নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাকিল খাঁন - উত্তরা, ঢাকা

সািকল খান

মানুষের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনটা যেন কেমন!!কে আপন, কে পর, কে বাঁধিয়া রাখিবে বুকের পর তা বুঝা বড়ই দায়।

সািকল খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন জিয়াউর রহমান, প্রয়াত প্রেসিডেন্ট, স্বাধীনতার ঘোষণা এবং তার মৃত্যুর পরে এরা কি কি বলেছিলেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫



আজ প্রয়াত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী।



এই নেতার মৃত্যুর ( ১৯৮১ সালের ৩০ মে ) পরে ওই সময়ে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তারেবর আলোচনায় এইসব জাতীয় নেতারা কি বলেছিলেন?





আওয়ামী লীগের আছাদুজ্জামান খান : মরহুম জিয়াউর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ২৬ মার্চ তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, জাতি সেটা স্মরণ করবে।



তখনকার গণতন্ত্রী পার্টির এমপি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : ৩০ মে থেকে ৩রা জুন যে লাখ লাখ জনতা শুধু ঢাকা নগরীতেই নয়, গোটা বাংলাদেশে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছে, তার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি (জিয়াউর রহমান) বাংলাদেশের মানুষের কত কাছাকাছি এবং প্রাণপ্রিয় ছিলেন। এটা বলতে যদি কেউ কুণ্ঠাবোধ করেন, এটা তার মানসিক দৈন্য এবং তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব বলে আমি মনে করি। এই যে লাখ লাখ জনতার স্রোত কেন এসেছিল, এই লাশটির পাশে, কেন এসেছিল জানাজায় ও গায়েবি জানাজায়? এসেছিল একটি মাত্র কারণে—সাবেক রাষ্ট্রপতির সততার প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাতে। ওই যে কোটি কোটি মানুষের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে আমরা যে গণতন্ত্রের কথা বলে এসেছিলাম এবং যে কথা বলে আমরা বিশ্ববিবেকের সমর্থন পেয়েছিলাম এবং তাকেই আমরা সংবিধানে গৃহীত করেছি।



রাশেদ খান মেনন এমপি : মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয়। তাকে সেভাবেই দেখেছি, সেভাবেই সম্মান করেছি। তার যে কীর্তি সেই কীর্তি অমর এবং অক্ষুণ্ন থাকুক—এটা কামনা করি।



ন্যাপের প্রফেসর মোজাফফর আহমদ : জিয়াউর রহমান একজন দৃঢ়চেতা, সত্ ও দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং রেডিও মারফত স্বাধীনতার বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি ঢাকা শহরে আত্মগোপন অবস্থায় ছিলাম। তখন রেডিও মারফতই তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’ এমনিভাবে কেউ বললেন জিয়াউর রহমান একজন গ্রেট লিডার বা মহান নেতা ছিলেন। কেউ বললেন তিনি বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ জাগিয়ে তুলেছেন। বহুদলীয় রাজনীতি চালু করেছেন। দেশের জন্য দিবারাত্রি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। সাদাসিধা সরল জীবনযাপন করেছেন তিনি।



মির্জা গোলাম হাফিজ : মরহুম জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ জাগিয়ে তোলার একজন অক্লান্ত কর্মী ও নিবেদিতপ্রাণ। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সুসংহত ও দেশের গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করার নিমিত্তে তিনি ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জাতীয় সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে এক নজির স্থাপন করেন।



আতাউর রহমান খান : (ঢাকা-১২) হৃদয় আজকে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত, বেদনাহত, শোকসন্তপ্ত। কোনো কথা বলার ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না—কী করে এই মর্মবেদনা প্রকাশ করতে পারব।



শাহ আজিজুর রহমান : জিয়াউর রহমান আদর্শ হিসেবে শুধু বাংলাদেশে নয়, দুনিয়ার নিপীড়িত জনগণের জন্য একটি প্রেরণার উত্স হয়ে তিনি বেঁচে থাকবেন কেয়ামত পর্যন্ত। তিনি ইতিহাসের পৃষ্ঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে। তিনিই প্রথম চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।



আর আজ?????

সবকিছুই নাকি উল্টে গেছে। বই থেকে মুছে দেয়া হয়েছে তার নাম।

আমাদের নতুন প্রজন্ম কে জানতে দেয়া হবে না ইতিহাস।



তাইতো মিথ্যার ইতিহাস থেকে মুক্তি চাই, এই পারিবার কেন্দ্রীক নেতা (!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!) দের থেকে মুক্তি চাই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

স্তব্ধতা' বলেছেন: জিয়াউর রহমানের এই মুছে যাবার প্রক্রিয়ার পরিণতির জন্য সর্বাগ্রে যার নাম আসবে তিনি জিয়াউর রহমানের পত্নি খালেদা জিয়া ও বিএনপির লোকোয়ালিটি পলিটিক্যাল কমাণ্ড।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

সািকল খান বলেছেন: X((

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

দাদুচাচা বলেছেন: সঠিক ইতিহাস জানতে চাই।
কোন পাতিহাস নিয়ে থাকতে চাই না !


