|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 সত্যপথিক শাইয়্যান
সত্যপথিক শাইয়্যান
	আমার কাছে অনেক আইডিয়া আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সব কিছুর মূলে রয়েছে আইডিয়া!
 
  
ব্লগার মঞ্জুর চৌধুরীর গত রাতের পোস্টটি পড়ে মন চলে গেলো উপরের বোর্ডে লেখা কথাগুলোর মাঝে। প্রায় ১২ বছর আগে ইংল্যান্ডে একটি ট্রেনিং করার সময়ে একটা পার্কের বেঞ্চে কথাগুলো খোদাই করা অবস্থায় প্রথম দেখতে পাই। কথাগুলো মনের মাঝে এমন ভাবে গেঁথে গিয়েছিলো যে, সিলেটে আমি যে পাঠাগারটি করেছি, সেখানে এই লেখাটি লিখিয়ে রেখেছি। জন ক্লিলের এই উক্তিটি কি নিদারুণ ভাবেই না পরবর্তী প্রজন্মগুলোকে প্রতিপালনের জন্যে উদাহরণ হিসেবে গণ্য হবে। 
এবারে আসি মূল বক্তব্যে। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি, আমাদের বর্তমান শিশু - কিশোররা মোবাইলফোনের উপরে খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। মোবাইলফোনের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে তারা হয়তো টেকনিক্যালি সাউন্ড হচ্ছে, কিন্তু, সামাজিকতা বলে একটি কথা আছে না! ভব্যতা ভুলে গেলে চলবে কেন! 
অথচ, আমাদের নতুন জেনারেশন এইভাবেই গড়ে উঠছে। বাবা-মা হয়তো কর্মজীবী, অথবা মা-বাবা যখন নিজেদের কাজে ব্যস্ত, তখন নিজেদের ছোট্ট শিশুটি যে একদম কানেকশনের বাইরে চলে যাচ্ছে, এটা কেউ লক্ষ্য করে দেখেছেন কি? আমরা অনেকেই তা বুঝতে পারছি। কিন্তু, কিছু করছি না। 
আমি আমার মেয়ে সোহানাকে মাটিতে বসা ও শোয়া শিখিয়েছি। মাটির সোঁদা গন্ধ নিয়ে খালি পায়ে হাঁটা শিখিয়েছি। বৃষ্টি হলে সে বেলকনি বা জানালা দিয়ে তা ছোঁয়ার চেষ্টা করে। আমার গাড়ি থাকতেও, তাকে অটো রিকশায় বৃষ্টিতে ভিজিয়ে স্কুল থেকে আনা - নেওয়া করেছি। সে চাঁদ দেখলে খুব খুশি হয়। সোহানা তখন বল উঠে - আব্বু, কি থুন্দল তাদ! 
আমি আমার মেয়েটার দিকে অবাক নয়নে তাকিয়ে থাকি!
 ৮ টি
    	৮ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সন্ধ্যা  ৭:০৩
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সন্ধ্যা  ৭:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
আপনার কথাগুলো আজকাল রবোটের মতো হয়ে গেছে! 
দুষ্টু দুষ্টু লবত। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২|  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১২:১৩
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১২:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান, 
দারিদ্রতা আর অপুষ্টি এমনকি দরিদ্র পারিপার্শিকতাও শিশুদের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস এলাকা সহ ফ্রন্টাল কর্টেক্সকে ( মস্তিষ্কের যে এলাকাটি শিক্ষার, যোক্তিকতার, মেজাজের, সিদ্ধান্ত গ্রহণের, প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণের মতো কাজগুলি করে থাকে।) পরিপূর্ণ ভাবে গঠিত হতে দেয় না। তাই আমাদের দেশের যেখানে বেশীর ভাগ মানুষই দরিদ্র পরিবারের সন্তান, তারা মস্তিষ্কের  এই অপরিপূর্নতার কারনে আত্মসংযম, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সামাজিক যোগাযোগ ক্ষমতায় শোচনীয়ভাবে দূর্বল হতে পড়ে। একটি দরিদ্র পরিবারের সকল সদস্যই কিন্তু এই দূর্বলতা নিয়ে বেড়ে উঠেছে তাই তাদের পক্ষে সন্তানদের সঠিক ভাবে গড়ে তোলার বিচক্ষনতা থাকেনা। "টীচ আওয়ার চিলড্রেন" করবে কে ?  তাই পাড়া-মহল্লায় কিশোর গ্যাংদের দেখা মেলে ।  দেখা মেলে সাংঘাতিকভাবে প্রবৃত্তিপরায়ণ ও আত্মসংযমহীন একটি প্রজন্মের যারা আধুনিক বিশ্বের প্রযুক্তির ব্যবহার করেও  "টেকনিক্যালি সাউন্ড" না হয়ে বরং প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে অস্বাভাবিক কন্টেন্ট তৈরি করে। 
প্রকৃতির সৌন্দর্য্য এরা কখনও খুঁজে দেখেনা, অনুভবও করেনা।
  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ১০:২৫
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  সকাল ১০:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
সুন্দর করে বলার জন্যে ধন্যবাদ। 
প্রতিটি শিশুই প্রকৃতির এক প্রতিচ্ছবি। তারা ঠিক মতো বেড়ে না উঠা অর্থ আমরা প্রকৃতির যত্ন নিচ্ছি না। 
ঠিকই, আমরা প্রকৃতি সম্পর্কে কতটা উদাসীন আমাদের চারপাশ দেখলেই বুঝা যায়! 
এই অবস্থার একটি পরিবর্তন দরকার। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৩|  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  দুপুর ১:২৭
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  দুপুর ১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিটা বাবা মা তার সন্তানের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকেন।
  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:৩৫
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:৩৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
ঠিক বলেছেন। 
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৪|  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  বিকাল ৫:২৭
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  বিকাল ৫:২৭
বিজন রয় বলেছেন: সবাই তাই করে।
শুভকামনা রইল।
  ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:৩৬
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  রাত ১০:৩৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: 
সবাই তা করে যাক। 
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  বিকাল ৫:৫০
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫  বিকাল ৫:৫০
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
আপনার কোন কথা সত্য বলে মনে হয় না। পাঠাগার মাঠাগার কি করছেন বলা মুশকিল!