নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সম্প্রতিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার যে ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে লিখলেই নয়।
ঘটনার সুত্রপাত হয় নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামের রসুরাজ দাস (৩০) নামের এক যুবক পবিত্র কাবা ঘরের ছবিতে ফটোশপ করে কাবা শরিফকে অবমাননা করে। বিকালেই অপরাধী গ্রেফতার হয়েছিল সুতরাং উত্তেজনা সেখানেই থেমে যেতে পারত।
কিন্তু দেখা যায় হটাৎ করেই দুইটি ভুঁইফোঁড় ইসলামী সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও খাঁটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ওই এলাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পায় উপজেলা প্রশাসনের। অথচ এলাকার মন্দিরগুলোর নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, ওই সমাবেশ এলাকায় উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে এবং সমাবেশ থেকেই বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। তবে দুটি সংগঠনের পক্ষ থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা ধরে প্রায় ১৫ টি মন্দির এবং পাঁচশতাধিক ঘরবাড়িতে হামলা হয়েছে অথচ পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় নাই। পুলিশের পক্ষে দাবি করা হয়েছে তারা নাকি গুলি করেছে হামলাকারীদের রুখে দিতে অথচ হামলাকারী কেউ হতাহত হয়নাই!!
সার্বিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে সরিষার ভেতরই ভূতের অবস্থান, ।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষই এখানে জড়িত ছিল এমনকি দলীয় কোন্দল ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৭
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: প্রথমআলো বলছে সমাবেশের কেউ হামলা চালায়নি। আর সরিষায় ভুত এটা ঠিক বলছেন। সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে রাজনীতি এদেশে বহু পুরনো। প্রশাসন পুলিশ সব থাকতেও এতক্ষণ ধরে কারা হামলা চালাতে পারে আপনি বুঝেননা? আওয়ামী লীগের এটা বহু পুরনো রাজনীতি।