নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
পোষাক শ্রমিকদেরকে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে এ ধরনে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকলীগের সমাবেশে নিয়ে আসা হয়। এর ফলে শ্রমিকদের প্রত্যাশা অনেক বেড়ে যায়। তারা মনে করেছিল মন্ত্রী মহোদয় বেতন বাড়ানোর ঘোষনা দিবেন, যার জন্যে তারা অনেকদিন আন্দোলন করছে। সরকার এই শ্রমিক সমাবেশ করেছিল হেফাজতের বিরুদ্ধে নারী শ্রমিকদের উসকিয়ে দিতে। কিন্তু নৌ মন্ত্রীর মাথা মোটা খেয়া ঘাটের রাজনীতি, যেখানে কারো চোখ উপড়ে ফেলাই রাজনীতির ভাষা তা এই দৈনিক ১৯ ঘন্টা পরিশ্রমকারীদের নিকট অচল।
পোষাক শ্রমিকরা হেফাজতের ১৩ দফা বুঝেনা, তারা বুঝেনা বিএনপির এক দফা, অথবা শেখ হাসিনার যুদ্ধাপরাদের রাজনীতির মুলা। যে শ্রমিকের কাছে তার শ্রমই বেঁচে থাকার একমাত্র হাতিয়ার সে বুঝেনা রাজনীতির কুটচাল, ভাওতাবাজী বা শ্লোগান সর্বস্ব হাতুড়ি কাস্তের রাজনীতি। সে শুধু বুঝে এই সমাজ তাকে শোষন করে, কিভাবে তাকে সিঁড়ি বানিয়ে সর্বোচ্চ অট্রালিকায় উঠে যায় , সে দেখে কিভাবে দিলিপ বাবুরা প্লটের পর প্লটের মালিক হয় তাদের মত সর্বহারাদের নামে।
সরকার মনে করেছিল হেফাজতের নারী নীতি নিয়ে পোষাক শ্রমিকদেরকে দিয়ে বড় একটা হেফাজত বিরোধী রাজনৈতিক প্লাটফরম তৈরি করে ফেলবে। মাননীয় নৌ মন্ত্রী মহোদয় ভাল একটি খেলা দেখানের চেষ্টা করলেন ৮০০০ টাকা মজুরীর দাবী জানিয়ে। শ্রমিকেরা সহজেই এই ভন্ডামিটা ধরে ফেলেছে, ফলে যা হবার তাই হচ্ছে।
হেফাজতের রাজনীতি মোকাবিলার অনেক উপায় সরকারের আছে, যা সরকার অলরেডি ব্যবহার করছে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী দিয়ে। কিন্তু সমস্যা সংকুল এই সেক্টর নিয়ে রাজনীতি করতে যাওয়ার দায় সরকারকে নিতেই হবে - বিশেষ করে 'চোখ তোলা' রাজনীতিবিদ নৌ মন্ত্রীকে অবশ্যই নিতে হবে যিনি শ্রমিক নেতা আর একজন মন্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কি তা আজও বুঝেননা।
বাস্তবতা হচ্চে ৮০০০ টাকা সর্বনিম্ন মজুরী যেমন অযুক্তিক দাবী, তেমনি ৩০০০ টাকা থেকে ৩৬০০ টাকা সর্বনিম্ন মজুরী করতে চাওয়াও হাস্যকর। সরকার কে শুধু এতটুকুই বলতে পারি, রাজনীতির সকল চাল উল্টে যেতে পারে যদি এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে না পারেন। ব্যবসায়ীরা যদি সরকার থেকে দূরে সরে যায়, বা শ্রমিকেরা যদি আশ্বস্ত হতে না পারে তবে সরকারের গনেশ উল্টে যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.