অংগহন করেছিল এটা ঠিক। ১৯৭৫ সালে জিয়া নয় আওয়ামলীগের নেতারা জড়িত ছিল, জাসদ পরের দিন লিফলেট বিলি করেছিল খুশি হয়ে।

আপনি কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন, কার নেতৃত্বে? (জানার আগ্রহ থেকে বললাম)

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন," আপনার কথা মতে এদেশের অর্ধেক মানুষ শিয়াল। আপনি নিশ্চই বাংলার বাঘ!!! তাহলে আমেরিকা কেন? এদেশে থেকে কিছু শিয়ালকে বাঘ তৈরি করা উচিত ছিল না। "

_বাংলার মানুষের মাঝে অর্ধেক হয় শিয়াল হবে, না হয় ক্রীতদাস। এই অর্ধেক স্বাধীনতার জন্য মুল্য দেয়নি; এদের কেহ জিয়ার হাতে প্রাণ হারায়নি। আমি কেন আমেরিকায়, সেটা ব্লগে বলা ঠিক হবে না, সেখানে কিছুটা প্রাইভেট ব্যাপার আছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: প্রাইভেট ব্যাপার ব্লগে না বলায় সমীচীন।

যুদ্ধ সংক্রান্ত তথ্যগুলো কি দেওয়া যায়?

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি ১ নং সেক্টরে "যেড ফোর্সে" যুদ্ধ শুরু করেছি, শেষ করেছি ক্যা: মাহফুজের অধীনে, ১ নং সেক্টরের অধীনে। "যেড ফোর্সে" আমি সরাসরি জিয়ার অধীনেও ছিলাম; সামান্য সময় ছিলাম ক্যা: হামিদের অধীনে; ক্যা: মাহফুজের অনুপস্হিতিতে কয়া; ওলি'র কাছেও সময় সময় রিপোর্ট করেছি।

যাদের ১৪ গোষ্ঠীর মাঝে ১ জন বেংগল রাজিমেন্টে ছিলো, তারা জানে জিয়া কি করেছে ১৯৭৫ সালের পর; বাহিরের মানুষ উনাকে চেনার মত বুদ্ধিমান ছিলেন না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কর্নেল ওলি কিন্তু জিয়ার দলের রাজনীতি করেছে। মেজর রফিকুল কখনও জিয়ার অপমান মেনে নেয় না,
আমাদের প্রজন্ম হয়তো কখনও কিছু রহস্য উৎঘাটন করতে পারবে না।
আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা আপনার মহান মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস শেয়ার করার জন্য।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


কর্ণেল ওলি নিজেই মুসলিম লীগ ঘরানার লোক; ৮ম বেংগল রেজিমেন্ট পাকীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ায় উনি যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়ুেছিলেন; যুদ্ধের বেশীর ভাগ সময়ে, তিনি "এডমিনিষ্ট্রেটিভ" দায়িত্বে ছিলেন; তিনি ও মেজর শওকত যুদ্ধের ব্যাপারে ভীতু ছিলেন।

ক্যা: ওলি পুরো মুসলীম লীগকে বিএনপি'তে নিয়ে গেছে ও জাসদ থেকে ছাত্রদল গঠন করেছিল; ক্যা: ওলি আসলে ক্রিমিন্যাল মুক্টিযোদ্ধা।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমাদের প্রজন্ম হয়তো কখনও কিছু রহস্য উৎঘাটন করতে পারবে না।
কারণ আমি আপনার পক্ষ থেকে আপনার কথা শুনছি কিন্তু ওলির বক্তব্য শুনতে পাচ্ছি না, আর আপনাদের মুখোমুখি করার সাধ্যও আমার নাই।
ধর্মের কল নাকি বাতাসে নড়ে দেখি কখনও তা দেখতে পাই কিনা।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


জিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ বার ক্যু করার ফলে, ৩০০ জনের বেশী সৈনিকের (মুক্টিযোদ্ধা) ফাঁসী হয়েছিল, ১১০০ সৈনিকের চাকুরী গেছে ও অর্ধেক জেল খেটেছে, এটা আপনি জানেন?

জানলে কিভাবে আপনি জেনারেল জিয়াকে সাপোর্ট করেন?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমি কখনও অন্যায়কে সার্পোট করি না। শুধু জিয়ার আমলে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা হয়নি বঙ্গবন্ধুর আমলেও জাসদের অসংখ্যা মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা হয়েছিল, জেনারেল এরশাদের আমলেও কিছু হয়েছে, তাছাড়া জাসদের সিপাহি সিপাহি ভাই ভাই স্লোগানের সময় অসংখ্যা সেনা কর্মকর্তা হত্যার শিকার হয়েছিল সেখানেও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ছিল।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আমি কখনও অন্যায়কে সার্পোট করি না। শুধু জিয়ার আমলে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা হয়নি বঙ্গবন্ধুর আমলেও জাসদের অসংখ্যা মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা হয়েছিল, জেনারেল এরশাদের আমলেও কিছু হয়েছে, তাছাড়া জাসদের সিপাহি সিপাহি ভাই ভাই স্লোগানের সময় অসংখ্যা সেনা কর্মকর্তা হত্যার শিকার হয়েছিল সেখানেও কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ছিল। "

-যার যার হাতে মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছে, তাদেরকে আপনি সাপোর্ট করেন কিনা?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমি এখন রাজনীতি করি না, তবে ছাত্র রাজনীতি করতাম, ২০০৩ সাল থেকে আমার রাজনীতি বন্ধ পেটনীতি শুরু, আমি শত্রুর ভাল গুনকে গ্রহন করার পক্ষে।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আমি কখনও অন্যায়কে সার্পোট করি না। শুধু জিয়ার আমলে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা হয়নি বঙ্গবন্ধুর আমলেও জাসদের অসংখ্যা মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা হয়েছিল, "

