নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪


ছবিটি প্রতিকী, গুগল থেকে নেওয়া।

আমাদের চিরাচরিত চিন্তা ভাবনা, দেখা অনেক বিষয় নতুন করে সামনে আনতে হবে, বিচার বিশ্লষন করতে হবে, প্রয়োজনে নতুনত্ব আনতে হবে, নতুনত্ব আনতে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে স্বার্থান্বেষী দল, দরকারে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে।

আমার আজকের বিষয়, পীর ও তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।

এ দেশের ভোট থেকে শুরু করে চাল চোর পর্যন্ত হুজুর দেখলে শারীরিক ভাষা নরম হয়ে যায়, হুজুরদের সম্মান করে। কিছু না কিছু সাহায্য করার চেষ্টা করে। আর যে সব আলোচিত পীররা আছেন তাদের কথা অবশ্যই আলাদা, তাদের লাখ লাখ ভক্ত অনুরাগী, এসব অনুসারীরা পীরের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত, পীরের কথায় উঠে বসে। বার্ষিক ওরশে লাখ লাখ পীরের ভোক্তরা উপস্থিতি হয়, পীরের খেদমতে হাজির হয় শত শত গরু ছাগল, আর মোটা অংশের টাকা তো আছেই।

এখন একটু খোঁজার চেষ্টা করুন, পীর সাহেব এই ভোক্তদের জন্য কি করছে?
দেখতে পাবেন, প্রতিটি পীরের একটি মাদ্রাসা বলায় আছে, বড় বড় মাদ্রাসা করে সেখানে ইসলামী জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয় সাথে এটা নিশ্চিত করা হয় পীরের আকিদা যেন মজবুত রাখে তারা।
ছাত্রদের বাহিরে সাধারণ ভোক্তদের কিছু আমলের টিপস দেওয়া হয় একদম নিজের অবস্থান থেকে তা যতই বিতর্ক চলুক আলেম সমাজে। আর জান্নাতের সহজ রাস্তা তো আছেই।

এর বাহিরে আর কোন বড় জনসেবামূলক কাজ তাদের দ্বারা হয় বলে মনে হয় না, হয়তো কিছু ছোট খাট হয়ে থাকে, এদেশের বিশাল একটি জনসংখ্যার তাদের কথায় উঠবস করে তাদের কে মূল ধারার বাহিরে রেখে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র, উন্নত রাষ্ট্র কল্পনা করা বোকামী।

খুব খেয়াল করলে দেখবেন, ভোক্তদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে তারা আরাম আয়েশি জীবন কাটাচ্ছে, কেউ কেউ দল তৈরি করে দলের কাজকর্ম চালাচ্ছে। ভোক্তদের টাকা কোনভাবেই ভোক্তর বা রাষ্ট্রীয় উপকারি লাগছে না তাই এখন থেকে পীরদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করে দেওয়া উচিত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিতে পারলে সমগ্র দেশ উপকৃত হবে।

১) প্রতিটি খানকা তাদের মাদ্রাসার পাশাপাশি একটি হাসপাতাল পরিচালনা করবে, কমপক্ষে একশত বেডের হতে হবে, পীরের অধীনে থাকবে মাদ্রাসার দায়িত্ব, তিনি ডাক্তার দ্বারা চালাবেন।

২) একটি গবেষণা কেন্দ্র করতে হবে, সারাজীবন শুধু শুনে গেলাম সব আবিষ্কার কোরআনের উৎস থেকে কিন্তু আবিস্কারক সব নাস্তিক, বেধর্মী, এখন থেকে তাদের এই কাজ বাধ্যতামূলক করতে হবে। নইলে খানকা বন্ধ।

৩) একটি সাধারণ শিক্ষার জন্য, স্কুল কলেজ করতে হবে, যেখানে খানকার আশেপাশের লোক পড়তে পারে।

হ্যাঁ, উপরের এসবগুলো দায়িত্ব হয়তো রাষ্ট্রের কিন্তু এইসব খানকাগুলো সরকার প্রণীত সাধারণ শিক্ষা তাদের সিলেবাসে নিতে অনিচ্ছুক তাই তাদেরও বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে কারণ তারা উল্লেখযোগ্য লোককে জিম্মি করে রেখেছে এদের জন্য তাদের করতে হবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঠিক কথা বলেছেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


আন্তরিক ধন্যবাদ।


ভাল থাকুন, ঘরে থাকুন
ভালোবাসা নিরন্তর।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মে আসলে পীর বলে কিছু নেই। আরবের কোনও দেশে পাবেন না। আরবরাও বজ্জাৎ তবে ধর্মের বিকৃতি ওই সব দেশে কম।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

শাহিন-৯৯ বলেছেন:


ভাইরে ঐ সব বুঝি কিন্তু আমাদের মুরিদ পাবলিকরে বলতে গেলে এহা বড় বড় লাটি নিয়ে দৌঁড়াবে, তারচেয়ে বুদ্ধি করে কিভাবে মূলধারায় সংযোগ দেওয়া যায় সেটা উচিত।

ভাল থাকুন, ঘরে থাকুন
ভালোবাসা নিরন্তর।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: এখানে পীরের দরবার উনার মুরিদদের জন্যে, আপনার আমার কী আর তাতে প্রবেশ অধিকার আছে?? আর যারা সত্যিকারের কামেল, তারা এইসব ধান্দাবাজী করেন না /:)

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



একটু চেষ্টা করতে দোষ কি? যদি লাইগা যায় তাহলে কিছু সুবিধা তো হলো দেশ ও জনগণের।

ভাল থাকুন, ঘরে থাকুন
ভালোবাসা নিরন্তর।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর কিছু প্রস্তাবনা। এসব করার আর্থিক সামর্থ্য পীর দের আছে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



এদের আয়েশি জীবন চলাফেরা দেখলে চমকে যেতে হয়! আর খেদমত দেখলে পীর হতে মন চায়।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সকল প্রসংশা একমাত্র বিধাতার

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই, তিনি চিরসত্য ও মহান।

ভাল থাকুন, ঘরে থাকুন
ভালোবাসা নিরন্তর।

৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এর ফলে অবশ্য তাদের ভন্ডামীর একটা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হয়ে যায়। সবচেয়ে ভালো হয়, এদেরকে কোন দ্বীপে পঠিয়ে দেয়া। মূল ভু-খন্ড থেকে এই প্রজাতি যতো দুরে থাকে, ততোই মঙ্গল। তবে আমাদের প্রশাসনের লোকেরা যেহেতু নিজেরাই ভন্ড, তাই এরা এটা করবে না।

সেই হিসাবে আপনার প্রস্তাবনা ভালো। একমত।

১২ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:





হালকা একটু স্বীকৃতি হয়, কিন্তু ভেবে দেখেন লাভ প্রচুর। আর একবার যদি তারা মূল স্রোতে আছে নিজেরাই বাস্তবতা বুঝতে পারবে। এখনতো তারা পুরো অন্ধকারে।

ভাল থাকুন, ঘরে থাকুন
ভালোবাসা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.