নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আজ একা এসেছি”

আজ আমি এক এসেছি, সাথে আজ কেউ নেই, তবু আমার পা কাঁপছে না আমার কন্ঠ আজ সুদৃঢ়

অন্বেষা নিরন্তর

আমি সাহিত্য, ধর্ম, বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী।

অন্বেষা নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস- বিয়ের আগেই পরীক্ষা করুন

০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

আজ ৮ মে, বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য —'অর্থনৈতিক মন্দায় স্বাস্থ্য সংরক্ষণে সমন্বিত শক্তিতে ব্রতী হউন'। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বংশগত এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে, কেবল সচেতনতাই হতে পারে একমাত্র উপায়।



থ্যালাসেমিয়া (Thalassemia) একটি বংশগত রক্তের রোগ। এই রোগে রক্তে অক্সিজেন পরিবহনকারী হিমোগ্লোবিন কণার উৎপাদনে ত্রুটি হয়। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেনস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি ঘটতে পারে। থ্যালাসেমিয়া দুইটি প্রধান ধরনের হতে পারে: আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বেটা থ্যালাসেমিয়া। সাধারণভাবে আলফা থ্যালাসেমিয়া বেটা থ্যালাসেমিয়া থেকে কম তীব্র। আলফা থ্যালাসেমিয়াবিশিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ মৃদু বা মাঝারি প্রকৃতির হয়। অন্যদিকে বেটা থ্যালাসেমিয়ার ক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা বা প্রকোপ অনেক বেশি; এক-দুই বছরের শিশুর ক্ষেত্রে ঠিকমত চিকিৎসা না করলে এটি শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।



থ্যালাসেমিয়ার ফলে নিচের জটিলতাগুলো দেখা দিতে পারে :

• রক্ত পরিবর্তন অথবা রোগের কারণে রক্তে আয়রণের পরিমাণ বেড়ে যায়। রক্তে আয়রনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা হৃৎপিন্ড, যকৃত এবং এন্ডোক্রাইন ব্যবস্থা কে (Endocrine system) ক্ষতিগ্রস্থ করে।

• রক্ত পরিবর্তনের কারণে রক্ত বাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন-হেপাটাইটিসের সংক্রমণ হয়।

• অস্থিমজ্জা প্রসারিত হয়ে যায় এবং এর ফলে হাড় পাতলা ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এতে মেরুদন্ডের হাড় ভেঙ্গে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

• থ্যালাসেমিয়া লোহিত রক্তক্ষণিকা ধ্বংস করে প্লীহার (Spleen) কার্যকারিতার উপর চাপ ফেলে এবং প্লীহা বড় হয়ে যায় (Spleen Enlargement)।





দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত সাড়ে তিন লাখেরও বেশি শিশু। দেশে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এ রোগের জীবাণু বহন করছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৪ দশমিক ১ ভাগ মানুষ 'বিটা থ্যালাসেমিয়া'র বাহক। এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি তালিকা থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশে শতকরা ৪ জন হিমোগ্লোবিন-ই এর বাহক।



যারা থ্যালাসেমিয়ার বাহক তারা যদি অন্য কোন বহনকারীরা সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, তাহলে সন্তানদের রোগাক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকে। তাই বিয়ের আগেই নারী পুরুষ সবার পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। কিছু কিছু দেশে বিয়ের আগেই উভয়েরই রক্ত পরীক্ষা করে থ্যালাসেমিয়া বাহক সনাক্ত করা হচ্ছে। আমাদের দেশেও এর উপর আরো জোর দেওয়া উচিত যাতে সন্তান এই মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা পেতে পারে।



তথ্যসূত্র:

উইকিপিডিয়া

infokosh.gov.bd/

দৈনিক ইত্তেফাক

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ......।

২| ০৮ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫৩

(একজন নিশাদ) বলেছেন: হুম উপকারী পোস্ট ধন্যবাদ

৩| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১১

এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। লেখককে ধন্যবাদ।


আর ২য় ভালো লাগা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.