-জাসদ হলো ছাত্রলীগের একাংশ, এরা শেখ সাহেবের ছাত্র সংগঠন; শেখ সাহেব ওদেরকে আপনার থেকে বেশী ভালোবাসতেন; ওরা যখন "গণবাহিনী" গঠন করে ৩ জন এমপি হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, ব্যাংক ডাকাতি করেছে, শেখ সাহেব তাদেকে পরাজিত করতে সৈন্য নামায়েছিল।

জিয়া কি কারণের হত্যা করেছিল? সৈনিকেরা কি ব্যাংক লুট করছিলো নাকি মানুষ মারছিলো?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ওরা যখন "গণবাহিনী" গঠন করে ৩ জন এমপি হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, ব্যাংক ডাকাতি করেছে, শেখ সাহেব তাদেকে পরাজিত করতে সৈন্য নামায়েছিল।

বঙ্গবন্ধুর এক ছেলে নাকি ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল তথ্যটি কতটুকু সত্য?

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ বার ক্যু করার ফলে, ৩০০ জনের বেশী সৈনিকের (মুক্টিযোদ্ধা) ফাঁসী হয়েছিল, রাস্ট্র প্রধানের বিরুধে ক্যু'র শাস্তি কি জামাই আদর???
নাকি তারা মুক্তিঝুদ্ধা ছিলেন বলে সকল আইনের উর্ধে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এদেশের আইন!!

১২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন, " জিয়ার বিরুদ্ধে ১৮ বার ক্যু করার ফলে, ৩০০ জনের বেশী সৈনিকের (মুক্টিযোদ্ধা) ফাঁসী হয়েছিল, রাস্ট্র প্রধানের বিরুধে ক্যু'র শাস্তি কি জামাই আদর???
নাকি তারা মুক্তিঝুদ্ধা ছিলেন বলে সকল আইনের উর্ধে? "

-আপনার ভাবনায় সব ঠিক আছে, সুক্ষ্ম একটা ব্যাপার আপনার ভাবনায় ধরা পড়েনি, "সেটা হলো, জিয়া ক্যু করে, ক্ষমতা দখল করেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকেরা স্বাধীন বাংলায় ক্যু করার পক্ষে ছিলেন না; উনারা আইয়ুব ও তার বরপুত্র ইয়াহিয়ার বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন প্রাণ বাজী রেখে"; সেখানে আপনার ভাবনার সমস্যা আছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ভাবনা!!!

১৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "আমি এখন রাজনীতি করি না, তবে ছাত্র রাজনীতি করতাম, ২০০৩ সাল থেকে আমার রাজনীতি বন্ধ পেটনীতি শুরু, আমি শত্রুর ভাল গুনকে গ্রহন করার পক্ষে। "

-শত্রুর ভালো গুণকে গ্রহন করা হলো বিরাট গুণ; ইয়াহিয়া পাকিষ্তান রক্ষার জন্য ৯ মাস যুদ্ধ করেছেন, জাতির জন্য ৯ মাস যুদ্ধ করা বিরাট গুণ, এটাকে প্রতিষ্ঠিত করেন!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এটা কোন ধরনের মন্তব্য হল!!!

১৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: গাজী সাহেব আপনি একজন পারভার্ট সাইকো। যার কাজই হচ্ছে জিয়া পরিবার নিয়ে পারভার্টেড কাহিনী তৈরি করা। তারেক মজুমদার তাইনা!!! আপনি ভদ্রতার সকল সীমা লংঘন করেছেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: উনি ভদ্রতার নতুন সংঙ্গা তৈরী করেছেন।

১৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আওয়ামীলীগ ভূতের সিনেমা পছন্দ করে। তাই সব কিছুতে জিয়া পরিবারের লিংক খুঁজে পায়...

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: লীগ পুনরায় জন্মে জিয়া অবদান আছে।

১৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন, " গাজী সাহেব আপনি একজন পারভার্ট সাইকো। যার কাজই হচ্ছে জিয়া পরিবার নিয়ে পারভার্টেড কাহিনী তৈরি করা। তারেক মজুমদার তাইনা!!! আপনি ভদ্রতার সকল সীমা লংঘন করেছেন। "

-জিয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ফাঁসি দিয়েছিল, টাকা চুরি করেনি; তারেক কেরু ডিস্টিলারী কিনেছিলেন ও ডান্ডি ডায়িং'এর পার্টনার; আপনার কয়টা ডাণ্ডা ডায়িং আছে? আপনার চেহারায় জিয়ার চাপ আছে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: চেহারা নিয়ে প্রশ্ন উঠানো ঠিক নয়।

১৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন, " আওয়ামীলীগ ভূতের সিনেমা পছন্দ করে। তাই সব কিছুতে জিয়া পরিবারের লিংক খুঁজে পায়... "

-১৯৭৫ সালের কান্ডে, শেখ হাসিনা ব্যতিত আলীগের বাকীসবাই হয়তো জিয়াকে মনে মনে ধন্যবাদ দিয়েছে, অসম্ভব নয়!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনি কি ধন্যবাদ দিয়েছিলেন তখন???

১৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এক অন্যায় দিয়ে অন্য অন্যায়কে জাস্টিফাই করা যায় না। জনাব চাঁদগাজী একই সেক্টরের যোদ্ধা ছিলেন, ব্যক্তিগত বিবাদ থাকার কথা না। মন্তব্যগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন। ব্যাংক ডাকাতি ব্যাপারটা নিয়ে আমিও দ্বিধান্বিত ছিলাম। বছর দুয়েক আগে ক্লিয়ার হলাম।
শেখ কামাল সেদিন আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েক বন্ধুকে নিয়ে । রাত তখন আনুমানিক ৯টা কি সাড়ে ৯টা । আজকের বেক্সিমকো গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার সালমান এফ রহমান, যিনি কিনা শেখ কামালের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন; ফোন করলেন হঠাৎ করেই । অর্থাৎ সেই রাতে । জানালেন নতুন একটি ভঙ্ ওয়াগন কোম্পানির মাইক্রোবাস কিনেছেন । টেলিফোনের এ প্রান্তে শেখ কামাল খুশিতে লাফ দিয়ে উঠলেন এবং সালমান রহমানকে অনুরোধ করলেন গাড়িটি একটু পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য । উদ্দেশ্য নতুন গাড়িতে চড়ে ঢাকা শহরটি একটু চক্কর দেওয়া । অনুরোধমতে গাড়িটি এলো রাত আনুমানিক ১০টার দিকে । উপস্থিত বন্ধুরা শেখ কামালকে প্রস্তাব করলেন পুরান ঢাকার চিনুর বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ানোর জন্য । যেই কথা সেই কাজ, শেখ কামাল আরও দু-তিন বন্ধুকে ফোন করলেন এবং ফোন করলেন বিএনপির মন্ত্রী টুকুও । তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেন । কিন্তু নতুন ভঙ্ ওয়াগন গাড়িতে চড়া এবং চিনুর বিরিয়ানির লোভ সামলাতে পারলেন না । বললেন যাওয়ার সময় এলিফ্যান্ট রোডে তার বাসার সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়ার জন্য । রাত সাড়ে ১০টায় এলিফ্যান্ট রোড থেকে তাকে তুলে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা কাকরাইল, জোনাকী সিনেমার সামনের রোড দিয়ে ফকিরের পুল হয়ে গুলিস্তান এবং গুলিস্তান হয়ে বংশাল যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন । অর্থাৎ রাতের নিরিবিলি ঢাকায় নতুন গাড়িতে চড়ার আনন্দ উপভোগ । এভাবেই তারা কাকরাইল মোড় পর্যন্ত এগোলেন । বিপত্তি বাঁধল মোড় পার হওয়ার পরই । এই বিপত্তি নিয়ে কিছু বলার আগে তৎকালীন রাজনীতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু না বললেই নয় ।
বঙ্গবন্ধু সরকারকে সমূলে বিনাশ করার জন্য যেসব দেশি-বিদেশি প্রবল প্রতিপক্ষ কাজ করছিল, তাদের মধ্যে সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টি বা নকশালেরা অন্যতম । এরা মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ডে থেকে অপতৎপরতা চালাত । তখনকার নকশালীদের গুম, হত্যা, ডাকাতির বীভৎস রূপ এবং অস্ত্রের ঝনঝনানি সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল । অন্যদিকে জাসদ নামক রাজনৈতিক দলটির গণবাহিনীর তৎপরতা ছিল আরও ভয়াবহ । তারা রাজনীতি করত জাসদের নামে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাত 'গণবাহিনী'র নামে এবং অপপ্রচার চালাত 'গণকণ্ঠ' নামে তাদের মালিকানায় প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে । আজকের মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, মহাজোটের এমপি মঈনউদ্দিন খান বাদল প্রমুখ ছিলেন জাসদ গণবাহিনীর লিডার, যাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি সমূলে বিনাশ করা । জাসদ গণবাহিনীর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পর ঢাকার অলিগলিতে বের হয়ে পড়ত এবং খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, অপহরণের মাধ্যমে সরকারকে অচল করার অপপ্রয়াস চালাত । সরকারও সর্বশক্তি দিয়ে এদের দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল । রক্ষীবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ টিম সারা রাত গণবাহিনীর গুণ্ডাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাত । বীর মুক্তিযোদ্ধা এসপি মাহবুব উদ্দিন আহমদ তখন পুলিশের কয়েকটি টিম পরিচালনা করতেন । গণবাহিনী এবং নকশালদের দমন করার জন্য এসপি মাহবুবের টিমগুলোর আবার পরিচিতি হতো টিম লিডারের নামানুসারে, একটি টিমের নাম ছিল 'কিবরিয়া বাহিনী' । আমরা যে রাতের কথা বলছি সেই রাতে কাকরাইল পল্টন এলাকায় টহলের দায়িত্বে ছিল এই কিবরিয়া বাহিনী । তারা সাদা পোশাকে সশস্ত্র অবস্থায় প্রাইভেট গাড়িতে ঘুরত মূলত গণবাহিনী বা নকশালীদের ধরার জন্য । সন্দেহভাজন কাউকে দেখলেই চ্যালেঞ্জ করত এবং ক্ষেত্রবিশেষে গুলি চালাত ।
শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা যখন কাকরাইল মোড় পার হলেন, তখন সামনে একটি প্রাইভেটকারে কয়েকজন সশস্ত্র লোককে দেখতে পেলেন । তারা মনে করলেন, প্রাইভেট কারটি হয়তো গণবাহিনীর গুণ্ডাদের বা নকশালীদের । মাইক্রোবাসটি প্রাইভেট কারের চেয়ে উঁচু এবং উজ্জ্বল হেড লাইটের কারণে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা গাড়ির আরোহীদের দেখতে পাচ্ছিলেন । অন্যদিকে গাড়ির আরোহী সাদা পোশাকধারী পুলিশের কথিত কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোবাসের উচ্চতার কারণে ভেতরের আরোহীদের দেখতে পাচ্ছিলেন না । কাকরাইল মোড় পার হয়ে শেখ কামালদের গাড়ি যখন নাইটিঙ্গেল রেস্তোরাঁ অতিক্রম করছিল, তখন তাদের তারুণ্যময় অ্যাডভেঞ্চারে পেয়ে বসল । তারা মনে করলেন, সামনের গাড়িটি গণবাহিনী বা নকশালীদের । ভুলে গেলেন চিনুর বিরিয়ানির কথা । ভাবলেন, কোনোমতে যদি ওই সন্ত্রাসীদের ধরা যায়, তাহলে সারা দেশে হয়তো একটি ধন্য ধন্য রব পড়ে যাবে । তারা গাড়িটি ধাওয়া করলেন । রাত তখন ১১টা। অন্যদিকে প্রাইভেট কারে বসা কিবরিয়া বাহিনীর সদস্যরা মাইক্রোবাসের আরোহীদের মনে করলেন গণবাহিনীর সন্ত্রাসী । পুলিশের গাড়ি হঠাৎ মতিঝিল থানার মধ্যে ঢুকে পড়ল । তাদের অনুসরণ করে শেখ কামাল ও তার বন্ধুরাও মতিঝিল থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়লেন । এরপর পুলিশ সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে লাগলেন মাইক্রোবাসে বসা শেখ কামাল ও তার বন্ধুদের ওপর । সবাই মারাত্দক জখম হলেন কেবল বিএনপির এই নেতাটি ছাড়া । এরই মধ্যে পুলিশ বাহিনী যখন বুঝতে পারল আসল ঘটনা, তখন আহতদের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো । বঙ্গবন্ধু পরিবার তখন জানে না ঘটনা সম্পর্কে । রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বিএনপি নেতাটি ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ঢুকে শেখ জামালকে খবরটি দিয়ে পুনরায় ঢাকা মেডিকেলে চলে এলেন ।
পর দিন দুপুরে বঙ্গবন্ধু ডেকে পাঠালেন বিএনপির মন্ত্রী টুকুকেও । তিনি যখন পৌঁছলেন, তখন বঙ্গবন্ধু খাচ্ছিলেন । আজকের প্রধানমন্ত্রী খাবার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে জাতির পিতাকে খাওয়াচ্ছিলেন । ছেলের বন্ধুর দিকে তাকিয়ে তিনি হুঙ্কার ছাড়লেন-ভদ্রলোকের ছেলেরা কি রাত ১১টার সময় বাইরে বের হয় । ব্যস! আর যায় কোথায়! শেখ কামালের বন্ধুটি ভয়ে থরথর করে কাঁপতে শুরু করলেন । বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য করলেন তার ছেলের বন্ধুর মানসিক অবস্থা । আর কিছু বললেন না । শুধু হুকুম করলেন- এই বস, হাসু ওকে ভাত দে । ওই দিনের খাবারের মেনু ছিল শাক, ডাল আর কৈ মাছ । নেতাটি ভীতসন্ত্রস্ত এবং বিহ্বল হয়ে খাওয়া শুরু করলেন । কিন্তু গিলতে পারছিলেন না । বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য শেখ হাসিনা জানতেন যে, তার ভাইয়ের এই বন্ধুটি মাছের কাঁটা বেছে খেতে পারেন না । তাই তিনি উত্তর করলেন, " ঠিক আছে, আমি ওর মাছের কাঁটা বেছে দিচ্ছি । "
( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( (
শেখ কামালকে “ব্যাংক ডাকাত” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার একটা চেষ্টা দীর্ঘদিন ধরে চলছে । ১৯৭৪ সাল থেকে এই প্রচারণার শুরু । আমিও এই প্রচারে বিভ্রান্ত ছিলাম দীর্ঘদিন । আমি নিশ্চিত, এই লেখার পাঠকদের অনেকে এখনো বিশ্বাস করেন দলবল নিয়ে ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে শেখ কামাল গুলিবিদ্ধ হন । সুযোগ পেলেই বিএনপি নেতারা, এমনকি বেগম খালেদা জিয়া নিজেও শেখ কামালকে ‘ব্যাংক ডাকাত’ বলে থাকেন । জাতীয় সংসদের সাম্প্রতিক কার্যবিবরণীতেও তাদের এমন বক্তব্য পাওয়া যায় ।