১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

সািকল খান বলেছেন: যে ছবি দিছেন তাতেতো মনে হয় আবু্ইল্যার ছবি।
উনার নাম থাকলে সঠিক ইতিহাস জানাটা খুব কষ্টের।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২

নেটবুক বলেছেন: ++++্

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

সািকল খান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমরা একটা সুন্দর চোরমুক্ত দেশ চাই।
হানাহানি মুক্ত দেশ চাই।

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

নেক্সাস বলেছেন: একজন জিয়া তুমি বাংলার মানুষের পিঠে মেরুদন্ড লাগিয়ে দিয়েছিল।

আজকের মেরুদন্ঢীন জাতির জন্য আবার যদি ফিরে আসতে

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

সািকল খান বলেছেন: তাইলে আবার মখার স্প্রে তে পরতো না তো =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: স্তব্ধতা' বলেছেন: জিয়াউর রহমানের এই মুছে যাবার প্রক্রিয়ার পরিণতির জন্য সর্বাগ্রে যার নাম আসবে তিনি জিয়াউর রহমানের পত্নি খালেদা জিয়া ও বিএনপির লোকোয়ালিটি পলিটিক্যাল কমাণ্ড।

সহমত।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

এস্কিমো বলেছেন: আজতো জিয়াউর রহমানের জন্মদিন। উনার জীবন নিয়ে কথা বলার দিন - মৃত্যু নিয়ে কথা বলার কথা না।

যাই হোক - আপনি ভাল জিনিসই সামনে এনেছেন। আপনার অবগতির জন্যে জানাচ্ছি - জিয়াউর রহমান জীবিত অবস্থায় কখনও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবী করেননি বা কোন বিশেষ কৃতিত্ব নিতে চেষ্টা করেননি। উনার মৃত্যুর পরই একদল রাজনীতিবিদ জিয়াকে শেখ মুজিবের উপরে উঠানোর চেষ্টা করেছে নানান ধরনের বিতর্ক তৈরী করে। সেইগুলো একটু চেষ্টা করলেই জানতে পারবেন। বিএনপির নেতা হিসাবে অলি আহমদে আর মীর শওকত আলীর পরষ্পরবিরোধী ভাষ্যগুলো দেখতে পারেন।

আরেকটা জিনিস উল্লেখ্যযোগ্য - তা হলো তখনও রাজনীতি শিষ্টাচারের একটা নীতি ছিলো - পরষ্পরের প্রতি শ্রদ্ধা ছিলো বলেই আপনি এই বক্তব্যগুলো পেয়েছেন।

এখন শেখ মুজিবের জন্ম দিনে বেগম খালেদা জিয়া কেক কেঁটে জন্মদিন পালন করে - ১৯৯৬ সালের আগে উনি তা করতেন না। তাহলে বুঝতে পারছেন - গলদ কোথায়?

জিয়াউর রহমানের যারা ভক্ত তাদের প্রশ্ন করা যায় - গত দুই টার্মে জিয়ার দল ক্ষমতা ছিলো - জিয়াউর রহমারের শশুর পক্ষে আন্ডাবাচ্চাসহ সবাই ক্ষমতার ভাগ পেয়েছে - যেমন খালেদা জিয়ার বড় বোন মন্ত্রী হয়েছেন - ভাই বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন - আরেকভাই বিমানের উচ্চপদে বসেছেন - ভাগ্নে এমপি হয়েছেন - ইত্যাদি। কিন্তু জিয়াউর রহমানের পরিবারের লোকজন কোথায়? উনার ভাইবোন কোথায়?

মুলত জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপি হয়ে গেছে খালেদা জিয়ার নিজস্ব সম্পদ - এরা জিয়াকে ব্যবহার করছে রাজনীতির জন্যে - কিন্তু জিয়ার হত্যার বিচারটাও করেনি।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: জিয়া হলেন "ইউনিভার্সাল ট্রুথ"-জিয়া অমর, অক্ষয়। মানুষের জিয়া, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের রক্ষা কবচ জিয়া ছিলেন জিয়া আছে এবং জিয়া থাকবেন যতদিন বাংলাদেশ থাকবে।

৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

রাতুলবিডি২ বলেছেন: তখনকার গণতন্ত্রী পার্টির এমপি ও বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত : ৩০ মে থেকে ৩রা জুন যে লাখ লাখ জনতা শুধু ঢাকা নগরীতেই নয়, গোটা বাংলাদেশে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছে, তার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি (জিয়াউর রহমান) বাংলাদেশের মানুষের কত কাছাকাছি এবং প্রাণপ্রিয় ছিলেন। এটা বলতে যদি কেউ কুণ্ঠাবোধ করেন, এটা তার মানসিক দৈন্য এবং তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব বলে আমি মনে করি।

৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তাইতো মিথ্যার ইতিহাস থেকে মুক্তি চাই, এই পারিবার কেন্দ্রীক নেতা (!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!) দের থেকে মুক্তি চাই।



দুই পার্টিই তো এই রকম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

সািকল খান বলেছেন: এই জন্যই আমাদের দরকার নতুন নেতৃত্ব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.