নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আজ একা এসেছি”

আজ আমি এক এসেছি, সাথে আজ কেউ নেই, তবু আমার পা কাঁপছে না আমার কন্ঠ আজ সুদৃঢ়

অন্বেষা নিরন্তর

আমি সাহিত্য, ধর্ম, বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী।

অন্বেষা নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপার এন্টিঅক্সিডেন্ট : কেন দরকার

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

এন্টিঅক্সিডেন্ট শব্দটির সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে, বিভিন্ন খাবারের সাথে যেমন-বিভিন্ন ফলমূল বা শাক সবজি থেকে আমরা এন্টিঅক্সিডেন্ট গ্রহণ করে থাকি। এছাড়া ক্রমাগত শহর দূষণ ও পরিবেশ দূষণের কারণে আমাদের সাধারণ এন্টিঅক্সিডেন্ট-এর চাহিদা বেড়েই চলছে। এই বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য দরকার এন্টিঅক্সিডেন্ট সাপ্লিমেন্ট। ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি হলো আমাদের জন্য সবচেয়ে পরিচিত দুইটি এন্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর এন্টিঅক্সিডেন্ট এখন পাওয়া যাচ্ছে। নতুন এই এন্টিঅক্সিডেন্টের নাম অ্যাসটাজ্যানথিন-যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন-মিরাকল এন্টিঅক্সিডেন্ট। আমরা সবাই এন্টিঅক্সিডেন্টের উপকারী দিক সম্পর্কে পরিচিত। প্রচলিত ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে আমাদের যে উপকারগুলি করে, অ্যাসটাজ্যানথিন তার সবগুলোই অধিক কার্যকর। যেসব কারণে অ্যাসটাজ্যানথিনকে অধিক কার্যকর এন্টিঅক্সিডেন্ট বলা হয় তা হলো-

১। ভিটামিন ই থেকে ১০০০ গুণ বেশি কার্যকর।

২lএক সাথে ১৯টি পর্যন্ত ফ্রি রেডিক্যাল নিষ্ক্রিয় করে।

৩lকখনই প্রো-অক্সিডেন্টে পরিবর্তিত হয় না এবং দীর্ঘ সময় দেহে কার্যকর থাকে।

৪lতেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং মাত্রাধিক্যেরও কোন ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়নি।

বিশ্বব্যাপী অ্যাসটাজ্যানথিনের ব্যবহার এর বহুমুখী উপকারিতার কারণে দিন দিন বাড়ছে। যেসব কারণে অ্যাসটাজ্যানথিন সেবনে পরামর্শ দেয়া হয় সেগুলো হলো-

১lসূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের সুরক্ষা করে; ব্রণ, বলিরেখা, কালদাগ ও বয়সের অন্যান্য ছাপ দূর করে।

২lহূদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে, অ্যাথেরোস্ক্লোরোসিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।

৩lচোখের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করে। ক্যাটারাক্ট (ছানি পড়া) ও ম্যাকুলার ডিজেনেরেশন ডিজিজ প্রতিরোধ করে।

৪lআরথ্রাইটিস-এ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ইনফ্লাম্মাটরী মেডিয়েটর দমন করে।

৫lডায়াবেটিস-এ আক্রান্ত রোগীর ব্লাড গ্লুকোজ লেভেল এবং প্যানক্রিয়াটিক বিটা সেল ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের এন্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। আমাদের দেশী ওষুধ কোম্পানীগুলো এখন অ্যাসটাজ্যানথিন প্রস্তুত ও বাজারজাত করছে। এমন একটি অ্যাসটাজ্যানথিন প্রডাক্ট হল-অ্যাজটাক্যাপ। নিয়মিত এন্টিঅক্সিডেন্ট সাপ্লিমেন্ট জাতীয় ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে রোগমুক্ত ও তারুণময় থাকা সম্ভব। চিকিত্সকদের মতে দৈনিক ১টা করে এন্টিঅক্সিডেন্ট সেবনই যথেষ্ট, আর মনে রাখতে হবে সুপার এন্টিঅক্সিডেন্ট সেবন করলে ভিটামিন ই সেবন করার প্রয়োজন হয়না।



ডা: শাহরিয়ার মাসুদ

উৎস: ইত্তেফাক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.