নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বনির্ভর সরল পাঠ - গরিব মানুষ, মানুষ হতে চাই

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

সরলপাঠ

সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।

সরলপাঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ কি স্বাধীন কোন দেশ??? - হৃদয়ে দারুন দ্রোহX((X((X((

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:১৬

একি দেখছি সব! শীতলক্ষা নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারতের ট্রাক পারাপার, বাংলাদেশের সুন্দরবনকে ধ্বংসের সব আয়োজন সম্পন্ন করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, যাতে খরচের অধিকাংশই বাংলাদেশের, কিন্তু উৎপাদিত বিদ্যুৎ খরচ অনুপাতে ৮৫% ভারতের। তাও মেনে নিলাম। কিন্তু আজ যখন দেখি বাংলাদেশের নারায়ণগন্জে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের টেন্ডার হয় ভারতে অথচ বাংলাদেশের কোন অনুমোদনের প্রয়োজন পড়েনা, তখন সত্যিই আমার বিবেক, বিবেচনা, বুদ্ধি বিদ্রোহ করে উঠে, আসলেই কি আমরা স্বাধীন দেশ।



বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এ ধরনের কোন টার্মিনাল নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহনের পূর্বে আমাদের বিনোয়োগ বোর্ড সহ কমপক্ষে ৫টি মন্ত্রনালয়ের অনুমোদন, সর্বোপরি মন্ত্রীসভা এবং একনেকের অনুমোদনের প্রয়োজন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সবাই অন্ধকারে। বাংলদেশের স্বাধীনতা কিছু শকুনের কবলে। এদেশ আজ কোন ভাবেই গণপ্রজাতন্ত্রী নয়।



মুক্তিযুদ্ধের ফেরিওয়ালা হলেই হয়না, যদি শকুনেরা ফসিল সহ সব খেয়ে ফেলে। হৃদয় ভেংগে যায় যখন দেখি আওয়ামীলীগই দেশের ক্ষমতায় আর আমার দেশের স্বাধীনতার প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ দেখাতে প্রতিবেশীরা ব্যার্থ। ধিক্ তোদের এই ফেরিওয়ালা গিরি। দেশ বিক্রি করে ক্ষমতায় থাকার স্বাদ আমরা হতে দিবনা। সরকারকে এর ব্যখ্যা দিতেই হবে। কানামাছি ভোঁ ভোঁ খেললে হবেনা। সময় এসেছে মূল্যায়ন করার নতুন করে, কারা স্বাধীনতাকে রক্ষা করবে। আমরা ১৯৭১ এর হিসাব যেমন চাই, তেমনি স্বাধিনতা রক্ষার শক্তি বর্তমান দিয়েই হিসেব হবে, ১৯৭১ সাল দিয়ে নয়। আজ সময় হয়েছে আমাদের জেগে উঠার। আর কত আঘাত খাব ইতিহাসের ঘুমাপাড়ানি গান শুনেX((X((X((



বিস্তারিত খবর পড়ুনঃ

বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার। এরই মধ্যে দেশটির বিদেশ মন্ত্রণালয় কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য দরপত্রও আহ্বান করেছে। দর প্রস্তাব জমা দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৭ই জুন বিকাল ৩টা। ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ‘ইনভাইটস বিডস ফর টেকনো কমার্শিয়াল ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর সেটিং আপ অ্যান ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট অ্যাট, বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই দরপত্রটি প্রকাশ করা হয় ১০ই মে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মানবজমিনকে জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে কন্টেইনার টার্মিনাল ভারত চাইলে করতেই পারে। এনিয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের কথাও হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোন চুক্তি হয়নি। তাই টেন্ডার আহ্বান করা তেমন কোন বিষয় নয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর (ডিজি শিপিং) ও বিনিয়োগ বোর্ড থেকে লিখিত কোন অনুমোদন নেয়নি ভারত সরকার। নৌপরিবহন মন্ত্রী ও সচিব বিষয়টি সম্পর্কে জানলেও মন্ত্রণালয়টির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখাসহ বন্দর শাখাও এ বিষয়ে কোন কিছুই জানে না। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ বোর্ডের এ বিষয়ে কোন আবেদন জমা পড়েনি।



ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত দরপত্রের টার্মস অব রেফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই টার্মিনালটি হবে অভ্যন্তরীণ। কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল লিমিটেড (কেডব্লিউটিবি), বাংলাদেশের প্রায় ৪৬ একর জমি রয়েছে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে। তারা ভারতীয় অংশীদারের সঙ্গে যৌথভাবে সেখানে একটি ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট বা অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার পোর্ট যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ করার আগ্রহ দেখিয়েছে। টার্মিনাল নির্মাণে কারিগরি ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য ভারত সরকারের পক্ষে বিদেশ মন্ত্রণালয় এ দরপত্র আহ্বান করেছে। দরপত্র বিবরণীতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আওতাও তুলে ধরা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের প্রস্তাবিত টার্মিনালের স্থান পরিদর্শন করে একাধিক প্রতিবেদন জমা দেবে। এসব প্রতিবেদনে স্থানীয় বিভিন্ন শিল্পপণ্যের উৎপাদন, বর্তমান প্রবৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের শক্তি, সম্ভাবনা, দুর্বলতা ও ঝুঁকি বিষয়েও বিশ্লেষণ করতে হবে। নারায়ণগঞ্জের আশপাশে আর কোন অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল রয়েছে কিনা, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে তা-ও গুরুত্ব পাবে। চলমান কন্টেইনার টার্মিনালের সক্ষমতা, কন্টেইনার ও কার্গোর ধরনসহ অবকাঠামো ও ব্যয় বিষয়ে আলোকপাত করতে হবে। জমির দাম, তার উন্নয়ন খরচ, অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনে সম্ভাব্য ব্যয়ের একটি চিত্র তুলে ধরতে হবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে থাকবে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং, টার্মিনাল ভাড়া, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসসহ অন্যান্য খাত থেকে সম্ভাব্য আয়ের বিবরণীও। এছাড়া টার্মিনাল পরিচালন ব্যয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, কর ও শুল্কসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাবও সংযুক্ত করতে হবে। ওদিকে কার্যাদেশ পাওয়ার পর ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ৬ সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পার্ট-এ, পরবর্তী তিন সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পার্ট-বি, পরবর্তী তিন সপ্তাহে খসড়া প্রতিবেদন (পার্ট-এ, পাট-বি ও পার্ট-সি) এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে দরপত্রে।



ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদি ভারতীয় পরামর্শক/পেশাদারদের কাছ থেকে সিলগালা দরপত্র আহ্বান করছে। সেকশন অফিসার (ডিপিএ), রুম নং ৩১৩১, বি উইং, জওয়াহর লাল নেহরু ভবন (জেএনবি), নয়া দিল্লি থেকে ২০০০ রুপির পে-অর্ডারের বিনিময়ে পাওয়া যাবে দরপত্রের ডকুমেন্ট। এ জন্য ‘পে অ্যান্ড একাউন্টস অফিসার, মিনিস্ট্রি অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স, নয়া দিল্লি’ বরাবরে এই পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট জমা দিতে হবে। দরপত্র জমা দেয়ার সময় এর সঙ্গে এক লাখ রুপির ইএমডি ড্রাফট ‘দ্য পে অ্যান্ড একাউন্টস অফিসার, মিনিস্ট্রি অব এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স’ বরাবর জমা দিতে হবে। দরপত্র জমা দিতে হবে দুই-বিজ্ঞপ্তি (টু বিড) সিস্টেমে। এর একটি হবে টেকনিক্যাল। আরেকটি মূল্য বা খরচ বাবদ। সিলযুক্ত আলাদা আলাদা খামে তা জমা দিতে হবে। খামের ওপর লিখতে হবে ‘টেন্ডার ফর টেকনো-কমার্শিয়াল ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর সেটিং আপ অ্যান ইনল্যান্ড কন্টেইনার পোর্ট অ্যাট নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ’। জমা দিতে হবে আন্ডারসেক্রেটারি (ডিপিএ), রুম নং. ৩১০০, বি উইং, জওয়াহরলাল নেহরু ভবন (জেএনবি), নয়া দিল্লি- এই ঠিকানায়। এতে আরও বলা হয়, জমির দাম, তার উন্নয়ন খরচ, অবকাঠামো নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি স্থাপনে সম্ভাব্য ব্যয়ের একটি চিত্র তুলে ধরতে হবে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে থাকবে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং, টার্মিনাল ভাড়া, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসসহ অন্যান্য খাত থেকে সম্ভাব্য আয়ের বিবরণীও। এছাড়া টার্মিনাল পরিচালন ব্যয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা, বিদ্যুৎ, গ্যাস, কর ও শুল্কসহ আনুষঙ্গিক ব্যয়ের হিসাবও সংযুক্ত করতে হবে। কার্যাদেশ পাওয়ার পর ১৪ সপ্তাহের মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পার্ট-এ, পরবর্তী তিন সপ্তাহে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পার্ট-বি, পরবর্তী তিন সপ্তাহে খসড়া প্রতিবেদন (পার্ট-এ, পাট-বি ও পার্ট-সি) এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে কন্টেইনার টার্মিনাল প্রসঙ্গে বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী সদস্য নাভাস চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ভারত সরকার বা কুমুদিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন বিনিয়োগ প্রস্তাব বিনিয়োগ বোর্ডে আসেনি। উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২ বছরের পথপরিক্রমা পার হয়ে সরকারি উদ্যোগে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের পানগাঁওয়ে দেশের প্রথম অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নৌ-টার্মিনাল চালুর প্রক্রিয়া চলছে। দু’এক মাসের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে চালু হবে পানগাঁও টার্মিনাল। সেখানে ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজনের কাজ চলছে এখন।



খবরের লিংকঃ Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: আবেগ আর দেশপ্রেমে ব্লগ ছয়লাব হয়ে যায়।
কিন্তু ইন্ডিয়ান আগ্রাসনের বিষয়ে লেখা যেন এক অঘোষিত ট্যাবু!

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১০

সরলপাঠ বলেছেন: দেশপ্রেম আর চেতনা শুধু অতীতের বিষয় নয়।

২| ২২ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২০

চারশবিশ বলেছেন: আমরা যদি সহযোগিতা না করি ভারত এত সাহস পায় কিভাবে?

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১১

সরলপাঠ বলেছেন: এ হচ্ছে অলিখিত চুক্তি। বাংলাদেশ এখন চলছে অলিখিত আইনে।

৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

পথহারা সৈকত বলেছেন: আমাদের চুচিলরা কই......?

২৫ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

সরলপাঠ বলেছেন: সবাই নির্দিষ্ট দেশের এমব্যাসির ইনভেলপ খুলে মাসিক টাকার পরিমাণ ঠিকমত পেয়েছেন কিনা গুনে দেখতে ব্যস্ত। মনটা আসলেই খারাপ - আমার অবস্হা " কইলে মা মার খায় না কইলে বাবা হারাম খায়"। না লিখে পারছিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.