এ নিয়ে মেজর জেনারেল মইন তার “এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য : স্বাধীনতার প্রথম দশক” বইতে স্বাধীনতাত্তোর অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্য দেন । তিনি লিখেন, ১৯৭৩ সালের বিজয় দিবসের আগের রাতে ঢাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে, সিরাজ শিকদার তার দলবল নিয়ে এসে শহরের বিভিন্নস্থানে হামলা চালাতে পারেন । এ অবস্থায় সাদা পোশাকে পুলিশ গাড়ি নিয়ে শহরজুড়ে টহল দিতে থাকে । সর্বহারা পার্টির লোকজনের খোঁজে শেখ কামালও তার বন্ধুদের নিয়ে মাইক্রোবাসে করে ধানমন্ডি এলাকায় বের হন । সিরাজ শিকদারের খোঁজে টহলরত পুলিশ মাইক্রোবাসটি দেখতে পায় এবং আতংকিত হয়ে কোনো সতর্ক সংকেত না দিয়েই গুলি চালায় । শেখ কামাল ও তার বন্ধুরা গুলিবিদ্ধ হন । গুলি শেখ কামালের কাঁধে লাগে । তাকে তখনকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । জেনারেল মইন তখন ৪৬ ব্রিগেডের অধিনায়ক । বিজয় দিবসে মানিক মিয়া এভিনিউতে সম্মিলিত সামরিক প্যারেড পরিচালনা করেন তিনি । অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী সালাম নেন । জেনারেল মইন লিখেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিব অত্যন্ত গম্ভীর ও মলিন মুখে বসে ছিলেন । কারো সঙ্গেই তেমন কথা বলেননি । বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে জেনারেল মইন বইতে লিখেন, ওইদিন শেখ মুজিব তার সঙ্গেও কথা বলেননি । ‘৭২ সাল থেকে অনেকবারই তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে । কিন্তু এতোটা মর্মাহত কখনো তাকে আগে দেখেননি । মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল ওসমানীর এডিসি শেখ কামালও জেনারেল মইনের ঘনিষ্ট ছিলেন । প্যারেড শেষে মইন পিজিতে যান শেখ কামালকে দেখতে । হাসপাতালে বেগম মুজিব শেখ কামালের পাশে বসেছিলেন । মইন লিখেন, প্রধানমন্ত্রী তার ছেলের ওই রাতের অবাঞ্ছিত ঘোরাফেরায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং শেখ কামালকে হাসপাতালে দেখতে যেতে প্রথমে অস্বীকৃতি জানান । পরে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে যান ।
জেনারেল মইনকে এখানে উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না । ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শেষে তিনি লিখেন, “এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষীরা এই ঘটনাকে ভিন্নরূপে প্রচার করে । ‘ব্যাংক ডাকাতি’ করতে গিয়ে কামাল পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে তারা প্রচারণা চালায় এবং দেশ-বিদেশে ভুল তথ্য ছড়াতে থাকে । যদিও এসব প্রচারণায় সত্যের লেশমাত্র ছিল না ।”
ক্ষমতাশালী ও প্রভাবশালীদের ছেলেমেয়েরা সব সময়েই রাজনীতিতে নানা সমস্যা তৈরি করে থাকে । শেখ কামালকে আমি কখনো দেখিনি । তবে কেন যেন অল্প বয়স থেকেই তার সম্পর্কে একটা নেতিবাচক ধারণা আমার হয়ে আছে । সত্য জানার পরও সে ধারণা পুরোপুরী দূর হয়নি । তবে এটা বুঝতে পারছি, শেখ কামাল সম্পর্কে বিরূপ প্রচারও প্রচুর হয়েছে । ইতিহাসের সত্যানুসন্ধানে এসবের অনেকই মিথ্যাচার, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার হিসেবে প্রমাণ হচ্ছে এবং হয়তো আরো হবে । আমার এই কথার স্বপক্ষে আমি চার জন স্বাক্ষী রাখলাম ।
কারো যদি আমার কথায় সন্দেহ হয়, দয়া করে এই চার জনকে জিজ্ঞাসা করলে আমার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে । চারজন হলেন-
১) তৎকালীন পুলিশ সুপার মাহাবুব আলম (বীরবিক্রম) । যাকে এক নামে সবাই এসপি মাহবুব নামে চিনে । যার নেতৃত্বে সেদিন পুলিশ দুষ্কৃতকারীদের ধরতে এসেছিল ।
২) সেই সময়কার ‘দৈনিক মর্নিং নিউজ’ এর সম্পাদক প্রবীন সাংবাদিক এ.বি.এম মুসা (বর্তমানে মৃত) । যিনি ঘটনার পরদিন পত্রিকায় সত্য ঘটনাটি তুলে ধরেছিলন ।
৩) বর্তমানে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকু । যে জিপটিতে কামালরা দুষ্কৃতকারীদের ধরতে গিয়েছিলেন, সেটা ছিল টুকুর এবং সেদিন জিপটি টুকুই ড্রাইভ করেছিলেন ।
তৃতীয় স্বাক্ষী নিয়ে একটা কথা: খালেদা জিয়া ঢাকার এক জনসভায় ভাষনে আ:লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘’ব্যাংক ডাকাতি তো তাদের রক্তে মিশে আছে।“ ম্যাডাম আর কত মিথ্যা বলবেন? একটু নিজের দলে বিএনপির নেতা ইকবাল হাছান টুকুর কাছে খোঁজ নেন, সত্যটা আপনার চোখের সামনে প্রতিনিয়ত ।
৪) জাপা'র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ । যিনি কামালদের সিনিয়র হলেও, কামালদের সাথে প্রায় বন্ধুর মতো চলাফেরা করতেন এবং সেদিন তিনিও ঐ জিপে ছিলেন ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার কথাগুলো জাস্টিফাই করার চেষ্টা করব।

১৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "বঙ্গবন্ধুর এক ছেলে নাকি ব্যাংক ডাকাতির সাথে জড়িত ছিল তথ্যটি কতটুকু সত্য? "

-শেখ সাহেবের বড় ছেলে কামালের অনেক সমস্যা ছিল, ততকালীন সাধারণ ছেলেদের মতো অনেক কিছুতে বাড়াবাড়ি করতো; তবে, টাকা পয়সা নিয়ে কিছু করার মতো ছিলো না; ব্যাংক ডাকাতি করার মতো ইডিয়ট ছিলো না; সাধারণ ছেলেদের সাথে সাধারণভাবে ঘুরে বেড়াতো; শেখ সাহেবকে সরানোর জন্য অনেক প্রচারণা চালানো হয়েছিল; এটাও সেটার অংশ হতে পারে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার মন্তব্যে বিষয়টি ক্লিয়ার হল না।

২০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন, " এক অন্যায় দিয়ে অন্য অন্যায়কে জাস্টিফাই করা যায় না। জনাব চাঁদগাজী একই সেক্টরের যোদ্ধা ছিলেন, ব্যক্তিগত বিবাদ থাকার কথা না "

-"যেড-ফোর্সে" আড়াইশ সৈনিক (বেংগল রাজিমেন্ট + ইপিআর ) ছিলেন; ক্যা: ভুঁইয়ার সাথে উত্তর চট্রগ্রামের এক পজিশনে পরিচয় হওয়ার কারণে, আমি যেড ফোর্সে গিয়েছিলাম; ততকালীন বেংগল রাজিমেন্ট ও ইপিআর ছাত্রদের একদম সহ্য করতেন না; আমার সাথে সবার ভালো সম্পর্ক হওয়ায়, জেনারেল জিয়া ও ক্যা: মাহফুজ ১ প্লাটুন ছাত্র নেন। এতে চিটাগং কলেজ, সিটি কলেজ, নিজামপুর কলেজ ও নাজির হাট কলেজের ছাত্ররা ও স্কুলের ৪ জন ছাত্র অংশ গ্রহন করেন, সাথে ১ জন অছাত্র ছিলেন।

জিয়া এই প্লাটুনকে খুবই ভালো চোখে দেখতেন। এই প্লাটুনের ৪ জন শহীদ হন ( আরও একজন ছাত্র শহীদ হন এঁদেরকে সাহায্য করতে গিয়ে, তিনি গেরিলা যোদ্ধা ছিলেন)। জিয়ার সাথে ষ্টুডেন্ট প্লাটুনের সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: অবশেষে জিয়ার একটা ভাল গুণ বললেন।

২১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২১

টিটু বলেছেন: যারা যুদ্ধ বিষয় কিংবা যুদ্ধপরবর্তী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে পড়েছেন কিংবা গবেষণা করেছেন তারা হয়তো জানেন যে, যুদ্ধপরবর্তী স্ট্র্যাটেজি বলে একটা স্ট্র্যাটেজি অাছে। যুদ্ধ করা অার যুদ্ধ স্ট্র্যাটেজি বুঝা দুইটা দুই বিষয়। এর মানে এই না যে অামি বলছি যারা জিয়াউর রহমানেরর সর্বোপরি ভূমিকা নিয়ে কোন প্রশ্ন করেননি তাদের জ্ঞানের অভাব কিন্তু নি:সন্দেহে যুদ্ধপরবর্তী স্ট্র্যাটেজি বিষয় তাদের জানা নেই।

খুবই হতাশাজনক হলেও এটা একটা আগলি ট্রুথ! যুদ্ধপরবর্তী স্ট্র্যাটেজি পাকিস্তানও ব্যবহার করেছিল। যেমন তারা ফেলে গেছে ভূমি মাইন, তারা রেখে গেছে রাজাকারদের খুবই শক্তিশালী একটি দল! সেনাবাহিনীতে রেখে গিয়েছিল তাদের তৈরী করা গোয়েন্দাদের একটি দল! যার ফলশ্রুতিেত বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া স্বত্ত্বেও অামাদের কয়েক যুগ অন্ধকারে থাকতে হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কে স্বপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, পরবর্তীতে রাজাকারদের গাড়িেত বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা সোভা পেয়েছে এবং কত বড় স্পর্ধা হলে বাংলাদেশের ভূখন্ডে বসে অামাদের মহান মুক্তি্যুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করে, ধর্ষিতা মা-বোনদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করে। প্রায় তিন যুগ ধরে প্রজন্মের বিশাল একটা অংশের মস্তিস্ককে অন্ধ-বধির করে ফেলা হয়েছে! এদের সঠিক কিছু বলতে চাইলে কিংবা শেখাতে চাইলে তারা শুনতে পায়না, দেখতে পায়না এবং এরা সঠিক কিছু জানতেও চায়না এমনকি তাদের ধর্ষিতা মা-বোনদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন করলেও তাদের কিছু যায় অাসেনা এবং এরা অন্ধ-বধিরই থাকবে!

এর পুরো কৃতিত্ব আমি পাকিস্তানকে দেই কারণ তাদের যুদ্ধ পরবর্তী পরিকল্পনা তথা পোস্ট ওয়ার স্ট্র্যাটেজী সফল করতে পেরেছে পুরোপুরি! এই পুরো খেলাটা পাকিদেরই ছিলো! উল্লেখ্য তাদের মধ্যে এমন কিছু অফিসার ছিলো যারা বাংলা বলতে পারতো কিন্তু লিখতে কিংবা পড়তে পারতোনা!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: পুরনো বুলি আওড়ানো হল আরও একবার।

২২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৬

আমি তনুর ভাই বলেছেন: অতীত নিয়ে বর্তমানে মনমালিন্য করা একদম ঠিক নয়, তাহলেতো তারো শত বছর আগের অতীত নিয়ে মনমালিন্য করা উত্তম হবে, মদের মতো - যতো পুরান বতল, ততো দামী। ভাই আমরা বর্তমানে বাস করছি,বর্তমানে কে কোন সমস্যায় আছে! উদ্ধার পাওয়ার উপায় কি! এইগুলা আর কি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কাউন্টার থেকে লিখেছি, একজনের জিয়া গান বিভিন্ন সুরে আর কত ভাল লাগে।

২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২০

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলেছেন: ২২নং এর উপর আমার ভালোবাসা রইলো। বাকি সব অহেতুক আলোচনা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ধন্যবাদ

২৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১

টেকনাফ টু তেতুলিয়া বলেছেন: অতীত নিয়ে গবেষনা করলে কি তারেক বা জয়ের ১ টাকা কম বে বা বারবে? গরীব যাতে ডাল ভাতের বদলে মুরগী খাইতে পারবে কোন উপায় এ ঐ বিষয়ে লিখেন, গরীবের দোয়া পাবেন আজীবন

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কাউন্টার থেকে লিখেছি, একজনের জিয়া গান বিভিন্ন সুরে আর কত ভাল লাগে।

২৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেগম জিয়া, এরশাদ, শেখ হাসিনা অতীত নন, তারা বর্তমান; এমন কি তারা ভবিষ্যত। জেনারেল জিয়া অতীত নন, বেগম জিয়া ২ বার প্রাইম মিনিষ্টার হয়েছেন, ফালু এমপি হয়েছেন জেনারেল জিয়ার ছবি দেখায়ে। জেনারেল জিয়ার ছবি আগামী নির্বাচনে ফিরে আসবেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুকে বিক্রি বন্ধ করলে বিএনপি ও বন্ধ করবে।

২৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কিছু প্রশ্ন কয়েকজনকে করার ছিল।। পরে ভাবলাম নাহ্, এমনিতেই বেশ আছি।।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: উত্তর কি পেয়েছিলেন?

২৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪২

টেকনাফ টু তেতুলিয়া বলেছেন: আমি তাদের কে ভবিষ্যৎ মনে করিনা, আমি বরাবরি না ভোটার, আজীবন ই দিয়ে যাবো

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: আর কতকাল আমরা এভাবে দু'পক্ষ হয়ে একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো। কিভাবে আমরা এক হয়ে সত্যিকারের একটা দেশ গড়ার জন্য কতকাল অপেক্ষা করতে হবে?

গাজী ভাই, আপনি নিজেকে মুক্তি যোদ্ধা হিসেবে দাবী করেন। তরুন বয়সে যুদ্ধে যোগ দিলেও আপনার বয়স অবশ্যই ৭০ এর উপর। এবং আশা করি দেশের প্রতিটি শাসন আমল আপনি দেখেছেন দেশের বাইরে থেকে বা দেশের ভিতর থেকে। এখন বলুন কোন বা কার শাসন আমলে দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খেয়ে রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছে? কার শাসন আমলে দেশের সাধারন বেকারদের কথা ভেবেছে, তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কোন প্রকল্প হাতে নিয়েছে? কোন শাসন আমলে দেশের শিক্ষার হার বাড়ানোর কথা চিন্তা করেছে? কোন সরকার দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন নিয়ে ভেবেছে? কোন শাসন আমলে দেশের আইন শৃংখলার নিয়ন্ত্রন এর চিন্তা করেছে? ঘুষ র্দূনিতি বন্ধের চিন্তা করেছে বা পদক্ষেপ নিয়েছে???

প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে জানাবেন।

ভালো থাকুন।


২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আশা করি চাঁদগাজী উত্তর দিবেন।

২৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৩

তপোবণ বলেছেন: কার আমলে আমরা বেশি ঠকেছি। কার আমলে জনগণকে ধোকার মধ্যে রাখা হয়েছে। কার আমলে জনগণ অধিকার বন্চীত হয়েছে।
এসব আমরা জানি

আর কার আমলে মানুষ নতুন করে স্বপ্ন বুনেছে। তাও আমরা জানি।

লেখায় শঠতা থাকার কারণে অনেকেই রাতকে দিন বলে চালিয়ে দিতে পারে কিন্তু এতে সত্য মুছে যায়না। কিছু গোস্টি তো থাকেই যারা রাজনীতির কালো ধান্দা করে সুখে আছে। আমি বলছি খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের এ্যাভারেজ সুখের কথা।

ধন্যবাদ লেখককে কিছু সত্য উপলব্ধি করে তার সুন্দর লেখাটির জন্য।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনাকেও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

আরািফন বলেছেন: জনাব সত্য বলিয়া লজ্জা দিবেন না....

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: :P :P :P :P :P :P :P :P :P

৩১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: যাদের শুরুটাই কম্বল চুরি দিয়ে তারা জিয়া এবং তাঁর চৌদ্দগুষ্ঠিকে চোর বানাবে - এটাই স্বাভাবিক ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: প্রতিটি মানুষ ভুল করে, কেউ কম কেউ বেশি, সবার গুন আছে কারোর কম আবার কারোর বেশি এই বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করলে মনে হয় কেউ দ্বিমত করবে না।

আমার মন্তব্যর জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: আমি চাই প্রকৃত সত্য উঠে আসুক।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: সময় মনে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে কারণ মুক্তিযোদ্ধারা দ্রুত কমে যাচ্ছে।

৩৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

রাজীব নুর বলেছেন: জিয়া একজন সৎ ব্যাক্তি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: প্রতিটি মানুষ ভুল করে, কেউ কম কেউ বেশি, সবার গুন আছে, কারোর কম আবার কারোর বেশি এই বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করলে মনে হয় কেউ দ্বিমত করবে না।

আমার মন্তব্যর জন্য আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

৩৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জিয়াউর রহমান সৎ দেশপ্রেমিক দক্ষ প্রশাসক। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বীর মুক্তিযোদ্ধা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: জিয়ার সামরিক শাসক হলেও এদেশের গনতন্ত্রের হালকা হলেও তিনিই পুনরায় জন্ম দিয়েছিলেন যার সুবাদে আজ আওয়ামলীগ ক্ষমতায়। জিয়া যদি খুব খারাপ হত এদেশের উল্লেযোগ্য মানুষ তাকে ভালবাসতেন না।

