নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজত না শাহবাগঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বা সরকারের ভবিষ্যৎ

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০২

শুরুতেই বলে রাখি, আমি একে (বর্তমান দ্বন্ধ) যুদ্ধ বলছিনা বরং সংগ্রাম বলছি। স্বাধীনতা অর্জনের পর বংগবন্ধু ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দেশকে মোটামুটি মিশ্র ভাবেই চালিয়ে ছিলেন। ধর্ম, শাসন ব্যবস্হা এর মিশ্রন ছিল সব ক্ষেত্রেই যদিও সংবিধান ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু ১৯৭৪ সালে সামগ্রিক বিশৃংখলা থেকে রেহাই পেতে, অনেকটা দলীয় লুটপাট এবং দূর্ভিক্ষ থেকে মুক্তি পেতে আওয়ামীলীগ বাম রাজনীতিতে ডুকে পড়ে।



সে সময়ে বাংলাদেশে বামদের একটা অবস্হান ছিল রাশিয়া বা চীনের অনুকম্পায় এবং কেজিবির আর্থিক প্রনোধনায়। ধীরে ধীরে বামরা আওয়ামীলিগকে গিলে ফেলেছে। বাংলাদেশে যদিও বামরা এখন ডুগডুগি সর্বস্ব দল, কিন্তু চুপা বামের সংখ্যা নেয়াহেত কম নয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের বা এমপিদের ৪০% বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা। এদের একমাত্র সম্বল আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মূল বিষয় ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি, কখনই ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা।বংগবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনের মূল বিষয় ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্যে স্বাধিকারের সংগ্রাম, স্বাধিনতার সংগ্রাম।



কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে বামদের মিশন শুরু হয় ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রনয়নের সময় থেকেই। জনবিচ্ছিন্ন বামরা যদিও স্বতন্ত্র রাজনীতিতে শুকিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আওয়ামীলীগে এরা দিনে দিনে মোটা হচ্ছে, বাড়ছে এদের ক্ষমতার পরিধি। এদের প্ররোচনাতেই নির্বাচিত সরকার ধর্মকে খোঁচাচ্ছে।



সর্বশেষ হেফাজতের লংমার্চ বলে দিচ্ছে, এই বামদের থেকে আওয়ামীলীগ মুক্ত হতে না পারলে আওয়ামীলীগের রাজনীতি কঠিন হয়ে যাবে। মিডিয়া দখলে থাকা বামরা যে গনমানুষকে প্রতিনিধিত্ব করেন না তা গত কয়েকদিনে ভালই বুঝা গেছে। বাংলাদেশ যখন পুড়ছে তখনও এই বামু গুলো মিডিয়ায় মিথ্যা বলে বিভ্রান্ত করছে সরকারকে এবং শহুরে জনগোষ্টির একটি অংশকে। দেশের জনগনের সাথে, নাড়ির সাথে যাদের যোগাযোগ আছে তারা বুঝে গেছেন, শাহবাগ একটি বিকলাংগ মুমুর্ষ সন্তান প্রসব করতে যাচ্ছে। এই বিকলাংগ সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে মায়ের জীবন বিপন্ন হবে। তাই সঠিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে একে এখনই অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে, যাতে অন্তত মায়ের জীবণটা বাঁচে। সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কি অতি আদরের এই শাহবাগ তথা বাম ডুগডুগির রাজনীতি দ্বারা পরিচালিত হবেন এবং নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে ধাবিত হবেন, না গণমানুষের সাথে থেকে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন।



বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে শোধরানোর শেষ সময় এখনই। বামদেরকে সরকার থেকে বিচ্ছন্ন করলে আওয়ামীলিগের জনপ্রিয়তা বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। আর ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা আওয়ামী নেতৃত্বকে দেশ পরিচালনার সুযোগ দিলে আওয়ামীলিগেরই লাভ হবে। সম্ভবত ছাত্রলীগও বখে যাওয়া থেকে ফিরে আসতে পারে।



