নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
অং সান সুকিকে চেনেন? বলা হয়ে থাকে শান্তিতে নোবেলজয়ী মায়ানমারের অবিসংবাদিত গণতন্ত্রকামী নেত্রী তিনি!!
আইরিনাকে চিনেন? হয়ত নামও শুনেন নি কোনোদিন। না শুনারই কথা। আসুন,একটু আইরিনাকে চিনি। ২য় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আইরিনা প্লাম্বিং/সুয়ারেজ পরিষ্কারের কাজ করতেন। স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বড় তাঁর একটা টুলবক্স ছিলো। টুলবক্সের ভিতরে ছিলো দুটো চেম্বার। প্রথমটা নানারকমের যন্ত্রে ভর্তি। আর ২য় লুকানো চেম্বারটি ছিলো ফাঁকা। তবে চ্যাম্বারের ভিতর চারপাশ কাপড়ে মোড়ানো ছিলো। টুলবক্সের ওপর নাজিফ্ল্যাগের লগো ছিলো । যাতে আইরিনা বিনা অনুমতিতে যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন।
এই টুলবক্সের ভিতর করেই আইরিনা- বন্দিদশা থেকে শিশুদের মুক্ত করা শুরু করেন। আইরিনা যেখানেই যেতেন-সবসময় তাঁর সাথে থাকতো বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটা কুকুর। আইরিনা এমনভাবে তাঁর কুকুরটিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন-যাতে যখনই কোনো শিশু কাঁদতো তখনই কুকুরটি ডাকতে শুরু করতো। কান্না থেমে গেলে কুকুরটির ডাকাডাকি করাও থেমে যেতো। যেভাবেই হোক কুকুরটিও বুঝতে পেরেছিলো। আইরিনা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২য় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার মাঝে ২৫০০ শিশুর জীবন বাঁচান।
একদিন নাজি সৈন্যদের সন্দেহ হয়। আইরিনা টুলবক্স সাথে নিয়ে দৌড়াতে থাকেন। সেনাদের গুলি থেকে টুলবক্সটি বাঁচাতে কুকুরটি টুলবক্সের সামনে ঝাঁপদিলে নাজি সেনার গুলি খেয়ে কুকুরটি মারা যায়। আর আইরিনাও ধরা পড়েন। তাঁর ওপর প্রচণ্ড নির্যাতন করা হয়। ভেঙ্গে দেয়া হয়- হাত-পা। তিনি সারা জীবনের জন্য খুড়া হয়ে যান।
আইরিনা প্রতিটি শিশুর নাম-কোথা থেকে সংগ্রহ করেছেন-আনুমানিক বয়স ইত্যাদি একটা কাঁচের জারের ভিতর লিখে নিজের বাড়ির পেছনে একটা গাছের নীচে পুঁতে রাখেন। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলে-তিনি এইসব শিশুদের পিতামাতা যারা জীবিত ছিলেন তাদের খুঁজে বের করার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
আইরিনা নোবেল পুরস্কারের জন্য বেশ কয়েকবার মনোনীত হন-কিন্তু একবারও তিনি নির্বাচিত হননি। নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক বর্মার অং সান সুকি। নোবেল বিজয়ি সুকি যার হাতে মুসলমানের রক্ত লেগে আছে সেতো আইরিনার সেই কুকুরের কাছেও নগণ্য।একটা অধম কুকুর মানব সন্তানকে রক্ষা করতে হবে বুঝতে পেরেছে আর শান্তিতে নোবেল বিজয়ি সুকি মানব সন্তান রক্ষার দ্বায় অনুভব করেন না। অদ্ভূত!
ভালোই হয়েছে আইরিনা পুরস্কার পাননি- এসব পুরস্কার দিলে তার ত্যাগ-তিতিক্ষাকেই বরং ছোট করা হতো। কথিত সভ্য রাষ্ট্র এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো আজ অন্ধ দৈত্য হয়ে বসে আছে।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ঠিক বলেছেন
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সুকির সব কিছু ভণ্ডামি। আর নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় আমেরিকার স্বার্থের অনুকূলে।