নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন এক সময় লেখালেখি শুরু করবো। এখন যা লিখছি তা সেই সময়ের জন্যে প্রস্তুতি আসলে। আর লেখার জন্যে নতুন নতুন তথ্য যোগাড় করছি আপাতত।

ফায়েজুর রহমান সৈকত

মুক্ত সকল চিন্তা করি, নিজের সাথে নিজেই লড়ি।

ফায়েজুর রহমান সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমেন্দ্র মিত্রের "শুধু কেরানী " মিডলক্লাসের গল্প

০৩ রা মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

(গল্প পুনরালোচনা)

শহুরে সমাজে যে মধ্যবিত্ত বাস করে তাদেরকে পরিচয় করিয়ে দেয় কেরানীরা। সারাক্ষণ একটা প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির হিসেব মেলাতে মেলাতে তাদের দিন কাটে। তারা উচ্চাশা নিয়ে বাঁচে। সেই আশা পূরণ করতে এক সময় তারা ব্যর্থও হয়। এই ব্যর্থ হইবার আগে পর্যন্ত প্রতিনিয়ত তাদের যে পতন সেই পতনে তাদের সর্বস্ব ছারখার হয়। তারা নিঃশেষ হতে চলে তারপরেও মুখ বুজে সব সহ্য করে। তারা মুখ বুজে সহ্য করে কিন্তু কারোর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেনা। যেন তারা আরো ধৈর্য ধরতে চায়। তারা জানে এই ধৈর্য ধরলে কোনকিছু লাভ হবার নয় তারপরেও তারা ধৈর্য ধরে। এই ধৈর্য ধরা আসলে নিজের অসহায়ত্বকে নীরবে মেনে নেওয়া।

সেই মেনে নেওয়ার ছবি আঁকলেন গল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্র। মধ্যবিত্ত রূপে কেরানী শ্রেণী তার কাছে এত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে যে নিজের গল্পে কোন রূপক নামের আশ্রয় নিতে চাননি। সরাসরি তার নাম দিলেন "শুধু কেরানী"।

কোন এক কেরানী ঘরে বধূ সেজে আসে সাধারণ গরীব গৃহস্থ ঘরের এক সলজ্জ সহিষ্ণু মমতাময়ী মেয়ে। মানিকের অপর্ণা আর অপুর সংসারের মত কেরানী আর কেরানী বধূর সংসারটিও ভালবাসায় পূর্ণ থাকে। একে অপরের প্রতি তাদের প্রেম যেন মধ্যবিত্তেরর প্রেমকেই প্রকাশ করে। পরস্পরকে তারা "ওগো" বলে ডাকে। সারাদিন অফিস করে স্বামী ঘরে এলে বধূ তার পায়ের জুতাজোড়া খুলে দিতে যায়। স্বামী লজ্জা পেয়ে বলে, "না গো, তোমায় জুতোর ফিতে খুলে দিতে হবে না।"
একদিন স্বামীটি ট্রামের পয়সা বাঁচিয়ে হেঁটে এল আর সেই পয়সা দিয়ে রাস্তার মোড় থেকে বধূটির জন্য একটি গোড়ের মালা কিনে আনলো। বধূকে মালা জড়ায়ে দিতে গেলে বধূ বিস্মিত আনন্দে আর ক্ষুণ্ণস্বরে বলে, "এই ছাই ফুলের মালা কেনবার জন্যে তুমি এই পথটা হেঁটে এলে? যাও চাই নে তোমার ফুলের মালা।" এমনি দারুণ কপোত কপোতীর সংসার তাদের।

কিন্তু তাদেরকেও মধ্যবিত্তের চিরায়ত নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। তখন তাদেরকেও ধৈর্য ধরে হাসিমুখে অভিনয় করে যেতে হয়। এই ধৈর্য আর অভিনয়টুকো মধ্যবিত্ত প্রকৃতির কাছ থেকে শেখে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

প্রামানিক বলেছেন: এখনকার কেরানীদের টানা হেঁচড়া আর নেই, অনেকেই কোটিপতি।

২| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ১:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: প্রেমেন্দ্র মিত্রের ঘনাদা ছাড়া বিশেষ অন্য কিছু পড়ার সৌভাগ্য হয়নি, পড়তে হবে। ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের সরকারি অফিসের কেরানিরা জমিদার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.