ভবিষ্যত বিহীন অন্ধকারে নিমর্জিত এই বামদের প্রতি আর কোন সহানুভূতি নয়। আশা করব বাম রাজনীতির গডফাদার প্রথমালু কর্তক নেত্রী বিপথে পরিচালিত হবেননা। মনে রাখবেন বামদের নেক্সাস মিডিয়া পর্যন্তই। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে টিভি বা নিউজপেপারের দুনাম্বারী গনমানুষ সহজেই ধরে ফেলে। অন্তত বিগত দুমাসের রাজনীতি তাই বলে। প্রথমালু জাতীয় বামুপন্হি মিডিয়ার দালালীর আবালগীরির দিন শেষ। আশা করব নেত্রী বলদদের হাত থেকে আওয়ামীলীগকে মুক্ত করবেন। আর যদি জননেত্রী ব্যার্থ হন তবে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগের জন্যে অপেক্ষা করবেনা। আওয়ামীলীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি হবে আগামী দিনের বাংলাদেশের আদর্শ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

অারমান বলেছেন: বাংলাদেশে বামদের একটা অবস্হান ছিল রাশিয়া বা চীনের অনুকম্পায় এবং কেজিবির আর্থিক প্রনোধনায়। ধীরে ধীরে বামরা আওয়ামীলিগকে গিলে ফেলেছে। বাংলাদেশে যদিও বামরা এখন ডুগডুগি সর্বস্ব দল, কিন্তু চুপা বামের সংখ্যা নেয়াহেত কম নয়। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের বা এমপিদের ৪০% বাম রাজনীতি থেকে উঠে আসা।
ভবিষ্যত বিহীন অন্ধকারে নিমর্জিত এই বামদের প্রতি আর কোন সহানুভূতি নয়। আশা করব বাম রাজনীতির গডফাদার প্রথমালু কর্তক নেত্রী বিপথে পরিচালিত হবেননা। মনে রাখবেন বামদের নেক্সাস মিডিয়া পর্যন্তই। আর সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে টিভি বা নিউজপেপারের দুনাম্বারী গনমানুষ সহজেই ধরে ফেলে। অন্তত বিগত দুমাসের রাজনীতি তাই বলে। প্রথমালু জাতীয় বামুপন্হি মিডিয়ার দালালীর আবালগীরির দিন শেষ। আশা করব নেত্রী বলদদের হাত থেকে আওয়ামীলীগকে মুক্ত করবেন। আর যদি জননেত্রী ব্যার্থ হন তবে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামীলীগের জন্যে অপেক্ষা করবেনা। আওয়ামীলীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে কি হবে আগামী দিনের বাংলাদেশের আদর্শ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮

সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

আদনান মাননান বলেছেন: Click This Link

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

আয়রন ম্যান বলেছেন: আমি মাঝে মাঝে একটা কথা বলি- আমেরিকাকে খেয়েছে ইহুদিরা, আর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে খেয়েছে বামরা।
ইহুদিরা সংখ্যায় পৃথিবীতে মাত্র ১-২% এর মতো হবে। কিন্তু এই চতুর ইহুদিরা আজ আমেরিকা ঘাড়ে সওয়ার হয়ে পৃথিবীর তাবৎ মুসলিম দেশকে জ্বালিয়ে চারখার করছে।
ঠিক তেমনি ভাবে বাংলাদেশের বামরা সংখ্যায় কত পার্সেন্ট, হয়তো ১% ও হবে না। কিন্তু তারা ঠিকই আওয়ালীগের মতো একটা বড় দলের ঘাড়ে সওয়ার দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌছে গিয়েছে। আমি বলছি না বামরাই এদেশের অনিষ্টের মূল কারণ। কিন্তু এটা অবশ্যই মানতে হবে জনবিচ্ছিন্ন কেউ যখন জনপ্রতিনিধি দায়িত্ব পায় তখন সেটা কোন দেশ বা জাতীর জন্য কখনোই শুভ হতে পারে। বামরা বাংলাদেশে এক জনবিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠি। আর জনবিচ্ছিন্নরা কখনোই দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোতে থাকতে পারে না। গণতন্ত্রের ভাষায় ‍‍"যার যে পরিমাণ জনসমর্থন তাকে সেই পরিমাণ ক্ষমতা দেওয়াই বাঞ্চনীয়"
আওয়ালীগ যদি এখনই এ বিষয়টা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে এর জন্য তাদেরকে পস্তাতে হবে।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৩

দখিনা বাতাস বলেছেন: হেফাজত না শাহবাগ???????

