![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনটা যেন কেমন!!কে আপন, কে পর, কে বাঁধিয়া রাখিবে বুকের পর তা বুঝা বড়ই দায়।
ছাত্রলীগের হামলায় নিহত বিশ্বজিত দাসের হত্যকাণ্ডের পর তৈরি করা সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেন
- বিশ্বজিত আহত হওয়ার পর এক রিকশালাওয়ালা হাসপাতালে নিয়ে গেল অথচ পুলিশ নিয়ে যেতে পারল না- এটা জাতির জন্য বড়ই দর্ভাগ্যজনক। রিকশাওয়ালা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তাকে পুরস্কৃত করা উচিত।
- বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে আপনাদের প্রতিবেদনের সামঞ্জস্য নেই। কাউকে বাঁচানোর জন্যই এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে কি না সে প্রশ্ন করেন আদালত।
- ময়নাতদন্ত ও সুরতহাল প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত বলেন, প্রতিবেদনে বিশ্বজিতের পিঠে কোমরের ওপর ও পায়ে হালকা জখম দেখা যায়। ডান হাতের পাখনার নিচে তিন ইঞ্চি কাটা জখম, বাম পায়ের হাঁটুর নিছে ছেড়া জখম।
- এ সময় আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী সূত্রাপুর থানার এসআই মো. জাহিদুল হক বলেন, “পৌনে ১২টায় আমি লাশের সুরতহাল করেছি। সকাল নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশের সুরতহাল করার সময় ডান হাতের পাখনার নিচে জখম দেখতে পেয়েছি। তা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণেই সে মারা গেছে।”
- এ সময় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মাকসুদুর রহমান আদালতকে বলেন, “পাখনার নিচে ধমনিটা (আর্টারি) কেটে যাওয়ার কারণেই বিশ্বজিত মারা যায়।”
- বিশ্বজিতের ঘটনায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজটি আদালতে প্রদর্শন করা হয়। এটা দেখার পর আদালত ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে বলেন, “ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে আপনার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন কি সামঞ্জস্যপূর্ণ?”
- জবাবে চিকিৎসক বলেন, “ডান পাখনার নিচে একই জায়গায় একাধিক কোপ পড়েছে। শরীরে বড় আঘাত একটিই পেয়েছি।”
- এ পর্যায়ে আদালত চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করেন, কারো দ্বারা প্রভাভিত হয়ে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন? জবাবে চিকিৎসক ‘না’ বলেন।
- তিনি বলেন, “আমি পৌনে দুইটায় লাশ পরীক্ষা করেছি। শরীরে আঘাতের চিহ্ন যা পেয়েছি তাই লিখেছি।”
- আদালত বলেন, “আপনি কি কাউকে বাঁচানো চেষ্টা করছেন?” জবাবে কিৎিসক বলেন, “না।”
- এ পর্যায়ে আদালত বলেন, “ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভিকটিমের বাম পাশে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়া হচ্ছে। এটা তো আপনার প্রতিবেদনে নেই।”
- আদালত বলেন, “ভিডিও ফুটেজের সঙ্গে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
- আদালত সুরতহাল প্রস্তুতকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, “চার্জশিট দিতে দেরি করছেন কেন?”
- জবাবে তিনি বলেন, “মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে ন্যস্ত করা হয়েছে।”
- এ সময় আদালত মামলায় কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে চান।
- তিনি বলেন, “সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে শুনেছি।” ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমি তো জানি নয়জন।”
- পত্রিকায় যাদের ছবি এসেছে তাদের সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? জবাবে তিনি বলেন, “জ্বি হয়েছে।”
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
সািকল খান বলেছেন: আ-লীগের অপরাধ!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
রবিনহুড বলেছেন: ধর্মীয় রীতি অনুসারে বিশ্বজিৎকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এতে করে পুনরায় লাশ তুলে ময়না তদন্তের অবকাশ নেই।
ফলে এই ধরনের মিথ্যাচারে ভরা ময়না তদন্তের রিপোর্টে অপরাধীরা খুব সহজেই ছাড় পেয়ে যাবে।