নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা শহরে রেন্টাল বাইসাইকেল সেবার সম্ভাব্যতা

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

আজ ব্লগে এসে দেখলাম সামুর ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন OBike নামক একটি বাইসাইকেল রেন্টাল সার্ভিস সম্পর্কে পোষ্ট দিয়েছেন। প্রতিদিন ঢাকাবাসীকে যানজটে দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে দূষণ ও যাতায়াত খরচ। যা স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও সামগ্রিক পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।যানজট, দূষণ, যাতায়াত খরচ হ্রাস এবং সুস্থ থাকার জন্য বাইসাইকেলকে পুনরায় জনপ্রিয় করা প্রয়োজন। জেনেছি আমাদের পাশের দেশ ইন্ডিয়াতেও নাকি বাইসাইকেল রেন্টাল ব্যাবস্থা রয়েছে। এমনকি অলিম্পিকের সময় চীন বেইজিংয়ের রাস্তায় ৬০ হাজার সাইকেল নামিয়েছিল পর্যাটক আর সাধারণ নাগরিকদের জন্য।কেননা দেশটিতে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ জনিত সমস্যা ছিল।

বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম, বাইসাইকেল রেন্ট সেবাটি নিঃসন্দেহে অনেক চমৎকার হবে। আমরা অনেকেই সার্ভিসিং এর ভয়ে বাইসাইকেল ব্যাবহার করছি না। তবে অ্যাপের মাধ্যমে যদি ঘণ্টা চুক্তিতে বাইসাইকেল সেবা পাওয়া যায় তবে সত্যিই দারুন হবে। প্রয়োজনে সিকিউরিটি মানি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যাবহার করে এই সাইকেল চুরি সংক্রান্ত সমস্যা রোধ করা যেতে পারে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এই বাইসাইকেলের স্ট্যান্ড পয়েন্ট রাখা যেতে পারে। এর পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের একটি সেবা চালু হয়েছিল। বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবে অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যাচ্ছে। যদিও ভার্সিটি দুইটির এই সেবা ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং তা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্যই বরাদ্দ।

১৩ মার্চ ২০১১, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট নেটওয়ার্ক (বেন), ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন ও গ্রীণ বেল্ট ট্রাস্ট এর সম্মিলিত উদ্যোগে ক্যাম্পাসভিত্তিক বাইসাইকেল সার্ভিস কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছিল। তবে এখন সম্ভাবত সেটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

উবার-পাঠাও মত বেসরকারি বা সিটিকর্পোরেশন বা সরকারি উদ্যোগে অ্যাপ ভিত্তিক বাইসাইকেল সেবার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়, তবে সেবাটি বেসরকারি হলে সার্ভিসের মান ভালো থাকবে বলে মনে করি।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাইসাইকেলেতো ডাবলিং করার নিয়ম নাই !!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভাই এটা রাইড শেয়ার নয় ঘণ্টায় রেন্ট।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: এটা খুব ভালো উদ্যোগ।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: নিঃসন্দেহে।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশে এই উদ্যোগ মাঠে মারা যাবে। প্রথম প্রথম দু'চারদিন চললেও পরে মুখ থুবড়ে পড়বে। কোন সন্দেহ নাই।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালনা করলে অবশ্যই সার্ভিস সচল থাকবে।

৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

শামচুল হক বলেছেন: আবুহেনা ভাইয়ের কথা ঠিক।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ভাই দিন বদলেছে, আগের কথা চিন্তা করে লাভ নাই।

৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

আটলান্টিক বলেছেন: এই ধরনের কিছু একসেপ্ট করার মানষিকতা সাধারণ জনগণের নেই।জনগণ যতোক্ষন না পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে বুঝতে পারছে ততদিন এটার সফলতা সম্ভব নয়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সত্যি বলতে গেলে যারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন তারা নিঃসন্দেহে এই সেবার নিয়মিত ব্যাবহারকারী হবেন নিঃসন্দেহে।

৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভাই, সরকারি বেসরকারি কোন উদ্যোগেই এই সার্ভিস সফল হবার সম্ভাবনা নাই। এ দেশের বেশিরভাগ মানুষ অসৎ। দশ বিশ পঞ্চাশ লাখ টাকার সাইকেল কিনে এই সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করে দেখুন, দু'বছর পর অর্ধেক টাকার সাইকেলও আপনার স্টকে খুঁজে পাবেন না। আমার কথা তিতা মনে হচ্ছে তো! বাস্তবে শুরু করে দেখুন।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৮

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: এখন জিপিএস ব্যাবহার করে ট্র্যাক করা কোন বিষয়ই নয় বরং আপনার কাছে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি বা নম্বার থাকছে যা নির্ভুল ভাবে অসৎদের খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। আমি নিঃসন্দেহে বাস্তবেই রয়েছি।

৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গ্রামেতো এক সময় খুব প্রচলন ছিল সাইকেল রেন্ট ব্যবসা। আর শহরে অল্প কিছু জায়গায়। তবে আমার মনে হয় এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশী জোর দেয়া উচিত নিয়মতান্ত্রিক গণপরিবহনের দিকে। একটা সুন্দর সিটি বাস সার্ভিস শুরু হলে যাতায়াত অনেক সহজ হয়ে যেত...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২০

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সব থেকে বড় স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর সিটি সার্ভিস উপহার দেওয়া, কিন্তু কিছু পরিবহন মালিক নামক সন্ত্রাসীদের জন্য তিনি সফল হতে পারেন নাই। তবে বাইসাইকেলের সব থেকে বড় সুবিধা কিন্তু পরিবেশ দূষণ রোধ।

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৬

সোহানী বলেছেন: হাঁ কানাডায় খুবই জনপ্রিয়। আমি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি সেখানকার বড় অংশই রেন্টে সাইকেল চালায়। এখানে প্রতি মোড়ে সেই রেন্ট সাইকেল স্টেন্ড। যার যখন খুশি চালায়ে আরেকটা স্টেন্ডে রেখে দেয়, অনেকটা জিপ কারের মতো। এতে সাইকেল হারানো বা কেনার ঝামেলা নেই। দেশে চালু হলে ভালোই হবে, যদিও বাইক লেন নেই তাই এ্যাক্সিডেন্ট একটা বড় সমস্যা।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো। আমাদের দেশে এই সেবাটি খুবই জরুরী বলে মনে করি। আর সেবাটি চালু হলে এক সময় হয়ত বাইক লেনও চালু হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:

আই লাভ সাইক্লিং

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: লাভ সাইক্লিং

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

এনইসলাম বলেছেন: চায়নাতে এখন রেন্টাল বাইসাকেল এখন বেশ জনপ্রিয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.