শাহবাগের দাবি কি? রাজাকারের বিচার।

হেফাজতের দাবি কি? আমি কমু না, আপনেই কন। আপনের মুখ থেকে শুনতে চাই।

হেফাজতের ১ম দাবী, গালিবাজ নাস্তিকের শাস্তি ছাড়া আর কোনটাই তেমন দরকারী মনে করি না আমি। সোজা কথায় আজাইরা সব কথা বার্তা। এই যুগে এইসব চলেনা।

এইবার শুনেন, আমরা যারা বাম ডান কোন কিছু চিন্তা না করেই শাহবাগ গেছিলাম, এমন একজনের সরাসরি কথা।

আওয়ামীলীগ বিএনপি ২টাই এক জিনিস। ৫ বছর পর পর এরাই আইবো যাইবো, চুরি করবো লুটপাট করবো। আমরা আম জনতা এইটা মাইনা নিসি। কারন আর কেউ নাই বিকল্প।

কিন্তু আওয়ামীলীগ যদি এইবার একটা, আবার বলতাছি মিনিমাম একটা হইলেও রাজাকারের ফাসি দিয়া যায়, তাইলে এইবার ২য় বারের মত আবার আওয়ামীলিগরে ভোট দিমু। কারন, জামাত বিএনপি আইলে, বিচারের সাথে জড়িত সবাইরে লিস্ট কইরা কইরা মারবো। লাশ পড়বো রাস্তায়। আমার ভোট দেওয়ার শক্তিটা এদের বাচানোর জন্যই ব্যবহার করমু। কারন এরা দাবি মানতে গিয়া জীবন হারাইবো-- আমি এইটা চাই না।

আর যদি একটারেও ফাসি না দেয়, তাইলে আওয়ামীলীগরে ১৪ গুস্টিরে দেশ থেইকা নিশানা মুইছা ফালানির জন্য জামাত বিএনপিরে ভোট দিমু। সোজা কথা।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

নাওেয়দ বলেছেন: গোড়ায় হাত দিয়ে দিলেন তো ভাই!

গনজাগরন কারে বলে এই মোল্লারা তা হাড়ে হাড়ে বুঝায় দিসে। কিন্তু কথা হইল, উনারা কি ইসলামের রাজনীতির ধারক-বাহক?

দ্রষ্টব্য: ইসলামের রাজনীতিতে অমুসলিম ভাই-বোনদের জন্য অনেক সুবিধার বিধান আছে যা একজন মুসলমানও পাবে না। কিন্তু উনারা ইসলামের ভালো দিকের কথা কম বলে, কঠোর দিকের কথা বেশী বলে মানুষের মাঝে শুধু ভীতি সৃষ্টি করছেন। এই রাজনৈতিক বিধানে ভোট থেকে শুরু করে ট্যাক্স পর্যন্ত রাষ্ট্রপরিচালনার সব আইন ইসলাম দিয়ে দিয়েছে - উনারা কি তা জানেন?

একজন বাংলাদেশী মুসলমান হিসেবে তাদের ১৩ দফার প্রতি আমার মত এখানে।

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

কামরুল ইসলাম মান্না বলেছেন: সর্বশেষ হেফাজতের লংমার্চ বলে দিচ্ছে, এই বামদের থেকে আওয়ামীলীগ মুক্ত হতে না পারলে আওয়ামীলীগের রাজনীতি কঠিন হয়ে যাবে। মিডিয়া দখলে থাকা বামরা যে গনমানুষকে প্রতিনিধিত্ব করেন না তা গত কয়েকদিনে ভালই বুঝা গেছে।

আমারও মতামত সেইরকম।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

মাইন রানা বলেছেন: এই বামরা শুধু মিডিয়া দিয়ে নিজেদের অস্তিত্ত টিকিয়ে রেখেছে জনগনের সাথে এদের সংযোগ নেই।

এই বামরা আওয়ামীলীগকে ও জনবিচ্ছিন্ন করে ছাড়বে।

মিডিয়া পুরো বাংলাদেশ নয়। ঢাকা শহরও বাংলাদেশ নয়। গ্রামই আসল বাংলাদেশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.