বাংলাদেশ হতে পারে মার্কিন গরুর রপ্তানির জন্য আদর্শ বাজার!!

১২ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

কয়েক বছর হল ভারত থেকে গরু আমদানি করতে পারছে না বাংলাদেশের গরু ব্যাবসায়ীরা। তবে এজন্য গরুর চাহিদা কমে যায় নাই অথবা গরু খাওয়াও বন্ধ হয় নাই। প্রথম দিকে অবশ্য দেশের খামারগুলো থেকে গরুর চাহিদা পূরণ করবার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে এখন খোদ অ্যামেরিকার টেক্সাস থেকে বড় জাতের গরু আমদানি করা শুরু হয়েছে।

অ্যামেরিকা থেকে প্রথম যে গরুটি আনা হয়েছে তার নাম সুলতান! আজ সুলতানকে নিয়ে প্রথম আলো বেশ বড়সরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকার বুকে টেক্সাসের ‘সুলতান’

এর আগে বাংলাদেশে ভারত নেপাল, মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি করা হত। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল অ্যামেরিকার নাম। মার্কিন গরু আমদানির জন্য সব থেকে ভালো দিকটি হল এই গরু সাইজে অনেক বড় এবং আমাদের দেশের আবহাওয়ায় পালার উপযোগী।
একটি গরু থেকে প্রায় ২২ মন পর্যন্ত মাংস পাওয়া যায়!! সুতরাং আমাদের দেশের মাংসের চাহিদা পূরণে মার্কিন গরু ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

সামনেই কুরবানির ঈদ সুতরাং ব্যাবসায়ীরা বিষয়টি ভেবে দেখতে পারে। মার্কিন গরু বলে এই গরুর দামও বেশ চড়া। একটি গরু ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়!! এই মার্কিন গরু প্রমান করেছে আমাদের দেশে বর্তমানে মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে দেশের মানুষ এক সময় দুইবেলা খেতে পারত না তারা এখন খাওয়ার জন্য অ্যামেরিকা থেকে গরু আমদানি শুরু করেছে, যা আমাদের দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করবার যোগ্য।

আশাকরা যায় গরু রপ্তানি করে ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা আবার শীর্ষ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এক্ষেত্রে ট্রাম্পের "America first" নীতি বাস্তবায়িত হবে। গরু কেন্দ্রিক কূটনীতির মাধ্যমে অ্যামেরিকার সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

এছাড়াও অ্যামেরিকার এই গরু বৈধভাবে আকাশ পথে দেশে আসবে সুতরাং জনগনের যানজটের ভয় থাকবে না অন্যদিকে বিমান বন্দরের ইমিগ্রসনের পার করে গরু দেশে প্রবেস করায় সরকারও তার আমদানি রাজস্ব বুঝে পাবে এক্ষেত্রে এই গরুর জন্য কোরবানি হাটে হাসিল প্রযোজ্য হবে না। সুতরাং কোরবানির হাটের গণ্ডগোল অনেকটা কমে যাবে।

০ টি +০/-০