৩৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯

সনেট কবি বলেছেন: ১৭৫৭ সাল কি তবে ১৯৯৫ এ ফিরে এসেছিল?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কিছু মনে করবেন না, আমি আপনার কথা ক্লিয়ার বুঝতে পারিনি, ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে মীর জাফর, ইয়ার লতিফ, উমিচাঁদ বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল যার কারণে আমরা স্বাধীনতা হারিয়েছিলাম কিন্তু ১৯৯৫ সালে বিষয়ে সুত্র বুঝতে পারিনি, যদি ক্লিয়ার করতেন ভাল লাগত।

৩৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: ১৯৭৫ লিখতে গিয়ে ১৯৯৫ লিখে ফেলে ছিলাম!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনি আমার অনেক সিনিয়র আপনি নিশ্চই এই বিষয় অনেক ভাল জানেন, আমি যুদ্ধের অনেক পরের প্রজন্ম আমাদের শিখতে হচ্ছে ইতিহাস ঘেটে কিন্তু আপনারা অনেক কিছু নিজের চোখে দেখেছেন,
আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর আপনি দিবেন--
১) মেজর জিয়া সিনিয়র হওয়ার সত্বেও কেন বঙ্গবন্ধু তাকে বাদ দিয়ে শফিউল্ল্যাকে সেনাপ্রধান করেছিলেন?
২) খন্দকার মুশতাকের প্ররচারণায় মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দিনকে মন্ত্রীসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।
৩) খন্দকার মুশতাকের মন্ত্রীসভা দেখেন সবই ছিল আওয়ামলীগের, কেন তারা তাদের অতি প্রিয় নেতার হত্যাকান্ডের পরও শপথ নিল।
এরকম শত শত আমি আপনাকে করতে পারব, আপনিও আপনার মত উত্তর দিতে পারবেন, কিন্তু তর্কের শেষ হবে না।

৩৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রিভার্সেই বা লাভকি?? তারা সত্য বলতে জানে না।

আর ভুলে যায় ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনা! সময়ের ফেরে সত্য আপনাতেই প্রকাশিত হয়!
অতীত থেকৈ বর্তমান কেউই রেহাই পাবেনা। পায়নি।

ক্ষমতা, অস্ত্র আর মিডিয়া নিয়ন্ত্রনে হয়তো সাময়িক সময়কে, চলমান সময়কে বিভ্রান্ত করা যায়!
সত্যকে আর সময়কে মূখোশ পড়ানো যায় - কিন্তু সবসময় নয়!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ক্ষমতা, অস্ত্র আর মিডিয়া নিয়ন্ত্রনে হয়তো সাময়িক সময়কে, চলমান সময়কে বিভ্রান্ত করা যায়!
সত্যকে আর সময়কে মূখোশ পড়ানো যায় - কিন্তু সবসময় নয়!


ঠিক, সময় কাউকেও ক্ষমতা করে না।

৩৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

সনেট কবি বলেছেন: জিয়া বিরোধীরা যে ভাবে বলছে ঘটনা পুরোটা তেমন নাও হতে পারে। তবে তার দল রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছিল। আর যারা বর্তমানে আছে তারাও ধোয়া তুলসী পাতা নয়। তারা ক্ষমতা হারালে বুঝা যাবে তাদের কি আলোচনা আসে। তবে আমরা যেমন আছি তার থেকে ভার থাকার আশা হারিয়ে ফেলেছি। কবি ওবায়দুল্লাহ হাজারীরর কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে পারি, মরে গেলে বাঁচি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন: দোষ সবার কিন্তু কম-বেশি ছিল, অতীত ভুলে যদি সামনে এগুতাম তাহলে মনে হয় খুব ভাল হত।

৩৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@সোহানী,

কোন সরকারের আমলে সাধারণ মানুষের জীবন উন্নয়নের জন্য সঠিক কোন প্রোগ্রাম নেয়া হয়নি; তবে, ভুল ও অসফলতার পরও, শেখ সাহেব সাধারণ মানুষের বিপক্ষে যাবার মতো নীতি নেননি, এবং সাধারণ মানুষের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার সময় উনাকে হত্যা করা হয়।

জিয়া, এরশাদ, বেগম জিয়ার পদক্ষেপগুলো ছিল সাধারণ মানুষের স্বার্থের বাহিরে; শেখ হাসিনা সাধরণ মানুষের বিপক্ষে কিছু করছেন না; তবে যাদের আছে, তাদের হয়ে কাজ করছেন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P :P

৪০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই অসাধারন বলেছেন। ধন্যবাদ

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আমিও ধন্যবাদ দিলাম আপনাকে এখানে উকি দেওয়ার জন্য।

৪১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: গাজী সাহেব আমাকে কৌশলে জারজ বলতে চেয়েছেন। কিন্তু গাজীকে আমি ওপেনলি জারজ এবং দালাল বলছি।

৪২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: উত্তর এই লেখার মাঝেই খুজেছিলাম =p~ ।।
প্রশ্ন আপনার মন্তব্যকারীদের কয়েকজনের কাছেই!!
পেলে কি আর বলতাম??
সে সময়ে এসপি মাহবুব আর সার্জেন্ট কিবরিয়ার " স্পেশাল ব্রাঞ্চের" হাতে যতজন খুন হয়, তার তথ্য কেউ দিল না।। বরং কল্পগল্প ফেদে বসলো!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১১

শাহিন-৯৯ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অনেক কঠিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.